![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ছবি গুলা দাও তো।
""
বিয়ে বাড়িতে এমনিতেই পা ফেলার জায়গা নেই।তার
উপরে ছবি তোলার দায়িত্ব আমার উপর পড়েছে।
বিয়ে বাড়ি আমার একদমই পছন্দ না।আমি আসতামও না।
কিন্তু আম্মার বোনের বিয়ে বলে কথা,যার কারনে
আসতেই হলো।
'
খালাটাও হইছে একরকম।আরে বিয়ে করবি প্রেম
করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে কর।খরচ কম হবে।আবার
ঝামেলাও কম।তা না ওনার ধুম ধাম করে বিয়ে করতে
হবে।অসয্য।
""
ইতিকে এখানে দেখে আমি বেশ ভালই অবাক
হলাম।
বর যখন গেইট দিয়ে ঢুকে চেয়ারে বসলো
তখনি আমি গিয়ে হাজির হলাম।আরে গেইটের টাকা
নিতে হবে তো।
'
দশ হাজার টাকা দিলেই ছেড়ে দেবো।কিন্তু কি
কিপটা রে বাবা সাত হাজারের উপর আর উঠতেছেই
না।আমি এবার যখনি কিছু বলতে যাবো তখনি ইতির
আগমন।
'
কিন্তু ও এখানে কিভাবে!ইতি বরের কানে কি যেন
বলে আমার হাতে টাকা গুলা দিয়ে বরকে নিয়ে
ভিতরে চলে গেলো।আর এদিকে আমি
মেয়েটার দিকে তাকিয়েই আছি।
ইতি একটু দূরে যেতেই আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি
হেসে চলে গেলো।বাহ মেয়েটা দেখতে
যেমন সুন্দর হাসিটাও তেমনি সুন্দর।
"
আরে এখানেতো পুরো দশ হাজার টাকাই আছে।
জানি এটা ইতির জন্যেই সম্ভব হয়েছে।যে
কিপটের কিপটা তা না হলে সাত হাজারেই থেমে
যেতো।কিন্তু ও এখানে কি করছে!বরের
কাছের আত্বীয়ই মনে হচ্ছে।
""
ইতির সাথে আমার পরিচয় ম্যাথ প্রায়ভেটে।আমি আর
ও একই ব্যাচে পড়তাম।তবে খুব একটা কথা হতো
না।
'
মেয়েটা দেখতে বেশ সুন্দরী হলেও
যথেষ্ট রাগী। মেয়ে মানুষ হবে নরম শরম তা না
হয়ে রাগী কেন হলো এটাই ভেবে পাচ্ছি না।
'
মেয়েটা রাগী হলেও মনটা অনেক ভাল।সবার
সাথে খুব সহজেই মিশে যায়।তবে এইকয়েক
দিনে মেয়েটার সাথে আমার বেশ ভাল বন্ধুত্ব
হয়েছে।মেয়েটা কথাও বলে একটু বেশী আর
আমার কম কথা বলার কারনে রোবট নামটাও ওরই
দেওয়া।
'
কিছুদিন যেতেই বুঝতে পারলাম আমি পড়ে গেছি।
মেয়েটার প্রেমে এবার পুরোই পড়ে গেছি।
কিন্তু বলবো কিভাবে।
'
ইতিকে প্রপোজ করতেই হাজারটা বানি ঝেড়ে দিল
আমার উপর।ও নাকি প্রেমে বিশ্বাসী না।বন্ধু আছি
সেটাই ভাল।তবে আমিও দমে যাওয়ার পাত্র না।
ইতিকে অনেক ভাবে বুঝাইলাম এই কয়েকদিনে।
কিন্তু মেয়েটা আমাকে বন্ধু ছাড়া আর কিছুই ভাবতে
পারে না।
""
যতই দিন যাচ্ছে ততই ইতির প্রতি আরও বেশীই
দুর্বল হয়ে যাচ্ছি।কিন্তু মায়া খুব খারাপ জিনিস।শুধু শুধু মায়া
বাড়িয়ে লাভ কি?
'
সেদিনের পর আমি ম্যাথ প্রাইভেটে আর যাই নি।
অন্য স্যারের কাছে অন্য জায়গায় পড়েছি।ইতির
সাথেও আর দেখা হয়নি।ইতি বেশ কয়েকবার
ফোন ও করেছিল।কিন্তু আমি ধরিনি।
""
আজ এতদিন পর মেয়েটাকে দেখে বেশ ভালই
লাগছে। আগের থেকে অনেক বেশিই সুন্দর
দেখাচ্ছে।কিন্তু ও কি আজও আমাকে বন্ধুই ভাবে?
"
খাওয়ানোর চেয়ে ছবি তোলার দায়িত্ব নেওয়া
অনেক ভাল।কোন ঝামেলা নাই।তাই ছবি তোলার
দায়িত্ব আমিই নিলাম।
কিন্তু ক্যামেরার পেছনে শুধু ইতির মুখ খানাই বারবার
ভেসে উঠছে।অন্য দিকে কোন খেয়াল নেই
আমার।লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক গুলা ছবিই তুললাম
ইতির।আহ মেয়েটা দেখতে মাশাল্লা। কিন্তু মনটা
এত পাথর কেন!
"
এই আহাদ।
'
ছবি তুলছিলাম তখনি আম্মা পেছন থেকে ডাক দিল।
আমি পেছনে ঘুরতেই কিছুটা অবাক হলাম।আম্মার
পাশে ইতি দাঁড়িয়ে।ওতো আবার কিছু বলে দিল না
আম্মাকে।আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই
আম্মা বললো,
-আমাদের একটা ছবি তুলে দে তো।
আরে এই মেয়ে তো দেখছি আম্মাকে একদম
পটিয়ে ফেলেছে।আমি কিছু না বলে কয়েকটা ছবি
তুলে দিলাম।বাহ বউ, শ্বাশুড়িকে ভালই মানিয়েছে।
কিন্তু বরটা মিসিং।
""
আমার ছবিগুলা দাও তো।
'
ইতির কথায় আমি ওর দিকে তাকালাম।মেয়েটার
চেহারার সাথে সাথে কন্ঠেরও বেশ পরিবর্তন
এসেছে।
আমি আম্মার সাথে ওঠা ছবি গুলা দিতেই ইতি বললো,
-এইগুলা না।যেগুলা তুমি লুকিয়ে তুলেছো ওইগুলা।
ইতির কথাই আমি বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম।তার
মানে কি ও সব বুঝে ফেলেছে।আমি বললাম,
-কোই নাতো।তোমার তো কোন ছবি তুলিনি।
-মিথ্যা বলো কেন?আমি নিজে দেখলাম তুলতে।
এই রে এবার মনে হচ্ছে ফেসে যাবো।যাবো
মানে ফেসে গেছি।আবার ফোনের স্ক্রিনেও
ওর সদ্য তোলা ছবি দেওয়া।
ইতি বললো,
-এখনও ভালবাসো?
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,
-হুম।
-তাহলে সেদিন কেন চলে গিয়েছিলে?জানো
কত বার ফোন দিয়েছি তোমাকে।কত খুজেছি?
কথাগুলা বলেই ইতি কান্না শুরু করে দিল।
তবুও এখানে লোকজন নাই।যদি থাকতো তাহলে কি
যে হতো।
আমি ইতির চোখ মুছে দিতেই মেয়েটা আমাকে
শক্ত করেই জড়িয়ে ধরলো।মনে হচ্ছে
ছেড়ে দিলেই হারিয়ে যাবো।
""
দেখি ফোনটা দাও।
-কেন?
-আমার নাম্বার সেইভ করে দেই।
-না আছে তো।
-দেখি।
কি ঝামেলায় পড়লাম।স্ক্রিনে ইতির ছবি দেওয়া।
মেয়েটা আবার কি না কি বলে ফেলে।কিন্তু
ওতো এখন আমাকে ভালবাসে।
আমি ইতিকে ফোনটা বের করে দিতেই ইতি
বললো,
-আমার একা থাকতে ভাল লাগে না।এদিকে আসো।
আমি ইতির পাশে দাড়াতেই মেয়েটা একটা সেল্ফি
তুলে বললো,
এখন থেকে এটাই স্ক্রিনে রাখবা।সবসময় সবজায়গায়
ই আমি তোমার সাথে থাকতে চাই।শুধু তোমার
সাথেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৯
দুর্জয় রায় বলেছেন: নাইস