কিছু দেশ প্রেমী ছাগু

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

আগেই বলে রাখি, আমার লেখা একটু পাগলা কিছিমের, যা বলি সেটা কেমন লাগবে আপনাদের তা ভাবি না। যদি আমার লেখা ভালো না লাগে, এড়িয়ে যান। আমারে এতো ভালোবাসার দরকার নাই। আমারও আপনাগো মতন ছাগুর ভালোলাগার মানুষ হওয়ার দরকার নাই।



কয়েকটি প্রসঙ্গ নিয়ে আজ লিখবো।



এক ছাগু শ্রেণীর মানুষ বলে তারা দেশের প্রেমে জাগ্রত হয়ে হরতাল সমর্থন করছেন। তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হরতাল করছেন কারন এতো হিংস্র সরকার তারা আগে কখনো দেখেনি। শুনে গর্বে পাছা চুলকাই আর ভাবি ওরে সেরাম দেশ প্রেমিক ভাই আমার। দেশের সরকারের হিংস্রতা তো আমিও মানতে পারি না, তবে আমার মাঝেতো এতো দেশ প্রেম নাই যে হরতাল মানবো। সেরকম মাপের দেশপ্রেমি মানুষ তারা। কিন্তু প্রশ্ন জাগে মনে, সরকার হিংস্রতার বসে যা করছে, আপনারাতো দেশ প্রেমের নামে তার চেয়েও বেশি ভণ্ডামি করছেন। গাড়ি পুরছেন, মানুষ পুরছেন, আগুন জ্বালাচ্ছেন, গরীবের পেটে লাথি মারছেন, গর্ভধারিণী মা কে মেরে ফেলতে চাচ্ছেন, আপনারা ছাত্র রাজনীতি করছেন কিন্তু অন্য ছাত্রদের পরীক্ষা পিছাচ্ছেন হরতাল দিয়ে। হে, হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার, তবে যে অধিকার মানুষ কে মেরে ফেলে সেটা কখনই গণতন্ত্র এর অংশ হতে পারে না। আর যে হরতাল গণতন্ত্র কে সমর্থন করে সেই হরতাল আমরা দেই না। ওঁই রকম হরতাল কি সেটাও জানেন বলে মনে হয় না। আহা কি সুন্দর দেশ প্রেম। লাথি মারি তোদের এই দেশ প্রেমগিরিরে। এর চেয়ে দেশের শত্রু হওয়া ভালো। এই রকম দেশ প্রেমী লাগবো না আমাগো।



তোরা মুজিব, জিয়া নিয়ে ইতিহাস ঘাঁটাস ভুল বাইর করার জন্য, তাদের নামে বদনাম করার জন্য, অথচ তোদের মাথায় কি সামান্য ঘিলু নাই যে তারা সে সময়ের নায়ক ছিলেন এইটা মনে করতে পারিস না। যদি এ কে এম ফজলুল হক, ভাষানী সহ আরো নেতারা আজ রাজনীতির সাথে জড়িত থাকতো তবে তো তাদের নিয়েও তোরা ইতিহাস বানাতি ছাগুর দল।



আপনারা যদি ১৯৭১ এ থাকতেন তবে নির্ঘাত শত্রু দলে থাকতেন কারন আপনাদের স্বভাব ভুল বের করার। আপনারা দেশের মানুষ রে মাইরা আবার দেশ প্রেম হতে চান যেমন করেছিল পাকিস্তানী রাজাকার, আলবদর রা। ১৯৭১ এর নেতারা কি করেছিলেন সেটা নিয়ে যদি না ভাবতে চান তবে ভুল বের করতে যাবেন না। এখন দেশের যে অবস্থা, সেটা থেকে দেশ কে রক্ষা করতে শাহবাগএর ভুমিকা নিয়ে অনেকে বল্লেও আমি সেটার ও বিরুদ্ধে। শাহবাগ দেশ নিয়ে ভাবে না, তারা রাজাকার নিয়া ভাবে। তাই তারা দেশের এই অবস্থা নিয়ে কিছু বলে না, তারা শুধু কয়েকজন রাজাকারের নাম বলে আর ফাসি চায়। তাই শাহবাগ প্রেমী হলেও আপনি দেশ প্রেমী হবেন সেটা প্রমান করে না।



আরেকটি প্রসঙ্গ হলো রাজাকারের লিস্ট। ৯০ তে একটা লিস্ট ছিল, ২০০৮ এও একটা লিস্ট আসছে। কিন্তু আফসোস লাগে একটাই, আজ যারা লিস্ট নিয়ে ফালাচ্ছে, ১৯৮৯/৯০ তে তারা ওই লিস্ট এর মাঝে বিদ্যমান কয়েকজনের পা চেটেছে, অর্থাৎ উপাসনা করেছে, সালাম করেছে, একসাথে উঠা বসা করেছে। তবে তারা কি আগে লিস্ট দেখতো না? তারা তাহলে এখন লিস্ট এর পিছনে লাগলো কেন? আর একদল সেই লিস্ট এর পর একটা ছবি এঁকে দিয়েছে সবার কাছে যে "রাজাকার মানেই দাড়ি, টুপী, হুজুর, আল্লাহর নাম নিবে"। আমাদের মিডিয়া সব সময় সেভাবেই প্রকাশ করছে রাজাকারের ছবি। কিন্তু সব রাজাকার কি ওরকম ছিল? যদি থাকেও তবে তাদের দিয়ে কি সমস্ত হুজুর আলেমদের উদাহরন দিবেন নাকি? আজ রাস্তায়, ভার্সিটিতে মডার্ন মানুষ গুলো দাড়ি টুপী পড়া দেখেলেই বলে "ওঁই যে রাজাকার যায়"। কেন? কারন তাদের মাথার মাঝে এইটা ছেপে গেছে যে রাজাকার রা এই রকম হয়। আমরা এভাবেই দেশের মাঝে ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তির তৈরি করছি।



আরেকটি প্রসঙ্গ, আজ কাল কিছু ছাগু শ্রেনি ধর্ম প্রেমী দেখাতে যেয়ে নেট এ যা পাচ্ছে তাই শেয়ার দিচ্ছে আর যখন জিজ্ঞাসা করি আপনি কেনো না যেনে এইটা শেয়ার দিলেন, তখন বলে "নিজেকে সে একজন মুসলিম ভাবে তাই"। ওরে ছাগু তুই নিজে একটা ভুল খবর শেয়ার দিলি আর কস তুই নিজেরে মুসলিম ভাবোস। তোদের মতন ছাগুদের জন্যই মুসলিম রা পৃথিবীর কাছে খারাপ হয়ে যাচ্ছে অথচ কেও জানতে চাচ্ছে না সঠিক মুসলিম কে বা কারা, অথবা মানতে চাচ্ছে না যে ওরা ছাগু আর ওরা মুসলিম এর মাঝে পরে না, শুধু মুসলিম হয়ে জন্মালে মুসলিম হয়ে যায় না। না যেনে ধর্ম নিয়ে কিছু শেয়ার দেয়া জঘন্য অপরাধ এবং পাপ। একটা ভুল শেয়ার একটা জাতির মাঝে যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে যেমন হয়েছিলো কিছুদিন আগে বোদ্ধদের সাথে। কিছু অন্ধ মানুষ তাদের প্রার্থনা স্থানে আগুন লাগিয়ে সব পুড়ে ফেলে, ফলে শুরু হয় মুসলিম নির্যাতন কিছু জায়গায়। এর জন্য দায়ী কারা? ওঁই সব ছাগুর দল যারা না জেনেই চিলের পিছনে দৌড়ায়।



সর্বশেষে আরেকটা বেপার বলতে চাই, আপনি কোন দল সমর্থন করেন সেটা আপনার বেপার, তবে অন্ধ প্রেমী হবেন না। যে খারাপ তাকে খারাপ বলুন, যে ভালো তাকে ভালো বলুন। কারো পূর্বের অবদান ভুলে যেয়ে তার নামে বদনাম বের করার চেষ্টা না করে দেশের সেবা করার চেষ্টা করেন। যদি সেটা নাও পারেন তবে দেশের ক্ষতি হবে সেটা করতে যাবেন না। হরতাল দেশের জন্য অভিশাপ সেটা যে কারনেই হোক না কেনো। আমাদের দেশ কোনো উচ্চ সম্পদশালী দেশ না, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ আমরা মানুষরাই। তাই আমরা আমাদের ক্ষতি করে সম্পদ নষ্ট না করি। সবাই যদি নিজেদের সম্পদ ভাবতে পারি তবে আর দেশে কোনো দাঙ্গা হবে না, দেশের ক্ষতি হবে না। আর নিজের ব্রেইন কাজে লাগান, বিবেক বেবহার করেন। কারন মানুষের সবচেয়ে বড় আদালত তার বিবেক।



সর্বোপরি, দেশ কে ভালোবাসুন, দেশের রাজনৈতিক বেক্তিদের বা দল কে না।

০ টি +০/-০