![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম এর কথা বলে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে উস্কে দিয়ে ধর্মব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধার্মিক নয়। এরা ধর্ম এর মুখোশে মানুষকে বিপথগামী করে। ২০১৩ সালে অবৈধপথে ক্ষমতা দখলের জন্য এরা মানুষের উপর পেট্রলবোমা মেরেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। ‘ইসলাম গেল, ইসলাম গেল’ বলে এরা দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে নাস্তিক অ্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিলের পায়তারা চালিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, সেই ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে মানুষকে বিপথগামী করে ধর্মব্যবসায়ী বিএনপি-জামাত-হেফাজতরা। এরা মুখে ইসলামের কথা বলে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে আগুন ধরিয়ে দেয়; বায়তুল মোকারমের সামনে পবিত্র কোরাণ শরীফের দোকানে আগুন দিয়ে পবিত্র কোরাণ শরীফ পোড়ায়। আর এদের এসব অপকর্ম এর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে তারা নাস্তিক অ্যাখ্যা দেয়। এরা কি ইসলামের হেফাজতকারী? এইসব ভণ্ডদের কবল থেকে ইসলামকে হেফাজত করতে এসব ভাবতে হবে। রাজনীতি আর ধর্ম এক বিষয় নয়। লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মানুষকে নাস্তিক অ্যাখ্যা নিয়ে এরা নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্র আর সাধারণ মানুষকে শাপলা চত্বরে জড়ো করেছিল। মুখে তাদের ইসলামের কথা থাকলেও ভিতরে ভিতরে তারা সরকার উৎখাতের চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। এ রকম চক্রান্তে লিপ্ত থাকা কি ইসলাম? শাপলা চত্বরের জমায়েত শেষ হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যার আগে। কিন্তু বিএনপি-জামাতের সাথে চক্রান্তের সাথে জড়িত হেফাজত নেতারা সন্ধ্যার পরও শাপলা চত্বরের জমায়েত অব্যাহত রাখে। কেন সেটা করেছিল, এতোদিনে তা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। রাতে যখন এই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করা হলো, তখন বিএনপি জামায়াতের মুখে অপপ্রচার শুরু হলো, হাজার হাজার মুসল্লীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বিএনপি-জামায়াত কিংবা হেফাজত হাজার হাজার দুরে থাক, নিহতের কোন তালিকাই দিতে পারেনি। নিহত ৬১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল বিএনপি-জামাতের আনুকুল্যপ্রাপ্ত অধিকার নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই তালিকার ৬১ জনের ঠিকানায় সংবাদকর্মীরা গিয়ে তালিকাভুক্ত নিহত ব্যক্তিদের কোন অস্তিত্ব খুজে পায়নি। আবার দু’একজনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেলেও তারা জীবিত ছিল, কিন্তু অধিকারের তালিকায় নিহত দেখানো হয়েছে। এমন মিথ্যা প্রচার, বিভ্রান্তি সৃষ্টি কি ইসলামী সম্মত? অনেক অপপ্রচার হয়েছে। যারা মুখে ইসলামের কথা বেশি বলেছে, তারাই এসব অপপ্রচার, অপকর্ম এর সাথে জড়িত ছিল। এদের চিনে রাখতে হবে। এরা মুখোশধারী। এদের কথায় কান দিয়ে বিপথগামী হওয়া যাবে না। মিথ্যা চিরকালই মিথ্যা, মিথ্যা দিয়ে সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। সম্প্রতি চট্টগ্রামে জীবিত উ্দ্ধার হলো মৃত এক হেফাজতকর্মী। সত্য বেরিয়ে আসছে। মিথ্যাবাদীদের আতংক বাড়ছে। অতি শিঘগ্রই তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.