![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি খবর সবার? সবাই কে আমার শুভেচ্ছা.. এটা আমার প্রথম ব্লগ। সবাই নিশ্চই ভাবছেন ঘটনা কি এই ছেলে এতো কিছু থাকতে ডেটিং নিয়ে অস্থির হলো কেন? আসলে আমি কি লিখব কিছুই খুজে পাচ্ছি না, তাই ভাবলাম আমার এই অভিজ্ঞতাটাই সবাইকে বলি। তবে ভাইয়েরা কাহিনীতে কইলাম টুইস্ট আছে....মজাও পাবেন আর শিক্ষাও পাবেন, বিষেশ করে যারা আমার মত অতিবোকা...থুক্কু অতিশয় ভালছেলে। তাহলে শুরু কর
আমার কপালটা ভাই এক্কেবারেই পোড়া.. স্কুল গেল, কলেজ গেল.. কতজন কে ভালও লাগলো কিনতু এই অভাগার ভাগ্যে প্রেম জুটলো না.... তো ইন্টার পরীক্ষার পর একটা মেয়ে আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হল। বলেছিলাম না পোড়া কপাল!... মেয়ের হাইট আমার অর্ধেক না হলেও তার কাছাকাছিই হবে। তাতে অবশ্য আমি খুব একটা দমে গেলাম না, ভাবলাম বন্ধু সে যেমনই হোক বব্ধু তো.... যাই হোক আমাদের বন্ধুত্ব ভালই চলছিল। ও আমার বাসায় আসে আমিও যাই ওদের বাসায়। দিনে দিনে ওর আচরনে কেমন যেন একটা রোমান্টিক ভাব আসতে লাগলো... আমি অবশ্য না বোঝার ভান করেই থাকলাম.... একদিন হঠাৎ ও বল্লো চল ডেটিং করে আসি.... আমি তো হা হয়ে গেছি ততক্ষণে, বোলে কি মেয়ে... আমি কি তোর প্রেমিক নাকি? আমার লাজুক উত্তর। ও বল্লো ডেটিং করতে হলে প্রেমিক প্রেমিকা হতেই হবে এটা কে বলেছে? অকাট্য যুক্তি...যাই হোক মুখে যাই বলি না কেন আমার কিনতু খুব ইচ্ছা হচ্ছিল, জীবনে প্রথম কোন মেয়ে ডেটিং এর প্রস্তাব দিয়েছে, না করার কোন চান্স নেই।
আমি সেদিন থেকেই টাকা জমানো শুরু করে দিলাম (আমি আবার খুব গরীব ছেলে ছিলাম কিনাকারণ আমাকে বাসা থেকে এক্কেবারে গুনে গুনে টাকা দিতো... আর আমার বন্ধুরা স্যারদের টাকা মেরে বই কেনার কথা বলে টাকা মারতো, আমি সেগুলোও আয়ত্ব করতে পারিনি.... তাই গরীব).....তো ডেট আসতে আসতে সর্ব সাকুল্যে আমার জমলো ২০০ টাকা... আমি ভাবলাম মোর দ্যান এ্যানাফ
.... আমি সেজে গুজে চলে গেলাম ওর কলেজের সামনে, মিরপুরে। এবার কোথায় যাই?... রিকসায় করে চন্দ্রিমা উদ্যানে যাব ঠিক করলাম। তখন ক্রিসেন্ট লেকে নতুন ব্রিজ টা হয়নি, তাই ঐদিকে যাওয়ার কথা মনে পড়েনি, তখন আবার মেইন রোড থেকে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের দিকের কোণার দিকে একটা ছোট গেট ছিলো উদ্যানে ঢোকার.... আমরা সেদিক দিয়েই ঢুকলাম... বসে পড়লাম একটা গাছের নিচে.. নিজেকে কেমন যেন বড় বড় লাগছে.... এতদিন রোড দিয়ে যাবার সময় কত জোড়া দেখেছি আর ভেবেছি সারাদিন ওরা এতো কি গল্পো করে? এতো কথা এরা পায় কই? আজ আমি এই সব প্রশ্নের উত্তর পাব.... এই সব সাত পাচ ভাবছি বসে বসে। আর ভাবছি এখন কি বলব আর কি করবো। ওর মনেও বোধহয় এইসব ই ঘুরছিল... ওও চুপচাপ... এমন সময় এক নিরীহ চেহারার ছেলে এসে দাড়ালো পাশে, আমি তাকাতেই সুন্দর করে বল্ল মামা কি খাইবেন? চটপটি, কোক দেই? ও কিছু খাবেনা জানালেও আমি বল্লাম ২টা কোক দিতে.... ছেলেটা কিছুক্ষণ পরেই ২টা ক্যান নিয়ে আসলো এবং কি্ছু বলার আগেই মুখ খুলে আমাদের সামনে রেখে চলে গেল। যাই হোক আমি হিসেব করে দেখলাম ২টা ক্যান ২০ টাকা করে ৪০ টাকা। কোন অসুবিধা নেই, যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে পকেটে। খাওয়া শেষ হবার আগেই ছেলেটা বিল চাইতে আসলো... আমি ৫০ টাকার ১টা নোট দিয়ে চিন্তা করছি বাকিটা টিপস দেবো কিনা.... হাজার হলেও প্রথম ডেটিং... ইমপ্রেশন এর ১টা ব্যাপার আছে
..... কিনতু আমার সব চিন্তা ভাবনায় পানি ঢেলে ছেলেটি বলে উঠলো মামা কি দ্যান?..... আরও ৩৫০ টাকা দ্যান... আমি সিওর তখন আমার বেশ কয়েকটা হার্টবিট মিস হয়েছিলো
..... আমি খুব অবাক হয়ে বল্লাম মানে কি ভাই? কিসের টাকা?... ছেলেটির উত্তভ হল এইগুলা দেশী কোক না বিদেশি কোক, দাম ২০০ টাকা করে.... আমি বল্লাম কিনতু আমি তো বিদেশি চাই নাই আর ক্যানএ তো বাংলাদেশ লিখা? মামা অত কিছু বুঝিনা টাকা দ্যান... তাকিয়ে দেখি ইতিমধ্যে আরও ৫-৬টা ছেলে ামাদের ঘিরে ধরেছে... ওদের মধ্যেই কেউ একজন বোলেছে কথাটা। আমি খুব ঘাবড়ে গেলাম.... তারপর পুরো মাণিব্যাগ ওদের কে দিয়ে মাথা নিচু করে চলে এসেছিলাম সেদিন....
©somewhere in net ltd.