নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দর্পণ

দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি ও নারী এবং অত্ঃপর যাহা হয় তাহা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২


কবি: ফোন ধরতে এত দেরী কেনো! কি করছিলেন নন্দিনী?
নারী: কাঁদছিলাম
কবি: কে বকেছে?
নারী: কেউ না। কাঁদছিলাম শেষের কবিতা পড়ে ।
কবি: গুড। কাঁদলে মন হালকা হয়। দুঃখেরা সব কান্নার উতল স্রোতে ভেসে যায়..
নারী: ছোটবেলা থেকেই আমার এই স্বভাব জানেন? ছোট্টবেলায় রুপকথার গল্প পড়ে কাঁদতাম। বন্দিনী রাজকন্যার জন্য, আহা ঐ যে সেই রাজকন্যাকে বন্দী করে রেখেছিলো ডাইনী বুড়িটা উঁচু টাওয়ারের উপরে। একা একা কিভাবে বাস করতো সে। নিসঙ্গ একাকী। ভাবতেই আজও কষ্টে বুক ভেঙ্গে যায় আমার। অবশেষে অবশ্য সেই বন্দিনী রাজকন্যার প্রেমে পড়েছিলো এক বীর রাজকুমার। তাকে উদ্ধারও করেছিলো সে।
কবি: নন্দিনীও প্রেমে পড়বে।
নারী: মোটেও না। আমি প্রেমে পড়িনা।
কবি: নন্দিনী প্রেমে পড়বে কারণ তার মন নিসঙ্গ.....
নারী: নিসঙ্গ! কি বলেন এইসব! কি নেই আমার? আমার সব আছে। বাড়ি, গাড়ি, রাজপ্রাসাদ, রাজপ্রাসাদের দাস দাসী। কি নেই বলেন তো? আমি কেনো নিসঙ্গ হবো?
কবি: তবুও তারপরেও নন্দিনী নিসঙ্গ......
নারী: আরে সে সব ছিলো গল্প । আর তাই তো .....
কবি: প্রতিটা জীবনই এক একটা গল্প নন্দিনী। কখনও দুখের, কখনও সুখের........
নারী: বলেছে আপনাকে....
কবি: হ্যাঁ বলেছে আমাকে......
নারী:যাইহোক সবচেয়ে কেঁদেছিলাম কোন বইটা পড়ে ছেলেবেলায় শুনবেন?
কবি: ওকে শোনান
নারী: মালাকাইটের ঝাঁপি। একটা রুশ গল্পের অনুবাদ। তামা পাহাড়ের ঠাকুরন মানে এক দেবী কন্যা ছিলো, যার পোষাক থেকে চোখের তারা পর্যন্ত সবকিছুই ছিলো জ্বলজ্বলে সবুজ। সেই মেয়ের দুঃখে অনেক কেঁদেছিলাম আমি। মর্ত্যের এক খুব সাধারণ মানুষের প্রেমে পড়েছিলো সে। সে গল্প পড়ে আমার সে কি কান্না!
কবি: আপনার কান্না একদিন দেখতে চাই নন্দিনী।
নারী: আহা ! শখ কত? আমার কান্না আপনাকে দেখাতে হবে তাইনা?
কবি: হুম আমি দেখতে চাই। আমি শুনতে চাই একদিন আপনার কান্নার শব্দ।কাঁদলে কাউকে কাউকে বড় সুন্দর লাগে।
নারী:জীবনেও সেটা শোনাও হবেনা, দেখাও হবে না আপনার কবিসাহেব। আমি কখনও কারো সামনে কাঁদিনা। মরে গেলেও না। কান্না মানেই হার স্বীকার করে নেওয়া। এমনই মনে হয় আমার। আমি হেরে যাবো! কখনো না......
কবি: হেরে যাবেন কেনো? শুধু কাঁদবেন। আমার সামনে কাঁদবেন। আমি দেখবো।
নারী: কখখনো না।আমি হেরে গেলে হারবো তাতে আমার দুঃখ নেই কিন্তু মানুষ জানবে কেনো? মানুষ দেখবে কেনো? ......
কবি: না নন্দিনী । মানুষ জানবেনা না। কেউ দেখবেও না। শুধু আমি জানবো।
নারী: আহা আপনি কি মানুষ নন? আপনি বুঝি অমানুষ ? হা হা হা যাইহোক এই ক'দিন কি কি করলেন?
কবি: হুম!
কবি: হুম!
নারী: হুম হুম কি? খেয়েছেন?
কবি: হুম। এখন ধোয়া খাচ্ছি।
নারী: আপনি সিগারও খান! আমি ভেবেছিলাম .....
কবি: হুম খাই। কেনো কি ভেবেছিলেন?
নারী: আমি ভেবেছিলাম আপনি শুধু গাঁজাই খান । গাঁজা ছাড়া কিছুই খান না। হা হা হা হা
কবি: হা হা হা নাহ গাজা খাওয়া হয়না এখন। আপনার না আমার অফিসে আসার কথা ছিলো? আসবেন কবে?
নারী: জীবনেও না।
কবি: আসবেন না?
নারী: জানিনা। অফিসে কি ? আপনার অফিসে যাবো কেনো? আপনার কাজ করে দিতে? আহারে নিজের কাজ নিজেই করেন।
কবি: তাহলে কি দেখা হবেনা।
নারী: জানিনা হতেও পারে, নয়তো না।
কবি: কবে আসবেন?
নারী: ফাল্গুন আসুক তখন ভেবে দেখবো।
কবি: না ফাল্গুন না।
নারী: কেনো? ফাল্গুন আমার প্রিয় মাস। ফাল্গুনের উতল হাওয়া আমার খুব খুব প্রিয়।
কবি: নন্দিনী ফাল্গুন নয় । চলে আসুন এই মাঘের শীতেই।
নারী: কেনো শুনি? ফাল্গুন নয় কেনো? কেনো শীতের সময়ই আসতে হবে? শীত আমার অপছন্দের ঋতু। আসবোনা আমি এই পঁচা ঘচা পৌষ কিংবা মাঘে।
কবি: ফাল্গুনের আগেই আপনাকে আর একবার দেখতে চাই নন্দিনী। ফাল্গুন বড় সর্বনাশা মাস।
নারী: কেনো?
কবি: আপনি প্রেমে পড়ে যাবেন।
নারী: ইশরে। আপনি কি জ্যোতিষী? প্রেমে পড়বো না? কার প্রেমে পড়বো?আপনার? বলেছিনা আমি প্রেমে পড়িনা।
কবি: আপনি প্রেমে পড়বেন নন্দিনী। তাই শীতই ভালো। শীতে মানুষের মনদূয়ার বন্ধ থাকে। কিন্তু ফাল্গুন আসলেই মনদূয়ার খুলে যাবে। উড়ে যাবেন ফাল্গুনী হাওয়ায়। উড়বে আপনার দীঘল কালো কেশ, উড়বে শাড়ীর আঁচল, সেই সাথে উড়বে আপনার আগল খোলা হৃদয়.........
কবি: নন্দিনী......
নারী: হুম ....জানেন অনেক আগে একজন আমাকে নন্দিনী বলে ডেকেছিলো।
কবি: তারপর?
নারী: তার জন্যই আমার কবিতা লেখার শুরু।
কবি: তারপর কি হলো?
নারী: আমি কবিতা লিখলাম।
কবি: তারপর?
নারী: রাত জেগে জেগে লিখলাম দীর্ঘ সব চিঠি।
কবি: তারপর
নারী: তারপর আমি একদিন আমি পালিয়ে গেলাম। হা হা হা
কবি: গুড।
নারী:কেনো পালালাম জানতে চাইলেন না?
কবি: না
কবি: চুপ করে কি ভাবছেন নন্দিনী?
নারী: নাচছি।
কবি: কিভাবে?
নারী: মনে মনে
কবি: মনে মনে?
নারী: হ্যাঁ। মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে তা তা থই থই তা তা থই থই........
কবি: একা একা?
নারী: হুম একাই।
কবি: একা একা নাচতে নেই নন্দিনী।
নারী: কে বলেছে ? একা একাও নাচা যায়।
কবি: আপনার না আসার কথা ছিলো?
নারী: কোথায়?
কবি:আমার অফিসে
নারী: ধ্যাৎ! অফিস ভাল্লাগেনা।
কবি: তাহলে কোথায় ভালো লাগে?
নারী: স্বর্গে।
কবি: যমুনা হাত ধরো। স্বর্গে যাবো.....
নারী: যমুনা! সে আবার কে? যমুনা কি আপনার স্বর্গের দেবী নাকি!
কবি: এটা কবিতা। সূনীলের লেখা।
নারী: সূনীলের গদ্যই ভালো। সূনীলের কবিতা আমার ভালো লাগেনা।


কবি: আমার জ্বর আসি আসি করছে।
নারী: আপনার কি প্রায়ই ঠান্ডা লাগে ? সাইনাস আছে আপনার?
কবি: হুম
নারী:আপনি একটু আল্লাদী টাইপ। আপনি কি বাড়ির বড় ছেলে? নাকি সবার ছোট।
কবি: আমি মেজো।
নারী: তাহলে এত আল্লাদী কেনো হলেন? আপনি বেশ জেদী আর অভিমানীও, তবে চাপা আর মানুষের কাছে এক্সপেকটেশন নেই আপনার । যাদের থাকে তারাই বেশি কষ্ট পায়।
কবি: তাই?
নারী: হুম। আপনি অনেক কথা বলতে পারেন আর আপনার কথাগুলো একেবারেই কবিতার বই থেকে উঠে আসা শুভংকরের মত আর তাই এত ভালো লাগে আপনাকে।
কবি: মাথা ব্যাথা হচ্ছে।
নারী: ওষুধ খান শিঘ্রী।
কবি: নাহ । আমি ঔষধ খাইনা।
নারী: তার মানে আপনি অসুখ এনজয় করেন তাইনা?
কবি: হুম। জ্বর মাঝে মাঝে আমাকে ঘোরের মাঝে নিয়ে যায় এ্যান্ড আই এনজয় ইট।
নারী: ওষুধ খান শুভংকর। মা বকা দেবে।
কবি: আমাকে কেউ এখন আর বকা দেয়না নন্দিনী।
নারী: আমি বকা দেবো। শিঘ্রী যান । অষুধ খান এখুনি যান
কবি:জান! জান! খুব ক্লান্ত লাগছে। জ্বর আসছে। ঘোরের গ্রাসে ঢুকে যাচ্ছি।
নারী: বাসায় থার্মোমিটার আছে?জ্বর মেপে দেখেন। তারপর নাপা খান ।
কবি: আমি চাই জ্বরটা আসুক।
নারী: ঢং ছাড়ুন। ওষুধ খান একখুনি।
কবি: কাল সকালে কাজ আছে। ম্যাগাজিনের কভার ফোটো স্যুট।
নারী: হয়েছে। সবকটাকে তাড়িয়ে দেবেন।নাকি মেয়ে মডেলদেরকে তাড়াতে পারবেন না।
কবি: আমি কাউকেই তাড়াতে পারিনা নন্দিনী।



কবি: নিশু,,,, নিশু,,,,,,,,,,,,,,
নারী: আরে এটা আবার কি? কে নিশু?
কবি: আপনি
নারী: আমি?
কবি: হ্যাঁ। নিসঙ্গ থেকে নিশু।
নারী: আমি নিসঙ্গ কে বলেছে আপনাকে? বার বার কেনো নিসঙ্গ বলেন?
কবি: আমি বলেছি । কারণ আমি জানি আপনি নিসঙ্গ নিশু..
নারী: মোটেও না......
কবি: মাথা ব্যাথা নিশু। জ্বরের ঘোরে ডুবে যাচ্ছি আমি।
নারী: আরে কাউকে ডাকেন। হরলিকস বানিয়ে দিতে বলেন। লেমন টি খান।
কবি: না কাউকে চাইনা আমি। কাউকে ডাকতে ইচ্ছে করেনা আর......
আপনি আসবেন? তপ্ত কপালে চাই একটি শীতল করতল........নিশু আমার ভীষন মন খারাপ হচ্ছে....... কান্না পাচ্ছে আমার ........



নারী: আপনারা সরিষা ক্ষেতে গিয়েছিলেন ? শীত সংখ্যার ছবি তুলতে?
কবি: হুম
নারী: আমারও খুব ইচ্ছে করে দিগন্ত বিস্তৃত সরিষা ক্ষেতের আল ধরে চলে যাই বহুদূর.....
কবি: হুম
নারী: মাঝে মাঝে আপনার ঘাড়ে হুম হুম ভুত চাপে তাইনা?
কবি: হুম
নারী: হা হা হা মার খাবেন আপনি
কবি: মারেন নিশু। কিভাবে মারবেন আর?
নারী: মানে?
কবি: মানে নেই
নারী: হলুদ রঙটাও আমার খুব প্রিয়। কেমন ঝলমলে।
কবি: তাই?
নারী: আমি যদি নিজে নিজে বিয়ে করতাম। তবে আমার বিয়ের তারিখ কি হতো জেনেন?
কবি: না জানিনা।
নারী: পহেলা ফাল্গুন। এ দিন আমার খুব প্রিয়। সব মেয়েরা কেমন হলুদ কমলা শাড়ি পরে। খোঁপায় ফুল, কাঁচের চুড়ি। সেদিন তো সারা শহরেই ফুল ফুটে থাকে ।মানুষ ফুল। তাও আবার মেয়েরা সেই ফুল .....হা হা হা
কবি:হুম


কবি: আপনার নাচ দেখতে চাই নিশু।
নারী:কি? নাচ! আমার !
কবি: হুম
নারী: হা হা হা ওকে নেক্সট প্রোগ্রাম থাকবে যেদিন, সেদিন আপনাকে একটা টিকেট পাঠিয়ে দেবো।
কবি: না। টিকেট লাগবেনা ।
নারী: রাগ করলেন? দেখবেন না আমার নাচ?
কবি: রাগ করিনি। টিকেট কেটে আপনার নাচ দেখবোনা আমি।
নারী: কেনো?
কবি: আমি আপনার নাচ একা একা দেখতে চাই। কেউ থাকবেনা আর .....
নারী: হা হা হা হা । তাই হয় নাকি!
কবি: কেনো নয়? অবশ্যই হয়। আপনি চাইলেই হয়।
নারী: না হয়না
কবি: হয়না?
নারী: জানিনা।
কবি: আপনি জানেন নিশু । আপনার ইচ্ছের কথা বলুন।
কবি: দেখাবেন?
নারী: ভেবে দেখি
কবি: ওকে তাড়াতাড়ি ভেবে জানাবেন নিশু। আপনি যা চাইবেন তাই হবে।



নারী: আজ ভোরে ঘুম ভেঙ্গে উঠলাম। খুব ভোরে। বারান্দায় তখনও ঝুপসী অন্ধকার। আলো আঁধারীর খেলা। খুব ইচ্ছে হয়েছিলো আপনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিতে।
কবি: ভাঙ্গালেন না কেনো?
নারী: ভাবলাম হয়তো সারারাত জেগে কেবলি ঘুমিয়েছেন। তাই আর জাগালাম না।
কবি: নন্দিনী কখনও মনের ইচ্ছেকে এই ভাবে চেপে রাখবেন না । এই অপরূপ ইচ্ছেমধুর ক্ষনটুকু হয়তো আর জীবনে কোনোদিনই আসবেনা । নিজের ইচ্ছের দাম দিতে শিখুন নন্দিনী। মনের ইচ্ছেটুকুকে কবর চাপা দিতে নেই।
নারী: আপনি বড় অদ্ভুত! কিভাবে থাকেন এমন সন্যাসীর মত?
কবি: ভুল বললেন, আমি সন্যাসী নই নন্দিনী। আমি বন্য ।আমি ভোগী। সংসারের লোভ, তাপ, হিংসা দ্বেষ কিছুই ত্যাগ করতে শিখিনি আমি। শুধু মানুষের বেঁধে দেওয়া নিয়মে নিজেকে বাঁধতে পারিনা।



কবি: নন্দিনী
নারী: হুম
কবি: কোথায় ছিলেন? আপনাকে ফোন দিয়ে পাইনি।
নারী: শপিং এ গিয়েছিলাম ফোনটা বাসায় ফেলে।
কবি: কখন ফিরেছেন?
নারী: মাত্র। অস্ট্রেলিয়া থেকে বড় ননাস আসবে বাচ্চা কাচ্চা সহ। আবার এইদিকে আসছেন মামা শ্বসুর কানাডা থেকে। কি যে ঝামেলায় থাকবো ক'য়েকদিন। ৬/৭ মাসের আগে তো নড়বেন না উনারা।
কবি: তখন কি নন্দিনী বদলে যাবে?
নারী:মানে?
কবি: ব্যাস্ত হয়ে পড়বেন নন্দিনী।
নারী: মানে? কি বলেন? বুঝিনা।
কবি: নিয়মের জীবনে ফিরে গেলে কি নন্দিনী বদলে যাবে?
নারী: ঠিক কি রকম বদলানো বলুন তো?এখন যেমন মজার ম্যুডে আছি?
কবি: হুম
নারী:সেটা কি করে বলবো এখন? সময়ই বলে দেেবে।
কবি: ঠিক তাই। সময় বদলায় । বদলায় মানুষ।
নারী: আমি নানা সময় নানা ম্যুডে থাকি। নানা রকম ভাবনায় আর নানা রকম কাজে মেতে থাকি। যখন যেটাতে মেতে থাকি সেটাই তখন জীবন মরণ।
কবি: তারপর
নারী: তারপর শেষ। আবার নতুন কিছু।
কবি: আমি যদি নিয়ম মানতাম তবে আমার জীবন হত অন্যরকম।
নারী: নিয়ম মানা শিখুন শুভংকর। অনিয়ম বড় খারাপ।



নারী: চলে গেলাম শুভংকর।
কবি: কোথায় যাচ্ছেন?
নারী: ঘুমাবো
কবি: সবাই চলে যায়
নারী: আহা আর আপনি বুঝি বসে থাকেন?
কবি: হুম
তেপান্তরের মাঠে, বঁধু হে একা বসে থাকি
তুমি যে পথ দিয়ে গেছো চলে তারই ধুলা মাখি হে ......
নারী: মাখেন ধুলা বসে বসে।
কবি: আচ্ছা
নারী: আপনাকে বিরহে পেয়েছে। তাই মনের স্যুইচ অফ।
কবি: আমি সারাজীবনই বিরহী নন্দিনী। মনের স্যুইচটাকে অন করা যায়না?
নারী: জানিনা। গেলাম আমি । বাই । ওকে?
কবি: নাথিং ইজ ওকে .....
নারী: তাইলে আপনি নেগাটিভ। গেলাম আমি।
কবি: না আমি নেতিবাচক নই।
নারী: বাই
কবি: ডোন্ট সে বাই.......
নারী: বাই বাই
কবি: নন্দিনী
নারী: গ্যুডনাইট ......


তারপর দিন যায়.......
দিন পেরিয়ে রাত ............
রাত পেরিয়ে আবার আসে ভোর...........

নন্দিনী ফেরেনা ........
তেপান্তরের মাঠে বসে থাকে শুভংকর..........
নিসঙ্গ , একাকী, আনন্দহীন..........
নন্দিনীর চলে যাওয়া পথের রাঙ্গা ধুলোয়
সিনান করে জ্বলজ্বলে স্মৃতির দুঃখ সঙ্গীত
মাঘ যায়, ফাল্গুন যায়, যায় বসন্ত
নন্দিনীর সময় হয়না আর ........
তার উজ্বল, প্রাচ্যুর্য্যময় জীবনের
কোনো এক ছোট্ট বিষাদীয় টাইম টানেল
বা ব্লাক হোলের চুম্বকীয় টানের আবর্তে
ঘূর্নায়মান শুভংকর..........
চির বেহিসেবী, অনিয়ন্ত্রিত নিয়মহীন জীবনের
এক মুঠো সুধা,
আকন্ঠ পানে বুঁদ হয়ে রয়........
সত্যিকারের প্রেম, সত্যিকারের আশ্বাসের দেখা
হয়তো পাওয়া বড় দুস্কর........
বড় হিসেবী মানুষও মুহুর্ত ভুলে হিসেবে ভুল করে
গড়মিল হয়ে যায় যোগ, বিয়োগ, গুণ আর ভাগে........
সে ভুল খুব তাড়াতাড়ি শুধরে নেয় নন্দিনী...........
ভুল পথে আর ভুল করেও ফেরেনা সে.........
তাতে ইচ্ছের দামটুকু থেকে যায় অপরিশোধিত .......
সমাজ সংসারের বেড়াজালে, শক্ত বাঁধনে বাঁধে এবার নিজেকে......

তবুও কখনও কখনও মনের আকশে ভাসে তার..........
একটি বিকেল, মেঘ, ফুল আর দূর পাহাড়ের অপার্থীব স্বর্গ...........
একটি প্রেম অথবা অপ্রেম, ভুল কিংবা শুদ্ধ ইচ্ছের হাতছানি.......
একজন শুভংকর ও এক বন্দিনী রাজকন্যার গল্প.........
রাজকন্যা সুখে আছে...........সুখে যে তাকে থাকতেই হবে...........



সমাপ্ত...

একজন কবি ও একটি স্বপ্নের গল্প
অতঃপর কবি ও সেই নারী
কবি, নারী ও মেঘ, বৃষ্টি আর পাহাড়ের গল্প
কবি, নারী ও এক বিকেলের গল্প
নারী, কবি ও মুগ্ধতার রাহুবলয়
কবি, নারী ও অন্যরকম এক খুনী

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আরমিন বলেছেন: :(

ভালো লাগা!+

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

দর্পণ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ তবে স্যাড কেনো?

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন: ব্লগের একটা অসাধারন লেখা ।

সময় করে আপনার পোস্টগুলো পড়ার ইচ্ছা রাখি ।

:)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

দর্পণ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম

ধন্যবাদ ভাই

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বাহ বেশ লিখেছেন, একটানা পড়ে গেলাম কোন ক্লান্তি ভর করেনি।
কি আর করা রাজকন্যারা যে সুখেই থাকে বা কখনও সুখে থাকার অভিনয় করে।

মুগ্ধতা নিয়ে গেলাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

দর্পণ বলেছেন: রাজকন্যাদের জন্মই হয় সুখে থাকার জন্য,আবাড় তাদের মাঝে মধ্যে সুখের অসুখ হয় কিংবা একটু সুখ কম হলে তা যেভাবেই হোক কুড়িয়ে নেয়,এই হলো আধুনিক রাজকন্যাদের জীবন চক্র :)

পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

আরজু পনি বলেছেন:

লেখায় নিশুর চরিত্রে আমার খুব পরিচিত একজনের মুখ দেখলাম !


মনে হচ্ছে তাকেই উৎসর্গ করে লেখা !

দর্পনের ব্লগিং সম্পর্কে আমার খুব ধারণা নেই...তাকে কবি হিসেবেই চিনতাম...কিন্তু এই সিরিজটা ...

অনেক... ... ... ... ... ... ... ... ...সুন্দর !

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

দর্পণ বলেছেন: কার চরিত্র দেখলেন, এখানে দুটো চরিত্রই কাল্পনিক, তারপরও কারো সাথে মিলে গেলে কাউয়া তাল মাত্র।:)

দর্পণ মানে আয়না,তার সামনে যেই দাড়াবে দর্পণের বুকে তার চেহারাই ভেসে উঠবে,তাই দর্পণের শত শত চরিত্র।চিনে শেষ করতে পারবেননা।

তবে যাই বলেন শুরু থেকেই আপনার অনুপ্রেরণা ছিলো দারুন ভাবে।সেটা মনে থাকবে সব সময়।

ভালো থাকা হোক আরজুপনি

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

শায়মা বলেছেন: দর্পনভাইয়ু.......


এতদিন পরে!!!!!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

দর্পণ বলেছেন: এসে গেছেন নন্দরাণী।:)
একটু অপেক্ষা করুন।লাল গালিচা আসছে।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৫

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকদিন পর দেখলাম...নতুন লেখা দিচ্ছেন না যে !?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৮

দর্পণ বলেছেন: হা হা

নতুন লেখা হৃদয়ে জমছে। কোনো একদিন উজাড় করে দেবো। ধন্যবাদ পনি।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৭

উর্বি বলেছেন: ভালো লাগল

২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ শিল্পী

৮| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

উর্বি বলেছেন: আমি শিল্পী??
কেমনে জানেন ?? :P

২৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

দর্পণ বলেছেন: ছবি যে আঁকে সে তো শিল্পী। গান যে গায় সেও শিল্পী।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩২

জেন রসি বলেছেন: দর্পণ ভাই, আপনাকে দেখি রোমান্টিক মুভির কবির চরিত্র দিতে হবে। যেই মুভিতে কেউ একজন হাতে হাত রাইখা চাঁদে চাঁদ দেখবে।

দজ্জাল শাশুড়ির বিপরীতে শশুড়ের চরিত্র দিলে আপনাকে কিন্তু বিদ্রোহী কবিতা লেখতে হবে!

কবি ও নারী এবং অত্ঃপর যাহা হয় তাহা চমৎকার লেগেছে। :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

দর্পণ বলেছেন: আমি আমার রোমান্টিকতা ছেড়ে দজ্জালের জন্য বিদ্রোহী হইতে চাই না ভাই। সব দজ্জালনী আমি ভালোবাসা আর প্রেম দিয়ে সারিয়ে তুলবো। প্রমিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.