![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমতল ভূমি থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন চরের মানুষ এমনিতেই অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে, তাদের দুয়ারেই এখন পৌঁছে যাচ্ছে সব কিছু। অসঙ্গতিগুলোকে দূর করার পদক্ষেপ নিয়ে চর লাইভলিহুড প্রোগ্রামের (সিএলপি) দ্বিতীয়পর্যায়ে সিস্টেম বিল্ড-আপ করার কাজ চলছে। আধুনিকায়ন করা হচ্ছে চরের যানবাহনগুলোকেও। একই সঙ্গে সরকারও নিজস্ব অর্থায়নে চরের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদিত পণ্য বিপণনের সুবিধা না পেয়ে যে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছিল, তাদের মুখে এখন হাসি ফুটেছে। গরিবকে সম্পদ দেয়ার পর দারিদ্র্য মোচনে তার পরিপূর্ণ ব্যবহারে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের চরাঞ্চলে। যেখানে মোট জনসংখ্যার ৫ ভাগ মানুষের বাস। সিএলপির দ্বিতীয় পর্যায়ে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, পাবনা ও টাঙ্গাইলের ২৪টি চরের মানুষ তাদের জীবনমান পাল্টে ফেলতে শুরু করেছে। এ কাজে সহযোগিতা দিচ্ছে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ)। ইতিপূর্বে চরের গরিব কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে চরের উৎপাদিত সব ফসল ফলানোর ব্যবস্থা হয়েছে। গৃহস্থালি কাজের সঙ্গে গরু, বাছুর হাঁস, মুরগি পালনের জন্য সহযোগিতা দেয়া হয়। জীবনমান উন্নয়নে তারা যখন এগিয়েছে তখন উৎপাদিত পণ্যের বিপণনে এগিয়ে এসেছে আরডিএ। চরের মানুষের জীবিকায়নের সবচেয়ে বড় ধাপ হলো পণ্যের বিপণন। চরের বাজারে ভোক্তারা যাতে নাগালের মধ্যে সব পায় এবং বিপণনে লাভ পায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। দেশের কোন এলাকার লোকজন যেন আর অবহেলিত না থাকে সেদিকেই নজর রাখছে সরকার।
©somewhere in net ltd.