নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা ক্ষমতাহীন শক্তি

কিছু লিখতে চেষ্টা করি । যা প্রকাশ করিনি তাই লিখবো । মনের কথা / ক্ষোভ প্রকাশ করবো ।

নব্য ভদ্রলোক

গণতন্ত্রের সৈনিক ।

নব্য ভদ্রলোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শকুনির মত আমাদের দিকে তাকাবেন না । নূরে আলম সিদ্দিকী

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩

প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, দুই দাম্ভিক ও পরশ্রীকাতর নারীর নেতৃত্ব থেকে জাতি মুক্তি চায়। তাদের মধ্যে কোনদিন সমঝোতা সম্ভব নয়। তারা মানুষের জন্য নয়, গণতন্ত্রের জন্য নয়, সার্বভৌমত্বের জন্য নয়, শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য এই সংঘাতের সৃষ্টি করেছেন। ক্ষমতার জন্য দুই বিশেষ পরাশক্তির কাছে তারা দেশের মানুষের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখে আমাদের প্রবাসী সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তারা। আমরা তাদের বন্ধু হয়ে থাকতে চাই। কেউ তাদের ক্ষতি করতে চাইলে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে ঋণ শোধ করবো। কিন্তু সাবধান! আমাদের দিকে শকুনির মতো চাইলে জনসমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ভাসিয়ে দেয়া হবে। আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশকে সিকিম, ভুটান বানানোর জন্য আমরা স্বাধীনতা চাইনি। এদেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় নূরে আলম সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। গতকাল বিকালে রাজধানীর ওয়ালসো টাওয়ারে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ রশিদ, এজাজ আহমেদ মুক্তা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভাপতির বক্তব্যে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অবিভক্ত বাংলার এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। কিন্তু তার সংগঠনের মূল ছিল বাংলাদেশে। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। তার কাছ থেকে আমি শিখেছিলাম, গণতন্ত্র হচ্ছে সহনশীলতার পরীক্ষা। আজ সেই সহনশীলতার শিক্ষার এত অভাব সৃষ্টি হয়েছে যে, দেশের শাসনতন্ত্র, সংবিধান থেকে শুরু করে ৬০ বছরের সংগ্রামের ঐতিহ্য মৃতপ্রায় অবস্থা হয়ে গেছে। আজ সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করেছেন, যে দেশে গণতন্ত্রই মৃত, সে দেশের মানসপুত্রের স্মরণসভা করে কি লাভ? আমি খুবই ব্যথিত হৃদয়ে বলতে চাই, এই স্বাধীনতার জন্যই কি এত ত্যাগ করেছিলাম? সেই হত্যা, মৃত্যু, দগ্ধ লাশ এখনও আছে। ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা বলেন, দুই নেত্রীর কারণে দেশ আজ সামাজিক বিপর্যয়ের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি দুই নেত্রীকে বলছি, আপনারা আগুন নিয়ে খেলবেন না। এবারের বিপর্যয় এমন অবস্থায় যাবে যে, সাধারণ মানুষের চেয়ে আপনাদের জন্য আরও মারাত্মক হবে। আমি আপনাদের কাছে সমঝোতা চাই না। আপনারা জনগণকে ক্ষমা করেন। আপনারা দুই জনই রাজনীতিতে এসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারেন কিন্তু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের তালিকায় থাকতে পারবেন না। জনগণের ভাষা যারা বোঝে না তারা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, জননেত্রী হতে পারেন না। যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন, তারা আর যা-ই হোক দেশনেত্রী হতে পারবেন না। ইতিহাস বড় নির্মম। অনন্তকাল পর্যন্ত এটাই শেষ কথা। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনার একমাত্র স্লোগান। কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এত বিলম্ব করলেন? খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন, বিরোধী দলে যাওয়ার পর কেন সংসদে যাননি। আপনি ক্ষমতালোভী- এটাই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আপনার দলের সমস্ত সংসদ সদস্যকে নিয়ে তখনই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। তা করেননি। নাচতে নেমে ঘোমটা দিয়ে লাভ কি? তিনি এরশাদের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যিনি সবচেয়ে অনির্ভরযোগ্য লোক- সকালে এক কথা, দুপুরে এক কথা, সন্ধ্যায় এক কথা বলেন। এখনও নিশ্চিত নন যে, তিনি তার এই সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন কিনা! যদি তিনি অটল থাকেন তাহলে ইতিহাসে একটি সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য তার নাম লেখা থাকবে। আমি তাকে এই সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি আমার বুকের রক্ত দিয়ে লিখে দিতে পারি, এই একতরফা নির্বাচন ৫ই জানুয়ারি হবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.