![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বিশ্ব আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি সপ্তাহ ২০১৬ (ফেব্রুয়ারি ১ থেকে ফেব্রুয়ারি ৭) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শুধু আন্তর্জাতিক রাজনীতির জন্যই নয়, জাতীয় জীবনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর সকল ধর্মই বলে শান্তির কথা, বলে মানবতার কথা। কিন্তু এই ধর্মকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ব্যবসা, এই ধর্মের নামেই হত্যা করা হচ্ছে হাজারো মানুষ। জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবার নিচে সারাবিশ্বের মানুষ। হোক পশ্চিমা দেশ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ, কোনো দেশই আজ ঝুঁকিমুক্ত নয়। কিন্তু কেন এই অবস্থায় আমরা আজ এসে উপনীত হলাম? এর জন্য কে দায়ী? আজ সারা বিশ্বেই ধর্মকে অনেকেই দায়ী করে থাকেন কিন্তু তারা ধর্মের শিক্ষা সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না বলেই এ অবস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যার মূলে রয়েছে ধর্ম। যেমনঃ ইরান ইরাকের সম্পর্ক যতটা না রাজনৈতিক, তারচে’ বেশি আদর্শিক। আর এ আদর্শ হচ্ছে শিয়া-সুন্নি ভিত্তিক কাঠামো। আজ সারাবিশ্বের সামগ্রিক সামপ্রদায়িকতার পেছনে অনেক কারণ কাজ করছে। রাজনৈতিক কারণ, অর্থনৈতিক কারণ এমনকি ধর্মীয় কারণ। আজ বিশ্বমানবতা হুমকির মুখে। একে অপরের সাথে সম্পর্ক দ্বান্দ্বিক, বন্ধুত্বপূর্ণ নয় অনেক ক্ষেত্রেই। বাংলাদেশকে অনেকেই বলে থাকেন আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। হাজার বছর ধরেই হিন্দু-মুসলিমরা একসাথে বসবাস করে আসছে। তারা একসাথে ’৭১-এ যুদ্ধ করেছে। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে পরিস্থিতি হঠাৎ করে পরিবর্তিত হতে শুরু করে। খুব বড় আকারে না হলেও সামপ্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলেছে। মানুষের মাঝে সমপ্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে জাতীয় আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি দিবস পালন করে আসছে। পরবর্তিতে এর গুরুত্ব সারা বিশ্বব্যাপী বেড়ে যায় যখন ২০১১ সাল থেকে জাতিসংঘ সারাবিশ্বে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহকে বিশ্ব আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি সপ্তাহ হিসেবে পালন করে আসছে। এমন ঘটা করে কেন এমন সপ্তাহ পালন? আমাদের মাঝে কী সম্প্রীতি নেই? সম্প্রীতি আছে ঠিক, আবার আমরাই সামপ্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করি। অনেক সময় ধর্মের নামে, কখনো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। জাতিসংঘের এ সপ্তাহ আয়োজনের প্রতিপাদ্য হলো মানবজাতি অভিন্ন। আজ আমাদের সারা বিশ্বের মানুষকে একটি মূল কথায় একমত হতে হবে। তা হলো আমরা মানব জাতি অভিন্ন, ধর্ম বিভিন্ন। মানুষের প্রয়োজনে ধর্ম এসেছে, ধর্মের প্রয়োজনে মানুষ নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
রাজ বিদ বলেছেন: অনেক সময় ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য,কখনো স্বার্থ হাসিলের জন্য,আর কখনো এর পেছনে দেখা যায় রাজনীতির কালো থাবা। ভারতে আমরা এমনটা হতে দেখেছি।বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পেছনে প্রচ্ছন্ন ছিল রাজনীতির উস্কানি।