নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দর্পণ

দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আমার অগ্রজের কথা বলছি

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯



আমি আমার অগ্রজের কথা বলছি,
আমি আমাদের স্বাধীনতার কথা বলছি,
আমি একটি ত্যাগের কথা বলবো,
আমি এক বেদনার কথা লিখবো।

যে বেদনার কথা লেখা হয়নি কোনো ইতিহাসে,
যে ত্যাগের কথা জানেনা বড় মানুষেরা,
যে ব্যাথা এই চুয়াল্লিশ বছরের প্রতিটি দিন,ক্ষন মূহুর্ত-
কুরে কুরে খেয়েছে আমার মাকে,
ষাটোর্ধ চোখে ছানি পড়ে গেছে তার,
আমার অগ্রজের জন্য কেঁদে কেঁদে,
চোখ বুজেছেন আমার দাদী
আমার অগ্রজের শার্ট বুকে করে পাগলীনি হয়ে,
গত চুয়াল্লিশ বছর উনি উন্মাদ ছিলেন।
উনার হাত থেকেই তো ছুটে গিয়েছিলো সেদিন
ছোট্ট একরত্তি আড়াই বছরের একটি শিশুর হাত।

সে দুঃস্বপ্নে মৃত্যুর আগের দিনটি পর্যন্ত
তিনি ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করে উঠেছেন।
আমরা তার চিৎকারে, তার কান্নায়, আর কান দিতাম না।
সংসারে সবার কত কি কাজ,
একই দুঃখ নিয়ে পড়ে থাকা কোনো অশীতিপর বৃদ্ধার
পাগলামী নিয়ে পড়ে থাকলে কি কারো চলবে?

১৯৭১ এর ৬ই ডিসেম্বর, দুপচাঁচিয়া গ্রাম,
চারদিকে গোলাগুলি, আর্ত চিৎকার
রাতের আঁধারে অতর্কিত আক্রমনে,
গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছিলেন
একদল ছেলে, বুড়ো নারী ও শিশু,
প্রানভয়, আতংক, কেঁপে উঠেছিলো পৃত্থী
আমার মা, চাঁচী দাদী, সকলেই ছিলেন সে দলে
মায়ের কোলে সদ্য জন্ম নেওয়া
আমার চব্বিশ দিনের বোন আর দাদীর হাঁতে
আমার আড়াই বছরের ভাই-
ছোট্ট দু,পায়ে জোর ছিলো না বেশি তার
তবুও সে দৌড়াচ্ছিলো প্রানভয়ে অথবা
কোনো অজানা আশঙ্কায়, আতংকে-
আর সকলের সাথে, দাদীর হাতটি ধরে-


হঠাৎ আঁধারের করাল গ্রাস,
ছোট্ট মুঠিটি বিছিন্ন হলো,
কুটিল অন্ধকার, মুহুর্মুহু গুলি বর্ষন, আতংকিত জনতা
আমার ছোট্ট ভাইটির আতংকিত চিৎকার
বিলীন করে দিলো সে আঁধার।

আমার অগ্রজের নাম নেই কোনো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়,
আমার অগ্রজের নাম লেখা হয়নি কোনো ইতিহাসে,
আমার অগ্রজের এই ত্যাগ কেউ কখনও বলেনি কোনো জনসভায়,
আমার মায়ের চাঁপা বেদনার কথা, অব্যাক্ত শোক কেউ কখনও জানেনি,
আমার পাগলীনি, উন্মাদিনী দাদীর অবিরল চোখের জল
ধরে রেখেছে শুধু ঐ রুক্ষ মাটি, শুষে নিয়েছে তার শুষ্ক বুকে,
স্বাধীন,সার্বভৌম আমার বাংলাদেশের মাটি।

হয়তো সে আজও হাঁটছে এ মাটির বুকে,
স্বজনহীন, স্নেহহীন, বন্ধনহীন, একাকী,
নয়তো ঘুমিয়ে আছে চির নিদ্রায়, চির সুখে,
মমতাময়ী ধরিত্রীর চির শীতল বুকে।

আমরা কেউ জানিনা তার খবর
জানবোনা কোনোদিন-
শুধু জানি এ স্বাধীনতায় তার, আছে এক অবদান,
ক্ষুদ্র নয়,অনেক বড়, ষোল কোটী মানুষের স্বাধীনতার হাসিতে
লুকিয়ে থাকে আমার অগ্রজ।
আর আমার কান্নায়!

মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:( :( :(

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

দর্পণ বলেছেন: কান্ডারিভাই
মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ না করেও কত মানুষ শিশু থেকে বৃদ্ধ যে যুদ্ধের অংশ হয়ে গেলো। আমাদের এই স্বাধীনতায় তাদের অবদান ভুলবার নয়।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
স্মৃতির ভাষ্কর অগ্রজের স্থান হৃদয়ের মর্মকোঠরে ৷স্বাধীনতা বজায় থাকুক দ্রোহে, কর্মে, সৃষ্টিতে ৷

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

দর্পণ বলেছেন: স্বাধীনতা বজায় থাকুক দ্রোহে, কর্মে, সৃষ্টিতে ৷
জাহাঙ্গীরভাই। দারুন মন্তব্য। ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

বনমহুয়া বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা।অগ্রজ বেঁচে থাকুক না থাকুক বিশ্বেশ্বর তাকে ভালো রাখুন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

দর্পণ বলেছেন: বনমহুয়া ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: খালু চমৎকার কবিতা! অনেক ভাল লাগলো! আর সাথের ছবিটার জন্য পোস্টে প্লাস দিয়ে গেলাম!


কেমন আছেন, অনেক দিন পরে দেখলাম বলে মনে হলো?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসীভাই। ভালো নাই তেমন। তারপর আবার এখন কেমন ভয় ভয় করতেছে।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার পরিবারের ইতিহাসটাও এমনইতো তাই কিছু বলার পাচ্ছিনা। মনঃটা খুব খারাপ লাগছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

দর্পণ বলেছেন: লেখাটা যখন লিখছিলাম চোখে ভাসছিলো
একটি দু বছরের শিশু
ছোট অতটুকু শরীরেও প্রানভয়ে দৌড়াচ্ছিলো সে দাদীর হাত ধরে। জনতা ও রাতের অন্ধকারে হারিয়ে গেলো মুঠিটি।কোথায় আছে সে? নাকি বেঁচে নেই কে জানে? এইরূপ অজ্ঞাত অজানার পথ চেয়ে বসে আছেন আরও কত জননী, কত স্বজনেরা। প্রতীক্ষা ফুরোয় না তাদের।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। বিজয়ের শুভেচ্ছা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ হামাভাই।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভালো নাই তেমন। তারপর আবার এখন কেমন ভয় ভয় করতেছে।

-ভাল নেই কেন? আর ভয় ভয় করার কারণই বা কি?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

দর্পণ বলেছেন: জ্বর, কাঁশি তাই শরীর ভালো নাই। আপনার অবস্থা কি?

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ভাল লিখেছেন

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী রূপকথা।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: স্বাধীনতা তুমি আমার স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন


বিজয়ের শুভেচ্ছা

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাসভাই।

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

জনম দাসী বলেছেন: প্রথমেই বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই কাগজে নাম না ওঠা মুক্তিযোদ্ধাকে। তারপর আপনাকে। কে বলিতে পারে, কার বুকের পাঠাই বা এত বড় বিশাল। যে নির্দ্বিধায় বলে যেতে পারে অগ্রজের কথা। স্যালুট ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধা... এগিয়ে যান সফল ভাবে দেশ, মা মাটির টানে। আজ জীবনবাবুর মা, স্রধেও কুসুমকুমারীর কথাটা উল্লেখ্য না করে পাড়লাম না।

আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে...

কাজে বড় হয়ে দেখিয়ে দিলেন আমাদের দেশের কাজ বড় ছেলে। ভালো থাকুন সব সময় বাবা... অশেষ দোয়া রইলো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

দর্পণ বলেছেন: আপনার প্রতি জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

পার্থিব পার্থ বলেছেন: শুধু বলে গেলাম অসাধারন! :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

দর্পণ বলেছেন: পার্থিব পার্থ কৃতজ্ঞতা।

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার অগ্রজের নাম নেই কোনো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়,
আমার অগ্রজের নাম লেখা হয়নি কোনো ইতিহাসে,
আমার অগ্রজের এই ত্যাগ কেউ কখনও বলেনি কোনো জনসভায়,
আমার মায়ের চাঁপা বেদনার কথা, অব্যাক্ত শোক কেউ কখনও জানেনি,
আমার পাগলীনি, উন্মাদিনী দাদীর অবিরল চোখের জল
ধরে রেখেছে শুধু ঐ রুক্ষ মাটি, শুষে নিয়েছে তার শুষ্ক বুকে,
স্বাধীন,সার্বভৌম আমার বাংলাদেশের মাটি।


খুব খারাপ লাগছে। :(

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

দর্পণ বলেছেন: হুম। এসব আত্মত্যাগের বিনিময়েই তো আজ ষোল কোটী মানুষের মুখে স্বাধীনতার হাসি। শুভকামনা গেমভাই।

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

রিকি বলেছেন: হয়তো সে আজও হাঁটছে এ মাটির বুকে,
স্বজনহীন, স্নেহহীন, বন্ধনহীন, একাকী,
নয়তো ঘুমিয়ে আছে চির নিদ্রায়, চির সুখে,
মমতাময়ী ধরিত্রীর চির শীতল বুকে।


অসাধারণ খালু ভাই বরাবরের মত। মন খারাপ মনে হচ্ছে, আছেন কেমন বলেন তো??

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

দর্পণ বলেছেন: রিকি আপা কৃতজ্ঞতা। মন খারাপ এ লেখা লিখে। যেদিন লিখেছিলেন সেদিনও ছিলো আজ আবার পোস্ট করার পর খারাপ হলো।
ভালো থাকবেন সব সময়।

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

সুমন কর বলেছেন: এমন কবিতা ভালো না লেগে উপায় নেই। অসাধারণ হয়েছে।
+।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

দর্পণ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সুমন কর।

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: অসাধারণ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

দর্পণ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা কল্লোল পথিক।

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

সুলতানা রহমান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা অনেকের কথা আমরা জানিনা। তাদের শ্রদ্ধা জানাই। আপনার লিখনি ও ভালো লাগলো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

দর্পণ বলেছেন: সুলতানা রাহমান মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

পার্থ তালুকদার বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

দর্পণ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ পার্থভাই।

১৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় নাম নেই কিন্তু এমন অনেক অগ্রজ রয়ে গেছে কোন না কোনভাবে মুক্তিযুদ্ধের অংশীদার হয়ে।

তাদের সবার আত্মত্যাগেই আমাদের স্বাধীনতা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

দর্পণ বলেছেন: হা রুহীআপা। এমন অনেক মানুষই আছেন যাদের কথা লেখা হয়নি কোনো ইতিহাসে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে যায় নি কিন্তু সেই সময়ের প্রতিটি ভয়ংকর মুহুর্তের সাক্ষ্ণী সকলেই আসলে মুক্তিযুদ্ধের অংশ।

মন ছুঁইয়ে দিয়েছেন লেখাটি দিয়ে। অসাধারণ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

দর্পণ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ইষ্টিকুটুম।

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: কত ছোট ছোট দুঃখে কাতর হয়ে পড়ে মানুষ। অথচ কতজনেই বুকে লুকিয়ে রাখে কত গভীর ক্ষত। আপনাকে শ্রদ্ধা দর্পন। এমন একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেবার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

দর্পণ বলেছেন: লুকিয়ে রাখা গভীর ক্ষত। বড় সুন্দর কথা বলেছেন স্পর্শিয়া। আশাকরি ভালো আছেন আপনি। শুভকামনা আপনার জন্য।

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমি আপনার অগ্রজের কথা পড়ছি না, যেন হৃদয় দিয়ে অনুভব করছি, কাব্যের মধ্যে ডুবে গেছিঃ

//আমি আমার অগ্রজের কথা বলছি,
আমি আমাদের স্বাধীনতার কথা বলছি,
আমি একটি ত্যাগের কথা বলবো,
আমি এক বেদনার কথা লিখবো।//


আপনার মা,দাদীকে বেদনায় বিলীন হতে দেখি চুয়াল্লিশ বছর পরওঃ

//কুরে কুরে খেয়েছে আমার মাকে,
ষাটোর্ধ চোখে ছানি পড়ে গেছে তার,
আমার অগ্রজের জন্য কেঁদে কেঁদে,
চোখ বুজেছেন আমার দাদী
আমার অগ্রজের শার্ট বুকে করে পাগলীনি হয়ে,
গত চুয়াল্লিশ বছর উনি উন্মাদ ছিলেন।//


দাদীর হাত ফসকে অগ্রজ চলে যাচ্ছে, ........

//উনার হাত থেকেই তো ছুটে গিয়েছিলো সেদিন
ছোট্ট একরত্তি আড়াই বছরের একটি শিশুর হাত।//

--- এই দৃশ্যটা কল্পনায় অসম্ভব বেদনা জাগছে।
এবং দাদীর জন্য মনটা ব্যথাতুর হয়ঃ

//সে দুঃস্বপ্নে মৃত্যুর আগের দিনটি পর্যন্ত
তিনি ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করে উঠেছেন।//


আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কোথাও তার জায়গা হয়নি, কিন্তু ভাইয়ের মনে, একজন সামান্য পাঠকের মনে তিনি জাগরূক থাকবেন চিরকালঃ

//আমরা কেউ জানিনা তার খবর
জানবোনা কোনোদিন-
শুধু জানি এ স্বাধীনতায় তার, আছে এক অবদান,
ক্ষুদ্র নয়,অনেক বড়, ষোল কোটী মানুষের স্বাধীনতার হাসিতে
লুকিয়ে থাকে আমার অগ্রজ।
আর আমার কান্নায়!//


বিজয়ের শুভেচ্ছা।

ভাল থাকুন। সবসময়।


০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

দর্পণ বলেছেন: শামছুলভাই। অশেষ কৃতজ্ঞতা আবারও। আমার এ লেখা কারো হৃদয়ে এতখানি সাড়া জাগাবে ভাবিনি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নানা ত্যাগের নানা অজানা কাহিনী অস্কার প্রাপ্ত কোনো বেদনাদায়ক চলচ্চিত্রকেও হার মানাবে বোধ হয়।

এমনি এক সত্য কাহিনী- ভীত সন্ত্রস্ত জনতা যে যা পেয়েছে হাতের কাছে নিয়ে পালাচ্ছে। সঙ্গে শিশু আছে , আছেন বৃদ্ধ। আর্মীরা এ্যাটাক করেছে বা গোলাগুলির শব্দ চারপাশে। সহজ সরল নিরীহ গ্রাম্য মানুষেরা প্রান ভয়ে পালাচ্ছে। রাতের আঁধার , প্রকম্পিত জনপদ। ভীত হরিনীর মত দুরুদুরু বক্ষে কখন হাত ফসকে গেছে সঙ্গের শিশুটি বুঝা হয়নি কোনো প্রিয়জনের হয়তোবা। কয়েক সেকেন্ড বা মিনিট হয়তো।যখন বুঝেছেন তখন আর ফেরার পথ নেই, নেই ফিরে পাবার আশা। কিন্তু মন কি মানে? স্মৃতি কি ভোলা যায়?
তাই বহু বছর পরেও অনুজের হৃদয়ে জাগে হাহাকার।

শুনেছি আমাদের একজন প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পীর বড় বোনও ঠিক একই ভাবে হারিয়ে গিয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের সময়। নদী পার হয়ে পালাবার সময় রাতের অন্ধকারে হুড়োহুড়ি ভীত জনতার মাঝে নৌকায় উঠতে পারেনি সেই শিশুটি। হয়তো সে আশ্রয় পেয়েছে পরের নৌকায় বা কোনো মমতাময়ী মানবীর কোলে নয়তো বা মৃত্যুকে বরণ করেছে। জানা নেই সেই অজানা ইতিহাস। শুধু মা বাবা পূর্ববর্তী বা পরবর্তী ভাই বোনদের হৃদয়ে জ্বলজ্বল করে জ্বলে সেই গভীর ক্ষত।

২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

অদ্বিতীয়া সিমু বলেছেন: আমার অগ্রজের নাম নেই কোনো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়,
আমার অগ্রজের নাম লেখা হয়নি কোনো ইতিহাসে,
আমার অগ্রজের এই ত্যাগ কেউ কখনও বলেনি কোনো জনসভায়,
আমার মায়ের চাঁপা বেদনার কথা, অব্যাক্ত শোক কেউ কখনও জানেনি,
আমার পাগলীনি, উন্মাদিনী দাদীর অবিরল চোখের জল
ধরে রেখেছে শুধু ঐ রুক্ষ মাটি, শুষে নিয়েছে তার শুষ্ক বুকে,
স্বাধীন,সার্বভৌম আমার বাংলাদেশের মাটি।
.................++++

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ সিমু।

২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

মোঃ ইউছুফ শেখ বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল, তবে এক ধরনের চাপা আনন্দ মনে বিরাজ করছে,,! অসাধারণ

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ ইউসুফভাই।

২৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অসাধারন । শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ দৃষ্টিসীমানা।

২৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

শায়মা বলেছেন: এই লেখা প্রিয়তে রাখছি!:(

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

দর্পণ বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ।

২৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কী বলব? ভাষা নেই কোন! :(
এত চমৎকার লেখার মাধ্যমে যা ফুঁটিয়ে তুলেছেন - খুবই দুঃখজনক তা।

অসাধারণ লেগেছে কবিতাটা। +

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

দর্পণ বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত। শুভেচ্ছা।

২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কবিতা খুব ভাল লেগেছে । শুধু তারাই নয় যে সব ব্যাক্তি, পরিবার যোদ্ধাদের সাহায্য করেছিলো তাদের নামও তো ইতিহাস লেখেনি । অথচ এ কারণে তাদের উপর নেমে এসেছিল অমানষিক নির্যাতন এমনকি মৃত্যু ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

দর্পণ বলেছেন: অতি সত্য বলেছেন । তবে যারা মহৎ কিছু করে তারা তো নামের জন্য করেনা। মন থেকে করে।

২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

জুন বলেছেন: অসম্ভব এক ভালোলাগা আর বেদনায় ভরে গেল মন ।
+

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা।

২৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:

কবিতা ভাল হয়েছে ।

কিন্তু রিকি আপু এইটা কি বলল -

রিকি বলেছেন:

অসাধারণ খালু ভাই বরাবরের মত। মন খারাপ মনে হচ্ছে, আছেন কেমন বলেন তো??
:P

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াসভাই। রিকি আপা আরও কেউ কেউ আমাকে খালু বানাইতে চায়।

৩০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

রিকি বলেছেন: গিয়াস ভাই, আমরা দর্পণ ভাইকে খালু ভাই / খালু বলে ডাকি :) :) :) :) :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

দর্পণ বলেছেন: কেনো ডাকেন? কারণটাও দর্শাইতেন। তাহলে গিয়াসভাই এর জন্য সুবিধা হইতো রিকি আপা।

৩১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

কাজী মেহেদী হাসান। বলেছেন: ৭১ নিয়ে আমাদের আরও অনেক বেশি লেখা উচিত, একজন লেখক হিসেবে সে দায় সবার। আপনাকে অন্তরের ধন্যবাদ, লেখাতে ভালোলাগা

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

দর্পণ বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ কাজী মেহেদী হাসান।

৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: কবিতা না বলে এক নির্মম গল্পের ছবি ভালো তুলেছেন বলতে হচ্ছে , এমন কত সহস্র কান্না লুকিয়ে আছে আমাদের মাঝে তার কোন পরিসংখ্যান জানা হবে না কখন।

স্রদ্ধা এমন সকল অগ্রজের প্রতি

ধন্যবাদ দর্পণ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

দর্পণ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সোহেলী।

৩৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০

কিরমানী লিটন বলেছেন: অতল বেদনা আর নান্দনিক দ্রোহের চমৎকার কবিতা।মন ছুঁয়ে যাওয়া সুখপাঠ্য।অভিবাদন প্রিয় দর্পণ,শুভকামনা রইলো অনেক...

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

দর্পণ বলেছেন: আপনাকে শুভেচ্ছা কিরমানী লিটন। ভালো থাকুন।

৩৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে এই লাইনটা, 'যে বেদনার কথা লিখা হয়নি কোন ইতিহাসে'

শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

দর্পণ বলেছেন: হা তার কথা লেখা হয়নি কোনো ইতিহাসে
তার কথা জানেনা কেউই...

ধন্যবাদ উল্টা দূরবীনভাই।

৩৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

যাযাবর রাজা বলেছেন: এক কথায় অতুলনীয়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

দর্পণ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

আরজু পনি বলেছেন:

খুব ভালো লাগা রইল ।
বিজয়ের সুফল যেনো এদেশের প্রতিটি মানুষ পায় ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

দর্পণ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ পনি। কৃতজ্ঞতা।

৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লাল সালাম মুক্তিযুদ্ধের মহান স্থপতিদের আর কবিতার জন্য ধন্যবাদ । সুন্দর +

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিমভাই।

৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার লাগলো । শুভেচ্ছা বিজয়ের ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য তুষার কাব্য। ভ্রমন কেমন চলছে?

৩৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনেক বীরমুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় নেই । সার্টিফিকেট নেননি অনেকে । আবার না করেও সার্টিফিকেট ধারী হয়ে ঠিকই ফায়দা লুটেছে অনেকে । প্যাথেটিক ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

দর্পণ বলেছেন: এইভাবেই
দুঃখ সুখের ঘাটে ঘাটে এসে দেখি কতই জোয়ারভাটা......

৪০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

নিমগ্ন বলেছেন: ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪ ০
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসীভাই। ভালো নাই তেমন। তারপর আবার এখন কেমন ভয় ভয় করতেছে।

খালু___________________

আপনে ইতনা ডর হুঁ ক্যায়?? ম্যায় হুঁ না? আইজকা আরেকখান ঝটকা আছে ঠিক রাত্তির ৮-৯-১০টায়। ;) ;)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

দর্পণ বলেছেন: বেশি ঝটকা ভালো নারে ভাই। লেবু বেশি চিপলে তিতা তিতা লাগে।

৪১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: স্বাধীনতা তুমি আমার স্বজন
হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন

বিজয়ের শুভেচ্ছা।

লেখাটি এককথায় দারুণ।মন খারাপ করে দেওয়ার মতো অসাধারন লেখা।ভিতরটাকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো।এরকম অগ্রজদের প্রতিও রইল বিনম্র শ্রদ্ধা...

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

দর্পণ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ রুদ্রভাই।

৪২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

৪৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে কবিতা। মনে হল মুক্তিযুদ্ধ দেখছি। ধন্যবাদ।

৪৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ফাল্গুনের শুভেচ্ছা

আর ভালবাসা দিবসের আগাম শুভ কামনা।

৪৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

বিজন রয় বলেছেন: অসসম্ভব সুন্দর।

বিলম্বিত অভিনন্দন।

৪৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগা +

৪৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয় মোচড়ানো কবিতা! এরকম কত যে অগ্রজের চিরপ্রস্থান আমাদের নীরবে মেনে নিতে হয়েছে!
২১ নং প্রতিমন্তব্যে আরেকটি হৃদয় ভাঙ্গা গল্প শোনালেন, সেটিও কত বেদনাদায়ক! কতটা ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা, তার সঠিক পরিমাপ কখনো সম্ভব হবেনা। এসব ত্যাগ যেসব পরিবারকে করতে হয়েছে, তারা কয়েক পুরুষ ধরে বয়ে নিয়ে বেড়াবে এর গভীর ক্ষত।
শিরোনামের নীচের ছবিটা খুবই অর্থবহ; ভাল ছবি সিলেক্ট করেছেন।
ব্লগে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করাটা অসমীচীন, তবুও জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, কবিতায় ব্যক্ত ঘটনাটি কি সত্যি সত্যি কবির ব্যক্তি জীবন থেকে নেয়া, নাকি অন্য কারো জীবনের ঘটনা কবি পরম মমতায় তার কবিতায় তুলে এনেছেন?
প্রোপিকটা যেন কেমন! চেঞ্জ করা যায় না?


৪৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই লেখাটা পোস্ট করেছিলেন প্রায় তিন বছর আগে। নতুন আর কোন লেখা পোস্ট করছেন না কেন? আশাকরি, শীঘ্রই আপনার আরেকটা নতুন পোস্ট এখানে দেখতে পাবো।

৪৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৩

শায়মা বলেছেন: এই লেখকের আর কোনো লেখা দেখা যাবেনা খায়রুলভাইয়া। :)

লেখক ঘুমিয়ে আছেন...... ষড়ঋতু নিদ্রায়.......

জাগিবেন না .......:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.