নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সম্প্রীতির সমাজ গড়ার স্বপ্ন বর্তমান সরকারের। সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব শুরু

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

ছোটখাটো কিছু নয়। বিরাট বিশাল অর্জন। নয় মাসের দীর্ঘ সংগ্রাম। কান্না। এক নদী রক্ত। তারপর ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। আত্মত্যাগের বিরল ইতিহাস রচনা করে ‘নয়া বাংলার নয়া সকাল’ দেখেছিল বাঙালী। বছর ঘুরে আবারও আসছে সেই বিস্ময়কর সকাল। বাঁধভাঙা আনন্দের দিনটি আসছে। প্রতিবারের মতো ‘এইদিন সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন।’ সে লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথম দিবস থেকেই শুরু হয়ে গেছে উৎসব অনুষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে শুরু হলো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঢাকার সবচেয়ে বড় আয়োজনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবারই একটু গভীরতর ভাবনা থেকে এ আয়োজনের উদ্বোধক নির্বাচন করা হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বিজয় উৎসব ২০১৪ উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকমর্তা প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের একটি দল। সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন তারা। অনুষ্ঠান থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সংগঠন হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধের জোর দাবি জানানো হয়। উৎসবের এবারের শ্লোগান তাই ‘যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে ধার্য/গণহত্যাকারী সংগঠনের বিচার অনিবার্য।’ আয়োজনের শুরুতে বাহান্ন ও একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পর এক মিনিটের নীরবতা। সরব হতেই আবেগঘন কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি...। দলীয় সঙ্গীতে অংশ নিয়ে শিল্পীরা সুরে সুরে জানিয়ে দেন কারা মোর ঘর ভেঙেছে স্মরণ আছে...। এ পর্যায়ে ঘোষণা পাঠ। দীর্ঘ তমসার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত জাতি আবার উর্ধ্বে তুলে ধরছে স্বাধীনতার গৌরবদীপ্ত পতাকা। এর পরও স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মান্ধ মৌলবাদী অপশক্তি প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে ব্যাপকতম জাতীয় ঐক্য নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.