![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“একদিন আমার সমস্ত ডানা মেলে পেয়েছিলুম আমার উড়ার আকাশ; আজ আমি পেয়েছি আমার ছোট্ট বাসা, ডানা গুটিয়ে বসেছি । কিন্তু আমার আকাশও রইল ।“ _ রবি ঠাকুর
প্রারম্ভিকাঃ
১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস । বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ- দৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো। এর ২১৪ বছর পর পলাশীর আম্রকাননের অদূরে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আম্রকাননে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয় ।
১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ ঘোষণা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের জন্মলগ্নের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রীরা এই পুণ্য ভূমিতে শপথ গ্রহণ করেন ।
মন্ত্রীসভা শপথ গ্রহণ শেষে কয়েক জন দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, ‘আজ এই আম্রকাননে একটি নতুন জাতি জন্ম নিল। আমরা আমাদের দেশের মাটি থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের বিতাড়িত করবোই । এ লড়াইয়ে আমাদের জয় অনিবার্য। আমরা আজ না জিতি কাল জিতবোই । আমাদের রাষ্ট্রপতি জনগণনন্দিত ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ নির্যাতিত মানুষের মূর্ত প্রতীক শেখ মুজিব বাংলার মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে আজবন্দি । তার নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম জয়ী হবেই হবে ।’
স্বাধীনতার পরপরই বাঙালীর ইতিহাস চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৯৭৪ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীনতার সুতিকাগার ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতি মিউজিয়ামের ভিক্তি প্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার সেখানে ২৩ স্তম্ভ বিশিষ্ট একটি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন । ৩৯.৩৭ একর জমির উপর প্রায় ১৩০০ তি বৃক্ষ শোভিত আম্রকাননের নিরিবিলি সবুজ শান্ত পরিবেশে এক গর্বিত অহংকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে স্মৃতিসৌধটি ।
ঐতিহাসিক পটভূমিঃ
দিনের পর দিন মুক্তিযোদ্ধারা মরণপণ যুদ্ধের পরও স্বীকৃতি না পেয়ে যখন তাদের মনোবল ভাঙতে শুরু করে ঠিক এমনই এক সংকট ময় মুহূর্তে ভারতীয় বিএসএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গোলক মজুমদার ও ৭৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল চক্রবর্তী বৈদ্যনাথ তলায় এসে স্থানীয় সংগ্রাম কমিটি এবং তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক তৌফিক-ই-এলাহী সহ আওয়ামী নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে বৈদ্যনাথ তলায় (বর্তমান মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ) জায়গা দেখিয়ে মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেন। আপামর জনতা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ১৬ এপ্রিল সকাল থেকে সারা রাত ধরে মঞ্চ তৈরি, বাঁশের বাতা দিয়ে বেস্টনি নির্মাণ এবং স্থানীয় ভাবে ভাঙা চেয়ার-টেবিল দিয়েই আয়োজন সম্পন্ন করে। আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম আসে ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফ ক্যাম্প থেকে। অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার এর শপথ গ্রহণের স্থান হিসেবে মুজিবনগর ঐতিহাসিকভাবে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান । শপথ গ্রহণের স্মৃতিকে অম্লান করে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে শপথগ্রহণের স্থানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানের আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে উক্ত কমপ্লেক্সে একটি মানচিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টরকে দেখানো হয়েছে। এই কমপ্লেক্স মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলীর স্মারক ম্যূরাল স্থাপন করা হয়েছে । সার্বিকভাবে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, ঐতিহাসিক আম্রকানন, ঐতিহাসিক ছয় দফার রূপক উপস্থাপনকারী ছয় ধাপের গোলাপ বাগান । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্যগুলি যেকোন বিদগ্ধ পর্যটককে আকর্ষণ করবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন সেক্টরের অবস্থান বাংলাদেশের মানচিত্রে প্রদর্শন করে মানচিত্রটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরস্থ মূল আঙ্গিনায় স্থাপন করা হয়েছে । সুদৃশ্য এ মানচিত্রটি মুক্তযুদ্ধকালীন বিভিন্ন সেক্টরের অবস্থান ও উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী সম্পর্কিত এক প্রমাণ্যচিত্র।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর সদর থানার (বর্তমান মুজিবনগর উপজেলা) বৈদ্যনাথতলা গ্রামের ঐতিহাসিক আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের বরেণ্য সাংবাদিকেরা উপস্থিত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী প্রচার করেন । এ ঐতিহাসিক ঘটনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নতুন প্রাণ সঞ্চার করে এবং বাংলাদেশ সরকারের আইনানুগ বৈধতা প্রদান করে।
ঐতিহাসিক শপথ গ্রহণের স্থানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। উক্ত স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক আম্রকানন যেকোন পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ।
যাবার উপায় :মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে ১৮ কি: মি: দুরত্তে বাস অথবা স্থানীয় যান টেম্পু/লছিমন/করিমন এর সাহায্যে ১০-১৫ টাকার বিনিময়ে মাত্র ৩০ মিনিটেই পৌছাতে যায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ।
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পর্যটন করপোর্রেশনের হোটেলে আবাসনের সুব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদের স্থাপিত ডাকবাংলোয় ৩টি ভিআই পি কক্ষে আবাসনের ব্যবস্থা আছে । মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল এবং ফিনটাওয়ারসহ অন্যান্য আবাসিক হোটেলে আবাসনের সুব্যবস্থা রয়েছে ।
স্মৃতিসৌধ আর সুভাষ মল্লিকঃ
সুভাষ মল্লিক একটি পরিচিত নাম । জীবনের বেশীটা সময়ই কাঠিয়ে দিয়েছেন এই স্মৃতিসৌধের সেবায় । তিনি একাধারে স্মৃতিসৌধের অবৈতনিক পরিচন্নতা কর্মী, মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলির সাক্ষী, এবং স্মৃতিসৌধের ইতিহাস বর্ণনাকারী । গত বেশ কয়েক বছর ধরে ঐতিয্য সচেতন দেশি ও বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টিতে আসে মুজবনগর স্মৃতিসৌধ আর এই স্মৃতিসৌধের সাথে জড়িয়ে যায় একটি নাম, সুভাষ মল্লিক । যেকোন পর্যটক এই স্মৃতিসৌধ ভ্রমনে আসলে বিস্থারিত তথ্যের জন্যে নির্ভর করতে হয় সুভাষ মল্লিকের উপর । ১৬ এপ্রিলের রাতের বেলায় লোক চক্ষুর অন্থরালে হ্যারিকেনের আলোয় যে কয় জন লোক মঞ্চ তৈরি করেছিল সুভাষ মল্লিক তাদেরই একজন ।
স্মৃতিসৌধ এর ঘটনশৈলীর তাৎপর্যঃ
১। এখানে রয়েছে চমৎকার ভাবে সাজানো ২৩ টি দেয়াল । এই ২৩ টি দেয়ালের সমন্বয়ে বুঝানো হয়েছে উদীয়মান সূর্যরশ্মি যা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্তানী শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙ্গালীর স্বাধীকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক । দেয়ালগুলির প্রথমটির উচ্চতা ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং দীর্ঘ ২০ ফুট । পরবর্তী প্রতিটি দেয়াল ক্রমান্বয়ে দীর্ঘে ১ ফুট ও উচ্চতায় ৯ ইঞ্চি করে বেড়ে গেছে । শেষ দেয়ালের উচ্চতা ২৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং দীর্ঘ ৪২ ফুট । প্রতিটি দেয়ালের ফাকে অসংখ্য ছিদ্র আছে যেগুলোকে পাকিস্তানী শাসক গুষ্টির অত্যাচারের চিন্ঽ হিসেবে প্রদর্শন করা হয় ।
২। রয়েছে তাৎপর্যমণ্ডিত লাল রঙের একটি মঞ্চ । ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের বিপ্লবী সরকারের শপথ গ্রহণের স্থানে ২০ ফুল দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্ত সিরামিক ইটের তৈরি আয়তাকার এই লাল মঞ্চটিকে স্থান দেয়া হয়েছে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের মুল ভিতের মাঝখানে । এখানে দারিয়েই অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতা ঘোষণা পত্র পাঠ করেন ।
৩। স্মৃতিসৌধের ভূতল থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বেধিতে অসংখ্য পাথর দ্বারা ৩০ লক্ষ শহীদ ও মা-বোনের সম্মানের প্রতি ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও স্মৃতিচারণা প্রকাশ করা হয়েছে । পাথরগুলির মাঝখানে ১৯ টি রেখা দ্বারা তৎকালীন পূর্ব বাংলার, যা পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল, ১৯ টি জেলা বুজানো হয়েছে ।
৪। লাল মঞ্চ থেকে যে ২৩ টি দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে তাঁর ফাকে অসংখ্য নুড়ি-পাথর মোজাইক করা আছে । এটা সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতার প্রতীক ।
৫। স্মৃতিসৌধের বেধিতে আরোহণের জন্যে ১১ টি সিঁড়ি রয়েছে । আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টর ও বাঙালীর ১১ দফা দাবীর কথা জানান দেয় ।
৬। স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক থেকে যে রাস্থাটি মুল স্মৃতিসৌধের রক্তের সাগর নামক ঢালকে স্পর্শ করেছে সেই রাস্তাটি ভাষা আন্দোলনের বা ২১ শে ফেব্রুয়ারীর প্রতীক অর্থে প্রকাশ করা হয়েছে । এ রাস্তায় সকল প্রকার যান চলাচল নিষিদ্ধ ।
৭। স্মৃতিসৌধের উত্তর পাঁশের আমবাগান ঘেঁষা যে স্থানটি মোজাইক করা আছে তাঁর দ্বারা বঙ্গোপসাগর বুঝানো হয়েছে । যদিও বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের দক্ষিনে, শপত গ্রহন মঞ্চটির সাথে স্মৃতিসৌধের সামঞ্জস্য রক্ষার জন্যে এটিকে উত্তর দক্ষিনে স্থান দেয়া হয়েছে ।
৮। পশ্চিম পাঁশে স্মৃতিসৌধের প্রথম দেয়ালের পাশ দিয়ে শহীদের রক্তের প্রবাহ বয়ে গেছে, যাকে রক্তের সাগর বলা হয় ।
অসম্পূর্ণতাঃ
১৯৭১ সালে ১৭এপ্রিল শপথ গ্রহণ অনুস্তানে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারকে গার্ড অফ অনার দিয়েছিল বার জন সৈনিক । কিন্তু মুজিবনগর কমপ্লেক্সের ভাস্কর্য বা মুর্যােলচিত্রে দেখানো হয়েছে আটজনকে । সকলের ছবি থাকা সত্ত্বেও ভাস্কর্যে সকলের সঠিক অবয়বও আনা হয়নি।’ তারা মনে করেন, এটা ইতিহাস বিকৃতির শামিল; যা সঠিক ও অবিকৃতভাবে উপস্থাপন করা উচিত । তাদের দাবির সঙ্গে আমারও একমত হই । বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, গণহত্যা, অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ, ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া সম্মেলন শেষে আমাদের দৃষ্টি আটকায় আত্মসমর্পণের ভাস্কর্যটির দিকে । একটি টেবিল সামনে রেখে দুটি চেয়ারে বসা অবস্থায় রয়েছেন পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত বাহিনী প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লে. জে. এ কে নিয়াজী । আত্মসমর্পণের দালিলিক এ চিত্রটিই আমাদের জানা । কিন্তু এখানকার ভাস্কর্যে ওই দুজন ছাড়াও টেবিলের পাশে চেয়ারে বসা তৃতীয় এক ব্যক্তিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সমাপ্তিঃ
স্মৃতিসৌধের দক্ষিন দিকে গেলেই দেখা যাবে ভারতের কাটা তাঁরের বেড়া । সব মিলিয়ে মুজিবনগরের সারি সারি শ্যামলা বৃক্ষরাজির নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে ভ্রমনবিলাসী মানুষেরা দেশের ভিবিন্ন প্রান্ত থেকে বারবার ছুটে আসে এখানে ।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সম্বলিত এই বিস্ময়কর স্থাপনাটি হবে সম্পূর্ণ সঠিক ও কলঙ্কমুক্ত, এটাই আমাদের কাম্য । এই ভাস্কর্য গুলি সঠিকভাবে উপস্থাপন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের হস্থক্ষেপ কামনা করছি । আমাদের নতুন প্রজন্ম বড় হোক আমাদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জেনে । ।
©somewhere in net ltd.