![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নয়. স্বাধীনতার পর আন্তর্জাতিক রায়ে বাংলাদেশের ‘সমুদ্র জয়’ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক বিশাল অর্জন। এই জয়ের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ফলাফল নিঃসন্দেহে হবে সুদূরপ্রসারী। সাহস করে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে ফয়সালা চাওয়াটা সরকারের বিশাল কৃতিত্ব। হারলে কি হতো তা বিবেচনায় নিলেই এই জয়ের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনুধাবন করা সহজতর হবে। আগামীতে ভারতের সঙ্গে বিরোধে যদি বিজয় সুনিশ্চিত করা যায়, তবে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ইপ্সিত জাতীয় পুনর্জাগরণে তা অনুপ্রেরণা জোগাবে।
দশ. সরকার জনগণের পবিত্র আমানত ভোটের অধিকার রক্ষায় যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। বর্তমান আমলে উপনির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে সরকার যে নিরপেক্ষ ছিল তা এখন বিতর্কের ঊর্ধ্বে। মাগুরা নির্বাচনের মতো নির্বাচন এখন অতীতের স্মৃতিমাত্র। বলাই বাহুল্য, সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ১৯৯৬ সালে আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, ওই ব্যবস্থা যেমন উল্লিখিত ধরনের নির্বাচনের গ্যারান্টি সৃষ্টি করতে পারেনি, তেমনি বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রপতির পদকে পর্যন্ত কলঙ্কিত আর সেইসঙ্গে অনির্ধারিত অসাংবিধানিক জরুরি আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এখন যতোই বিতর্ক নানা মহল থেকে উত্থাপন করা হোক না কেন, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রাহ্য গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার অদূর ভবিষ্যতে প্রশংসিত হবেই। এর জন্য আগামী একটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতাই হবে ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো গণতন্ত্রের চলার পথের পাথেয়। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম দলীয় সরকারের আমলে গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো সমালোচনা উত্থাপিত হয়নি। (শেষ)
©somewhere in net ltd.