![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে রেলওয়ের বেশকিছু কোচ পুরনো হয়ে গেছে। গত ছয় বছরে রেলওয়ের বহরে নতুন কোচও যুক্ত হয়নি। এতে যাত্রীসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে সংস্থাটির মিটারগেজের ৪২ ও ব্রডগেজের ২১ শতাংশ কোচ বিকল পড়ে আছে। এর বড় অংশেরই অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। ফলে মেরামত করেও কোচগুলো চালু করা যাচ্ছে না। আর আগামী বছর নতুন ২৭০টি কোচ রেলের বহরে যুক্ত হলেও চাহিদার তুলনায় তা নগণ্য। তাই নিজস্ব ওয়ার্কশপ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে কোচ তৈরির উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনাকে সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুরে নতুন একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণের মাধ্যমে যাত্রীবাহী কোচ তৈরি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে বছরে ৪০টি মিটার গেজ ও ২০টি ব্রড গেজ নতুন কোচ তৈরি করা সম্ভব হবে। উদ্যোগটি গ্রহণে ভারতের রাষ্ট্রীয় ঋণে (দ্বিতীয় এলওসি) এ প্রকল্পের আওতায় নেয়া হচ্ছে। নতুন ওয়ার্কশপ নির্মাণ প্রকল্পটির বিষয়ে সৈয়দপুরে সমীক্ষা চালিয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে ভারত। এ জন্য প্রকল্প তৈরি করে ভারতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৮৭০ সালে সৈয়দপুরে রেলওয়ে কারখানাটি অসম বেঙ্গল রেলওয়ে কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। শুরুতে এ কারখানার ২৬টি শপে বিহার রাজ্যের শ্রমিকরা কাজ করত। এই কারখানায় এক সময় নতুন কোচ তৈরি করা হতো। বর্তমানে এখানে যাত্রীবাহী কোচ মেরামত বা সংস্কার ও রং করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এটি দেশের সর্ববৃহৎ রেল কারখানা। সৈয়দপুর রেল কারখানার গোটা সীমানায় বর্তমানে ১১২ একর জমি পতিত পড়ে রয়েছে। এ জমির ব্যবহার ও রেলওয়ের রোলিং স্টকের সরবরাহ সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ওয়ার্কশপ তৈরি করা হবে। সেখানেই নতুন একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হবে।
©somewhere in net ltd.