নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিক পৃথিবীর জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না

মানবতার জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু খুনীর দৌহিত্র ছাত্রলীগ সম্পাদক, বিএনপিপুত্র সভাপতি!

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৪


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে ১৫ আগষ্টে স্বঘোষিত হত্যাকারী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন এটা মুজিব বর্ষের উপহার। ইতোমধ্য তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় অনুযায়ী ফাঁসির দন্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া চলছে।

কিন্তু এরই মধ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এতোদিনে আওয়ামী লীগের দুর্গে আশ্রয় পেয়েছে খুনী মাজেদেরই নাতি। তিনি মুজিবুল্লাহ ওরফে পলাশ বিশ্বাস, মাজেদের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি।

২০১৭ সালে সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের ওই কমিটি অনুমোদন দেয়। এতে পলাশ বিশ্বাসকে সাধারন সম্পাদক ও নজরুল ইসলামকে সভাপতি করেন। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পরপরই গণমানুষের মুখপত্র দৈনিক ফেসবুকে প্রকাশিত হয় যে উপজেলা কমিটির এই দুই নেতাই সরকার বিরোধী পরিবারের।

পলাশ বিশ্বাস হলেন বঙ্গবন্ধুর খুনী মাজেদের চাচাতো ভাইয়ের মেয়ের ঘরের দৌহিত্র। ফেসবুক তখনই বিষয়টি ব্যাপক আলোড়িত হলে ২০১৭ সালের ২২ মে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদক সোহাগ-জাকির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা কমিটি স্থগিত সহ সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।

এরপর শোভন-রাব্বানি কমিটি এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত নাহিয়ান-লেখক কমিটিও বোরহানউদ্দিনে স্থগিত প্রত্যাহার বা নতুন কমিটি দেননি।

যদিও নিজেদের সভাপতি ও সেক্রেটারি দাবি করে নজরুল-পলাশ বিশ্বাস কার্যক্রম পরিচালনা সহ ইউনিয়ন, পৌর কমিটি অনুমোদন দিচ্ছেন। দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। এমনকী স্থানীয় এমপিও তাদের বৈধ কমিটি হিসেবে দলীয় কর্মসূচীতে রাখছেন। গত সাড়ে তিন বছরে এমনটা চলে আসলেও সবাই বঙ্গবন্ধুর খুনীর নাতির কথা ভুলে যায়।

তবে নতুন করে আলোচনায় আসে খুনী মাজেদ গ্রেপ্তারের পর।

অন্যদিকে বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের বাবা আবদুল বারেক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে (২০০১-০৬) সাল পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন পৌরসভা বিএনপি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওই ওয়ার্ডেই তৎকালীন এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের বাসভবন। সঙ্গত কারনে হাফিজ ইব্রাহিমের আস্থাভাজন বা কাছের লোক ছিলেন বারেক। এখন তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও ছেলে কিন্তু উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি!


প্রশ্ন আসে- বাবা রাজাকার হলে ছেলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হতে পারবে না? আবার বাবা বিএনপি হলে ছেলে আওয়ামী লীগ করতে পারবে না?

কিন্তু বাংলাদেশের সরকারি চাকরি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে গোয়েন্দাদের ভেরিফিকেশনে কিন্তু নিজের দলীয় পরিচয়ের পাশাপাশি পারিবারিক দলীয় পরিচয় চাওয়া হয়। পরিচয় সরকারপন্থী তো সবঠিক।

সেটাই যদি হয় তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনী পলাশ বিশ্বাস বা বিএনপি নেতার ছেলে নজরুলের বিষয়টিকে সরকার কিভাবে নিবে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬

বংগল কক বলেছেন: রাজাকারের নাতি যদি সরকার দলীয় লোক হইতে পারে, তাইলে ক্যাপ্টেন মাজেদের নাতি লীগ হইতে সমস্যা কি?

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৩

বোবাকান্না বলেছেন: সেটাই তো বলছি

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আসামী ধরা পড়ছে। এটাতেই আমি খুশী।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১২

বোবাকান্না বলেছেন: আমিও খুশী

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এসব স্বাভাবিক ঘটনা

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৩

বোবাকান্না বলেছেন: স্বাভাবিক অবস্থাতে থাকলেই ভাল

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জামাট-শিবির টাকার বিনিময়ে গোপনে ছাত্রলীগে আম্লিগে ঢুকতে পারলে, এই ভাতিজার পুতে কি দুষ করলো?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

বোবাকান্না বলেছেন: বাংলাদেশে সবই সম্ভব!

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাহির হবে :D

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

বোবাকান্না বলেছেন: হচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.