নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত
আমাদের দুজনের পরিচয়টা না হলেই সবচেয়ে ভাল হত।বেশ তো ছিলাম দুজন অচেনা, অজানা, অপরিচিত, দুজনের ভিন্ন দুটি আংগিনায়।বিধাতার কি ইচ্ছে কে জানে!একদিন দুজনের পরিচয় হয়ে গেল।খুব সাধারণ কথোপকথন।তারপর আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব তৈরি হল।ঘনিষ্ঠতাও বাড়লো।আমরা দুজনেই বুঝতে পারতাম আমাদের দূর্বলতার কথা।কিন্তু কঠিন বাস্তবতা এ দূর্বলতা প্রকাশের কোন সুযোগই রাখল না।ধর্মের দিক থেকে আমরা দুজন আলাদা ছিলাম।সমাজ, সংস্কার, পরিবারের ভ্রুকুটি আমি পায়ে দলে ফেলতে পারতাম, পারতাম সব বাধা তুচ্ছ করে ওর কাছে চলে যেতে।ধর্মীয় বাধাটা বড় কিছু নয় ওর কাছে, এতো আমি ভালো করেই জানি। কিন্তু তবুও তার দিক থেকে কিসের যেন একটা বাধা সব সময়ই দেয়াল হয়ে দাঁড়াতো আমার সামনে। আমাকে সম্পূর্ণভাবে ও গ্রহণ করতে পারতো না কিংবা বলা যায় গ্রহণ করতে চাইত না। এটা যে কেন, আমি কখনো বুঝতে পারি নি। হয়ত ওর আগের প্রেমিকাকে মন থেকে এখনো মুছে ফেলতে পারে নি নাকি ওর ছন্নছাড়া জীবনে আমাকে জড়াতে চায় না।আমি আসলে জানি না ও আমাকে কেন গ্রহণ করতে চায় নি। আমি ওর ইচ্ছেকেই গুরুত্ব দেবার চেষ্টা করেছি। ওকে ওর মতই থাকতে দিয়েছি। আমাদের বন্ধুত্বও তাই অমলিন থেকেছে। আর আমার বুকের ভেতরে একটা আশ্চর্য শুন্যতা কাজ করত, এখনো হয়ত করে।কিন্তু আমার এ অনুভূতির কোন মূল্য যেহেতু ওর কাছে নেই, তাই পরিবারের পছন্দেই বিয়েতে মত দিলাম।বিয়েতে ওকে দাওয়াতও দিলাম।
বিয়ের মঞ্চে কনে সেজে আমি বসে আছি। মনের ভেতরে একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করছিল। নতুন জীবন নিয়ে আমার মধ্যে কোন স্বপ্ন কাজ করছিল না।বারবার শুধু ওর কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল।আমার মনের ভেতরে দুমড়ে মুছড়ে যে হাহাকারের ঝড় বইছিল তার খবর কেউ জানে না।মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার হৃদপিণ্ডটা চিপড়ে চিপড়ে সমস্ত রক্ত শুষে নিচ্ছে।এমন একটি সময়ে আমার সামনে এসে ও দাঁড়ালো।আমার ইচ্ছে করছিল সব নিয়ম-নীতির শেকল ছিঁড়ে ফেলে ওকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদি।অথচ কান্না গোপন করে আমি হাসার চেষ্টা করলাম।ওর হাত থেকে উপহার নিলাম।বিয়ে নিয়ে আমার সাথে হালকা দুষ্টুমিও করল ও।কিন্তু আমি জানি, ওর ভেতরটাও ভেংগে যাচ্ছিল।
বিয়ের ভীড়ে আর ব্যস্ততায় এরপর ওর সাথে আর দেখা হয় নি।বিয়েতে আমি অনেক কেঁদেছিলাম।সবাই হয়ত ভেবেছে, বিয়ের কনে তো কাঁদেই, এও এমনি সে কান্না।কিন্তু আমার এ কান্নায় যে কি ছিল তা শুধু আমিই জানি।বিয়েতে নিজের নতুন জীবন, নতুন সংসার, নতুন মানুষটিকে নিয়ে আমি একটুও ভাবতে পারি নি।এটা কি আমার কোন অপরাধ? যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে তবে তা-ই।আমি ওর কথাই ভাবছিলাম।এখনো ওর কথা মনে পড়ে খুব।বিয়ের পরে আমি ওর সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি।কিন্তু ও দূরে দূরেই থাকতে চাইত।আমার দূর্বলতা ও কষ্টের ব্যাপারটা ও হয়ত অনুভব করতে পারত, তাই এমন স্বেচ্ছা দূরত্ব রাখত।আমি এটা তখন বুঝতে পারতাম না, তাই অভিমান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। স্বামী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকার ভান করেছি।কিন্তু সময়-অসময়ে ওর কথাই বারবার মনে পড়ে যায়।যেখানেই থাকুক, ও সুখে থাকুক, ভাল থাকুক, এটাই আমি চাই।
২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
এইযেদুনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
এম. এ. হায়দার বলেছেন: প্রকৃতি মাঝে মাঝে ডিজাইনের দুইটি অংশকে কাছে আনে কিন্ত তাদেরকে পরম সুন্দর তৈরি করতে দেয় না।
হুমায়ূন আহমেদের কথা... ভাল থাকুন।