![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুটির শিল্পকে এখনও যত অবমূল্যায়নই করা হোক না কেন- এই শিল্পটিই আমাদের প্রাচীন বণিক সমাজের শৈল্পিক সূতিকাগার বলা হলেও ভুল হবে না। বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত ও অশিক্ষিত নারীদের একটি বিরাট অংশ দেশজ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে কুটির শিল্পে তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও অবদান অনস্বীকার্য। বহুকাল থেকে আমাদের কারুশিল্পীদের উৎপাদিত কুটির ও হস্তশিল্পজাত পণ্যসামগ্রী দেশীয় বাজারসহ পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত হয়ে আসছে। ১৯৬১ সালে দেশে কুটির ও হস্তশিল্পের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৫ হাজার, ১৯৯১ সালে ৪ লাখ ৫ হাজার, ২০০৫-সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার। আর বর্তমানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশে কুটির শিল্পের সংখ্যা ৮ লাখ ৩০ হাজারের অধিক। এ শিল্পকে ঘিরে কর্মসংস্থান হয়েছে ২৯ লাখেরও বেশি মানুষের। আবার দেশজ উৎপাদনে কুটির শিল্পের অবদান প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। দেশের শিল্প খাতে অগ্রগতির পথে কুটির শিল্পের এই অবস্থান নিঃসন্দেহে শুভ লক্ষণ। আমাদের দেশের তৈরি হস্তশিল্প নজর কেড়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইতালি, নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশের। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেছে বাংলার কাদামাটির খাঁটি সোনার বাংলার টাইলস। পোড়ামাটির সোনায় হতাশা কেটে গেছে মৃৎশিল্পীদের। আধুনিক শিল্পের একটি নতুন প্রয়াস। শিল্প খাতে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্যই দেশের কুটির ও হস্তশিল্পের প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশের হস্ত ও কুটির শিল্পজাত পণ্যের প্রধান বাজার হচ্ছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, স্পেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে। এই শিল্প বাজারের পরিব্যাপ্তি বিকাশের গতিধারা সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। স্বল্পপুঁজিতে অধিক কর্মসংস্থান, আয় ও উৎপাদন বাণিজ্যে আরো অনেক বেশি অবদান রাখতে পারে। একটি বৃহৎ পরিকল্পনায় অগ্রসর হলে এই কুটির শিল্প দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে রেনেসাঁ ঘটাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
নকীব কম্পিউটার বলেছেন: খুব সুন্দর।