![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
ইবিএস আইপিএম কৃষি ক্লাবের মাসিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের একাংশ
প্রয়ই এই অপ্রিয় বাক্যটি আমরা ব্যবহার করে থাকি উদাহরণ হিসেবে। তাহলে এর নেপথ্যে অনেক উদাহরণ আছে সমাজজীবনে। যেখানে মানুষ প্রতারিত হয়েছে বা শিক্ষা পেয়েছে অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটা শুরু হয়েছে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারত উপমহাদেশে ব্যবসায়ী থেকে শাসক বনে যাওয়া থেকে। অতঃপর ১৯০ বছরের গোলামী আমরা খেটেছি। আবার বিশ্বাস করে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেও আমরা প্রতারিত হয়েছি। এগুলো ঐতিহাসিক দুর্ভোগ, যার জন্য মূল্য দিতে হয়েছে বহুৎ যার কোন ইয়ত্তা নেই।
এরপর আসি সমাজজীবনেও মানুষ নানা ভাবে প্রতারিত হয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ আমরা টানতে পারি যুবকের কথা, আইটিসিএল বা বীমা কর্মীদের প্রতারণার কথা। যুবক নানাভাবে অর্থসংগ্রহ করে উচ্চ লাভ দেখিয়ে। অল্প কিছু দিনেই তারা বিশাল অর্থ হাতিয়ে নেয়। আইটিসিএলও গ্রাহক তৈরী করে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে প্রতারণা করে উদাও হয়ে যায়। নব্বইয়ের দশকে প্রতারণটা বেশী হয়। বীমা কর্মীদের প্রতারণা বলতে গ্রাহকের অর্থ সংগ্রহ করে কোন কোন কর্মী বীমা অফিসে জমা দেয়নি। এমন ঘটনা আগে ঘটতো।
ফলে আর্থিক যেকোন সংগঠন গ্রাহক সংগ্রহের জন্য যেতো তাদের বক্তব্য ছিল এই শতাব্দীর প্রথম দশকে, চুন খেয়ে মুখ পুড়েছে তাই দই দেখলেও ভয় পাই। দীর্ঘ সময় নতুন নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই চুনে পুড়ার বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। সেজন্য উদ্দোক্তাদের অনেক নতুন নতুন পলিসি নিতে হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং বাড়াতে হয়েছে।
সমাজজীবনে আরো একটি বিষয় লক্ষণীয়, মানুষ নিজেরা সংঘবদ্ধ হয়ে সমিতি করতো বা এখনো করে। সমিতিতে যারা দায়িত্বশীল থাকতো তারা সমিতির অর্থ আত্মসাৎ করতো। দুর্বল সদস্যরা প্রতারিত হতো। একসময় এমন কথা প্রচলিত ছিল, সমিতি করতে চাও তবে আগে একটা কুড়াল কিনে নাও ভাগ বাটোয়ারা করার জন্য। ফলে এই প্রতারণার যুগ বা মানুষ ঠকানোর যুগ থেকে উত্তরণ হতে মানুষকে ব্যাপক পরিশ্রম করতে হয়েছে বা এখনো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সমিতি বা সংগঠন করতে এখনো ভয় পায়। তবে যোগ্য লোকদের সংস্পর্শে এসে কাজ করতে উদগ্রীবও হয়, যদি দেখে প্রতারিত হবেনা, তাহলে তারা সামাজিক সংগঠন করে। অথবা বিভিন্ন বিনিয়োগ পরিকল্পনায় অর্থ লগ্নি করে যদি পূর্ণ আস্থা পায়। এরপরেও কখনো কখনো মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে অনেক কম। যেমন বীমা কোম্পানিগুলো এখন স্বচ্ছ হয়েছে, তারা মাঠকর্মী নিয়োগে সচেতন হয়েছে। অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান আইনানুগ অনুমতি নিচ্ছে, সামাজিক সংগঠন বা সমিতিতে দক্ষ ও বিশ্বস্ত লোকেরা নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর পিঁছনে নিয়ামক হলো মানুষ আগের তুলনায় বেশী শিক্ষার্জন বা সচেতন হয়েছে, কেননা শিক্ষিতের হার বেড়েছে।
#শিক্ষা: বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে মানুষকে সৎ ও প্রতিশ্রুতিশীল হতে হবে। মানুষকে ঠকানোর চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, তথা লোভী হওয়া যাবেনা। আমানতের খেয়ানত করা যাবেনা। শিক্ষার হার বাড়াতে হবে। যাচাই বাঁছাই করে কাজ করতে হবে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১২
ইবিএস খাইরুল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২২
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালো চিন্তাভাবনা