নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দর্পণ

দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি আছো দূর ভুবনে

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫



আজ প্রায় তিন বছর হতে চললো, রুদমিলার থেকে আমি দূরে, দূর প্রবাসে। রুদমিলাকে ছেড়ে এসে আমি খুব ভালো নেই। বউ এর অঢেল অর্থে বিলাস বহুল জীবন যাপনের অভ্যস্থতা আমাকে যে কি পরিমান পঙ্গু করে তুলেছিলো তার পরিনাম বেশ ভালোই ভোগ করতে হয়েছে আমাকে এই ক'বছরে। এ তিন বছরে নানা ঘাটে ধাক্কা খেতে খেতে শেষ পর্যন্ত আমি তরী ভিড়িয়েছি দুবাই শহরের ছোট্ট একটি বারে। এই জবটাও পাওয়া গেছে একজন সহৃদয় বন্ধুর সহায়তায়। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা যা আছে তাতে এর চাইতে বহুগুণ ভালো চাকুরী যোগাড় করাটা আমার জন্য আসলে তেমন কষ্টকর ছিলো না। কিন্তু ইচ্ছেটাই মরে গেছে। আসলে মরে গেছে মনটা। নতুন উদ্যম, প্রতিযোগীতা বা যে কোনো কিছুতে এগিয়ে থাকবার সদিচ্ছাটা ছেড়ে গেছে আমাকে রুদমিলার আমাকে ছেড়ে যাবার সাথে সাথে।

সারাদিন ঝিম মেরে বসে বসে ক্যাশবাক্স পাহারা দেই। মাতালদের মাতলামী দেখি। মদ খেয়ে কেউ হয় রাজা উজির কেউ বা জীবনের সব অপ্রাপ্তির স্মৃতি রোমন্থনে গলা ছেড়ে হাউ মাউ কাঁদে। এই বারে যা কিছু পাই তা দিয়ে আমার একটা পেট বেশ চলে যায়। এখানের সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা তা হলো ইচ্ছেমত মদ খাওয়া যায়। আমি প্রানপন ভাবতে চেষ্টা করি আমি ভালো আছি, সুখে আছি। মাঝে মাঝে রুদমিলার কথা ভেবে আমার খারাপ লাগে। কি অন্যায়টাই না করেছি আমি তার সাথে। অকথ্য সব ব্লেমিং, অকারণ সন্দেহ। আমার যাচ্ছেতাই দূর্ব্যাবহার মুখ বুজে সহ্য করেছে মেয়েটা। চরম উপেক্ষা ও একই সাথে সহ্যের এক আশ্চর্য্য আঁধার এই মানবী। রুদমিলার কাছে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে করে আমার। যদি পারতাম ওর পা দুটো ধরে ক্ষমা চেয়ে নিতাম একটাবার।

দেশে ছাপা হওয়া যে সব পত্রিকা বিশেষ করে রুদমিলার খবরাখবর আর ছবি ছাপানো পত্রিকাগুলি যতটা সম্ভব পাওয়া যায় কিনে কিনে জমিয়ে রাখি আমি। তাকিয়ে থাকি ওর নানা ভঙ্গিমার হাসিখুশীমুখী ছবির দিকে। ওর ঘাড় কাৎ করে তাকানোর ভঙ্গিমা কিংবা হাসলে গালে টোল পড়ার তিল তিল সৌন্দর্য্যগুলি মনে পড়ে আমার। আমি ওর মেইলগুলি খুলে তন্ন তন্ন করে খুঁজি ওর সব খবরাখবর। কোথায় কি করছে সব তথ্যাদি। ওর ফেসবুকের ওয়ালে ভক্তদের শুভেচ্ছা, ওর ফ্যান পেইজগুলোতে নানা বয়সী মানুষের প্রেম নিবেদন সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি আমি। আমার এখন সেই আগের জেলাসীটা কাজ করেনা। আগে কোনো ক্ষুদে ভক্তও তাকে ভালোবাসা জানালে আমার মাথায় খুন চেপে যেত। কেউ ফ্লার্ট করার চেষ্টা করলে তাকে পঙ্গু করে দিতে মন চাইত।কিন্তু এখন সেসব ইচ্ছে চলে গিয়ে একরকম কৌতুক অনুভব করি।

রুদমিলার ইনবক্সগুলি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি এমনকি আদার বক্সের মেসেজগুলোও। কি এক অদ্ভুত কারণে রুদমিলা তার মেইল, ফেসবুক , টুইটার বা সব রকম পাসওয়ার্ডগুলো ওর সাথে বিচ্ছেদের পরেও কেনো যেন কোনোটাই চেঞ্জ করে দেয়নি। এই কারণে আমি রুদমিলার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করি।কারণ আমি জানতে পারি সে ঠিক কি অবস্থায় কাটাচ্ছে বর্তমান সময়টা।ওর বোন বা সহকর্মী কারো সাথেই কোনো কনভারসেশনে রুদমিলাকে কখনও আমার নামে একটা কটু বা মিঠা কোনো কথাও বলতে দেখিনা। ওর আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবেরাও কখনও ওর কাছে ভুলেও জানতে চায়না আমার কথা বা আমাদের বিচ্ছেদের কথা। কি সুনিপুন ভাবে রুদমিলা মুছে ফেলেছে আমাকে তার জীবন থেকে। অবাক হয়ে দেখি। হাসছে, মজা করছে, ঘুরছে, এখানে সেখানে খেতে যাচ্ছে। ফেসবুকে প্রতিদিনের ওর সব ছবি আর স্ট্যাটাস আপডেট দেখাই আমার একমাত্র অনিবার্য্য কাজ হয়ে পড়ে।

বেশ কিছুদিন যাবৎ রাত ১১টা বাজলে রুদমিলার ইনবক্স চ্যাটে একজন রোমিও দেখা যাচ্ছে। বেটা তার নানারকম হিরোগিরি দিয়ে রুদমিকে পটাতে চেষ্টা করছে। নিজেকে সে বিশ্বহনু প্রমানের চেষ্টায় সদা ব্যাস্ত। সাথে চলছে রুদমিলার রুপ ও গুণের ভূয়সী প্রশংসা। আমার একটু আধটু মেজাজ খারাপ হয় কিন্তু আগের সেই তীব্র খুন চাপা ভাবটা নেই আর। আসলে আমিও চাই জীবনে সুখী হোক মেয়েটা। অনেক দুঃখ পেয়েছে সে আমাকে ভালোবেসে। ওর একজন সত্যিকারের প্রেমিক দরকার। যার কাছে থাকবে তার আস্থা, প্রয়োজন ও সর্বপোরি সন্মান। আমি এসবের কোনোটাই দিতে পারিনি তাকে। আমার অপ্রয়োজনীয় ভালোবাসা বা উপস্থিতি আসলে রুদমিলার জীবনে একটা গলদকাল। ডার্কটাইমের মাঝে দিয়ে গেছে রুদমিলা সেই কটা বছর। আমি না থাকলে ওর আরও ভালো কিছু হত। উন্নতি হত আরও হয়তো।

রুদমিলা এখন বেশ আছে। বেশ তরতর করে উন্নতির শিখরে উঠছে সে। এই তিন বছরে আমার ধারণা সর্বোচ্চ খ্যাতির শিখরে পৌছেচে সে। আমি থাকলে এমনটা হতনা। আমি ছিলাম ওর জীবনের প্রতিবন্ধক। ওর অসাধারণ মেধা চর্চার বাঁধা। শিল্পকলা বা বিজ্ঞান চর্চা যে কোনো কিছুতেই মন লাগিয়ে কাজ করাটাই উন্নতির প্রথম শর্ত। রুদমিলা রোজ মন খারাপ করে থাকতো। মন দিয়ে তখন সে অভিনয় করতে পারতোনা। আমি ছিলাম তার মন খারাপের কারণ। আমি ছিলাম তার প্রতিবন্ধকতা। ওর জীবনের অনেকগুলো বছর নষ্ট করে দেবার পরে এই উপলদ্ধি হয়েছে আমার। এখন সে মুক্ত বিহঙ্গের মত তার জীবনটা নিয়ে ভাবতে পারবে। মন দিয়ে উপহার দিতে পারবে দারুন কিছু ওর ভক্তকুলের জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্যও। রুদমিলা ভালো থাকুক । আনন্দে থাকুক। দূর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখবো আমি। এই আমার চাওয়া।

এই রোমিয়ের সাথে প্রায় রোজ রাতেই দারুন কিছু সময় কাটাচ্ছে আজকাল রুদমিলা। রোমিও একটু পাগলা টাইপ। জনি ব্রেভো স্টাইলে মেয়েদেরকে পটাবার চেষ্টা করে।একটু ইমম্যাচিউরড। রুদমিলা মজা পাচ্ছে। সে বেশ আনন্দ নিয়ে বা কৌতুক নিয়ে কথা বলে ছেলেটার সাথে। আমি চুপচাপ দেখি। রুদমিলা কি কখনও আঁচ করেছে আমি যে ওর পাসওয়ার্ড দিয়ে ওর ফেসবুকের ইনবক্স দেখছি। রুদমিলার তো ভুলে যাবার কথা না যে আমাকে ওর পাসওয়ার্ড সেই দিয়েছিলো। রুদমিলা তার প্রাত্যহিক, দৈনন্দিন জীবনের নানা কর্মকান্ড শেয়ার করে ওই রোমিওর সাথে। আনন্দ, বেদনা বা পরিশ্রম, সাফল্যের গল্প শুনায়। কিন্তু ছেলেটা সব সময় তাকে প্রেমে ফেলানোর চেষ্টা করে চলে। রুদমিলা বুঝতে পারে কিনা জানিনা। পাক্কা অভিনেত্রীদের কোনটা অভিনয় আর কোনটা রিয়েল বোঝা কষ্টকর। এতগুলো বছর এক ছাদের নীচে কাটিয়েও আমি তা কখনও বুঝিনি। কিন্তু কিছু অভিনয় শিখেছি। তবে আমি মন থেকেই চাই। রুদমিলা কারুর ভালোবাসা পাক। সংসার পাক। একটি নারীর জীবনে সংসার, সন্তান বা ভালোবাসা যা কিছু জরুরী তার কিছুই আমি দিতে পারিনি তাকে।

রুদমিলা যদি এই ছেলেকে ভালোবেসে ঘর বাঁধে, সুখী হয় আমি হব সেদিন এই পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ। আমার পাপের ভারা হয়তোবা কিছুটা ভার মুক্ত হবে কিন্তু এই রোমিও এর মাঝে কিছু গলদ আছে মনে হচ্ছে। সে দুদিনের মাঝেই প্রেম প্রস্তাব দিয়ে বসেছে। রুদমিলা অস্বীকৃতি জানাতেই সে রুদমিলার সাথে দূর্ব্যাবহার করে বসলো। চরম দূর্ব্যাবহার। ঝম করে রক্ত চড়ে গেলো আমার মাথায়। বহু কষ্টে মাথা ঠান্ডা রাখছি। নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করছি। না রুদমিলার জীবনে আর কোনো কষ্ট দায়ক উৎপীড়ক আমি চাইনা। আমি আমার রুদমিলাকে সুখী দেখতে চাই। নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও রুদমিলাকে সুখী দেখে যেতে চাই আমি। ওর জীবন হতেই হবে সকল কলুষতাবিহীন নিষ্কন্টক....

কি করবো আমি?

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যা হোক ।আপনি ধৈর্য্য ধরুন। রুদমিলার প্রেমিক রুদমিলাকে নিজের মত করে গড়ে নিচ্ছে বোধ হয় । বিয়ের পর ঠিকই সে শুধু ভালবাসা বিলুবে রুদমিলাকে । ভাল লিখেছেন আপনি ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

দর্পণ বলেছেন: ধৈর্য্য ধসসি সেলিমভাই। কিন্তু ধৈর্য্যেরও তো সীমা আছে। কখন কাঁটে সীমা কে জানে?

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দূর থেকে কিছু করার নেই । দেখবেন রুদমিলা রোমিও প্রেমে পড়েছে । ছেলেকে কিছু বলবেন তো রুদমিলা আপনাকে চিরতরে বিদায় জানাবে । ওরা একটা পরিণতির দিকে যাচ্ছে বোধ হয় । বিয়ের আগে দূর্ব্যবহার ভাল । বিয়ের আগে তেলবাজি করে বিয়ের পর পীড়ন দেয়া খারাপ ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

দর্পণ বলেছেন: হা হা সেলিমভাই আপনি আবার রুদমিলার প্রেমে পইড়া যাইতেসেন নাতো? সাবধানের মাইর নাই রোমিও এর মাইর খাইয়েন না।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রোমিওটা কে শুনি । আমি রুদমিলার প্রেমে পড়লে রোমিও ঠ্যাং ভেঙে রুদমিলাকে গুম করে ...................। আমার কাছে কবিতাস্ত্র আছে ।আমি বান মারতে পারি B-)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

দর্পণ বলেছেন: কবিতা দিয়া ঠ্যাং ভাঙ্গবেন। স্বপ্নে নাকি মিয়াভাই? আপনি কি জাইগা আছেন নাকি ঘুমের ঘোরে লিখতেসেন কন দেখি? হা হা

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

দর্পণ বলেছেন: ধন্যাবদ কেন প্রামানিকভাই?

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

জেন রসি বলেছেন: দর্পণ খালু, গল্পের মধ্যে কেমন একটা সাইকো থ্রিলার ভাব চলে এসেছে। মজা পাচ্ছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

দর্পণ বলেছেন: পরের পর্বে সবকিছু শেষ কইরা দিমু ভাবতেসি। মানে এক্কেরে ফিনিশ। সানডে মানডে কোলোজ। হা হা হা

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ৪. ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫ ০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ


১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮ ০
লেখক বলেছেন: ধন্যাবদ কেন প্রামানিকভাই?

মজা পাইছি!

জিনি ভায়ার সাথে একমত। আমিও পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। বাস্তব গল্প না হলেই ভাল। শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয় দর্পন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

দর্পণ বলেছেন: পরের পর্বে যাবার আগে আগের পর্বগুলি পড়েছেন তো গেমুভাই। বাস্তবে সমস্যা কি? এত শ্রদ্ধার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাইলাম।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

রিকি বলেছেন: এটার রোম্যান্টিক এন্ডিং হতে পারে রোমিওকে জুলিয়েটের কাছে পাঠানো আর রুদমিলার সাথে বিয়ার খালুর এগেইন ফিক্স আপ, থ্রিলার এন্ডিং হবে যদি রুদমিলা আর রোমিও বিয়ার খালুকে উল্লুক বানিয়ে একই ব্যাক্তি হয়, গোথিক এন্ডিং হবে যদি বিয়ার খালু চাঁদ দেখলেই ওয়ারউলফ হয়ে যায়, রুদমিলাকে ভুলতে !! এই তিনটার মধ্যে কোনটা করতে চলেছেন খালুভাই? ;)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

দর্পণ বলেছেন: ঠিকোই কইছেন রিকি আপা। রোমিওকে জুলিয়েটের কাছে পাঠানো আর রুদমিলার সাথে বিয়ার খালুর এগেইন ফিক্স আপ, থ্রিলার এন্ডিং হবে যদি রুদমিলা আর রোমিও বিয়ার খালুকে উল্লুক বানিয়ে একই ব্যাক্তি হয়, গোথিক এন্ডিং হবে যদি বিয়ার খালু চাঁদ দেখলেই ওয়ারউলফ হয়ে যায়, রুদমিলাকে ভুলতে !!

সবগুলান আইডিয়াই দারুন। ম্যুভি দেইখা মাথা তো দারুন খোলতাই হইসে। যদি রুদমিলা আর রোমিও বিয়ার খালুকে উল্লুক বানিয়ে একই ব্যাক্তি হয়, এইটা সবচাইতে কমেডি শো হইবো। হা হা হা আবার দুজনের প্রেম পিরিতীর কড়া রুপখানাও বুঝানো যাবে। যাই হোক তাই কন থ্রিলিং ছাড়া জীবনে আছে কি?

তয় এসবের কোনোটাই এন্ডিং পার্টে নাই। এন্ডিং পার্ট আগে থেকেই জানা কাজেই আপনেও জানার জন্য ওয়েটান আপামনি।

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আগের পর্বটা পড়া হইছিল মামা, আর বাস্তবে কোনই সমস্যা নেই। ভাল থাকুন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

দর্পণ বলেছেন: তাইলে পরের পর্বের জন্য একটু অপেক্ষা করেন গেমুভাই। কিন্তু সবাই আমারে খালু ডাকে আপনি মামা কইলেন কেন?

৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পরের পর্বে কী হয় দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

দর্পণ বলেছেন: হা হা হামাভাই। লজ্জা দিয়েন না। পরের পর্ব কবে লেখা হয় কে জানে। জীবন বড় ব্যাস্ততাময়।

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: কি করবেন এটাতো বিশাল চিন্তার বিষয় দর্পন ।
আপনার সাথে আমরাও অপেক্ষা করি , দেখা যাক কি হয় শেষমেশ ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

দর্পণ বলেছেন: আমিও চিন্তা করতেছি জুন আপা। দেখি চিন্তা কইরা কি পাই?

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

শায়মা বলেছেন: কি করবা ভাইয়ু!!!!!

এখন কি হবে!!!!!!!!!!!!!! আমরাও তো চিন্তায় পড়লাম!!!!!!:(

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

দর্পণ বলেছেন: হা হা তুমি আর চিন্তা! আমি তো এখন নিজেই আরেক চিন্তায় পড়লাম শায়মা আফা।

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অন্য মানুষের ফেবু পাসওয়ার্ড দখল । একটা মেয়ের স্পাইং করা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করলাম । :P ঠা ঠা ঠা B-)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

দর্পণ বলেছেন: হে হে অন্য মানুষের ফেবু পাসওয়ার্ড হইবো কেন সেলিমভাই? রুদমিলা আমার বিয়া করা বউ আছিলো না? ধুরো কি পড়লেন এতদিনে?

নিজের বিয়া করা বউ মানে তার ফেবু দেখনের অধিকার তার আছে। এখন না হয় রুদমিলা আমার গল্পের প্রাক্তন স্ত্রী। তো কি হইসে পুরুষ মানুষ হিসাবে এট্টু আধটু তার ওয়াল ইনবক্সে ঢু দেওন কি দোষের কন?


আপনি হইলে কি করতেন মিয়া ভাই। কবিতা লিখা পা ধইরা কান্নাকাটি নাকি এই একটু আধটু ফেবুতে উঁকি ঝুকি কন দেখি?

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

সুমন কর বলেছেন: রুদমিলার কাহিনী চলুক............+

সাথে আছি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

দর্পণ বলেছেন: ধ্যনাদ সুমনভাই। দেখি কতদূর চালানো যায়।

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

জেন রসি বলেছেন: রিকি বলেছেন: এটার রোম্যান্টিক এন্ডিং হতে পারে রোমিওকে জুলিয়েটের কাছে পাঠানো আর রুদমিলার সাথে বিয়ার খালুর এগেইন ফিক্স আপ, থ্রিলার এন্ডিং হবে যদি রুদমিলা আর রোমিও বিয়ার খালুকে উল্লুক বানিয়ে একই ব্যাক্তি হয়, গোথিক এন্ডিং হবে যদি বিয়ার খালু চাঁদ দেখলেই ওয়ারউলফ হয়ে যায়, রুদমিলাকে ভুলতে !! এই তিনটার মধ্যে কোনটা করতে চলেছেন খালুভাই? ;)

সবচেয়ে মজা হবে রুদমিলার যদি কোন অস্তিত্বই না থাকে!! দেখা যাবে খালু এবং রোমিও আসলে শূন্যতার সাথে বসবাস করার চেষ্টা করতেছে!! রুদমিলা চরিত্রটা হবে জাদু বাস্তব যাকে ভালোবেসে খালু এবং রোমিও হয়ে যাবে অপরাবাস্তব!! :P তবে এই গল্পের পরিনতি মনে হয় সাইন্স ফিকশনের মত হবেনা!! রোম্যান্টিক ট্রাজেডি হইতে পারে!!! :P

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

দর্পণ বলেছেন: রুদমিলার অস্তিত্ব নাই? এ হইতেই পারেনা। আমি না থাকলে না থাকমু মাগার রুদমিলার থাকনই লাগবো। X(( থাকেন মিয়া আপনে পরাবাস্তব/ অপরবাস্তব নিয়া। X(( রুদমিলা ছাড়া আমি অস্তিত্ববিহীন। নো সাইন্স ফিকশন , নো যাদু মায়া। রুদমিলা তুমি কোথায়? :((

রোমান্টিকই তো হইবো। আমি কি আপনের মত নিহি? হার্টবিটলেস।

আমার একখান হৃদয় আছে । সে হৃদয়ে আমি আজীবন তার জন্য অপেক্ষা করবো। তাহাতে করিবো বাস। :(



১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

নেক্সাস বলেছেন: ভাল লেগেছে

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাসভাই। ভালো থাকবেন।

১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩ ০
লেখক বলেছেন: তাইলে পরের পর্বের জন্য একটু অপেক্ষা করেন গেমুভাই। কিন্তু সবাই আমারে খালু ডাকে আপনি মামা কইলেন কেন?


খালু ও মামার দুরত্ব অতি দূরে নয় বলেই আমি নতুনত্ব আনতে চাইলাম। ব্যাপারটা আপেক্ষিকভাবে বিবেচনা করলে দেখবেন- মামা শব্দের চেয়ে খালু শব্দের আবেদন কম। পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে ভাই, দোস্ত, মামা শব্দগুলো আমার কাছে খুব ভালই লাগে যেটা খালু শব্দে সেরকম টান দেখি না। ঠিক আছে?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

দর্পণ বলেছেন: নো ওয়ে.........
আমি খালুই হইতে চাই। মামা চলবো না গেমুভাই। :((

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও রুদমিলাকে সুখী দেখে যেতে চাই আমি।==== সত্যিকার চাওয়া । সুন্দর । বিষম রকমের সুন্দর ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

বনমহুয়া বলেছেন: হুমমমমমমমমম!

দেবদাস!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

দর্পণ বলেছেন: দেবদাস ব্যাকডেটেড। ওল্ড ফ্যাশন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.