নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত
আইজ্যাক নিউটন ১৬৮৭ সালে মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করেন। আর আমি ২০১২ সালে টেলিভিশন সংক্রান্ত দুটো পারিবারিক সূত্র আবিষ্কার করেছিলাম। জাতির স্বার্থে সূত্র দুটো আবার মনে পড়ছে৷
২০১২ সালে দেয়া ২য় সূত্রটি এখন আপডেট করা দরকার। স্মার্টটিভি, স্মার্টফোন, ট্যাব এসব যন্ত্রের কথাও এখন উল্লেখ করতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন ওটিটি তো আছেই।
এক সময় পরিবারগুলোতে "এক দেশ, এক নেতা, এক দল" নীতির মতো "এক পরিবার, এক টিভি, এক চ্যানেল " নীতি মেনে চলা হতো৷ ফলে পরিবারের ছেলে বুড়ো সবাই একত্রেই টিভি দেখতো। টিভির নাটকের কাহিনীগুলোতেও সবার উপযোগী কিছু চরিত্র থাকতো। সেখানে যেমন প্রেম থাকতো,,তেমনি সাংসারিক জটিলতা, শিশুদের উপস্থিতি, বৃদ্ধদের জীবন, গৃহকর্মী, পাশের বাসার ভাবি থেকে শুরু করে অফিসের কলিগ,,পথের রিক্সাওয়ালা, টিস্টলের চা বিক্রেতা... এরকম আরো বহু বহু চরিত্রের সমাবেশ থাকতো। তাই সবাই মিলে নাটক যেমন দেখা যেতো, তেমনি, নাটকের কোন না কোন চরিত্রের সাথে নিজের (বা অন্যেরও হতে পারে) সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যেতো। উদাহরণ হিসেবে কোথাও কেউ নেই, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রির কথা বলা যেতে পারে।
কিন্তু এখনকার নাটকে বাজেট এত কম যে, এত চরিত্রের অভিনেতা কাস্ট করাই মুশকিল।।তাই দু একজন চরিত্র নিয়ে এমন এক কাহিনীর নাটক হয় যে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে দেখাই মুশকিল।।আবার নাটকগুলোতে বলেও দেয়া থাকে না, শিশুদের নিয়ে যেন না দেখা হয়। এখন সবারই আলাদা আলাদা ডিভাইস থাকায় যে যার মতো পছন্দের অনুষ্ঠান দেখে নেয়। গৃহিণী নারীরা বেশি দেখে ভারতীয় সিরিয়াল, তাদের জীবন হয়তো সেখানে প্রতিফলিত হয়। তবে এসব সিরিয়াল আবার ঘরের শিশু, টিনেজ, তরুণ সদস্যদের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তবে সবার আলাদা ডিভাইস থাকায়, খুব একটা সমস্যা হয় না শেষ পর্যন্ত।
আর এখন পরিবারের সবাই একত্রে দেখবে, এ কথা আসলে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেই ওটিটির ওয়েব সিরিজগুলোর কাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। সিরিজগুলোর দর্শকেরাও ভিন্ন রুচির নতুন কিছু সিরিজ আগ্রহ নিয়েই দেখছেন ও পছন্দ করছেন। এগুলো যে সব সময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখা যাবে না, দর্শকেরাও তা ভালো করেই এখন জানেন।
যতই আলাদা ডিভাইস থাকুক, যতই দেশে ডিভোর্সের হার বাড়ুক না কেন, বাঙ্গালিদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন এখনো সবচেয়ে বেশি প্রবল। তাই ঈদে অন্তত সবাই চায়, পরিবারের সবাই মিলে একটা সিনেমা দেখে আসতে। আজকাল ভালো ভালো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এক সময় পরিবারের সবাই মিলে ইচ্ছে হলে শংখনীল কারাগার বা সালমান শাহের কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমা দেখে আসা যেতো। পাশাপাশি এমন অনেক সিনেমাও চলতো, যেগুলো দেখার রুচি কারো হতোই না।।পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখা তো দূরের কথা।
এখন অনেক ভালো মুভি পাচ্ছে। মানুষ অনেক আশা করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যেয়ে বিব্রত হচ্ছে। অথচ সিনেমার বিজ্ঞাপন, ট্রেলার কোথাও উল্লেখ নেই যে, এগুলো ১৮+ দের জন্য! এর দায় কার? যারা পরিবারের সবাই একসাথে মিলে একটা মুভি দেখতে চায়, তাদের নাকি সিনেমার পরিচালক /প্রযোজকের?
সিনেমার কাহিনীতে বৈচিত্র্য থাকতেই পারে। সব সিনেমা সবার রুচি চাহিদাকে পূরণ করে না, এটাও সত্য। কিন্তু তারপরেও, আজও বাংগালিরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটা সিনেমা দেখতে চায়। তেমন সিনেমা কি হচ্ছে?
পরান, হাওয়া, সুড়ঙ্গের মতো সিনেমা হোক। আরো হোক, আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে, শংখনীল কারাগার বা শ্রাবন মেঘের দিনের মতো সহজ সরল সিনেমা কি দর্শকেরা আর পাবে না, যেটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করা যায়?
১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২৪
এইযেদুনিয়া বলেছেন: এইটা ভালো বলেছেন, এখন নাটক কারা লেখে!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি ক বলতে চাচ্ছেন আমি বুঝতে পারিনি।
১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২৩
এইযেদুনিয়া বলেছেন: না পড়লে বুঝবেন কী ভাবে?
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টেলিভিশন ভবিষ্যতে আর থাকবে বলে মনে হয় না।
সিনেমা এখন পুরোদস্তুর বাণিজ্য। আগেও অবশ্য ছিল কিন্তু তখন সিনেমা তৈরি করা হত পরিবারকে মাথায়। সারা বিশ্বে পরিবার গুরুত্ব হারাচ্ছে। সেটার প্রভাব পড়ছে পশ্চিমের সিনেমা এবং টিভি সিরিজে। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সেই স্টাইল অনুসরণ করছি। আমাদের দেশ আগে নাটক, সিনেমা লিখতেন সমাজের সম্মানিত লেখক বা চলচ্চিত্র নির্মাতারা। এখন এগুলি যারা লেখে তাদের অনেকেই গাঁজাখোর, নেশাখোর, মাতাল কিংবা নারী লোভী লোকেরা।
আগে ঈদে আমরা আনন্দ মেলা দেখার জন্য ঈদের দিন তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতাম।