নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত
আমার বিয়ের জন্য মেয়ে খোঁজা হচ্ছিল বেশ অনেক দিন ধরেই। বাবা-মায়ের পছন্দেই বিয়ে করবো, বিয়ে নিয়ে আমার নিজের কোন বিশেষ মতামত ছিল না।বাবা- মা এক সময় একটি মেয়েকে খুব পছন্দ করলেন আমার জন্য। আমি নিজেও তাকে দেখলাম।বাবা-মায়ের যে কোন সিদ্ধান্ত আমি এক বাক্যে রাজি হয়ে যাই।তাই বিয়ে নিয়ে আমার নিজের কোন আলাদা মতামত বা পছন্দ অপছন্দ ছিল না।আমি বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে গেলাম।দুই পরিবার থেকে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হলো।
বিয়ের দিন এগিয়ে আসতে লাগলো। আমি খুব নার্ভাসবোধ করছিলাম, আমার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে সুখী করতে পারবো কি পারবো না, এসব নিয়ে।বন্ধুরা নানা রকম অশ্লীল রসিকতা করে আমাকে সাহস যোগাচ্ছিল।তবুও ভেতরে ভেতরে একটা নার্ভাসনেস কাজ করছিল। এক বন্ধু আমার অবস্থা হয়ত বুঝতে পারছিল।আমার সে নিজেই আমার জন্য কিছু হোমিওপ্যাথ ধরনের ওষুধ যোগাড় করে দিল।
বিয়ের দিনে আমি ঐ ওষুধটা খেয়ে নিই।একসময় আমি নিজেই ওষুধের প্রভাব টের পেতে লাগলাম, বিশেষ করে সময় যত এগুচ্ছিল।এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠানের ফর্মালিটি সেরে বউ উঠিয়ে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হল। ছোট ভাই বোন আর কাজিনেরা বাসর রাতের জন্য আমার ঘরটা ফুলে ফুলে সাজিয়ে দিচ্ছিল। আমার ওসব দিকে খেয়াল ছিল না। আমি ভাবছিলাম কখন আমার সদ্য বিবাহিত বউটিকে একবারে গলদধকরন করবো।বাসর ঘরে প্রবেশের পরেই আমি আমার স্ত্রীর সাথে যে ধরনের আচরণ করছিলাম তা ঠিক ভদ্র নয়।আসলে ওষুধের প্রভাবে আমি নিজের শারীরিক চাহিদাকে সামলে রাখতে পারছিলাম না। আমার একবারও মনে হয় নি, যে মেয়েটি আজ বিয়ে করে এই ঘরে এসে ঢুকলো তারও কিছু স্বপ্ন আছে।আর আমার এমন আচরণের জন্য সে নিজেও একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। আমার আচরণ তাকে কষ্ট দিচ্ছে কি দিচ্ছে না সেসব নিয়েও আমি একটিবারও ভাবি নি।কারণ সেসব ভাবার মত অবস্থায় আমি ছিলাম না।আমার জোরজবরদস্তির কারণে মেয়েটি দূরে সরে গেল আমার কাছ থেকে।সে রাতে মেয়েটি আমাকে কেন তৃপ্ত হতে রাজি হল না, সেজন্য খুব ক্ষেপে গিয়েছিলাম আমি।
পরদিন মেয়েটির আত্নীয় স্বজনের কাছেই অভিযোগ করে বসলাম সে আমার কাছে থাকতে চায় না।এভাবে নিজের পরিবারের কাছেও মেয়েটিকে আমি ছোট করে ফেললাম। মাঝে মাঝে পুরোনো দিনের এসব কথা মনে পড়লে নিজেকে আমি আর ক্ষমা করতে পারি না।সেই বাসর রাতে আমি আমার স্ত্রীকে কোন সুন্দর স্বপ্ন, মধুর কোন অনুভূতি উপহার দিতে পারি নি। উলটো তাকে ধর্ষণ করতে গিয়েছিলাম।সব কিছুই আমার মুর্খতার ফল।আর সেই সাথে আমার বন্ধুদের ভুল পরামর্শ আমাকে এমন বাজে আচরণ করতে প্রভাবিত করছিল। ওদের প্ররোচনায় এভাবে উলটো পালটা ওষুধ খেয়ে নিজেকে আমি আসলে একটা গাধা হিসেবেই প্রমাণ করলাম। কোন কৃত্রিম ওষুধ নয়, স্বামী-স্ত্রী সুখী হবার পেছনে দুজনের মাঝে যে একটি ভালবাসাময় সুন্দর বোঝাপড়ার সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন সে কথা আমি সেদিন বুঝতে না পারলেও আজ বেশ ভাল লাভেই বুঝি।আর তাই, নিজের ভুলটা যেদিন বুঝতে পেরেছি স্ত্রীর কাছে সব স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।তবু প্রথম দিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আজো হয়ত তাকে ভেতরে ভেতরে কাঁদায়।এ দুঃখ কি সহজে ভুলে যাবার মত? আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি ওর সব দুঃখ ভুলিয়ে দিয়ে সুখী করার। কতটুকু পারবো জানি না।আমি চাই, আমার মত এমন বোকামী আর কেউ যেন না করে।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
এইযেদুনিয়া বলেছেন: হুম, ঘটনাটা আমার এক পরিচিতজনের, আমার না ভাই।
২| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
মুদ্দাকির বলেছেন: সিরিয়াস গাধামি করসেন মিয়া
যাউকগা ভালা হয়া যান
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
এইযেদুনিয়া বলেছেন: ভাই রে ভাই, আমি এখনো বিয়েই করি নি!
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, বড্ড বেশী বোকামি করে ফেলেছেন...