নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিক পৃথিবীর জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না

মানবতার জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাতে দুর্নীতি পরিশুদ্ধ হয়!

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১২:৪৪

মঙ্গল সাব ব্যাপক ক্ষমতাধর। সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারী, সন্ত্রাস সাপ্লাই, ভূমিদস্যুতা সব কাজেই তার বাহুবল রয়েছে। সে সুবাদে পেয়েছেন দলীয় পদবীও। তবে তাতেও মন ভরেনি। টাকা উড়িয়ে একবার এমপি ফরম কিনেছেন তো এক্কেবারে আইনসভার সদস্য। হ্যাটট্রিকের পথে, এবার ঠেকায় কে?

বিলাসী নেতা হেলিকপ্টারে করে প্রতিমাসে নির্বাচনী এলাকা ভ্রমণে যান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কমিশন, সড়ক ও জনপদ, এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল, ত্রাণ ও দূর্যোগসহ সব সরকারি প্রকল্পে তিনি মিস্টার ১৫ পারসেন্ট। কার এমন সাধ্য আছে তার নির্দেশনা এড়িয়ে যাওয়া।

স্কুলের দপ্তরি নিয়োগ, গরীবের প্রকল্পের টাকা, স্কুলের মাঠ ভরাট না করেও শতভাগ টাকা পকেট ভর্তি করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তার সহযোগী।

তবে ঈদ এলে দারুণ বদলে যান মঙ্গল, গরীব-দুঃখীদের জন্য ত্রাণ, কাপড়, খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন গ্রামে গ্রামে। ছদ্মবেশী গরীব বা দলীয় কর্মীরাও এতে বাদ পড়েন না। হাটে-বাজারে এজন্য মঙ্গলের নাম-ডাকও ভাল। বুড়ো-বুড়িরা সুনাম করে, "এমপি সাব একা খায়না, গরীবের দিকেও নজর রাখে।"

এমপি সাব প্রতিবার হজ্ব পালন করেন, স্ত্রী-সন্ত্রান, বাবা-মা পরিবারের সবাই হাজী। পোস্টার সাটানো হচ্ছে নামের সঙ্গে আলহাজ্ব যুক্ত করে। নেকী মানুষ, পাঞ্জাবি-পাজামা পড়ে ঘুরে বেড়ান। পাড়া-মহল্লার মসজিদ, মক্তব কিংবা মন্দিরে দু'হাতে টাকা বিলান। ধর্মসভার রক্ষকেরাও প্রফুল্ল। এমপি সাব দুর্নীতি করেন তাতে কী গরীব-দুঃখী, আল্লার কাজে ব্যয় করেন। নিজেও ধার্মিক। জুম্মার খুতবায় তার জন্য দোয়া হয়, মাহফিলে বড় বড় পীর সাহেবরা দু'হাত তুলে পাপ মোচন বা বেহেসতের টিকিট চান।

মুসল্লিরা বলেন, যাকাত প্রদানের মাধ্যমে এমপি সাবের দুর্নীতি পরিশুদ্ধ হয়ে গেছে। এখন মানুষ দোয়া করবে। তার চৌদ্দ পুরুষ বেহেসত পাবেন। মারহাবা।

গ্রাম কিংবা শহরে ঈদ উৎসবে এমন এমপি কিংবা জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, আমলাদের যাকাতে মানুষের মুখে হাসি ফোটে। কেউ কেউ দানবীর হাতেমতায়ী, কেউবা মানবতার মহানায়ক, মানবতার বাতিঘর খেতাবও পাচ্ছেন। কিন্তু ধর্ম কি বলে, যাকাত দিলেই কি দুর্নীতির সম্পদ পরিশুদ্ধ হয়। তাহলে আসুন দুর্নীতি করি পকেট ভরি, বছর শেষে দান-খয়রাত করি!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২২ রাত ১:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: “O you who have believed, do not consume one another's wealth unjustly but only [in lawful] business by mutual consent. And do not kill yourselves [or one another]. Indeed, Allah is to you ever Merciful. And whoever does that in aggression and injustice - then We will drive him into a Fire. And that, for Allah, is [always] easy.” (Sura: An-Nisa: 29-30)

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১১:৪৪

বোবাকান্না বলেছেন: We believe in religion, but involve all kinds of evil deeds to be happy in the world.

২| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ৮:১৭

বিজন রয় বলেছেন: যে বেশি পাপ করে যে হজ্বে যাওয়ার জন্য বেশি আগ্রহ দেখায়।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১১:৩৪

বোবাকান্না বলেছেন: সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তবে এই সংখ্যাটা কম না

৩| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: একজন ইউটুবার ফেইস অব দ্যা পিপল কে দেখলাম কিছু হুজুরদের নিয়ে যাকাত কি টাকায় দিবে নাকি পন্যে এই নিয়ে ঘাম ঝড়াচ্ছে। যার যা দরকার অথবা যার কাছে যা আছে তা দিয়ে যাকাত দিবে এই সহজ কথাটা বোঝানোর জন্য ৫ জন মানুষ ৩ ঘনটা ব্যয় করেছে। এদের জন্য ইসলাম দুর্বল হয়ে মদিনার দিকে অসহায় হেটে যাচ্ছে।

যাই হোক পোসটের জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১১:৩৬

বোবাকান্না বলেছেন: যাকাত নিয়ে ঘণ্টা ব্যয়! এটা নতুন কি শেখার আছে?

৪| ০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রশ্ন করলেন? অভিমান ঝাড়লেন? না অনুসিদ্ধান্ত নিলেন!!!

নামধারী পোষাকী মুসলমান এবং নামধারী আলেমদের একটা শ্রেনী যদিও এই গড্ডালিকা প্রবাহে
গা ভাসিয়ে চলছেন, প্রয়োজন মতো ইসলামের নামে পোষাকি কাষ্টমাইজেশন করে নিজেদের মনকে প্রবোধ দিচ্ছেন,
কিন্তু সত্য তো তা নয়। যদি কোটি কোটি লোকও সেই প্রবাহে ভেসে যায়- সত্য বদলাবে না।

এই মন্দ মোনাফেক শ্রেণীটির প্রতিনিধিত্ব করছে, ভালবাসছে, বা প্রশ্রয় দিচ্ছে সকলেই সেই পাপে অংশীদার।

যার প্রয়োজন সে সত্যকে খুঁজেই বের করে এবং পালন করে নিজের কল্যানের জন্যেই।


ঈদের শুভেচ্ছা রইলো

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১১:৩৭

বোবাকান্না বলেছেন: অভিমান এবং প্রশ্ন দুটোই, মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

৫| ০২ রা মে, ২০২২ বিকাল ৪:১১

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের বাঙালীদের মাঝে এই ভাবনা খুব আছে । সারা বছর দুর্নীতি করমু তারপর যাকাত দিমু । ব্যাস চ্যাল চ্যালায় বেহেস্ত । আরও একদল আছে । সারা জীবন পাপ করবে তারপর সেই পাপের টাকায় বুড়া বয়সে যাবে হজ্জ্ব । লক্ষ্য থাকবে যদি সেখানে মারা যায় তাইলে সোজা যাবে বেহেস্ত !
এতো সোজা !

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১১:৩৭

বোবাকান্না বলেছেন: অনেকে সোজা মনে করছে

৬| ০২ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

নীল আকাশ বলেছেন: হারাম টাকা হারাম। এই টাকায় যাই করা হোক না কেন কোনো লাভ নেই।
হজ্জের জন্য হালাল টাকা লাগবে। না হলে আদায় হবে না। দান খয়রাতের বেলাও একই নিয়ম।
ধন্যবাদ। আমাদের সমাজের কিছু নগ্ন সত্যকে তুলে ধরেছেন।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১১:৩৮

বোবাকান্না বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.