নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দর্পণ

দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুদমিলা তোমাকে ভালোবাসি

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১


মিনিট বিশেক পরে মৃদু কেঁপে উঠলো রুদমিলা। চোখ মেললো। একটি ঘুমন্ত প্রজাপতি যেন সদ্য ঘুম ভেঙ্গে পাখা মেলে উড়ে বসলো ওর গাঢ় অক্ষি পল্লব জুড়ে। ওর স্তনাগ্র থেকে মুখ তুললাম আমি। নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলাম ধীরে ধীরে ওর নগ্ন শরীর। পাকা শিকারীর মত আমার ব্যাধে খুব সন্তর্পনে আটকালাম ওকে। ফের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম ওর স্বেদসিক্ত কাঁপা ওষ্ঠে। বাঁধা দিলো না রুদমিলা।

সে এখন বড্ড ক্লান্ত। পরিশ্রান্ত হিংস্র বাঘিনী । বার বার হেরেছে সে আমার ভালোবাসার কাছে। ওর নিষ্ঠুর নিয়তির মুক্তি নেই। আমার ভালোবাসার বাঁধন শুধু শক্তই না বড়ই সুকৌশলে সুগঠিত। এই ১১ বছরে ১১ শতবার চলে গেছে রুদমিলা আমাকে ছেড়ে। আবার তাকে ফিরতে হয়েছে অদৃশ্য সুতোর টানে। আমি বার বার ভাবি, আমার ভাবতে ইচ্ছে করে রুদমিলা আমাকে বড় ভালোবাসে তাই সে ফিরে এসেছে বার বার কিন্তু মাথায় রক্ত চড়ে যায়, যখনই পত্রিকায় ওকে নিয়ে রমরমা নিউজ দেখি। ছবি দেখি ওর অন্য যুবকের সাথে। অকারণ আক্রোশ জাগে আমার।

এ কথা আমি জানিয়েছিও ওকে। বড় বড় চোখ দুটো মেলে আমার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকেছে সে।যেন এমন অবাক করা কথা সে জীবনে শোনেনি বা আমি কোনো মূর্খ উন্মাদ। কোনো প্রতিবাদ করেনি রুদমিলা। ওর এই ব্যাপারটা আমাকে আরও বেশি ক্রোধন্মাদ করে তোলে।ও যদি চিৎকার করতো। আত্মপক্ষ সমর্থন করতো কিংবা সাফাই গাইতো বা গালাগালি করতো তবুও আমার এত আক্রোশ জন্মাতো না। আমি পাগল হয়ে যাই যখন সে আমার হিংসা, ক্ষেদ বা উন্মত্ততা দেখে প্রথমে বিস্মিত হয় ও পরে পরম তাচ্ছিল্যভরে উপেক্ষা করে। আমাকে জবাবদিহি বা নিজেকে নির্দোষ প্রমানের বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেনা। ওর এই উপেক্ষা আমি সইতে পারিনা।

রুদমিলা প্রচন্ড আত্মাভিমানী মেয়ে। বিয়ের পর প্রথম যেদিন আমি মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে ওকে অকথ্য গালাগাল করেছিলাম । মনের আঁশ মিটিয়ে আমি যাচ্ছেতাই ভাষায় মনের অক্ষম ক্ষেদ ঝেড়েছিলাম। যদিও আমি অপ্রকৃতিস্থ ছিলাম কিন্তু আমি জানি সেদিন থেকেই রুদমিলা আমাকে ত্যাগ করেছে। ওর মনে মনে করা এই ত্যাগ আমি টের পাই। চেতনা ফিরে আসবার পরে আমি নিজের কাছে নিজে লজ্জায় কুকড়ে গেছি। ছোট হয়ে থেকেছি। বার বার ক্ষমা চেয়েছি রুদমিলার কাছে। প্রচন্ড অভিমানে চুপ করে থেকেছে সে। ওর কাছে যখন আমি বার বার জানতে চেয়েছিলাম ক্ষমা করেছে কিনা সে আমাকে । সে অনেক কষ্ট করে জবাব দিয়েছিলো করেছে। আসলে সে আমাকে মন থেকে কখনও ক্ষমা করতে পারেনি।

আমি তো জেনে শুনেই ওকে বিয়ে করেছিলাম। রুদমিলা একজন সেলিব্রেটি।এই শহরের প্রতিটা মানুষ চেনে ওকে। সে তো আজ থেকে নয় অভিনয় তো করছে সে আমাদের পরিচয়ের শুরু থেকেই। ওর নাটক দেখতে গিয়েই তো ওর সাথে পরিচয়। ওর টাকায় খাচ্ছি দাচ্ছি ঘুরছি তবুও কেনো আমি ওর পেশা নিয়ে সদা ও সর্বদা ওকে যাচ্ছেতাই বলি? কেনো আমি রুদমিলার পাশে কোনো মানুষকে সহ্য করতে পারি না? রুদমিলা ঘুমুচ্ছে। সম্ভভত অপরিসীম ক্রোধ, ক্ষোভ আর অভিমানের পরে আমার উন্মত্ত শরীরের ভালোবাসা অন্যান্য বারের মতন এবারেও ভুলিয়ে দিয়েছে আমার ওপরে ওর সুতীব্র অভিমানটুকু।

কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে, ভোরবেলা ঘুম ঘুম চোখে দেখলাম, রুদমিলা ব্যাগ গোছাচ্ছে। আমার ঘুম ছুটে গেলো। তবুও ঘুম ভাব করে আড়চোখে ওকে দেখে নিয়ে মনে মনে ফন্দী আটতে লাগলাম কি করে ওকে আটকানো যায়। আবার ভাবলাম যাক না আবার তো ফিরে আসবে। আমাকে ছেড়ে সে কি থাকতে পারবে? কখনও না .....

রুদমিলা চলে গেলো....
একদিন, দুদিন, তিনদিন, সপ্তাহ গড়িয়ে মাস পেরুলো। এবারে রুদমিলা ফিরলোনা। ফোন বন্ধ। অফিসে ফোন করলে কেউ ডেকে দিলো না। আমি নিজে যেচে ওর বাড়ি বা অফিসে হানা দিতে পারতাম। তবে একটু আত্মসন্মানে লাগলো। এত ভালোবাসা যে পায়ে দলে যেতে পারে থাক না সে তার মতই .....
মনে মনে অপেক্ষা করে যেতে থাকলাম। রুদমিলা ফিরবে। কিন্তু ফিরলোনা রুদমিলা। রুদমিলার রেখে যাওয়া টাকা পয়সা যা ছিলো সব তলানিতে এসে ঠেকলো। রুদমিলা ডিভোর্স লেটার পাঠালো। বাড়িটা ওর নামে। আমি ডিভোর্স লেটার সাইন করে আপোসে ওকে মুক্তি দিয়ে দিলাম।

একদিন রাতে বাড়ির মেইন গেইটে তালা লাগিয়ে চাবিটা পাশের বাড়ির ভাবীকে দিয়ে বলে এলাম। যদি রুদমিলা আসে তাকে চাবিটা দিয়ে দিতে। আমি কপর্দকশূন্য হাতে সেই রাতে চলে এলাম রমনা পার্কের গেটে। পার্কের বেঞ্চিতে শুয়ে পড়লাম। নিস্বের মত। নিস্বের নিস্বতার একটা আনন্দ আছে। মুক্তির আনন্দ। পিছুটানহীন। বন্ধনহীন। আমার চিৎকার করে গান গাইতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
আমি বন্ধনহীন, জন্মস্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল.......
রাতপরীরা উঁকি ঝুকি দিচ্ছিলো। কিন্তু কেন যেন তারা বুঝে গেলো আমি নিস্ব। আমি অসহায়। তাই আর বিরক্ত করলোনা। এরপর আমি পার্কের বেঞ্চিতে শুয়ে অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
তারপর .....

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

নেক্সাস বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

দর্পণ বলেছেন: হা হা ধন্যবাদ ভাই। আনন্দ পেলাম।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

আমি মিন্টু বলেছেন: অসাধারণ লেখছেন । :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

দর্পণ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

আজিজার বলেছেন: সুন্দর কিন্তু আমাদের অপেক্ষায় রাখলেন, তারপর ..... এর জন্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

দর্পণ বলেছেন: বেশি অপেক্ষায় রাখবোনা ভাই।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

রিকি বলেছেন: গল্পের সাথে এই মিনারেল ওয়াটারের অ্যাডের ছবিটা কি মিলে??? একটু দুঃখী বেগানা ছবি দিতেন, যেহেতু আপনার গল্পের নায়িকা নায়করে 'নিঃস্ব করেছো আমায়' গান গাওার জন্য রেখে গেছে !!!!! ;)



দোকা থেকে একা হওয়ার যে ব্যাপারটা দেখেন তো মিলে কিনা এতে ???

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

দর্পণ বলেছেন: আরে আপনারটাই ভালো মিলছে রিকি আপা। আমি পছন্দসই ছবি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।থেংকু থেংকু!

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

শায়মা বলেছেন: রিকি বলেছেন: গল্পের সাথে এই মিনারেল ওয়াটারের অ্যাডের ছবিটা কি মিলে??? একটু দুঃখী বেগানা ছবি দিতেন, যেহেতু আপনার গল্পের নায়িকা নায়করে 'নিঃস্ব করেছো আমায়' গান গাওার জন্য রেখে গেছে !!!!! ;)


রিকিমনি !!!!!!! আমার ধারণা দর্পনভাইয়ুর বৌমামনি তার টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়ায় সে আর লালপানি কিনতে পারেনি। আর তাই মনের দুঃখে বিবাগী হয়ে মিনারেল ওয়াটারের বোতলে ট্যাপের পানি ভরে বনে গিয়ে বসে আছে!!!!!!!!!!! আহালে আহালে!!! :P

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

দর্পণ বলেছেন: আহালে আহালে না করে তুমি এক বোতল পাঠায় দিতা।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: মনে মনে অপেক্ষা করে যেতে থাকলাম। রুদমিলা ফিরবে। কিন্তু ফিরলোনা রুদমিলা। রুদমিলার রেখে যাওয়া টাকা পয়সা যা ছিলো সব তলানিতে এসে ঠেকলো। রুদমিলা ডিভোর্স লেটার পাঠালো। বাড়িটা ওর নামে। আমি ডিভোর্স লেটার সাইন করে আপোসে ওকে মুক্তি দিয়ে দিলাম।

একদিন রাতে বাড়ির মেইন গেইটে তালা লাগিয়ে চাবিটা পাশের বাড়ির ভাবীকে দিয়ে বলে এলাম। যদি রুদমিলা আসে তাকে চাবিটা দিয়ে দিতে। আমি কপর্দকশূন্য হাতে সেই রাতে চলে এলাম রমনা পার্কের গেটে। পার্কের বেঞ্চিতে শুয়ে পড়লাম। নিস্বের মত। নিস্বের নিস্বতার একটা আনন্দ আছে। মুক্তির আনন্দ। পিছুটানহীন। বন্ধনহীন। আমার চিৎকার করে গান গাইতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।


-ভাই আপনার লেখা চমৎকার! তবে এই লাইন গুলো যেন হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়ার মত! সব ভাল বাসার শেষ পরিণতিটা মনে হয় এমনই হয়? নিঃস্ব হওয়া ছাড়া ভালবাসার শেষ পরিণতিটা আমার কাছেও খুব একটা ভাল লাগে না! আপনার এই গল্পের গত পর্বে যে হিংস্রতাকে উপলব্ধি করেছিলাম। সেটা যেন এই পর্বে এসে বেশ মিলিয়ে গেল। আর সেজন্যই কিন্তু গল্পটা আমার কাছে আরো বেশি ভাল লেগেছে। আপনার গল্পটা পড়ে একটা কথা মনে পড়লো ভাই............!

'যদি কাউকে কখনও মন থেকে ভালবাসো, তাহলে তাকে মুক্তি দাও! যদি সে তোমার কাছে আবার ফিরে আসে তাহলে সে আজীবনের জন্য তোমার। আর যদি না আসে, তাহলে সে কোন দিনের জন্য তোমার ছিলনা আর হবেও না!'

আপনার অবস্থাটা এখন ঠিক হুমায়ুন আহম্মেদের হিমুর মত! একবারে নিঃস্ব কর্পদক শুন্য! তবে হিমু কিন্তু অসহায় ছিল না? আপনিও যেন অসহায় হয়ে না পড়েন?

গল্পটা অনেক ভাল লাগলো! শুভ কামনা জানবেন!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

দর্পণ বলেছেন: এখনও শেষ হয় নাইরে ভাই। কাহানী আভি বাকী হ্যায়। হাহাহা

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: এইটা কেমন কথা খালু? আমি কি কইছি গল্প শেষ হইছে? :P

আপনার গল্পও চলুক, আর আমরাও সাথে সাথে দৌঁড়াই!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১০

দর্পণ বলেছেন: ওহ কন নাই নাকি? তাইলে ঠিক আছে আরও কয়েক পর্ব চলতা হুয়া।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: এত সুন্দুর কইরা মন্তব্য করছি মিয়া, না দেইখাই উত্তর দেন? :P আপনার নামে কিন্তু আমি ফৌজদারী আদালতে মামলা দ্বায়ের করুম? :P

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০

দর্পণ বলেছেন: দেখছিলাম ভাইজান তয় এই অংশ দেখে ভাবছিলাম শেষ হইছে মনে করছেন-
ভাই আপনার লেখা চমৎকার! তবে এই লাইন গুলো যেন হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়ার মত! সব ভাল বাসার শেষ পরিণতিটা মনে হয় এমনই হয়? নিঃস্ব হওয়া ছাড়া ভালবাসার শেষ পরিণতিটা আমার কাছেও খুব একটা ভাল লাগে না! আপনার এই গল্পের গত পর্বে যে হিংস্রতাকে উপলব্ধি করেছিলাম। সেটা যেন এই পর্বে এসে বেশ মিলিয়ে গেল।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

সুমন কর বলেছেন: কবি মানুষ তো....বর্ণনা খুব ভালো লাগল। আবেগ জড়ানো।

+।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

দর্পণ বলেছেন: যাক এই পর্বে তাইলে আপনার মন ভরাইতে পারছি। থ্যাংক ইউ দাদা।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

জেন রসি বলেছেন: পার্কের বেঞ্চিতে ঘুমিয়ে পরা ঠিক না!! বিশেষ করে রাত বিরাতে! আমি জেগে থেকেও বিপদে পড়ছিলাম! :P

গল্প ভালো হইছে। তবে আমি পোলাপাইন মানুষ! তাই বড়দের কিছু কাজকারবার এখনো বুঝি না!! :P তাই গল্পের কিছু অংশ প্রয়োজনীয় মনে হয়নাই। চালাইয়া যান। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০১

দর্পণ বলেছেন: কেমন বিপদে পড়ছিলেন জানতে মন চাই। জানান ভাই।

গল্প লেখাটাই অপ্রয়োজন । তারপরও লিখি । ওক্কে পোলাপাইন বস। পরবর্তী পোস্ট কাল হবে।

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

রিকি বলেছেন: আমার দেওয়া ছবি কোন কাজে লাগিল না দর্পণ খালুর! :(

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

দর্পণ বলেছেন: ওকে যান ছবিটা বদলায়া দিলাম।

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: দর্পন খালুর সাথে সাথে আমারও জোর দাবি! জেনভাইয়ের হেই বিপদের কথা জাতি জানবার চায়? আর না জানাইলে বুঝমু হের ভিতরে কুনো গন্ডগোল বা প্যাঁচ আছে?

খালু, রিকিপুর অনেক দুঃখ হচ্ছে আপনি তার ছবিটাকে কাজে লাগান নাই! রোদমিলার পরবর্তি গল্পে হেই ছবি ব্যবহারেরও জোর দাবি জানাচ্ছি! নইলে রিকিপুর হইয়া আমি বলগে ধর্মঘট ডাকুম! হাজার হইলে হেই আমার দেশি ভাবী বইলা কথা.........!!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

দর্পণ বলেছেন: রিকি আপার ছবি দিসি আর জেনভাই কি বিপদে পড়ছে কে জানে?

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৮

জেন রসি বলেছেন: সাহসী ভাই, এইখানে গোপন রহস্যের কোন ব্যাপার নাই। এইটাকে একটা পরাবাস্তব সময়ের অপরাবাস্তব বিপদ বলে গণ্য করতে পারেন। তবে রাতের বেলা পার্কের বেঞ্চ থেকে ফুটপাত উত্তম।

খালু, রিকিপুর অনেক দুঃখ হচ্ছে আপনি তার ছবিটাকে কাজে লাগান নাই! রোদমিলার পরবর্তি গল্পে হেই ছবি ব্যবহারেরও জোর দাবি জানাচ্ছি! নইলে রিকিপুর হইয়া আমি বলগে ধর্মঘট ডাকুম! হাজার হইলে হেই আমার দেশি ভাবী বইলা কথা.........!!!

সাহসী ভাইয়ের এই দাবীর সাথে সহমত! :P

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

দর্পণ বলেছেন: বেঞ্চে কি হইসিলো ভাই? আপনারে বেঞ্চ থেইকা ফুটপাতে কেডা পাঠাইসিলো?

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই পর্বটা বেশ ভালো লাগলো। এমন জায়গায় শেষ করেছেন যে আগ্রহ বজায় থাকবে ষোল আনা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

দর্পণ বলেছেন: হা হা ধন্যবাদ হামা ভাই।

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার । খুব ভাল লেগেছে । শেষটা খুব ভাল হয়েছে ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

দর্পণ বলেছেন: শেষ হইসে কেডা কইলো?

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "অামি কপর্দকশূন্য হাতে সেই রাতে চলে এলাম রমনা পার্কের গেটে। পার্কের বেঞ্চিতে শুয়ে পড়লাম। নিস্বের মত। নিস্বের নিস্বতার একটা আনন্দ আছে। মুক্তির আনন্দ। পিছুটানহীন। বন্ধনহীন। আমার চিৎকার করে গান গাইতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
আমি বন্ধনহীন, জন্মস্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল.......
রাতপরীরা উঁকি ঝুকি দিচ্ছিলো। কিন্তু কেন যেন তারা বুঝে গেলো আমি নিস্ব। আমি অসহায়। তাই আর বিরক্ত করলোনা। এরপর আমি পার্কের বেঞ্চিতে শুয়ে অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লাম।" পড়ে একবুক হতাশা ভর করলো ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

দর্পণ বলেছেন: হতাশারা উড়ে যাক ডানা মেলে....
ধন্যবাদ ভাই।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

জুন বলেছেন: আপনি হাইজাকারের হাতে পরতে পারতেন । কাজটি ভালো করেন নি রমনার বেঞ্চে শুয়ে ।
তারপর কি হলো তার প্রতীক্ষায় দর্পন .।.।.।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

দর্পণ বলেছেন: আমি হাইজাকারের হাতে পড়বো কেনো? আমার কাছে তো টাকা পয়সা কিছুই ছিলোনা আপা। বরং হাইজাকার আসলে কইতাম আমারে কিছু ভিক্ষা দিয়া যান।

১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:

নিস্বের নিস্বতার একটা আনন্দ আছে।
মুক্তির আনন্দ। পিছুটানহীন। বন্ধনহীন।

আমার চিৎকার করে গান গাইতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
আমি বন্ধনহীন, জন্মস্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল.......

ঠিক বলেছেন,
ভালোলাগা রইল কবি !

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নচারী। ভালো থাকবেন।

১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

রিকি বলেছেন: আমার বিদ্রোহ সফল হয়েছে...ইয়ে এ এ এ এ এ...খালুর মিনারেল ওয়াটারের বোতল চেঞ্জ হয়েছে! B-))

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

দর্পণ বলেছেন: কি করবো কন? টাকা পয়সা ছিলোনা যে লালপানি খামু। তাই সাদা পানি খাইতেসিলাম। তবে মিনারেল ওয়াটার ছিলোনা আপা। কাঁচা ট্যাপের পানি ছিলো।

২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগল।চালিয়ে যান...ভালো লাগা রইল

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদভাই।

২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

রিকি বলেছেন: লেখক বলেছেন: কি করবো কন? টাকা পয়সা ছিলোনা যে লালপানি খামু। তাই সাদা পানি খাইতেসিলাম। তবে মিনারেল ওয়াটার ছিলোনা আপা। কাঁচা ট্যাপের পানি ছিলো।

কাঁচা ট্যাপের পানি খেয়েছিলেন !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ফিল্টার ছাড়াই ???????? :|| :|| :||

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

দর্পণ বলেছেন: তো কি হইসে? তখন কি আর ফিল্টারের কথা মনে থাকে কন?

২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: দর্পণ ,



তারপর......... ?

তার আর পর নেই , নেই কোনও ঠিকানা ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

দর্পণ বলেছেন: আছে আছে। ঠিকানা আনতেছি। ধন্যবাদ ভাই

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

বনমহুয়া বলেছেন: খুব ভালো হইছে!

বেচারা খোকাবাবু!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

দর্পণ বলেছেন: আপনি নির্দয় মানুষ।

২৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নিস্বের নিস্বতার একটা আনন্দ আছে। মুক্তির আনন্দ। পিছুটানহীন। বন্ধনহীন। আসলেই তাই, বড় ভয়ানক সেই স্বাদ।

গল্প ভালো হয়েছে। +++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ বোকামানুষভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.