![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বের অপরূপ সৌন্দর্যের অন্যতম প্রাকৃতিক লীলাভূমি বাংলাদেশ। এদেশ জুড়ে আছে পাহাড়, সাগর, সমটতের অনিন্দ্য সমাহার, অনাবিল সৌন্দর্য্য। আছে ছোট বড় অসংখ্য নয়নাভিরাম নদ-নদী, জলাধার, উপত্যক্যা। এসবের সমাহারে পল্লবিত হয়েছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সবুজের অপার সম্ভাবনা, সমারোহ। কেবল নদ-নদীর দিক থেকে নয়, জলহাওয়ার দিক থেকেও এদেশ ছয়টি ঋতু বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এদের রস আস্বাদনে মহিমান্বিত হয়েছে এখানকার দেশজ শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি। এদেশে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য কবি, নিসর্গপূজারী শিল্পী। ঋতুবৈচিত্র্য, নদী আর নিসর্গের বৈচিত্র্যে ভরা এদেশের সংস্কৃতিও একই রকমের বৈচিত্র্যময় কারণ এভূমি বহু জাতিগোষ্ঠীর আদি আবাস। তাদের ভাষা আর সংস্কৃতির রয়েছে নিজস্ব মাত্রা। পৃথিবীর ক’টা দেশে আছে এমন বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য্য? সেসবের নির্যাস দিয়েই বিকশিত হতে পারে আধুনিক বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, বিকাশ, সমৃদ্ধি যেখানে মূল অংশীদার হতে পারে দেশের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর মানুষ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে পর্যটন শিল্পের প্রসার বা উন্নয়নের কাজ সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশেও পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এবং ২০১৬ সালকে পর্যটন সাল হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ২০১৬ সাল হবে ‘ভিজিট বাংলাদেশ ইয়ার’। বিশ্বে বাংলাদেশকে পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হিসাবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। এজন্য পর্যটন এলাকাগুলোতে অবকাঠামোসহ নানা উন্নয়নের কাজ দৃশ্যমান। ভারত, ভুটান, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের মোটর ভেহিকল এগ্রিমেন্ট চুক্তি হওয়ার ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে। পর্যটকদের আসা যাওয়া বাড়বে। পর্যটন শিল্পে আসবে এক আমুল পরিবর্তন। আমাদের সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে পর্যটক সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের অংশ হিসেবে কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। পর্যটন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বের দেশে দেশে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ সম্প্রীতি সৃষ্টিতে রাখবে সহায়ক ভুমিকা।
©somewhere in net ltd.