![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
এখন চৈত্র মাস চলছে....
হঠাৎই প্রেসিডেন্সি মডেল স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কামাল হোসেনের সাথে স্পোর্টস নিয়ে কথা হচ্ছিল। তখন কোন এক প্রসঙ্গে মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসলো....এখন চৈত্র মাস চলতাছে....
মনে পড়েগেল সেই রোদে পোড়া অতীতের কথা গুলো। আশি ও নব্বইয়ের দশক গেল শতাব্দীর। বাল্যকাল, শৈশবকাল, কৈশোরকাল.....
আহ্! কি দিনগুলো ছিল! কাঠফাটা রোদে পুড়ে দীর্ঘ ছয় মাইল হেঁটে নানীর বাড়ী যাওয়া....
চৈত্রমাসে গম ক্ষেত থেকে গম কাটা, বুট বা ছোলা ক্ষেতে পাহাড়া দেওয়া, সরিষা ক্ষেত থেকে মাড়ানো। যাদের মনে আছে সমসাময়িক কালের অভাব-অনটনের কথা তারা ভাল বলতে পারবেন, সেই দিনগুলো কেমন তীব্র ছিল। পানির জন্য হাহাকার করতো গ্রামে। ডিবটিউভওয়েলে গোছল করা কি মজাই ছিল। গ্রামে খুব অল্প কয়েকবাড়ীর টিউভওয়েলে পানি থাকতো। পানি টেনে আনার যন্ত্রণা দেখেছি।
অভাবের তথা দিনগুলো প্রখর সময়ে আটার রুটি খাওয়া হতো। কেননা চালের দামের চেয়ে আটার দাম কম ছিল। কথায় আছে, চাইল বেইচ্ছা আটা খাই...
এখন তো মানুষ সখ করে আটা খায়...আগে খেতো অভাবে পড়ে....
২০০০ সালের পর থেকে বাড়ী ছেড়েছি শিক্ষার জন্যে............. আজো বাড়ী ছাড়া চাকুরীর জন্য... জানিনা........তাই চৈত্র মাস এখন কি জিনিষ! তাই মনে পড়েগেল আগে চৈত্র মাস ছিল। অভাব অনটনও ছিল....। গ্রামীণ জনপদের চিত্র এগুলোই ছিল.....
©somewhere in net ltd.