নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় শিক্ষক হলেও নেশায় লেখক ও পর্যটক। \'\'ভালো আদর মন্দ আদর\'\'(২০১৩) তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই

এইযেদুনিয়া

আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত

এইযেদুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় সংগীতের বিশ্ব রেকর্ড সংক্রান্ত কিছু প্যাঁচাল

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্বরেকর্ড নিয়ে আজকাল অনেকেরই দেখি মিশ্র অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া কাজ করছে! এইসব অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়ার প্রকাশের শুরু অবশ্য আজ নয়, গত ১৬ ডিসেম্বরে সবচেয়ে বড় মানব পতাকার বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর থেকেই শুরু।



সেই মানব পতাকার আমিও একজন ছিলাম।‘’বিষ্ময়ে তাই জাগে, জাগে আমার প্রাণ’’।



অনেক পরিশ্রম, সবার সমবেত প্রচেষ্টায় এই বিশ্বরেকর্ডটি আমরা করতে পেরেছিলাম। আর নিজের দেশের নাম সারা পৃথিবীতে পৌঁছে দেবার আনন্দ-ও কম ছিল না।কিন্তু এই রেকর্ড হবার পরে ফেবুতে দেখতাম এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী নিজ দেশের বিশ্ব রেকর্ডের কষ্টে অত্যন্ত কষ্টিত। যেন এই রেকর্ডটি না হলেই তারা খুশি হতেন বেশি।তারা নানা রকম ত্যানা পেঁচিয়ে বলতে চাইলেন, আমাদের পতাকা নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে, পতাকা ‘রবি’র কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, লোক দেখানো দেশপ্রেমের বিশ্বরেকর্ড ইত্যাদি ইত্যাদি।



রেকর্ডটি হয়ে যাবার পরেও আমি জানতাম না, আমাদের আগে এই রেকর্ডটি কোন দেশের ছিল। কৌতুহল মেটাতে গিয়ে দেখি এর আগে পাকিস্তান এই রেকর্ড করেছিল, আর ১৬ ডিসেম্বর আমরা সেটা ভেংগে দিয়েছি। এবার আনন্দের অনুভূতিতে আরেকটি মাত্রা যোগ হল।সেই সাথে আরেকটি প্রশ্ন মাথায় চলে এলো, কাদের কাছে আমাদের এই বিশ্ব রেকর্ড এত চুলকানি দিচ্ছে???



খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের করা বিশ্ব রেকর্ডে ভাংগন ধরালো, সেই পাকিস্তান। এ নিয়েও দেখতে হল আরো কিছু নাটক। অল্প বয়সী আবেগী ছেলেপেলেগুলো এত আপসেট হয়ে গেল! অন্য কোন দেশ এই রেকর্ড ভাংগলে হয়ত কোন ভাবান্তরই হত না অনেকেরই। আরেকশ্রেণির বুদ্ধিজীবীকে দেখলাম বাংলাদেশের পক্ষে ন্যাকা ন্যাকা ছদ্মবেশী বক্তব্য দিয়ে নিজের অজান্তেই তাদের সুপ্ত পাকিপ্রেমকে প্রকাশ করে ফেলতে।তাদের কথা শুনে আপনার মনে হবে যেন আমাদের মানব পতাকার বিশ্ব রেকর্ড করার আয়োজনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাকিস্তানের রেকর্ড ভেংগে ফেলার কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছিল।আর পাকিস্তানও যেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের রেকর্ডটি ভেংগে ফেলেছে।

(আর এখন অল্প সময়ে পাকিস্তান নতুন রেকর্ড গড়ায় মনে মনে তারাই সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন।অন্য কোন দেশ যদি এই রেকর্ড ভাংত, তাহলে বোধ হয় না তারা এত দেশপ্রেম কপচাতেন!)





আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যা কুলায় তাতে যা বুঝি, নিজের পতাকাকে সারা বিশ্বের কাছে ভিন্ন আংগিকে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়েই এমন রেকর্ড গড়তে সেদিন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আমরা সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিলাম, শিক্ষার্থীদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখানে পাকিস্তানের রেকর্ড ভাংগাভাংগি নিয়ে কারোরই কোন মাথাব্যথা ছিল না। আর পরে পাকিস্তানও যে নতুন রেকর্ড করেছে, এখানেও তারা নিজেদের হারানো গৌরব ফিরে পাবার জন্যই করেছে। বাংলাদেশ ভিন্ন অন্য কোন দেশও যদি এই রেকর্ড করত, তবে স্বাভাবিকভাবেই তারা নিজেদের রেকর্ড ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালাতো। তারপরেও এর মধ্যে কেন বিদ্বেষ টেনে আনি আমরা? ’৭১ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের মাঝে যে আবেগটি তার অপব্যবহার কেন আমরা হতে দিই?



কোন রেকর্ডই চিরকাল টিকে থাকে না।হয়ত কোনটা বেশিদিন স্থায়ী হয়, কোনটি কম দিন।তবে অবশ্যই একটি রেকর্ড যেন দ্রুতই কেউ ভাংগতে না পারে, তেমন কঠিন রেকর্ড করাই ভাল। এবার সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইবার রেকর্ড করার আয়োজন করা হচ্ছে। এই রেকর্ডও হয়ত কোনদিন ভেংগে দেবে অন্য কোন দেশ অথবা হয়ত আবার আমরা নিজেরাই নিজেদেরটা।কিন্তু এ নিয়েও আবারও দেখছি নানা রকম প্রতিক্রিয়া।এমন আয়োজনে খরচ হচ্ছে লাখ লাখ টাকা, লোক দেখানো দেশপ্রেমের রেকর্ড, কর্পোরেট বাণিজ্যে দেশপ্রেম বিক্রি, বিদেশী কোম্পানীর সাহায্য দেশপ্রেমের রেকর্ড ইত্যাদি ইত্যাদি।



আমি নিজে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছি। বিদেশী কোম্পানীর সাহায্য না নিয়েই যদি এই রেকর্ডটি করা যায়, তবে বেশ হয়।কিন্তু তা যখন হচ্ছে না, তখন কী আর করা! বিশ্বরেকর্ডটি হোক, এটি তো আমরা চাই।এই গিভ এন্ড টেকের যুগে বিদেশী কোম্পানীগুলোকে আমাদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে অসুবিধা কোথায়?প্রসংগত আমার প্রিয় ঔপন্যাসিক মঈনুল আহসান সাবের থেকে ধার নিয়ে বলি, ‘’নিম্নপর্যায়ে বুঝে না বুঝে যা আবেগ, উচ্চপর্যায়ে তা থান্ডামাথার প্রয়োজন।‘’





আর লোকদেখানো দেশপ্রেম? হ্যাঁ, দেশের প্রতি ভালবাসা থাকলে তা তো আর লুকিয়ে রাখা যায় না, প্রকাশ পাবেই, লোকে দেখবে। আমরাও সবাই মিলে একসাথে দেশকে ভালবাসছি, তা আবার নতুন করে অনুভব করব। ছোটবেলায় থার্মোমিটার ভেংগে তার পারদ নিয়ে খেলতে গিয়ে নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিভাবে বিন্দু বিন্দু বিচ্ছিন্ন পারদকণাগুলো সব একসাথে মিলে একটা বড় বিন্দুতে পরিণত হয়! ঠিক এভাবেই এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমরা বিচ্ছিন্ন সব প্রাণ একত্রিত হবো, সমবেত হয়ে এক কণ্ঠে যখন গাইবো সেই অপূর্ব সংগীতটি। আর তখন প্রত্যেকের নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা, ঘুমিয়ে থাকা বিন্দু বিন্দু শক্তি একত্র হবে। এক বিশাল মহাসাগর জেগে উঠবে তার সমস্ত শক্তি নিয়ে।নিজের ভেতরের লুকিয়ে থাকা ভালবাসার শক্তি কি নিজেকেই নিজের কাছে অচেনা করে দেবে না তখন?সেই শক্তিতে আমরা চিনব, বারবার চিনবো।সেই শক্তি থেকে উজ্জীবিত হবো, অনুপ্রাণিত হবো, দেশের জন্য মন প্রাণ ঢেলে কাজ করার। আমি তো সেই মহাসাগরের কল্লোলধবনি স্পষ্ট শুনতে পাই ‘’আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসিইইইই’’। আপনি কেন পান না?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর লোকদেখানো দেশপ্রেম? হ্যাঁ, দেশের প্রতি ভালবাসা থাকলে তা তো আর লুকিয়ে রাখা যায় না, প্রকাশ পাবেই, লোকে দেখবে। আমরাও সবাই মিলে একসাথে দেশকে ভালবাসছি, তা আবার নতুন করে অনুভব করব। ..

একচোখে কথা গুলী খুবই সুন্দর। আর বাস্তবতা হলো এগুলো একধরনের ষ্টান্ট বাজী। এটা বুঝতে হলে পূর্ণ পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখতে হবে।

রাজণীতিতে এই ষ্টান্টবাজি আওয়ামীলীগ শুরু থেকে শেস চমৎকার ভাবে করতে পেরেছে পারছে!!!
ভারথীয় শিল্পিদের নিয়ে নাচিয়ে গাইয়ে ছেলে-মোয়ে ভুলানো সস্তা আবেগ কি আর চরম সত্যখে ঢাকতে পারে!

দেশের যে রাজনৈতিক শূন্যতা, অস্থিরতা, তা ঢাকতে এই সব আই ওয়াশ সেই জরুরী ব্যাথানাশক মাত্র। কিন্তু সময়ান্তরে ব্যাথা ঠিকই আবার জাগে!

গণতন্ত্রে উত্তরণের ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে- প্রহসনের ৫% ভোটে সরকার গঠন করে, বা বিডিআর, রাজনৈতিক চাপ ঠেকাতে দৃস্ট ভিন্ন খাতে ঘুরাতে এইসব চটকদার আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এই জন্যই।

স্বাভাবিক জীবন যাপনেই আবার এই গুলো পরম প্রিয়তার। অর্জনের।

একটা দেশের ৯০ ভাগ লোকের মৌলিক অধিকার ভঞ্চিত করে যতই ষ্টান্টবাজি করা হবে, ততই সাধারন সকলের প্রিয় জিনিষটিও বিতর্কিত হবে। নয় কি???

গণতন্ত্র তারা স্বাভাবিক গতিপথে ফিরে আসুক।

জনগলে ভোটের মৌলিক অধীকার ফিরে আসুক।

জীবন স্বাভাবিক ভাবে চলুক- তখন দেখবেন সকলেই কি পরম মমতায় এই রেকর্ডের জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকবে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

এইযেদুনিয়া বলেছেন: কুতর্ক?

contradiction is the worst form of intelligence--kahlil gibran

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু বুদ্ধিজীবীকে দেখাযায় বাংলাদেশের পক্ষে ন্যাকা ন্যাকা ছদ্মবেশী বক্তব্য দিয়ে নিজের অজান্তেই তাদের সুপ্ত পাকিপ্রেমকে প্রকাশ করে ফেলতে!

এইসব বেইমান লিঙ্গ োষা পাকি প্রেমিকদের ধিক্কার!

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪১

এইযেদুনিয়া বলেছেন: ্মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: কিছুদিন আগে অবরোধের সময় ২৩হাজার ছাত্র ছাত্রী মিলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা বানিয়ে গিনেজ বুকে নাম ওঠালো অথচ সেই সময় দেশের কি খারাপ অবস্থা। জ্বালাও পোড়াও ককটেল বোমা মানুষ পোড়ানো চলছে আর আমরা এদিকে গিনিস বুকে নাম ওঠানোর চেষ্টা করছি। এই ২৩হাজার মানুষের মধ্যে অর্ধেক খালেদা জিয়ার বাড়ীর সামনে আর অর্ধেক মানুষ শেখ হাসিনার অফিসের সামনে যে জড় হয়ে যদি বলতাম যে আপনারা জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করুন,দেশে ফেয়ার ইলেকশন দিন আর আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিন তাহলে কি এতগুলো সাধারণ মানুষের বা ছাত্র ছাত্রীদের দাবি উপেক্ষা করার ক্ষমতা শেখ হাসিনা কিংবা খালেদা জিয়ার ছিল? কিন্তু আমরা সেটা করিনি।

আমরা কি একইসাথে প্রতিবাদ জানাতে পারতামনা যে সীমান্তে হত্যা,ধর্ষন বন্ধ করতে হবে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেয়া যাবে না। কিনতু বলিনি।

এখন আবার নতুন রব উঠেছে জাতীয় সঙ্গীতের গিনিসরেকর্ড ভাঙ্গা এবং এর জন্য কয়েক কোটি টাকা খরচ হবে অথচ দেশে মাত্র একটা পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট।এই টাকা দিয়ে কি আরেকটা বার্ন ইউনিট করা যেতনা?আমাদের মতন গরীব দেশে কি এটা মানায়? আমাদের কাছে ফরজ কাজ কোনটা?

হায়রে দেশের সম্মান। আর গিনেজ বুকে নাম উঠিয়ে আমরা গর্ববোধ করি কিন্তু দেশের আকছার কত খারাপ ঘটনা ঘটে যাচ্ছে সেসব নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষ কিছু বলিনা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫২

এইযেদুনিয়া বলেছেন: খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনাকে যারা ভালবাসে তারা ওদের বাড়ির সামনে গিয়ে জড়ো হবে। জনগন যাকে ভালবাসে না, তাকে নিয়ে মাথা ব্যথাও হয় না।

তারপরেও মানুষ একত্র হয়েছে। আপনার যা দৃষ্টিভংগি, গণজাগরণ মঞ্চ-এর উদাহরণ যদি দেই, আপনার মনে হয় ভাল লাগবে না। ১৬ ডিসেম্বরে লাখো মানুষ সহরোওয়াদী উদ্যানে জড়ো হয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছিল, শপথ নিয়েছিল, এসব আপনার চোখে পড়বে না হয়ত। সাভারের রানা প্লাজার দূর্ঘটনায় আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম একই কষ্টে।

একখানা কথা, যতই বোমাবাজির ভয় দেখাক না কেন, মানুষের জাগরণ থামিয়ে রাখা যায় না। মানুষ মনের খুশিতেই পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস উৎযাপন করে।

আমাদের তো অনেক কিছুই দরকার। তবু সব কিছু বাদ দিয়ে বার্ন ইউনিটটাই মনে হয় সত্যি খুব দরকার হয়ে পড়েছে। যেভাবে জামাতিরা আগুনে পোড়ালো সব কিছু। সামনেও মনে হয় ওরা আরো বোমাবাজি করবে। সত্যি বার্ন ইউনিটটা সত্যিই দরকার।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫২

এইযেদুনিয়া বলেছেন: দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ১ঃ মানুষের ঢং দেখ। কী সব ২১ ফ্রেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস বানাইসে। এখন লাখ লাখ টাকা খরচ করে শহীদ মিনার আর স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়। বলি, এত টাকা এইভাবে অপচয় না করে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগাইলেও হইত।

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ২ঃ পূজার সময় এত্ত খরচ করে দেব দেবীর মূর্তিগুলো বানানো হয়! এসব তৈরি করতে, নকশা করতে, পোশাক, গয়নায়, মঞ্চে কেমন খরচ পড়ে ভেবে দেখেছেন? এত বিলাশিতা না করে, তার চেয়ে ঐ টাকাগুলো গরিব মানুষগুলোকে দিলে কত ভালো হত!

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ৩ঃ কুরবানীর ঈদে লোক দেখানো প্রতিযোগিতা না করে ঐ টাকা গরিব মানুষদেরকে দিয়ে দিলে কত ভাল হত!

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ৪ঃ ক্রিসমাসের সময় সান্তা ক্লজের উপহার আর ক্রিসমাস ট্রি সাজাতে কেমন অপচয় হয় কোনদিন ভেবে দেখেছেন? অথচ কত লোক না খেয়ে থাকে!

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ৫ঃ ফানুস! এত পয়সা খরচ করে এভাবে ফানুস উড়ানোর কী মানে হয়? তার চেয়ে ঐ টাকা গরিব মানুষগুলো পেলে তাদের উপকার হত।

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ৬ঃ কী কী সব দিবস ইদানিং বের হয়েছে না? ঐ যে ভ্যালেনটাইনস ডে, ফ্রেন্ডস ডে…আরো কী কী সব। এসব দিবসের কোন মানে আছে? এই যে উপহারের পেছনে এত পয়সা একেকজন খরচ করছে, এদেরকে বলুন দেখি গরিব মানুষের জন্য তার মধ্য থেকে কিছু দান করতে! দেখবেন, দেবে না।

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ৭ঃ লাখ লাখ টাকা খরচ করে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতের বিশ্ব রেকর্ড করে কী লাভ? এভাবে দেশুপ্রেম না দেখিয়ে না বেড়িয়ে টাকাগুলো দেশের কাজে লাগালে বরং আসল দেশপ্রেমের কাজ হত।

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ৮ঃ মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ব্লগের পেছনে আপনার মাসে কত খরচ হয় একটু বলেন তো? এভাবে এত টাকা খরচ না করে……ব্লা ব্লা ব্লা

দুষ্ট লোকের কথা নাম্বার ৯ঃ আচ্ছা, সারা বছর গরিব মানুষের জন্য দরদী এই দুষ্ট লোকগুলো থাকে কোথায়? এরা থাকতে দেশের মানুষ আবার এত গরিব থাকে কীভাবে?

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ভোরের সূর্য.. কারে বলবেন-

ঐযে দেখেন হাজির দেশপ্রেমের কর্পোরেট পোষ্যরা!!!

বিবেক, বাস্তবতাকে নেশায় ডুবিয়ে তারা শুধূ তাদের প্রভূদের আদেশ পালনে ব্যাস্ত!

তারা যদি ৭১এ থাকতো সবচে বড় রাজাকার হতো। কারণ তাদের কাছে টিকে মূখ্য! আর সেইজন্য তারা বিবেক, বাস্তব জ্ঞান, মৌলিক বিশ্বাস সব জলাঞ্জলি দিয়ে অন্ধ দলীয় আর ভাদামীতে মাথা নত করে থাকাকেই প্রিয় বলে বিশ্বাস করে।

দেশের যা খুশি তাই হোক। কিন্তু তাদের ভন্ড চেতনার ব্যবসা তাতে বন্ধ হবে না। বালিতে মূখ গোজা উটের বাস্তব রুপ হল এরা!!!

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

এইযেদুনিয়া বলেছেন: আপনার যে পাকিস্তানের প্রতি এত ঘৃণা জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব কিছু বাদ দিয়ে বার্ন ইউনিটটাই মনে হয় সত্যি খুব দরকার হয়ে পড়েছে!
যেভাবে জামাতিরা আগুনে পোড়াবে! .. সব কিছু।
জামাতি ও জামাতি লেজুরবৃত্তি করা জিন্দাবাদিদের দোষ দেখবো না, চোখ বন্ধ করে রাখব!

সামনেও মনে হয় ওরা আরো কঠিন বোমাবাজি আগুনবাজি করবে।
সত্যি বার্ন ইউনিটটা সত্যিই দরকার।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

এইযেদুনিয়া বলেছেন: B:-/

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
:) :)

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

এইযেদুনিয়া বলেছেন: নীতি ও আদর্শের দিক থেকে এভাবেই কি হেরে যেতে হবে বারবার? আমার নিম্নপ্ররযায়ের আবগে আর ঠাণ্ডা মাথার প্রয়োজন সব মিলেমিশে গুবলেট করে ফেলবে, এভাবেই???
সবার সাথে জাতীয় সংগীত গাইবার ইচ্ছে আমার বিসর্জন দিতে হচ্ছে। যখন জানলাম—এই আয়োজনের জন্য স্পনসর হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক।

ছুপা জামাতিরা এতদিন বিদেশী কোম্পানীর টাকায় জাতীয় পতাকার বিশ্বরেকর্ড নিয়ে নানা কথা বলে আস্ফালন করেছে। জামাতি টাকায় আরেকটি বিশ্বরেকর্ড করার আয়োজনের প্রথম সমালোচনাটা তাদের কাছ থেকে আশা করাটাও আমার ভুল, আমি জানি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.