নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্যা ইন্ট্রোভারটস ডায়রী

আমি সব সময় অশান্ত। সব সময় আমি সব সময় অশান্ত। সব সময় অতৃপ্ত। আমি আমাতে পূর্ণতা খুঁজে পাই না। তাই আমি আমার নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। অসীমের সীমানা মাড়িয়ে দিয়ে একটি সার্থক মৃত্যুই আমার এইম ইন লাইফ।চপ্ত। আমি আমাতে পূর্ণতা খুঁজে পাই না। তাই আমি আমার নিজেকে ছাড়িয়

আমি আমার চেয়ে বড় হতে চাই

অবুঝ-বুদ্ধিজীবি

আমি আমার চেয়ে বড় হতে চাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুপকথা-১ (২১ এর বেশী বয়স্ক এবং প্রাপ্ত মনস্ক না হলে পোস্টটি এড়িয়ে চলুন)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৩৭

BASED ON A TRUE STORY.



আমি যে অবস্থায় আমার এতদিনের কঠিন অবহেলায় অবহেলিত, ধুলো-মলিন কীবোর্ডের সামনে বসেছি সেটা স্বাভাবিক কিনা বুঝার চেষ্টা করছি। কারণ আমি এই মুহূর্তে খুব ইম্পরট্যান্ট একটা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি। আমার মানসিকতা সুস্থ থাকাটা অনৈতিকতার পর্যায়ে পরে।

হায় হায়! একি করছি আমি! আপনাদের সাথে কথা বলবো অথচ নিজের পরিচয় দিচ্ছি না! চরম অসভ্যতা!

অবশ্য আপনাদের পরিচয় আমার কোনদিনই জানা হবে না এবং আপনাদের সম্পর্কে জানার কোন আগ্রহই আমার নেই। আমার আগ্রহ আপনাদের জানাতে, আপনাদের এণ্টারটেইন করতে। আমি চাই আপনারা যারা নিজেদের সময় এই গল্পের পেছনে ব্যয় করছেন তার উসুল যেন আপনাদের উঠে...

আমি আমার নাম বলছি না

ধরে নিন আমার নাম 'তৃ'.........



অবশ্যই এটা আমার নামের একটা অংশ। আপনি জানেন কি আপনার ব্রেইন ইতিমধ্যেই আপনার অবচেতনেই আমার নাম খুঁজে বেড়ানোর কাজটি করে চলেছে। হাহাহা, শান্ত হও বাবা অবচেতন মন! তৃ শব্দটির সাথে উপসর্গ অথবা অনুসর্গ যোগ করে অনেক নাম পাওয়া যায়। তৃষা, তৃনা, তৃক, তৃশীলা, তৃতীয়া, মৈত্রী, রাত্রি প্রভৃতি। কোনটা বেছে নিবে তুমি?



ব্যস, আমার নাম রহস্য পর্ব চির রহস্যই থাকুক। আমার নাম জানার জন্য আপনি এখানে আসেননি। এসেছেন উপভোগ করতে। ওকে, লেটস গেট ইনটু মাই হেল...



আমার বয়স কত? আমার বয়স তত যত বছর বয়সে কোন একটি মেয়ে তরুণী হয়, নিজের ঠিকানা খুঁজে পায়, নিজের স্বত্বাকে অন্যের হাতের পুতুল করে দিয়ে গৃহকর্ত্রির অভিনয় করতে থাকে। অশেষ দুখের মাঝেও মাঝে মাঝে ভালবাসার উৎসগুলি দয়ালু হয়ে তার অস্তিত্বে বুলিয়ে দেয় ভালবাসার স্পর্শ। সুখের এই সীমিত আনা গোনায় বাচতে শেখায় তৃপ্তির সাথে। কিন্তু আমি ঐ ধরনের ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসিনি। অবশ্য আমি যে কেন পৃথিবীতে এসেছি এটা নিয়ে আমি কনফিউজড ছিলাম... এই গল্পটি লেখার আগ পর্যন্ত। এখন আমি জানি আমার পৃথিবীতে আসার কারণ একটি সার্থক রগরগে গল্পের জন্ম দেয়া। সেক্স আর ভায়োলেন্সে ভরা কোন গল্প। যেই গল্পের উপর ভর করে কোন সমস্যা ছাড়াই হলিঊডে ব্যবসা সফল স্যাডিস্টিক কোন ছবি তৈরি হবে। ঐ ছবির প্রতিটি পরতে পরতে থাকবে কোন এক উন্নত বক্ষের সুন্দরী এশিয়ান নায়িকার চিৎকার, শীৎকার এবং নকল রক্ত... আমি এইরকম একটি গল্পের নায়িকা হওয়ার জন্যেই পৃথিবীতে এসেছি।



আপনি দ্যা ক্রনিকলস অব নারনিয়া পরেছেন? ওখানে একটা ডায়লগ আছে কিছুটা এরকম " extra-ordinary accidents happens with extra-ordinary persons"...



যদিও আমার জন্ম থেকেই আমার সাথে অস্বাভাবিক দুর্ঘটনার সাথে আঁতাত তবুও এখন পর্যন্ত নিজের অস্তিত্বের কোথাও আমি অসাধারণত্ব অনুভব করতে পারছি না। বরঞ্চ নিজেকে খুব অপবিত্র লাগছে...



আমার জন্ম থেকেই আমার সিনেমা শুরু হওয়া উচিৎ। আমার জন্ম সাদা-মাটা পরিবারে। ধর্ম আমার পরিবারের কারোরই কর্মের ভেতর ছিলোনা। তাই অনর্থক কোন ধর্মের নাম উল্লেখ করে ধর্মগুলোকে অপমান করলাম না।



আমার মা খুব সুন্দরী ছিলেন। সৌন্দর্য ছিল উনার নিজের এবং উনার মেয়ে অর্থাৎ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। আমি সৌন্দর্যের মত কদর্য বৈশিষ্ট্য আমার মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছি। উনি খুব অল্প বয়সেই আমার বাবার হাত ধরে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। ফলস্বরুপ অল্প বয়সেই গর্ভবতী। ফলস্বরুপ আমার জন্মদিনেই আমার মায়ের মৃত্যু-দিবসের মত অদ্ভুত একটা দিন নিয়ে আমার পথচলা। আমার মায়ের প্রতি আমি সব সময় ঘৃণা অনুভব করি। আমি খুব ভাল করেই জানি উনি আমাকে ভালবাসতেন না। আমাকে ভালবাসলে উনি আমাকে সুন্দরী করে জন্ম দিতেন না। আপনারা হয়ত ভাবছেন একি উদ্ভট কথা বলছি আমি! আমার মা কিভাবে সরাসরি দায়ী জতে পারে এর পেছনে! হুম, উনিই দায়ী।

উনার অপরিশীলিত অর্গাজমের কারণের উনার শারীরিক বৈশিষ্ট্য আমার মাঝে এসেছে। আমাকে করেছে অভিশপ্ত, অপ্রিয়, অনাদর্য্য। আমার সারাটা জীবন আমি ভালোবাসার খোঁজ পাইনি।

কোন প্রাণী আমার প্রতি স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, সম্মান, কৃতজ্ঞতা দেখায় নি। এমনকি আমার নিজের বাবাও না!



আমি আমার বাবাকে খুব ভালবাসতাম। ভালবাসতাম, বাসি না। কারণ উনি ততদিনই আমার বাবা হয়ে ছিলেন যতদিন তিনি আমার দিকে লালসার দৃষ্টিতে দেখেননি। আমার কাছে বাবা শব্দটি তাই আরেকটি লোলুপ হায়েনার যে গোছলের সঙ্গিনী হিসেবে আমাকে খুঁজত...

আমি কোনদিন কোন শিক্ষকের দেখা পাইনি। আমার বাবা চায়নি আমি স্কুল কলেজে যাই। উনি আমাকে লেখা পড়া শেখানোর জন্য এক আধবুড়ো লোক জোগাড় করেছিলেন। তিনি আমাকে নৈতিকতার এবং হিউম্যানিজমের শিক্ষা দিতেন। একটা মানুষ পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গেলে নাকি হিউম্যানিজম শিক্ষাই যথেষ্ট! উনি আমাকে ওভারটাইম পড়াতেন। আমাকে লেখা পড়া শেখানোর কার্যক্রম টেবিলের উপর নীচে সবখানেই চলতো। আমার উরনা পড়া নিষেধ ছিল। এতে হয়তো আমার বুকে শিক্ষকের নৈতিক দৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হতো। বাবার কাছে কমপ্লেইনের কোন ফল পাইনি... পরে জেনেছি আমার বাবার বন্ধু ছিল কুত্তাটা...



জীবনের একটা পর্যায়ে ছুটে গেলাম পরিবার নামক অভিশাপ থেকে। একা থাকা শুরু করলাম। একটা স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে...

বলবোনা জীবনটা ভালো যাচ্ছিলো তবুও আমি খুশি ছিলাম পরিবার থেকে দূরে থাকার আনন্দে। নিজের ভেতরে অন্যমাত্রার পবিত্রতা অনুভব করতাম। সব সময় নিজের বাবা থেকে নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য ছুটে বেড়াতে হতো না...



কিন্তু আমি কাঙ্গালি হয়ে গেলাম ভালোবাসার। সারা জীবন ধরে খুজে আসা একটু উষ্ণতার। আমার অভিশপ্ত রুপের কারনে আমি অনেক লোকের কামুক দৃষ্টতে পুড়েই আসছিলাম জন্ম থেকে। কিন্তু ভালোবাসার জ্যোৎস্নায় স্নান করার লোভ আমি সামলাতে পারছিলাম না। আমি চাইতাম কেউ আমার চোখের কোনে জমে উঠা জল সজত্নে মুছে দিক। আমি চাইতাম কেউ আমাকে এত ভালবাসুক যা কোনদিন কেউ কাউকে বাসেনি। আমি চাইতাম একটা ফুটফুটে শিশু আমাকে মা মা বলে ডাকুক। নস্ট হয়ে যাওয়া অস্তিত্বের কস্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার ভালোবাসার আশায় ছিলাম। আমি সেই ঝর্নায় ভিজতে চেয়েছিলাম যেই ঝর্না জন্ম থেকে আমাকে অনুভূতিতে ধরা দিতে পারেনি।



একদিন পেয়েও গেলাম। বেশীদিন আগের কথা না। মাত্র দুই বছর আগেই আমি ভালোবাসার সন্ধান পেলাম। সত্যি ভালোবাসা। সত্যি সত্যি ভালোবাসা। কামুকের নয়, প্রেমিকের ভালোবাসা। আমার এই উষ্ণ মরুভূমির জীবনে আমি জন্মের পর প্রথম কোন ছায়া অনুভব করলাম যেখানে আমি পরিপুরন নিরাপদ। আমাকে ছায়া দিচ্ছে একটি ভালোবাসার বৃক্ষ। আমি স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। বেচে থাকার যুদ্ধে আমার প্রাপ্য বুঝে পেয়ে আমি নিজেকে নিজের বৃত্ত থেকে বের করে আনলাম।

সেও ছিল।

নিয়মিত আমার স্বপ্নের গাছে পানি দিত, আমাকে ভালোবাসার বৃস্টিতে ভেজাতো, আমাকে জ্যোৎস্না দেখাতো। আমি পৃথিবীর সব কিছুকেই আবার অন্য আরেকটি আঙ্গিকে দেখতে লাগলাম। কত রঙ্গিন! কত সুন্দর! কত সূচি! কত পবিত্র!



আমার ফুলে ফলে ভরা স্বপ্নের বাগানে চাষাবাদ চলছিলো ভালোবাসার। দিনের পর দিন দূর থেকে আমরা ভালোবাসছিলাম। দিনের পর দিন ফেসবুকের চ্যাট স্ক্রিনে ভেশে উঠা অক্ষরগুলি আমার জীবনের জ্বালানী ছিল। আমার মৌলিক চাহিদার একটি অংশ এই অদেখা ভালোবাসা।

স্পর্শ নেই, দৃষ্টি বিনিময় নেই, কথার ফাঁকে ফাঁকে প্রেমিকের হাত শরীরের আপত্তিজনক স্থানে আবিস্কার করার মত অদ্ভুতুরে কোন পরিস্থিতি নেই। শুধু কথায় কথায় ভালোবাসা চুইয়ে ফেলে পরস্পরের ভেতরে প্রবেশ করা।

আমি দেখা করতে চাইতাম। ও চাইতো না। আমি জানতে চাইতাম আমাকে কি অর দেখতে মন চায় না? ও বলতো না। কোন উত্তর দিতনা। ইনফ্যাক্ট কোন প্রসঙ্গ ধ্রুত পরিবর্তন করতে ও পটু ছিল।

ও ব্লগ লিখত। আমি ওর ব্লগ মুগ্ধ হয়ে পড়তাম। একটা মানুষের চিন্তা-ভাবনা এতটা গভীর হয়য় কীভাবে! আশ্চর্যান্বিত হতাম। নিজের অজান্তেই তলপেটে গর্বের একটা মোচড় অনুভব করতাম।

সময় বয়ে চলল। একদিন আবিস্কার করলাম ওর ফোন বন্ধ। ওর ব্লগে মেসেজ দিলাম। উত্তর নেই। ফেসবুকে অফলাইন।

মনের ভেতর একটা ভয় ঢুকে গেলো। ওর বন্ধুদের মেসেজ দিলাম। ওরাও তেমন কিছু জানাতে পারলোনা।

৬ দিন ধরে আমি অবিরত আমার ছায়ার আধার খুজেছি।

৭ম দিন... একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে আবিস্কার করলাম...

কালো ব্যাজ...মৃত্যু...ক্যান্সার...



আমার এই গল্পে আপনাদের ৪ টি মশলা দিবো প্রতিশ্রুতি করেছিলাম। রোমান্স, এসল্ট, সেক্স, ভায়োলেন্স।

রোমান্স, এসল্ট এবং সেক্সের অধ্যায় শেষ...

বাকি শুধু ভায়োলেন্স। তাহলেই একটা সফল অশ্লীলতাও ষোলোকলা পূর্ণ হবে...

একটা তৃপ্তির অর্গানিজমের অপেক্ষায় থাকুন... (চলমান)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪১

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: কাউকে কোনো মেসেজ দিতে চাইলে, একটা অংশ পূর্নভাবে দিতে হয়। পুরোটা একসাথে দেন। মেসেজ যেনও একটা পোষ্টেই দেয়া হয়ে যায়।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪৩

আমি আমার চেয়ে বড় হতে চাই বলেছেন: উত্তম কথা!

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:২৭

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: চলুক ...............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.