কলঙ্ক মুক্ত হতে যেয়ে দেশ আজ কলঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকার পথে।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২০

আজ দেখলাম ইমরান কে দ্বিতীয় শেখ মুজিব বলে আখ্যায়িত করলো। আরে ছাগুর দল, এইটা কাওরে উপাধি দেয়ার জন্য আন্দোলন না, যাকে খুশি শহীদ, যাকে খুশি শেখ মুজিব। প্রজন্ম চত্বর কি তাইলে উপাধি দেয়ার জায়গা হলো নাকি? আবার বলছে জামাত শিবির দেখা মাত্রই গুলি করে মেরে ফেলতে। মানুষ কি আজ বিবেকহিন হয়ে যাচ্ছে নাকি? আরে মানুষের লাশ নিয়ে তো কোনো মানুষ খেলে না। ৭১ এ যারা করেছে তারা ছিল অমানুষ। তারা দেশের বিরোধী হয়ে করেছে, আর আজ ১৩ তে এসে এমন দেশ প্রেম দেখাচ্ছে সবাই যে ৭১ এর রাজাকার দের মতন কথা বলছে। প্রতিবাদ শুধু হিংস্রতা কিংবা খুনের বদলে খুন দিয়ে হয় না, প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে লজিকাল, স্পষ্ট, নিঃস্বার্থ।



১৩ তে এসে ৭১ কে মনে করছে সবাই, ৭১ শুধু ১৩ এর জন্য না, ৭১ সারা জীবনের জন্য। আমরা রাজাকারের ফাঁসি চাই, দেশের মানুষের (নির্দোষ, সাধারণ, কিছু ভুলের কারনে পথভ্রষ্ট মানুষ) লাশ না। কথা বলার আগে দয়া করে চিন্তা করে নিবেন সবার মা আছে, সন্তান আছে, সবাই রাজাকার না। মনে হয় নির্ঘুম থেকে আপনাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে, একটু ঘুমিয়ে নেন, আর মায়ের হাতের একটু আদর নিয়ে চিন্তা করুন আজ কত ছেলে রাস্তায় মরে পড়ে আছে যারা আর মায়ের আদর পাবে না। ৩০ লক্ষ রাজাকার নাই আমাদের দেশে। জামাত শিবির মানেই রাজাকার না। আগেও বলেছি। রাজাকার আওয়ামীলীগ এর মাঝেও আছে। রাজাকার নিধন মানে দেশের মানুষ নিধন না।



"হিংসা ধ্বংসের অন্যতম কারন"..



দেশের মাঝে এখন শুধু একটাই আলোচনা রাজাকারে বিচার। কিন্তু সব আলোচনার শেষে জানতে চাই কয়টা জামাত শিবির মরলো। রাজাকার আর জামাত শিবির এক না। রাজাকার আওয়ামীলীগ এর মাঝেও আছে। রাজাকার খুজে খুজে তাদের বিচার করতে হবে। আজ লাশ চাচ্ছো সবাই, কাল মেয়ে খুজে ধর্ষণ করতে চাইবে। হিসাব মিলাতে চাইবে। তাইলে রাজাকার আর তোমাদের মাঝে পার্থক্য কোথায় রইলো? এর নাম কি প্রতিশোধ? ৭১ এর রাজাকারের বিচার প্রতিশোধ দিয়ে হবে না। প্রতিশোধের আগুন এমন ভাবে জ্বালিয়ো না যাতে ভুল হয়ে যায় আর দেশ কে কলঙ্ক মুক্ত করতে যেয়ে কলঙ্ক দিয়ে ভরে ফেলো।



আজ কেও বলছে না পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু, কেও বলছে না বিশ্বজিৎ কে নিয়ে কিছু, কেও বলছে না সাগর রুনির কথা। সবাই রাজাকার আর জামাত শিবির নিয়ে বলছে। অথচ শুরু হয়েছিল শুধু রাজাকার নিয়ে। আজ আন্দোলন রাজাকার নিধন না, জামাত শিবির নিধন হয়ে গেছে। যা প্রমান করে রাজনৈতিক একটা আন্দোলনের। আমরা নিজেরা ভুল পথে চলে যাচ্ছি। দোয়া করে ঘুম থেকে উঠুন, আর স্পষ্ট গলায় বলুন "রাজাকারের ফাঁসি চাই"। দেশের মানুষের লাশ নিয়ে খেল্বেন না কেও। এই মানুষ গুলো আমাদের ভাই, আমার বাবা, কারো সন্তান, কারো জীবন সাথী, কারো বাবা, কারো মা।



জেগে উঠো প্রজন্ম চত্বর। আন্দোলনের মুলে ফিরে এসো। রাজাকারের ফাঁসি চাই আমরা। সব দলের সব নির্দলের রাজাকার দের।

০ টি +১/-০