নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাসমান ফসল চাষ\'

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

'
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতিসংঘের সেরা অভিযোজন প্রকল্পের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে 'ভাসমান ধাপে ফসল চাষ' পদ্ধতি। কচুরিপানা, লতাপাতা, দুলালীলতা, শ্যাওলা, টেপাপানা, গুঁড়িপানা ইত্যাদি জলজ উদ্ভিদের সঙ্গে খড়কুটা ও নারিকেলের ছোবড়াগুঁড়া স্তরে স্তরে সাজিয়ে পানির ওপর ভাসমান ধাপ তৈরি করে তাতে সারা বছর ফসল উৎপাদন করে বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলার কৃষক। এতে জলাবদ্ধতায় বছরের বেশির ভাগ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার একর ফসলি জমি পানিতে জলমগ্নতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে শুরু করেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বছরের পাঁচ থেকে আট মাস হাত গুটিয়ে বসে না থেকে কৃষকরা নিজেরাই ফসল উৎপাদনের এ উপায় বের করেছেন। অনেক আগে থেকেই স্বল্প পরিসরে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ হলেও এখন এর ব্যবহার বেড়েছে। কৃষকরা ভাসমান ধাপে বাণিজ্যিকভাবে লাউ, শিম, বেগুন, ফুলকপি, ওলকপি, বরবটি, করলা, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, ধনেপাতা, ডাঁটা, টমেটো, আদা, হলুদ পেঁপে ও মরিচের চারা বিক্রি করে ধান চাষের চেয়েও বেশি মুনাফা পাচ্ছেন। শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনেও নজির স্থাপন করেছে এ পদ্ধতি। আর বর্ষায় যখন অতিবৃষ্টিতে ক্ষেতের শাকসবজি নষ্ট হয়ে যায়, তখন ভাসমান ধাপে বাম্পার সবজি উৎপাদন হয়। ভাসমান সবজি চাষ নতুন প্রযুক্তির নতুন সংযোজন। সারা বছরই ভাসমান সবজি চাষ করা সহজ। কৃষকদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী আরও অনেক কৃষককে ভাসমান সবজি চাষের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের ভাসমান সবজি চাষ দেখে পুরো বিশ্ব বিস্ময়কর মনে করছে। এদেশের কৃষকরা পিছিয়ে নেই। নদী-খালে-পুকুরে কচুরিপানার ওপর সবজির বাগান সত্যি বিস্ময়কর। বাস্তবে না দেখলে তা বিশ্বাস করা কঠিন। বাংলার কৃষকরা জয় করবেই। কৃষকদের নিজস্ব এ উদ্ভাবনী 'ভাসমান কচুরিপানার ধাপ' পদ্ধতি বিশ্বে নতুন রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.