![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতির পিতার সাড়ে তিন বছরের শাসনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেখ হাসিনার পরিচালিত সরকারের সময়ে দেশে নারী জাগরণে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। বর্তমানে সংসদের চারটি শীর্ষ পদেই নারী রয়েছেন এবং সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেলের খ্যাতি এনে দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ, স্কুল-কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিমান বাহিনীর পাইলট থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, তথ্য-প্রযুক্তি, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, ক্রীড়াজগৎ কিংবা এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণসহ সব চ্যালেঞ্জিং কাজে দেশের নারীদের পেশাদারিত্ব প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে। আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউনিয়ন পর্যায়ে সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর এবং পরবর্তীকালে উপজেলা পর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করেছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়েও এখন ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যাই বেশি এবং নারী শিক্ষকের সংখ্যাও বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার, জাতীয় সংসদ নেতা, উপনেতা ও বিরোধীদলীয় নেতাও একজন নারী এবং সংসদের মূল চারটি পদেই নারী নেতৃত্ব বিদ্যমান। বর্তমান সরকারের নারী নীতিমালা প্রণয়ন, নারী উন্নয়ন, নারীর কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণ, দরিদ্র, অবহেলিত নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসা এবং সর্বোপরি তৃণমূলের প্রান্তিক জণপদ থেকে শুরু করে সব নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ‘রোল মডেল’-এর খ্যাতি এনে দিতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ স্ববেতনে চার থেকে ছয় মাস এবং জাতীয় সংসদ সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের আসন সংখ্যা বাড়ানো এবং নারী উদ্যোক্তাদের ৫ থেকে ৬ শতাংশ কম সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের মাতৃভূমি বিশ্ব ফোরামে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং নারীর অগ্রগতিতে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন যা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।
©somewhere in net ltd.