| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোবাকান্না
মানবতার জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে
ধর্ম, রাজনীতি এবং জঙ্গিবাদ। পরস্পর বিরোধী হলেও বাংলাদেশে 'ডেসটিনি ২০০০' বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের মতো (এমএলএম) প্রতারণা নির্ভর ব্যবসা। সরকার, বিরোধীদল, পুলিশ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং ভারত-আফগানী দালাল শ্রেণী বংশপস্পরায় এই ব্যবসায় জড়িত। পুঁজি অভিনব ন্যারেটিভ তৈরি বা উপস্থাপন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী ধর্মের ইশ্বর বা জাতিরপিতা শেখ মুজিব বা যোগ্য কন্যার বিরোধিতাকারী ইসলামিস্টদের দমন। আহলে হাদিসপন্থী তাহেরি বা হেলিকপ্টার মার্কা ওয়াজ ব্যবসায়ীদের লালন-পালন করা হতো। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে মামুনুল হকদের ফাসিয়ে সুড়সুরিতে ভরপুর গল্প তৈরি করা হলেও হেফাজতের একাংশকে অর্থ-জমিদান করা হয়েছিল। বিনিময়ে ইসলামবিদ্বেষী ভারতীয় মোদী সরকারের আর্শিবাদপুষ্ট হাসিনা পেয়েছেন কওমী জননী খেতাব।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সহ মতাদর্শের বিরোধিতাকারীদের কপালে 'জঙ্গি' তিলক দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকারের পুলিশ প্রধানের ভাষায় হলি আর্টিজান সহ জঙ্গি জঙ্গি নাটকের স্ক্রিপ্ট মঞ্চস্থ হয়েছিল।
এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা গেছে- আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বকে দেখানো হয়েছে তোমরা মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গি মারছো; আমরাও মারছি। সুতরাং মৌলবাদী বা ইসলামিক সন্ত্রাস দমনে তোমাদের-আমাদের মধ্যে দারুণ মিল রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ।
আবার ভারতকে দেখানো হয়েছে- তোমাদের দেশের ওপর হুমকিস্বরূপ জঙ্গি আমরা মশার মতো মারছি। এরা ইসলামিস্ট। ইসলাম দমনে আমরা কঠোরতা দেখাচ্ছি। সুতরাং হাসিনা সরকারের আমলেই ভারত নিরাপদ।
গুম-খুন করে বিরোধীদল দমনেও কারিশমাটিক ছিলেন হাসিনা সরকার। এসবের নেপথ্যে ছিলেন র্যাবের জিয়াউল আহসান, এম সোহায়েল এবং দীর্ঘসময়ে ডিবি ও কাউন্টার টেররিজমে আস্থানা গেড়ে থাকা মনিরুল ইসলাম, মনিরের শিষ্য ছানোয়ার হোসেন, মশিউর রহমানরা। আর এসব নাটক উপস্থাপন করতেন একদল সাংবাদিক। তাদের কাজই ছিল পুলিশের সাপ্লাই দেয়া তথ্য অনুসন্ধানের নামে জাতিকে গলাধ:করণ।
পুলিশ তিন লাইন গল্প সরবরাহ করলে এরা ১০০ লাইন লিখে ফেলতো। তাদের মধ্যে অন্যতম নুরুজ্জামান মন্ডল ওরফে নুরুজ্জামান লাবু। কাজ করতেন 'বাংলা ট্রিবিউন' নামক অনলাইনে, মালিক যশোরের বিনাভোটের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ।
এই লাবু ছিলেন মনিরুল ইসলামের পেইড সাংবাদিক। প্রতিদিন ডিবি অফিসে ঘুরেফিরে একখান চোথা নিয়ে লিখে ফেলতেন মহাবিশ্বের গল্প। এসব গল্প নিয়ে আবার বইও লিখেছেন, যার উদ্বোধক ছিলেন স্বয়ং মনিরুল ইসলাম নিজে। মানে পুলিশের বিনিয়োগে বড় প্রজেক্ট। যাতে ভুক্তভোগী বা আসামীদের যত সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে তার বেশির ভাগই পুলিশের হেফাজত বা রিমান্ড চলাকালে। মনিরের আর্শীবাদ ও অর্থপুষ্ট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যাকালী (পিলু) মাস্টার্স করেছেন ক্রিমিনলজিতে।
কিন্তু বিধিবাম! মনির-বিপ্লবেরা ভারতে পালিয়েছে। জঙ্গিরাও আকাশে উড়ে গেছে। নিউজের খাতা শুণ্য। কাজী নাবিল উধাও। মন্ডলের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল তার তৃতীয় বৌ নিয়ে আমেরিকা উড়ে গেছেন সেই হাসিনার আমলেই। বেতন বন্ধ, পুলিশের মায়নাও আটকে আছে। এরই মধ্যে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি 'জঙ্গি হামলার' গল্প সাজিয়েছে নুরুজ্জামান মন্ডল ওরফে নুরুজ্জামান লাবু। জঙ্গিরা তাকে মেরে ফেলবে।
মানে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় বা এসাইলামের পথে হাঁটা। যেই নাটকের স্ক্রিপ্ট সেই মঞ্চস্থ। গত মাসে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছেন লাবু মন্ডল। সেখানে আশ্রয় নিশ্চিতে গল্প লিখছেন। ট্রাম্প প্রশাসনকে দেখাবেন আমিও জঙ্গি মেরেছি, তোমরাও জঙ্গি মারছো। এবার দাও গ্রিনকার্ড। দুর্ভাগ্য জঙ্গি মনির ভারতেই রয়ে গেল!
২|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল চিন্তা ভাবনা নিয়ে কি সুন্দর জীবন পার করে দিচ্ছেন!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৫৫
বিষক্ষয়রিটার্নস বলেছেন: খুনি আওয়ামি দালালদের মুসলিম বিদ্বেষী ভারতে থাকতে হবে