![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের পোষ্টগুলি চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য মাত্র। চিকিৎসকের পরামর্শ হিসাবে গ্রহন করা বান্ছনীয় নয়। শারিরীক সমস্যায় দয়া করে সামনা সামনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন
( Urine) বা প্রস্রাব
দীর্ঘদিন পর আবার লেখার জগতে আসতে পারলাম। আশা করছি নিয়মিত লেখতে পারবো। একটি বিশেষ সিরিজ কোন পরীক্ষা কেন করছেন লেখতে চাই।
যে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পরীক্ষা করতে হয়। বেশীরভাগ সময় কোন পরীক্ষা কেন করছেন সেটি বলার সুযোগ বা সময় চিকিৎসক পান না। উন্নত বিশ্বে অবশ্য চিকিৎসক কেন পরীক্ষা করছেন বা ওষুধ দিচ্ছেন সেটি রোগীকে জানানো বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশে রোগীর চাপ এত বেশি থাকে যে রোগীকে বুঝানোর সময় পাওয়া কঠিন। আমি চেষ্টা করবো সব পরীক্ষাগুলোর ব্যাপারে প্রাথমিক ধারনা দেবার। আশা করছি আমার লেখাগুলি আপনাদের কাজে আসবে।
প্রথমে বলতে চাই ইউরিন (Urine) বা প্রস্রাব পরীক্ষার ব্যাপারে
Urine RME বা প্রস্রাবের সাধারণ পরীক্ষা :
সাধারনত প্রস্রাবের পরীক্ষা বলতে এই পরীক্ষাটি করা হয়। দিন বা রাতের যে কোন সময় প্রস্রাব দিয়ে পরীক্ষাটি করা যায়। এই পরীক্ষা থেকে যা জানা যায় তা হলো,
প্রস্রাবে কোন ইনফেকশন বা জীবাণু আছে কি না। প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাচ্ছে কিনা।
প্রস্রাবের সাথে চিনি ( Suger) বা প্রোটিন ( Protein) বা পূঁজ আছে কি না।
সাধারনত জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া, ডায়াবেটিস রোগীদের, বাত রোগীদের, কিডনি রোগ এ প্রস্রাবের সাধারন পরীক্ষা করা হয়। কোনো বিশেষ নির্দেশ না থাকলে প্রস্রাব দেয়ার ক্ষেত্রে একেবারে শুরুর বা শেষের প্রস্রাবটি না ধরে মাঝখানের প্রস্রাব টি পরীক্ষায় দিতে পারলে ভালো হয়।
প্রস্রাবের বিশেষ পরীক্ষা
Pregnancy বা গর্ভ সঞ্চার হয়েছে কিনা সেটা প্রস্রাবের পরীক্ষায় জানা হয়। এই পরীক্ষার জন্য সকল বেলার প্রথম প্রস্রাব নিতে হয়।
কালচার ( Culture) - প্রস্রাবে জীবাণু থাকলে কোন ধরনের জীবাণু আছে এবং কোন ওষুধে জীবাণুটি মারা যায় সেটি জানার জন্য এই পরীক্ষাটি করা হয়। এটির রিপোর্ট পেতে 3 দিন বা 7 ঘন্টা সময় লাগে।
প্রস্রাবের লবণ ( Na, K ) পরীক্ষা করা হয়, রক্তে লবণের পরিমান কমে গেলে এই পরীক্ষাটি করা হয়।
২৪ ঘন্টার প্রস্রাব ধরে রেখে প্রস্রাবের প্রোটিন বা copper কপার মাপা হয়। কিডনি রোগ, জন্মগত রোগ Willson Disease এ এই পরীক্ষা করা হয়। সকাল বেলা প্রথম প্রস্রাব করার পর থেকে পরীক্ষাটি শুরু হয় এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টার সব প্রস্রাব ধরে রাখতে হবে।
সকল প্রকার মাদকের যাচাই প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। মাদক গ্রহনের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মাদক নির্ণয়ের পরীক্ষাটি করলে সঠিক ফল পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও প্রস্রাবে আরো কিছু পরীক্ষা করা যায় কিন্তু সেগুলির ব্যাপারে জানা অপ্রয়োজনীয়।
Writer Profile
আমার লেখা বই
Type 1 Diabetes
Diagnosed with Diabetes, Now What!
Pregnancy and Diabetes
Type 2 Diabetes
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দারুণ কিছু জানা গেল। আচ্ছা কিডনিতে কি প্যারাসাইট থাকতে পারে? থাকলে তার সমন্ধেও কিছু জানিয়েন!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
রাকীব হাসান বলেছেন: কছিুখন পরছি