![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটি শিশুকে শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত করে গড়ে তুলতে পারলে সমৃদ্ধি পথে চলার গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ হবেই। তবে এর দায় কেবল পরিবারের ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। আমাদের দেশ কেবল স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। জাতিসংঘ নির্ধারিত মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের লক্ষ্যগুলো অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বসমাজে প্রশংসিত হয়েছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ছিল মোট লোকসংখ্যার প্রায় ৫৭ শতাংশ। চারদিকে কেবল নিরন্ন ও ভগ্নস্বাস্থ্যের নারী-পুরুষ-শিশুর ভিড়। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ ব্যক্তিরা সত্তরের দশকের শুরুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সময়ে বলেছিল, দেশটির ভাগ্যে উন্নতি লেখা নেই। যখন স্বাধীনতা অর্জনের পরের দুই দশকেও এত বিপুলসংখ্যক লোক দিনে এমনকি একবেলাও ভালো করে খেতে পাচ্ছিল না, তখন ওইসব পণ্ডিত নিশ্চয়ই তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সফল হতে দেখে সন্তুষ্টিবোধ করছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ দ্রুতই তাদের ভুল প্রমাণ করতে সক্ষম হয়। ২০১২ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী নেমে আসে মোট জনসংখ্যার ২৯ শতাংশে এবং এখন তা আরও কমেছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত চেষ্টায়। দারিদ্র্য হ্রাস পেলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক খাতের সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে, এটাই স্বাভাবিক। বলা যায়, দারিদ্র্য হ্রাস এবং শ্রেণী-পেশা-উপার্জন নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষার দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়ে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে। নতুন প্রজন্মের জন্য প্রযুক্তি জগতে প্রবেশও সহজ হয়ে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের স্লোগান দেওয়ার পর সাত বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। ইন্টারনেট সেবা এখন দরিদ্র পরিবারগুলোর সন্তানদেরও নাগালে। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা সর্বজনীন করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকার ইন্টারনেট আরও সহজলভ্য করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন এ সেবা বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান তার সুফল সবার কাছে, বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নিশ্চিত করবে, এটাই প্রত্যাশা। শিক্ষা ও প্রযুক্তি জ্ঞান আয়ত্ত করার ক্ষেত্রে দারিদ্র্য যেন কোনোভাবেই প্রতিবন্ধক না হয়।
©somewhere in net ltd.