নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম মোঃ জাহিদুল ইসলাম দুরন্ত, আজকের জন্য বাচতে শিখি। তেমন কিছু বলার নেই,তবে স্বপ্নদেখতে ভালবাসি| তাইদিবানিশি স্বপ্ন দেখি!!!কারো নেগেটিভ মন্তব্যে তেমনগুরুত্বদেই না! সবসময় পজেটিভচিন্তাভাবনা করতে ভালবাসি|||বুকভরা আশা নিয়ে বেঁচে আছি!নি

দুরন্ত বালক ১১

নতুন ব্লগার

দুরন্ত বালক ১১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনর্বিাণ

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২



ইনভেস্টিভ অ্যান্ড ভলান্টারি অরগানাইজেশন

আলোকিত বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে...



একটা ছোট গল্প দিয়ে শুরু করি। একটা গ্রামে একটা ছোট খাল ছিল। তার উপর ছিল ছোট একটা পুল। গ্রামবাসীর ব্যবহারে পুলটির অবস্থা খুব নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কেউ সাহস করে পুলটা মেরামত করছিল না, সবাই জানমালের ভয় নিয়ে চলাচল করছিল। একদিন শহর থেকে এক বাবু এসে পুলের এ অবস্থা দেখে গ্রামবাসীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন যে তারা পুলটা ঠিক করছে না কেন। গ্রামবাসী উত্তর দিল তাদের কারোরই সামর্থ নেই একটা সম্পূর্ণ পুল তৈরি করার। অবস্থা দেখে বাবু তাদের একটি মৌচাকের কাছে নিয়ে গেলেন এবং বললেন, “এই যে দেখুন মৌচাকে কত হাজার হাজার মৌমাছি। কারো একার চেষ্টায় এই মৌচাক তৈরি হয়নি। ঠিক তেমনি আমরা যদি সবাই মিলে চেষ্টা করি তাহলে একটা পুল তৈরি করা অসম্ভব কিছু না।” গ্রামবাসী বুঝতে পারল। তারা একত্রে নেমে পড়ল। কেউ দিল বাঁশ, কেউ দিল তক্তা, কেউ দিল দড়ি, কেউ দিল পেরেক আর যাদের কিছু দেওয়ার সামর্থ নেই তারাও বসে রইল না, বুদ্ধি আর শ্রম দিয়ে সবাই মিলে ঠিকই শক্তপোক্ত একটি নতুন পুল তৈরি করে ফেলল। এই হল গল্প। ছোটবেলা থেকে এরকম অনেক গল্প আমরা পড়েছি। মূলভাব একটাই। সবাই মিলে চেষ্টা করলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। একতাবদ্ধ হওয়ার এই প্রেরণা, এই আকাক্সক্ষা থেকেই আমাদের সংগঠনের হাতেখড়ি, নাম অনির্বাণ - যার অর্থ কখনো নেভেনা এমন, চির-জ¦লন্ত, চির-অম্লান।



 অনির্বাণ কী এবং কেন ?

অনির্বাণ একটি বিনিয়োগ ও সেবাধর্মী সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি সবার অংশগ্রহণে

একটি সুস্থ, সুন্দর ও ক্ষুধা-দারিদ্র-হানাহানি মুক্ত সমাজ তথা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এর মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বেচ্ছাসেবী ও সক্রিয়

অংশগ্রহণ ঘটানোর মাধ্যমে সমাজের সকলের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ণ এবং সকলের মধ্যে ভাতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষেই অনির্বাণের জন্ম।



 এক নজরে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ-

 সকলের অংশগ্রহণে একটি শিক্ষিত, পরিকল্পিত, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হানাহানি মুক্ত সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা।

 লাভজনক ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সকলের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অর্জন।

 সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা সমাজসেবা মূলক কাজ পরিচালনা।

 অযথা রাজনীতি ও দলীয়করণ থেকে বের হয়ে এসে সুস্থ মানুষ হিসাবে সকলের একত্র হওয়া।

 সংগঠনের বেকার তরুণদের আয় ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

 অল্প মূলধন বিনিয়োগ করে ধীরে ধীরে মূলধন বৃদ্ধি।

 প্রত্যেকের মেধা, প্রতিভা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের ব্যবস্থা করা।

 সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া।



 ভবিষ্যতের অনির্বাণ ঃ

বর্তমানে অনির্বাণের কাজের পরিসর খুব ছোট হলেও আমরা ভবিষ্যতে এক বহুমুখী প্রকল্প সমৃদ্ধ অনির্বাণের স্বপ্ন দেখি, তেমন কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :Ñ

 বর্তমানের ক্ষুদ্র পরিসর পেড়িয়ে জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে একশক্তিশালী সামাজিক সংগঠন হিসাবে গড়ে তোলা।

 বহুমুখী ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন।

 বিভিন্ন সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, র‌্যালি ইত্যাদি মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও জাতীয় ইস্যুতে অংশগ্রহণ।

 রক্তদান, বিনামূল্যে সেবা, পরিবেশ পরিচ্ছন্রতা, অসহায়দের মাঝে খাদ্য-ব¯্র বিতরণ, সচেতনতা ইত্যাদি জনসেবামূলক কাজ পরিচালনা করা।

 অনির্বাণের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাঠাগার, অনাথাশ্রম, হাসপাতাল, তথ্যসেবা কেন্দ্র ইত্যাদি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন।

 অন্যান্য ছোট সামাজিক সংগঠনকে তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখে অনির্বাণের আওতায় আনা এবং তাদের কাজে সমন্বয় সাধন।

 দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও গ্রামে এর শাখা প্রতিষ্ঠা করা।

 দেশের গন্ডি পেড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এবং বিশ্বমানবের কল্যাণে হাত বাড়িয়ে দেয়া।





 বাস্তবতা ও বর্তমান অনির্বাণ ঃ

আমরা ভবিষ্যতে এক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী অনির্বাণের স্বপ্ন দেখলেও বর্তমানে অনির্বাণ রয়েছে প্রাথমিক স্তরে। একে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও স্থিতিশীল করে গড়ে তোলার আগে অন্যান্য জনসেবামূলক কাজে হাত দেয়া কঠিন। তাই প্রাথমিকভাবে অনির্বাণকে গড়ে তোলার জন্য শুধুমাত্র এর অর্থনৈতিক বিভাগটি কাজ করছে। অথাৎ মূলধন বিনিয়োগ, ব্যবসায়, মুনাফা এবং সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি। তাই নবীন অনির্বাণ প্রস্তুত হচ্ছে ভবিষ্যত স্বপ্নপূরণের প্রত্যয়ে।



 তোমাকে নিয়েই গড়ে উঠবে অনির্বাণ ঃ

অনির্বাণ তার প্রতিটি সদস্যকে মূল্যায়ন করে সমান গুরুত্বের সঙ্গে। যেহেতু অনির্বাণ এখন রয়েছে প্রাথমিক স্থরে, তাই তোমার একটুখানি অংশগ্রহণ, একটুখানি সহযোগিতা, একটুখানি শ্রম, একটুখানি স্বপ্নের পরশ অনির্বাণকে আরো চমৎকার করে গড়ে তুলবে, নিয়ে যাবে বহুদূর। তুমি তোমার মতামত দিতে পার যেকোন সময়, তোমার বুদ্ধি-মেধা প্রয়োগ করে অনির্বাণকে গড়ে তোল তোমার মত করে। যেদিন থেকে তুমি অনির্বাণ পরিবারের সদস্য, সেদিন থেকে তুমি একটা স্বপ্নের কারিগর, তোমার মত হাজার কারিগরের নিপুণ ছোঁয়ার ফলই হবে স্বপ্নের অনির্বাণ।



 একখনই যোগ দাও, হয়ে ওঠো স্বপ্নজয়ের সারথি ঃ

অনির্বাণের দরজা সব সময় খোলা তোমার জন্য। সময়-ক্ষেপন না করে সবকিছু বিচার-বিবেচনা করে এখনই যোগ দাও অনির্বাণে।





আবার ফিরে যাই শুরুর গল্পে। সেদিন যদি বাবু এসে গ্রামবাসীদের না বুঝাতো, তাহলে হয়তো একদিন তাদের চলাচলই বন্ধ হয়ে যেত। অনির্বাণকে সেই বাবুর সাথে তুলনা কর না একবার! বাবু যেমন প্রেরণা দিলেন অনির্বাণও ঠিক তেমনি একটি প্রেরণা। আসল কাজ তোমাদেরই, এখনই সময় নিজের জন্য কিছু করার, মানুষের জন্য কিছু করার, জীবনের এই সময়টা যখন চলে যাবে তখন একবার নিজেকে প্রশ্ন করো আসলেই এ জীবনে কি করেছ তুমি ? তখন নিজের উত্তর শুনে যেন আমরণ আফসোস করতে না হয় ...









“চাঁদের আলোর মধুর আলস্যে নিদ্রা দিয়েছে সে,

সূর্যের উত্তাপ সে করেছে উপভোগ সমস্ত শরীর দিয়ে,

কিছু করতে হবে - এ ভেবে সে বেঁচেছে সারা জীবন,

মৃত্যু যখন আসল দ্বারে কিছুই করা হয়নি তখন।”

( জেমস্ অ্যালবেরী )







নতুন দিনের স্বপ্নে অটল থেকো সবাই, সবার জন্য শুভকামনা।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.