নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এহসান সুজন

আমি এহসান। ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স এ বিএসসি ডিগ্রী নিয়েছি বুয়েট থেকে। আপাতত একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছি। চাকরীর পাশাপাশি আমাদের ব্রেইন ও মনের কার্যক্রম সরাসরি শব্দের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এরকম একটি প্রযুক্তি বাংলাদেশে সহজলভ্য করার একটি 'ব্যক্তিগত প্রকল্প' নিয়ে কাজ করছি।

এহসান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা মাস শেষে বাড়তি কিছু টাকা আয়ের কথা ভাবছেন এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

আমি একটা ওয়েবসাইট তৈরী করেছি। এটির এড্রেস হলঃ



http://www.brainwaveoptimizer.com



এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্নত অনেক দেশে খুব জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি বাংলাদেশীদের কাছে প্রচার এবং এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরী করা পণ্যের ব্যবহার ও প্রাপ্তি সহজলভ্য করার জন্য কাজ করছি। এই প্রযুক্তিটি “ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট” নামে পরিচিত।



খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, এটি এমন এক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে শুধুমাত্র বিশেষ প্রকৃতির শব্দ অথবা আলোর মাধ্যমে আপনার ব্রেন ও মনের বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ প্রায় পুরোটাই আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। শুধুমাত্র কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন নয় বরং এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের ব্রেন ও মনের অনেক ধরণের সমস্যার কার্যকর সমাধাণও সম্ভব!



বহির্বিশ্বে এই প্রযুক্তির এত জনপ্রিয়তার মূল কারণগুলো হলঃ

১। এটি খুবই কার্যকরী একটি প্রযুক্তি

২। মানুষের জীবনে এই প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহার উপযোগিতা

৩। এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যমান বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করতে পারা

৪। শুধুমাত্র শব্দ দ্বারা তৈরি করা পণ্যগুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। যদি কেউ শুধুমাত্র mp3 মিউজিক কিভাবে শুনতে হয় তা জানে তাহলেই তিনি এই ধরণের পণ্য ব্যবহার করতে পারবেন।



এরকম একটি প্রযুক্তি বাংলাদেশীরা ব্যবহার না করার জন্য নিচের ৩ টি কারণ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বলে আমার মনে হয়ঃ

১। বেশীরভাগ বাংলাদেশীরা এই প্রযুক্তির কথা জানেইনা। তাই এটি ব্যবহার করার প্রশ্নই ঊঠেনা।

২। যারা এই প্রযুক্তির কথা জানে তারা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরী করা পণ্য বাংলাদেশে পাচ্ছেনা। তাই তাদের জন্যও এটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছেনা।

৩। বিদেশে এই পণ্যগুলোর একেকটির দাম কয়েক হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই যেসব বাংলাদেশী বিদেশ থেকে এই সমস্ত পণ্য কিনতে চান তারা এত টাকা খরচ করে এগুলো কিনতে গিয়ে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এছাড়া অনলাইন থেকে এগুলো কিনতে গেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিনতে হবে। এ ব্যপারটিও সবার জন্য করা সহজ হয়না।



এসব ব্যপারগুলো মাথায় রেখে আমি “ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট” প্রযুক্তির মাধ্যমে বেশ কিছু পণ্য তৈরী করেছি এবং Brainwaveoptimizer.com এর মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করছি। আমি যে পণ্যগুলো বিক্রি করছি সেগুলোতে শুধুমাত্র বিশেষ প্রকৃতির শব্দ ব্যবহার করেছি। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ প্রকৃতির আলোর ব্যবহার নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে।



যা হোক এবার মূল কথায় আসি, মানে আপনি মাস শেষে কিভাবে বাড়তি কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।



আপনি Brainwaveoptimizer.com এর একজন মার্কেটিং পার্টনার হতে পারেন। মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে আপনার কাজ হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে (নিজস্ব ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইমেইল মার্কেটিং এবং অনলাইন মার্কেটিং এর অন্যান্য পদ্ধতির সাহায্যে) অথবা ইন্টারনেটের বাইরে যে কোন উপায়ে বাংলাদেশীদেরকে এই প্রযুক্তির ব্যবহার, Brainwaveoptimizer.com এবং এতে বিক্রি করা পণ্যগুলো সম্বন্ধে জানানো বা বুঝানো যাতে তারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহিত হয় এবং ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী এই ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে।



যদি কোন ক্রেতা আপনার পরামর্শে অথবা আপনার রেফারেন্সে এই সাইট থেকে পণ্য কেনার জন্য অর্ডার দেয় এবং এর মূল্য পরিশোধ করে তাহলে আপনার চেষ্টা এবং পরিশ্রমকে সম্মান করে আপনার রেফারেন্সে আসা প্রতিটি অর্ডার মূল্যের ৪০% আপনাকে দেয়া হবে। উদাহরণস্বরুপ, মনে করুন একজন ক্রেতা আপনার রেফারেন্সে একটি অর্ডারে ৩০০ টাকার পণ্য অর্ডার দিয়ে এর মূল্য পরিশোধ করেছেন। সেক্ষেত্রে আপনি এই অর্ডার এর রেফারেল হওয়ার কারণে এই অর্ডার এর জন্য (৩০০ x ০.৪) = ১২০ টাকা পাবেন।



আপনি টাকা কিভাবে পাবেন?

এই টাকা বিকাশের (bKash) মাধ্যমে আপনাকে দেয়া হবে। এ কারণে আপনার অবশ্যই একটি বিকাশ (bKash) একাউন্ট থাকতে হবে।



কতজন মার্কেটিং পার্টনার এখন নেয়া হবে?

বর্তমানে ২৫ জনকে মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে নেয়া হবে। এক্ষেত্রে, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সিলেকশনটি করা হবে।



কিভাবে আপনি Brainwaveoptimizer.com এর একজন মার্কেটিং পার্টনার হবেন?



মার্কেটিং পার্টনার হওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। তবে ওয়েবসাইট না থাকলে এবং মার্কেটিং পার্টনার হওয়ার ব্যপারে আপনার আগ্রহ থাকলে এই পোস্টটির নিচে দেয়া ই-মেইল অ্যাড্রেস এ মেইল করুন। ওয়েবসাইট ছাড়া কিভাবে আপনি এই প্রযুক্তির কথা এবং Brainwaveoptimizer.com এর পণ্যগুলোর কথা অন্যদের জানাবেন সে বিষয়ে জানান।



এবারে আপনাকে জানাচ্ছি কিভাবে আপনি মার্কেটিং পার্টনার হবেন। মার্কেটিং পার্টনার হওয়ার জন্য নিচের ওয়েবপেজটি ভিজিট করুনঃ



http://mpartner.brainwaveoptimizer.com/affiliates/signup.php



এই ওয়েবপেজে আপনি একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাবেন। এই রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি পূরণ করুন এবং পেজ এর নিচে অবস্থিত “Signup” বাটনে ক্লিক করে আপনার পক্ষ থেকে এই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। আপনি এভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলে আপনার দেয়া তথ্যগুলো আমি অনলাইনে পেয়ে যাব। আপনার দেয়া তথ্যগুলো ঠিক থাকলে মার্কেটিং পার্টনার হওয়ার জন্য আপনার রেজিস্ট্রেশন গ্রহণযোগ্য বলে ধরা হবে এবং আপনার জন্য অনলাইনে একটি মার্কেটিং পার্টনার একাউন্ট করা হবে।



আপনার রেজিস্ট্রেশন গ্রহণযোগ্য হয়েছে এটি জানিয়ে এবং আপনার মার্কেটিং পার্টনার একাউন্টে ঢোকার জন্য পাসওয়ার্ড টি জানিয়ে আপনাকে একটি ই-মেইলে পাঠানো হবে।



নিচের পেজটি থেকে একজন মার্কেটিং পার্টনার তার একাউন্টে লগ-ইন করতে পারবেনঃ



http://mpartner.brainwaveoptimizer.com/affiliates/panel.php



আপনি এই একাউন্টে লগ-ইন করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন, কমিশন হিসেবে আপনার একাউন্টে কত টাকা জমা হয়েছে তা দেখতে পারবেন, আপনার ওয়েবসাইট/ব্লগ/ই-মেইলে ব্যবহার করার জন্য টেক্সট লিংক বা ব্যানার বিজ্ঞাপন এর কোড এর কপি পাবেন......ইত্যাদি



কিভাবে আমি বুঝব যে আপনার রেফারেন্সে কোন একটি অর্ডার হয়েছে?



এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি যদি নাই বুঝতে পারি যে একটি বিক্রি আপনার রেফারেন্সে নাকি অন্য কারো রেফারেন্সে নাকি কোন রেফারেন্স ছাড়াই বিক্রি হয়েছে তাহলে আমি আপনাকে বা অন্য কাউকে কমিশন কিভাবে দিব?



কোন একজন ক্রেতা অনলাইনে অর্ডার দেয়ার সময় তার নাম, ঠিকানা এবং আরও কয়েকটি তথ্যের সাথে “Email of Recommender” নামের একটি ঘরে যার রেফারেন্সে এই অর্ডারটি দিচ্ছেন তার ই-মেইল এড্রেসটি দিতে হবে। যদি তিনি কারো রেফারেন্সে না কিনেন তাহলে ঐ ঘরে তিনি কারো ই-মেইল এড্রেস দিবেন না এবং ওয়েবপেজে প্রদর্শিত তথ্য অনুযায়ী “Email of Recommender” এর ঘরে “NA” দিবেন।



এখন কোন অর্ডার পাওয়ার পর যদি দেখা যায় যে , Recommender এর ই-মেইল এড্রেস হিসেবে আপনার নাম দেয়া আছে তাহলে বুঝা যাবে যে এই অর্ডারটি ক্রেতা আপনার Recommendation –এ দিয়েছে। এই অর্ডারটির জন্য ক্রেতা যখন মূল্য পরিশোধ করবে তখন মোট অর্ডার মূল্যের ৪০% আপনার মার্কেটিং পার্টনার একাউন্টে জমা হবে এবং আপনাকে ই-মেইলের মাধ্যমে এই কমিশন পাওয়ার কথা জানিয়ে দেয়া হবে।



এক্ষেত্রে একটা ব্যপার আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। সেটি হল, আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা ইন্টারনেট ছাড়া যখন মার্কেটিং করবেন তখন আপনাকে Brainwaveoptimizer.com –এ অর্ডার দেয়ার নিয়ম ও তথ্যগুলো স্পষ্টভাবে মানুষকে জানাতে হবে যেন আপনার রেফারেন্সে কেউ অর্ডার দেয়ার সময় “Email Of Recommender” –এর ঘরে অবশ্যই অবশ্যই আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেসটি দেয়। এটি হলে আপনার রেফারেন্সে হওয়া কোন বিক্রির কমিশন থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন না।



“Email of Recommender” এর ঘরে অন্য একজন মার্কেটিং পার্টনার এর ই-মেইল অ্যাড্রেস পাওয়া গেলে তিনি এই ৪০% কমিশনটি পাবেন। আর যদি এই ঘরে কারো ই-মেইল অ্যাড্রেস না পাওয়া যায় তাহলে কেউ কমিশন পাবেন না।



মার্কেটিং ও সেলস এর এই কাজটি আপনি পার্ট-টাইম হিসেবে করতে পারেন। এখানে আপনার কাজ করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনার মাধ্যমে বিক্রি হবে আপনি টাকা পাবেন। বিক্রি হবেনা আপনি টাকা পাবেন না।



মাস শেষে আপনার প্রাপ্য কমিশন পৌছে যাবে আপনার বিকাশ একাউন্টে। আপনার মাধ্যমে যত বেশী বিক্রি হবে আপনি তত বেশী টাকা পাবেন।



মাস শেষে বাড়তি কিছু আয়ের কথা ভেবে থাকলে এই কাজটির মাধ্যমে আশা করি আপনার আয়ের একটি পথ খোলা থাকবে। আপনি আগ্রহী হলে ভিজিট করুন নিচের পেজটি এবং রেজিস্ট্রেশন করুনঃ



http://mpartner.brainwaveoptimizer.com/affiliates/signup.php



যদি পুরো বিষয়টি নিয়ে আপনার আরও কিছু জানার থাকে তাহলে ই-মেইল পাঠাতে পারেন নিচের ঠিকানায়ঃ



[email protected]



ধৈর্য ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। Brainwaveoptimizer.com –এর মার্কেটিং পার্টনার হলে আপনার সাথে আবার কথা হবে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন।



~ এহসান

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.