নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় শিক্ষক হলেও নেশায় লেখক ও পর্যটক। \'\'ভালো আদর মন্দ আদর\'\'(২০১৩) তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই

এইযেদুনিয়া

আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত

এইযেদুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেকড়ে (অনুবাদ গল্প)

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

নেকড়ে



মূল--মো ইয়ান







আমাদের মোটা শুকরছানাটার ছবি তুলেছিল নেকড়েটি। সে ছবিটা ধোয়ার জন্য ব্রিজের কাছের ছবির দোকানে নেবে জানার পরে আমি দ্রুত গিয়ে দরজার পেছনে অপেক্ষা করতে লাগলাম। আর আমার কুকুরটা ছিল আমার পেছনেই। রেগে গিয়ে গলা দিয়ে গরগর আওয়াজ করছিল এটা। দোকানের কর্মচারী মহিলাটি কাউন্টারের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে আমাকে আদেশ করলো কুকুরটাকে বাইরে রেখে আসতে। ‘’ব্ল্যাকি’’ আমি বললাম, ‘’বাড়িতে ফিরে যাও’’। কিন্তু সে নাছোড়বান্দা, কিছুতেই আমার কথায় নড়লো না। আমি ওর কান টেনে ধরে বাইরে বের করে দিতে চাইলাম। আর বিনিময়ে ও রেগে গিয়ে আমার প্যান্টে কামড়ে দিল। ‘’দেখলে তো?’’ ঐ কর্মচারীটাকে আমি বললাম, ‘’ও কিছুতেই যাবে না।‘’ ঐ মহিলা কিছু না বলে রাগী চোখে শুধু তাকিয়ে ছিল কুকুরটার দিকে। সকাল প্রায় দশটার দিকে নেকড়েটি দেখা দিল। ইতোমধ্যে সে নিজেকে মসৃণ ত্বকের মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোকের সাজে সাজিয়ে নিয়েছে, একটি নীল খাকি টিউনিক পরে। অতিরিক্ত ধোয়ার কারণে এই টিউনিকটির রঙ জ্বলে গেছে। তার হাতায় লেগে থাকা চকের গুঁড়ো দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, সে হাইস্কুলের একজন অংকের শিক্ষক। কিন্তু আমি তো জানতাম, সে একটা নেকড়ে। সে হয়ত নিজের ইচ্ছে মত ছদ্মবেশ নিতে পারে, কিন্তু আমাকে বোকা বানাতে পারবে না। সে কাউন্টারের কাছে ঝুঁকে পকেট থেকে ছবির রোল বের করে ঐ কর্মচারীর হাতে দিতে নিচ্ছিল, ঠিক তখনি আমার কুকুরটা আক্রমন করে বসল। তার পশ্চাৎদেশে কামড়ে দিল। কান ফাটানো তীব্র চিৎকার বেরিয়ে এলো তার মুখ থেকে আর প্যান্টের ভেতর থেকে লোমশ লেজটা ফুলে উঠলো। কিন্তু সাথে সাথেই ওটা আবার অদৃশ্য হয়ে গেলো। খুব দ্রুত সে নিজেকে সামলে নিল। সে যে একজন উন্নত ডায়োসিস্ট* তারই প্রমাণ এটা। আমার কুকুরটা ছুটে দৌড় দিল কিন্তু আমি দ্রুত নেকড়েটার হাত থেকে ফিল্মের রোলটা কেড়ে নিলাম। হতবাক হয়ে ভয়ার্ত এক চিৎকার দিয়ে কর্মচারী মহিলাটি বলল,’’কী মনে করো তুমি নিজেকে? লম্ব-হাত দিয়ে টেনে এভাবে তাক লাগিয়ে দিতে চাও?’’ ‘’ও একটা নেকড়ে’’ আমি চিৎকার করে বললাম। ক্রুঢ় হাসি হেসে নিজের হাতদুটো দেখিয়ে সে এমন একটা ভান করল যেন আমি সব মিথ্যে বলেছি আর সে নিষ্পাপ। ‘’ওকে ফিল্মটা ফেরত দিয়ে দাও’’ কর্মচারীটি রীতিমত তলব করল আমাকে। কিন্তু ততক্ষণে নেকড়েটা দরজার বাইরে চলে গেছে আর আমি জানি, আমি দরজার কাছে পোঁছুনোর আগেই সে হাওয়া হয়ে গেছে। পুরো রাস্তাটাই যেন মরুভূমি হয়ে গেছে, একটা মশামাছিও নেই।







বাড়ি ফিরে দেখি, আমাদের শুকরছানাটা শুয়ে আছে আর এর পেটটা এক পোচে কেটে ফেলা হয়েছে, নেকড়েটারই কৃতিত্ব। আমার কুকুরটাও মারাত্নকভাবে জখম হয়েছে। ভয়ে ঘরে কোনায় গুটিশুটি হয়ে আছে। ক্ষতস্থানগুলো চেটে চেটে চিৎকার করছিল।







*ডায়োস ধর্মালম্বী। চীনের একটি প্রাচীন ধর্ম ডায়োস।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনুবাদ ভাল হয়েছে। চালিয়ে যান।

দ্বিতীয় প্লাস।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

এইযেদুনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। একজনের চাপে পড়ে অনুবাদটা করেছিলাম। মন থেকে কাজটা করিনি। তাই প্রথমে গল্পের মানে বুঝতেও পারি নি। অনেকদিন পরে অবশ্য বুঝতে পেরেছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.