![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইতো ক’দিন আগেও বাজার থেকে চড়া দামে ডিজেল কিনে জমিতে পানি সেচ দিতে হতো কৃষকদের। তার পর আসে বৈদ্যুতিক পাম্প। তাতেও ঝামেলার অন্ত নেই। বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর লোভোল্টেজে নানা বিরম্বনায় পড়তে হতো তাদের। কন্তু সময়ের ব্যবধানে সব কিছু ছাড়িয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছে সোলার প্ল্যান্ট। যেখানে নেই কোনো বিদ্যুত বিভ্রাটের শঙ্কা আর চড়া বিল পরিশোধ। সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেচকাজ চালাতে পেরে এখন কৃষকের জীবনে এসেছে ছন্দ। শুধু তাই নয়, বিঘাপ্রতি সেচ খরচ কমে এসেছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। বিদ্যুৎ চালিত পাম্পে যেখানে বিঘাপ্রতি সেচ খবর লাগতো ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। সেখানে সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পে খবর লাগছে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। ফলে তারা এখন বেজায় খুশি। কৃষকদের সেচ কাজের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রহিম আফরোজ ফাউন্ডেশন ও আরডিএফ সোলার ইরিগ্রেশন পাম্পিং সিস্টেমের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে সৌরবিদ্যুত চালিত ডিপ সেচ পাম্প পদ্ধতি। এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রায় নিত্য দিনের। লো-ভোল্টেজ এর কারণে মোটর চালানো যেতো না। তারপর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে নষ্ট হয়ে যেতো পাম্প। এখন সৌরবিদ্যুৎ পাম্পের ফলে প্রয়োজন মতো জমিতে সেচ দেয়া যায়। সেচের মূল্যও বেশি না। আর সময় মতো সেচ দেয়ার সুব্যবস্থা থাকায় যে জমিতে বছরে একবার ফসল চাষ হতো সে জমিতে বছরে তিনবার ফসল চাষ করা যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বিঘা প্রতি সেচ খরচ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা কমে এসেছে অন্যদিকে সময়মত পর্যাপ্ত পানি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে। ‘সেচ পাম্প চালাতে হলে প্রয়োজন নেই তেল কিংবা বিদ্যুতের। প্রয়োজন নেই এনার্জি রিজার্ভার হিসেবে ব্যাটারি। শুধু প্রয়োজন সূর্যের আলো। সৌরশক্তিকে সরাসরি ব্যবহার করে কৃষক তার জমির সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবে।’ ‘বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। সরকার দেশের কৃষি খাতকে আরো উন্নত এবং কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এ ধরনের নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর এ সৌর বিদ্যুৎ সেচ পাম্পের ফলে কৃষকরা প্রয়োজন মতো সেচ সুবিধা পাচ্ছে। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের ওপরও চাপ কমছে।’
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ