নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার চার মূলনীতিতে ফিরে যাবে বাংলাদেশ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

দ্বি-জাতি তত্বের বেড়াজাল ছিন্ন করে ১৬ ডিসেম্বর জন্ম হয়ে ছিল একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ছিল নিন্মরুপঃ

১। গনতন্ত্র
২। সমাজ তন্ত্র
৩। ধর্ম নিরপেক্ষতা
৪। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ।

১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান সংসদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। এক বছরের মধ্যে জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দেওয়া ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের বড় সফলতা। ১৯৪৭ সালে পাকিস্থানের স্বাধীনতার ২৪ বছরে জাতিকে একটি সংবিধান দিতে পারে নাই। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই সংবিধান প্রনয়ন ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা। দেশ যখন সাম্যবাদী ধারায় প্রবাহিত হতেছিল সেই সময় দেশি বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি দেশকে উল্টা পথে পরিচালনার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করে। ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়া শুরু করেন দেশকে পাকিধারায় নিয়ে যাওয়ার সকল ষড়যন্ত্র এর প্রথম ধাপ হিসাবে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধ অপরাধীদের মুক্ত করে দেন। এরপর সামরিক ফরমান বলে সংবিধান স্তগিত করেন এবং সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল করে সংবিধানের মূল চরিত্র বিকৃত করেন। প্রথমে বিসমিল্লা সংযুক্ত করেন, এরপর সমাজতন্ত্র বাতিল করে রাষ্ট্রের সম্পতি লুটপাটের সুযোগ করেদেন । সমাজতন্ত্রের অপব্যাখা করেন জেনারেল জিয়া। সমাজতন্ত্র বলতে ন্যায় বিচার এই ধরেনের অপব্যাখা শুনে কালমার্কস বেচে থাকলে লজ্জ্যা পেতেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে চার মূলনীতি ফিরিয়ে আনেন কিন্ত এখনো সংবিধানে বিসমিল্লা এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রয়ে গেছে। রাষ্ট্র জড় পদার্থ তাই তার কোন ধর্ম থাকতে পারে না। এতে রাষ্ট্রের অন্য ধর্মের নাগরিকরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিনত হয়। দেশে শোষণ মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে চার মুলনিতীতে দেশ ফিরে যাবে এর কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশর কম্যুনিস্ট পার্টি, বাসদ, জাসদ এই লক্ষে আন্দোলন করছে। মহাজোটের এই শরিক দলগুলো দেশে সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। বর্তমান সরকার সোনার বাংলা গড়বে সাম্যবাদী সমাজের আদলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.