|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একলা একজন
মডারেশনের সকল অস্বচ্ছ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিটি আসনের জন্য যেখানে গড়ে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করে সেখানে ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীরা বলতে গেলে অনুপস্থিত থাকছে। শহরাঞ্চলের মধ্যবিত্তদের মধ্যে ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পাঠানো ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার জন্য তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। ভর্তি হচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ নিয়ে শিক্ষাবিদরা অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে আগ্রহী হওয়াসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মুখোমুখি হওয়ায় তারা অনুৎসাহিত হয়। এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম থেকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিবেশগত মিল থাকার কারণেও অনেক শিক্ষার্থীই এক ধরনের স্বস্তি বোধ করে। এসব কারণেই তাদেরকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে দেখা যায় না। ভর্তি পরীক্ষার যে পদ্ধতি তাতে ইংরেজি, বাংলা, সাধারণ বিজ্ঞান এই বিষয়গুলো প্রায় সব বিভাগের ভর্তি পরীক্ষাতেই রয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় এনসিটিবি প্রণীত বইগুলো। এছাড়া ২০০ নম্বরের মধ্যে গণনা করা হয় ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। এই ২০০’র মধ্যে ১২০ হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার নম্বর আর ৮০ হচ্ছে তাদের এসএসসি ও এইচএসসি’র নম্বর। সেখানেও যারা ভালো করছে তারা এই ৮০ নম্বরের অধিকাংশ পাচ্ছে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা এসব নম্বর না পাওয়ায় কারণে পিছিয়ে পড়ছে।
অবশ্য শিক্ষাবিদরা বলেন যে, ইংরেজি মিডিয়ামের জন্য আলাদা শিক্ষাবোর্ড গঠনসহ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রণীত ইংলিশ ভার্সনের সিলেবাস অনুসারে শিক্ষার্থীদের পড়াতে হবে। অন্যদিকে নতুন করে প্রণীতব্য শিক্ষানীতিতে ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসারেই পড়ানোর কথা বলা হবে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা বিদেশি কারিকুলাম পড়ে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পাস করে। আর গণিত, পদার্থ ও রসায়ন বিদ্যার মতো বিষয়ের ভিত্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস তৈরি হয়েছে। ফলে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়ে। সুতরাং তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে চাইলে তাদেরকে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সিলেবাস পড়তে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রমের ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তুা করে করা হয় সে কারণে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ফলাফল আশানুরুপ হয় না।
ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. বজলুল মোবিন চৌধুরী বলেন, যেহেতু ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল এখন আর শুধু উচ্চবিত্তের স্কুল না, তাই রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত তাদের প্রবেশকে উৎসাহিত করা। এছাড়া প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা শিক্ষাবোর্ড গঠনেরও পরামর্শ দেন তিনি।
৩৫ টি 
+১০/-২২| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫
েভােরর স্বপ্ন বলেছেন: আপনে বজলুল মবেন এর মতামত দিলেন ক্যান? হেয়তো একটা ধান্ধা বাজ।
ইংরেজি মাধ্যমে আসলে কি কোন পড়ালেখা হয়? কোন পাবলিকে ভর্তি পরিক্ষায় হেরা তো টিকতেই পারে না।
ঢাকা ভার্সিটিরতে ভর্তি পরিক্ষায় অপশনাল হিসাবে উচ্চতর ইংরেজি নেওয়ার সুযোগ আছে। স্বাভাবিক ভাবে যারা ইংলিশ মিডিয়াম থেকে আসছে তাদেরই উচ্চতর ইংরেজি নেওয়ার কথা। আমি একবার করলাম কি ঘ-ইউনিটের রেজাল্ট নামালাম, এরপর যারা উচ্চতর ইংরেজিতে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের আলাদা করলাম। এবার আমি জেনারেল ইংলিশের প্রাপ্ত নম্বর হিসাবে সর্টিং করলাম। মজার ব্যাপার কি জানেন যারা অপশনাল হিসাবে উচ্চতর ইংলিশ-এ পরিক্ষা দিয়েছে তারা কেউই জেনারেল ইংলিশে সর্বোচ্চ নম্বর পাইনি। এমনকি তাদের কেউই ১০০এর মধ্যে নেই।
কি বুঝলেন?
৩| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৫২
রিয়াজুল ইস্লাম বলেছেন: ইংরেজি মিডিয়ামের জন্য আলাদা সিলেবাস না রেখে একই সিলেবাস তৈরি করতে হবে।
আর তাদের জন্য আলাদা শিক্ষাবোর্ড গঠন করার চিন্তা হাস্যকর।
৪| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: ইংরেজী মাধ্যমটাই দেশ থিকা ঝাইড়া খেদানির দরকার।
৫| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১০:১১
বজ্রাহত বলেছেন: .
ইংরেজি মাধ্যমের ও'লেভেল-এ'লেভেলের কোর্স কারিকুলামের সাথে প্রচলিত এসএসসি-এইচএসসি'র কারিকুলামের বেশ পার্থক্য আছে!! তারা এখানে চান্স পাবে কি করে?
ও-এ লেভেলের কারিকুলামে তৈরি কোনো কোনো পরীক্ষায় এসএসসি-এইচএসসি কারিকুলামেরর শিক্ষার্থী গিয়ে দেখুখ না!! বোঝা যাবে কত ধানে কত আঁটি!!
৬| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১০:১৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: পোস্টটা পরিষ্কার না। একেবারেই অল্প তথ্য।
আসলে ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেরা কোন সমস্যায় পড়ে? মানে, ওদের ও আর এ লেভেলের জিপিএ কোন মাপকাঠিতে যোগ হয়???? এইচ এস সি এর পরে, ভর্তি পরীক্ষার আগে আমরা যতটুকু সময় পাই, ওরা কতটুকু পায়?আমার জানামতে এ লেভেল ত আরও আগে শেষ হয়। আগেই বলেছি, আমি শিওর না। কিন্তু, পোস্ট পড়ে কিছু জানলামও না।
আলাদা শিক্ষাবোর্ড গঠনের চিন্তা হাস্যকর। কথা সত্য।
ওরা বিদেশে যাবে, তাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য যুদ্ধ করতে চায় না, পড়তে চায় না। বিদেশে এই মূর্খ গুলারে পাঠায়া দেশের নাম ডুবিয়ে লাভ আছে??
তবে, আইবিএর বেশিরভাগই ইংলিশ মিডিয়াম থেকে আসছে বলেই মনে হল। (আমার সাথে যাদের পরিচয় হইহে। পরিসংখ্যান জানি না আমি।)
ইংলিশ মিডিয়ামের পোলাপান পাবলিকে কয়জন চান্স পায়? এ ব্যাপারেও কোন নিশ্চিত তথ্য পোস্টে পেলাম না।
ধূরররর।
৭| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০১
কামালআবু বলেছেন: ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের আমাদের মূলস্রোতে অন্তভুক্ত অত্যন্ত জরুরী। এ ব্যপারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কিছু করনীয় রয়েছে। যেমন, ভতি পরীক্ষার মাক সংযোজন নীতির পরিবতন। এই নিয়মে, কম মাক পাওয়ার কারনে তারা প্রথমেই পিছিয়ে পড়ে, তাই উৎসাহ হারায়।এ/ও লেভেল মাক সংযোজনের নীতি একটু পরিবতন করলেই এদেরকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতি করা যাবে। ব্যাপারটা জটিল কিছু নয়।
৮| ১৫ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:০০
রাতেরপথিক বলেছেন: রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: ইংরেজী মাধ্যমটাই দেশ থিকা ঝাইড়া খেদানির দরকার।
৯| ১৫ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৩১
লুথা বলেছেন:
প্রথমেই বলি, সাধারণত উচ্চ মধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তদের ছেলে-মেয়েরাই ইংরেজী মাধ্যমে ভর্তি হয়... কিন্তু সবাই খারাপ এইটা বলা অনুচিত...
প্রথম কারন হিসেবে বলবো আমাদের সাথে তাদের সিলেবাসের অনেক কিছুই মিল নাই... কেও যদি একজন (ইংরেজী মাধ্যমের) ছাত্রকে পডানো শুরু করে (শিক্ষক যদি বাংলা মাধ্যমের হয়) তাহলে সে বুঝবে, আমরা না বুঝে কথা বলি, না জেনে কথা বলি, এইখানেই সমস্যা...
২য় কারন হিসেবে বলবো যারা এতো টাকা দিয়ে পডাশুনা করে, এবং ভালো রেজাল্ট করে তাদের বড অংশ দেশের বাইরে পডতে চলে যায়... টাকা তাদের বেশিরভাগের কাছে প্রব্লেম না কারন ইংরেজী মাধ্যমে পডাশুনা এমনিতেই ব্যয়বহুল... প্রতি বছর যারা A লেভেল এ ভালো রেজাল্ট করে (অথবা ভালো রেজাল্টের জন্য ডেইলি স্টার পুরষ্কার পায়) তাদের কয়জন দেশের ভার্সিটিগুলাতে ভর্তি হয় একটু খবর নিয়ে দেখবেন... আপনার লিখায় অনেক ইনফরমেশনের ঘাটতি রয়েছে...
৩য় কারণ হিসেবে বলবো, ছোট বেলা থেকে এইসব ছেলে-মেয়ের মাঝে এমন মানসিকতা গডে উঠে যে, খুব কম ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিতে যায়, গেলেও কতটা সিরিয়াস থাকে সেটা প্রশ্নের বিষয়... আপনি যে কোন ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন...
৪র্থ কারন হিসেবে বলবো, পাবলিক ভার্সিটি গুলার মাঝে ঢাকা-বুয়েট-আই.বি.এ ছাডা খুব কম ভার্সিটিতেই ইংরেজী মাধ্যমের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষা দিতে যায়... এবং সবাই জানে এই ৩ জায়গায় খুব বেশি কম্পিটিশন হয়... কিন্তু আপনি যদি আই.বি.এ তে যান, তাহলে সেখানে বাংলা-ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত / ব্যবধান খুব বেশী নয়...
আরো অনেক কারণ আছে, যেগুলা বলতে গেলে রাত হয়ে যাবে...তবে একটা কথা বলতে চাই, অনেকে বলছেন ইংরেজী মাধ্যম দেশ থেকে খেদানো দরকার, কেন?? যুক্তিসঙ্গত কারন বলতে পারবেন কেও ??
১০| ১৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
রাতেরপথিক বলেছেন: আমাগো এক ভাই ইংরিজি মিডিয়াম লইয়া ব্যাপক ফালাফালি করতাছে । ভালো ফালাফালি অনেক ভালো। ভাই এই মুর্খ বাঙ্গাল কিন্তু ইংরেজি মিডিয়ামের পুলাপাইন পড়াইছে। মুটামুটি একটা ধারনা আছে এই ইংলিশ মিডিয়ামের বাচ্চারা কি শিখতাছে আর হেরা দেশের জন্য কি করবো!!!!!!!
আপনার কথাই মাইনা লইলাম ইংলিশ মিডিয়ামের পুলাপাইন ব্যাপক মেধাবী!!!!!! আর ভাই আমি অতি মুর্খ কিছিমের মানুষ আপনাগো যুক্তি দিয়া বুঝানোর শক্তি নাই।
১১| ১৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮
রাতেরপথিক বলেছেন: রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: ইংরেজী মাধ্যমটাই দেশ থিকা ঝাইড়া খেদানির দরকার।
@ রাজ ভাই আপনার কাছে কি কুনো যুক্তি আছে ইংলিশ মিডিয়াম খেদানির লইগা। যদি যুক্তি থাকে তাহলে তারাতারি অবতারনা করেন। এক ভাই যুক্তি অভাবে মুক্তি পাইতাছে না।
১২| ১৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:২৭
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: প্রথমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করি। আমি এমন এক ছাত্র যে জীবনে তিনটা মাধ্যমে পড়েছে। বাংলা, ইংরেজী আর রুশ। আমি এস এস সি পাশ করছি বাংলা মাধ্যম থিকা। কলেজে পড়ছি জাতীয় বোর্ডের ইংলিশ ভার্সনে। এখন পড়তাছি রুশ ভাষায়। মোটামুটি আমার একটা অভিজ্ঞতা হইয়া গেছে বিভিন্ন ভাষায় পদার্থ, গণিত এইসব পইড়া।
ইংরেজী মাধ্যম আমাদের দরকার নাই। বর্তমানকালে বাংলাদেশে এক কালচার শুরু হইছে পোলাপানেরে ইংরেজী মাধ্যমে পড়ানি। এইটা অনেকটা স্ট্যাটাস হিসেবে বিবেচিত হয় আজকাল। অনেক বাবা মা খালি মাইনষেরে কওয়ার লেইগা পোলাপানেরে ইংরেজী মাধ্যমে পড়ায়। আমার লগে কলেজে যারা পড়ছে তারা প্রথমে ছিল ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডে পড়া পোলাপান। ক্লাস সিক্সে বা সেভেনে বা এইটে বাপ মায় তাগোরে মূল সমাজের সাথে যাতে একেবারে বিচ্ছিন্ন হইয়া না পড়ে (কি ভয়ংকর!!!!!) তার জন্য বিভিন্ন স্কুলের ইংরেজী মাধ্যম যাতে জাতীয় বোর্ডের সিলেবাস অনুসরণ করা হয় সেখানে ভর্তি করে। আমি আমার এক বন্ধুরে জিগাইলাম তুই কবে থিকা এই ইংরেজী মাধ্যমে পড়স। ও কয়, পয়দা হওয়ার পর থিকা। এদের বেশীরভাগেরই বাংলায় অবস্থা খারাপ। নিজের দেশে থাইকা নিজের ভাষার থিকা একটা বিদেশী ভাষা তারা ভাল জানে। এর থিকা আক্ষেপের আর কি হইতে পারে। ওরা জাতীয় বোর্ডের সিলেবাস পড়ে। সেখানে বাংলা আছে বাংলার মতই। আর বাকী সব ইংরেজীতে অনুবাদ করা। যাই হোক ওরা বাংলা পড়ার সুযোগ পায়। তাইতেই ওগোর বাংলার যে অবস্থা, ও-লেভেলের পোলাপানের তাইলে কি অবস্থা চিন্তা করতে ভয় করে। এইডা মূলত জাতিগত ও সাংস্কৃতিক দিকে ইংরেজী মাধ্যমের কুফল।
এইবার আসি জ্ঞানগত দিক দিয়া। সহজ একটা যুক্তি দেই। এক্কেবারে পানির মত সহজ। পৃথিবীর সব পরাশক্তি বা অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলো কি ভাষায় পড়ে? সবাই নিজ মাতৃভাষায় পড়ে। অনেকেই বলবেন আমাদের বই নাই, হেন নাই ,তেন নাই। আরে মিয়া যাইয়া দেখেন এই সব দেশ তাদের মাতৃভাষায় কি পরিমান বই বিদেশী ভাষা থিকা অনুবাদ করছে। বাংলাদেশে বাস করি অথচ আজও আদালতের ভাষা ইংরেজী। এই হইল আমাদের ২১শে ফেব্রুয়ারী। আমাদের তো আর ভারতের মত সমস্যা নাই যে বহু ভাষার বহু জাতের দেশ তাই ইংরেজীরে আদর্শ হিসেবে ধরতে হবে। ম্যাথ অলিম্পিয়াডে সবসময় উপরের সারিতে থাকা ভিয়েতনাম প্রায় আমাদের মতই গরীব এক দেশ। কিন্তু তারা উপরে যায় আর আমরা নিচে বইসা থাকি। কেন? কারন ভিয়েতনামীজরা ইংরেজী জানে না!!!!!! মানে কথাডা হইল গিয়া ওরা নিজেদের ভাষায় পড়াশুনা করে, এমনকি ইউনিভার্সিটিতেও ওরা পুরাদমে নিজেদের ভাষা চালায়। যখন একটা স্কুল ছাত্র যে গণিতে অনেক ভাল কিন্তু ইংরেজী জানে না সে যখন উচ্চতর গণিতের দিকে বিশাল হাত বাড়ায় তার হাতে আইসা পড়ে সব ইংরেজী বই। রামানুজানরে চিনেনতো সবাই?????? সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গণিতবিদদের একজন। উনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথা না বলাই ভালো। উনারে ভার্সিটি থিকা বাইর কইরা মানে বহিষ্কার কইরা দিছিল। কারন একটাই, উনি ইংরেজী জানতেন না।
আমরা বাংলাদেশ। এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী ব্যাক্তি নোবেল পাইছে এই বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে। পৃথিবীর চারটা মহাকাব্যের দুইটা আমাগো। আমরা যদি এখন আফ্রিকানগো মত ফ্রেঞ্চ আর ইংরেজীরে মাতৃভাষা বানাই ফালাই, ইংরেজীরে যদি সর্বস্তরে ব্যবহার করিয়া বাংলারে পহেলা বৈশাখে আর একুশে ফেব্রুয়ারীতে ব্যাবহার করি, তাপগতিবিদ্যা না পইড়া থার্মোডাইনামিক্স পড়ি এবং পড়ার ফাকে একটু রবীন্দ্রসংগীত শুইনা বিশ্রাম নেই তাইলে আর কি করার। ভাষা শহীদরা আমারে ক্ষমা কইরা দিও। আমি আমার ভাষার মর্যাদা রাখতে পারি নাই।
*****আমার এক বন্ধুরে বাংলা ভাষার শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয়তা বলার পর উনি আমারে বিভিন্ন রুপে গালি গালাজ ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করিয়াছিলেল। তা উনি আবার জাফর ইকবালরে বড় ভালা পায়। চিঠি মেইলে সম্পর্ক আছে। জাফর বলতে অজ্ঞান। তা জনাব জাফর ইকবাল যখন আমার কথাগুলিই বললেন প্রথম আলোতে তখন আবার উনি মানলেন। আমি বললাম এখন কি করবি? ও কয় এখন ঠিক আছে। এখন আমি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োজনীয়াতা মানি। আমি কইলাম আমি কি দোষ করছিলাম। কৃষ্ণ করিলে লীলা আমি করিলে ব্যাভিচার, এ কেমন অবিচার? ও কয় হ তুই করলে ব্যাভিচার। আমি আর কি কইতাম?
**** আমার যুক্তি অনেক খোড়া হইছে আমি জানি। অবশ্য আমার যুক্তি দেওয়ার দরকারও নাই। আবুল মনসুর আহমেদের "পাক বাংলার কালচার" ( পরবর্তীতে "বাংলাদেশের কালচার") বইয়েই বহুত অকাট্য যুক্তি দেওয়া আছে। ক্লাস সেভেন এইটে উনার একটা প্রবন্ধ সবাই পড়ছেন শুধু খাটি ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র ছাত্রীরা ছাড়া। অনেকেই শুধু পড়ছেন জীবনে আর কামে লাগান নাই।
১৩| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
রাতেরপথিক বলেছেন: রাজ ভাই ব্যাফক ধইন্যা পাতা। আমারও আপনার মত একই কতা চীনা ভাষায় যদি হয় তবে বাংলায় নয় কেন? জাপানিজ ভাষায় যদি হয় তবে বাংলায় নয় কেন?
কিন্তু দুঃখ হইতাছে আমরা না বুইঝা ইংরেজি লইয়া একটু বেশী ফালাফালী করি।
১৪| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: @রাতের পথিক
চীনারা ইংরেজি ভার্সন চালু করছে এখন। ধুমায়া ফালাফালি করতাছে ইংরাজি লইয়া। ওদের টাইনা ভুল করছেন।
-------------
যাউক, ইংরেজি মিডিয়ামের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নাই। আর, ওই পোলাপাইনগুলিরে আমি ভালা পাই না। কিন্তু, ভার্সিটি লেভেলে ইংলিশ উঠায়া দিতে হইব এইটা মানতে কষ্ট হইতেছে।
বাইরের দেশে আমাগো পোলাপাইন যাইয়া ইংলিশ না পাইরা তুতলাইব, এইটা আমি চাই না।
এইটা ঠিক যে, ভার্সিটি লেভেলে আতকা ইংলিশ পাইয়া পুলাপাইন ফিজিক্সের ভাষা বুঝে না। তাইলে কতা হইল, ইংলিশ না পারাটা কার দোষ?
পুলারে তাইলে ইন্টার থেইকাই ইংলিশ শিখানি হোউক। কিন্তু, বাংলায় মেট্রিক পাশ দিয়া কলেজে ঢুইকাই ইংলিশে সব কিছু পাইলে পুলায় কাইন্দা দিব। তাইলে উপায় ???
উপায় হইল, এইচ এস সি পর্যন্ত দেশে তিনটা মিডিয়াম থাকার কোন মানে নাই। এই এচ সি পর্যন্ত শিক্ষায় ইংরেজিকে জোরদার করে, শক্তিশালী করে; মাদ্রাসা এবং ইংলিশ মিডিয়ামকে বাদ দিয়ে একটাই মিডিয়াম চালু করতে হবে।
একটাই মিডিয়াম কিন্তু, স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেটা অবশ্যই বাংলায়।এইচ এস সি পর্যন্ত।
কিন্তু, এরপরে, মানে ভার্সিটি লেভেলে ইংরেজির দরকার আছে। গার্মেন্টেসের কাপড় বেঁচতে যেয়ে যদি পোলাপান বিদেশী ক্রেতা কোম্পানীর সামনে যদি তোতলায়, সেই দুঃখ আপনি কোন পকেটে রাখবেন? চায়না আর জাপানের কথা বইলা লাভ নাই। আমাদের তোতলামীর লজ্জা ওদের দেশে রাখতে চাইলে ওরা জায়গা দিব না।
আর, ইংলিশে পড়লে বাংলাকে অপমান করা হয় না। বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেই বরং দেশের ভাষার অপমান। এগিয়ে যেতে হলে সবার সাথে কন্টাক্ট দরকার। চায়না আর জাপানীদের সাথেও। ওদের সাথে চাইনীজ বলতে পারব না। ইংরেজীই ভরসা।
১৫| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ৮:২৪
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: @রাতেরপথিক ভাই আমি আরো কিছু কমু নাকি আপনেই বলবেন? বাংলার মর্যাদা আমাদের হাতেই।
১৬| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১০:০৩
রাতেরপথিক বলেছেন: কি কইতে চাই আর লুকজন কি বুজে । ভাই আমি খালি একটা কতা কইবার চাই তা হইলো আমরা কেন ইংরেজি শিখুম? আমাগো যদি যোগ্যতা থাকে তাইলে লুকজন বাংলা শিখে আমাগো লগে কতা কইতে আইব। সবার আগে দরকার যোগ্যতা অর্জন করা।
@রাজ ভাই একটু খোচা মারলে সুবিধা হয়।
১৭| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১০:৫৯
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আকাশ_পাগলা বলেছেন: @রাতের পথিক
চীনারা ইংরেজি ভার্সন চালু করছে এখন। ধুমায়া ফালাফালি করতাছে ইংরাজি লইয়া। ওদের টাইনা ভুল করছেন।
------------
চায়নারা কি ইংরেজী ভার্সন শুরু করেছে তা কিন্তু বলেন নাই। তারা ইংরেজী শিখছে এই জন্যই যাতে ইংরেজী ভাষাভাষী বহির্বিশ্বের সাথে তাদের যোগাযোগ সহজ হয়। তারা কিন্তু তাদের জ্ঞান বিজ্ঞানে ইংরেজীকে ঢুকায় নাই। তাদের মহাকাশ বিজ্ঞান বা পারমানবিক বিজ্ঞান কেন্দ্রেগুলিতে তারা ইহজনমেও ইংরেজী ঢুকাবে না। কারন তাদের সেইটার দরকার নাই। কিছু কিছু বিষয় তারা ইংরেজীতে পড়ানো আরম্ভ করেছে কিন্তু সেটা নিতান্তই সীমিত। আর সেই বিষয় গুলো নিতান্তই ব্যাবসা বানিজ্য সম্পর্কিত। ইংরেজীকে জীবনেও তারা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে নিবে না। তারা ইংরেজীর পিছনে সময় নষ্ট না কইরা ঐ সময় গণিত চর্চা করে। আর ফি বছর ১ম স্থান দখল করে অলিম্পিয়াডে। আপনি যদি চায়নায় যান তাহলে বুঝবেন আমাদের এই মহান ইংরেজীর কি বিপুল(!) ব্যাবহার তারা করতাছে। অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগের জন্য তারা দোভাষী ব্যাহার করে। ইংরেজীর পাত্তা সেখানে নাই। ইংরেজী চলে কয়টা দেশে। আমরা দুনিয়া বলতে বুঝি আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া এইসব ইংরেজী ভাষাভাষী দেশ। ইংরেজী শিখায়া জার্মানী বা ফ্রান্সে একটা পুলারে পাঠাইয়েন কামলা দেওয়ার জন্য। ইংরেজী তার পেটের ভিতরেই থাকব, কামে লাগব না। দুনিয়াটা অনেক বড়।
ফ্রান্সের প্রাক্তন আফ্রিকান উপনিবেশগুলির লোক আমাদের মতই মনে করে ফ্রেঞ্চ জানা হইল একটা ফরজ কাজ। ব্রিটেনের প্রাক্তন আফ্রিকান উপনিবেশগুলি মনে করে ইংরেজী হইল একটা ফরজ বিষয়। আমরাও যদি তাই মনে করি তাহলে আমাদের সাথে বেনিন, কম্বোডিয়া এদের পার্থক্য কি রইল? আর ঐদিকে উন্নত দেশগুলি নিজেদের ভাষায় জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করাকে সহজ করে তা সাধারণ জনগনের মধ্যে সহজলভ্য করে দিচ্ছে। আপনি বলবেন ইংরেজী না জানলে জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ব। আরে ভাই আপনি যদি খাটি বাঙ্গালী হয়ে থাকেন তবে আপনি ফিজিক্সের থিওরী আপনার মাতৃভাষাতেই বুঝবেন অন্য কোন ভাষায় না। যতই বিদেশী ভাষায় পড়েননা কেন বুঝার জন্য ঐ বাংলাতেই চিন্তা করতে হবে। আপনি যখন ইংরেজীতে চিন্তা করতে পারবেন, ইংরেজীতে স্বপ্ন দেখবেন তখন কেবল আপনি ইংরেজীতে বুঝবেন। কিন্তু ততক্ষণে আপনি ইংরেজে রুপান্তরিত হয়ে গেছেন। আপনি আর বাঙ্গালী নন। দলে দলে ইংরেজ দিয়া ব্রিটেনের উন্নতি হইতে পারে বাংলাদেশের হবে না।
কোন দেশের সাথে কন্টাক করতে গেলে ইংরেজী ছেড়ে ঐ দেশের ঐ ভাষায় কন্টাক করাই ভাল। তাতে বিষয়বস্তু পরিষ্কার হয়। দু পক্ষই অনুবাদের হাত থেকে বাচে। আর সাধারণ কথাবার্তা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজীতে জ্ঞান অর্জনের দরকার নাই। সাধারণ ইংরেজী জানলেই চলে। সারা দুনিয়ার মানুষ তাই করতাছে।
১৮| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:১৯
রাতেরপথিক বলেছেন: @রাজ ভাই ------ ব্যাপক ঝাঝা আপনারে।
১৯| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:২১
সুবাইল বলেছেন: Nachte na janle uthan baka...
English medium er chelera pare na tai onno board lagbo!
Nijer quality r baper tk te porar onek parthokko ache...baper tk i onek santi...
Iba te viva ekta boro factor..eta te ora advantage pae...noile na..
Amar o mone hoe uni te madhom hole valo hoe..ami engineer..kichu bisoi ja english e emagine korte kosto hoe...kintu onek technical term er to banglai nai..tokhon?translate korte gele hassokor bangla hobe...even indian boi o sohoj english korte jea onek jaiga gulia fele...tai better hsc theke english kora...bangla ssc er por kau asole sikhe na...
২০| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:২১
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: ঝাঝা আমার প্রাপ্য নাই ভাই, প্রাপ্য আমার মাতৃভাষার।
২১| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩৪
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: @সুবাইল ভাই।
আমাদের হাস্যকর পরিভাষা করার দরকার নাই। বেশীরভাগ দেশে কোন বিষয় প্রথম যে দেশ আবিষ্কার করছে সেই দেশের ভাষায় যা বলে তাদের নিজের ভাষাতেও তা বলে। র্যাম কে র্যাম। এনট্রপিকে এনট্রপি বললেই হয়। বাকী লেখা আর ব্যাখ্যা বাংলাতে করলেই চলে। ইন্টিজারকে আমরা পূর্ণসংখ্যা বলি, কিন্তু বেশীরভাগ দেশে ইন্টিজারই বলে।
সকলের মেধা সমান হয় না। সবার মেধা সবসময় পরিষ্ফুটিত হয় না। তাই বাপের টাকা, প্রাইভেট ইউনি, পাবলিক ইউনি নিয়া ক্যাচাল না করাই ভালো। জ্ঞান অর্জনের অধিকার সবারই আছে। রামানুজনরে তো বাইরই কইরা দিল ইউনি থিকা।
আমাদের দেশটার, দেশের মানুষের অনেক কষ্ট।চলুন আমরা নিজের ভাষাকে, মানুষকে ভালবাসি। একদিন আমরাও মাথা তুলে দাড়াব বিশ্বের বুকে।
২২| ১৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:৫২
লুথা বলেছেন: আইচ্ছা আমি এইবার না হই কিছু কই (নিজেরে পন্ডিত বলতেছি না সবার মতো, নিজেরে মূর্খই বলতেছি)ঃ তাইলে শুনেন মূর্খের কিছু কথা...
১. আমি কিন্তু বলি নাই যে ইংরেজী মিডিয়ামের পোলাপান বাংলা মিডিয়ামের পোলাপান থেকে ভালো ছাত্র, প্রথমেই একটা কথা বলে রাখে আমার লিখায় আমি শুধু এইটা পরিষ্কার করতে চাইছি যে যাদের কে আপনারা এতো পচাইতেছেন তাদের সবাই কিন্তু খারাপ না, তাদের মাঝেও অনেক ভালো ছাত্র-ছাত্রী আছে এবং আমি শুধু ভালোদের নিয়েই কথা বলছি...আমি কোথাও লিখি নাই যে ইংরেজী মাধ্যমের পোলাপান বেশি পন্ডিত...
২. বাংলা মিডিয়ামে পডাশুনা করে প্রতি বছর কত পোলাপান এস.এস.সি দেয় ?? প্রায় ৭/৮ লাখ + মাদ্রাসার পোলাপানও আছে এবং এইসব পোলাপান দেশের আনাচে-কানাচে, শহর-গ্রাম সব জায়গা থেকেই এস.এস.সি দেয়, ঠিক কইলাম ?? এখন বলেন দেশে এখন কয়দিন ছাত্র-ছাত্রী "ও / এ" লেভেল পরীক্ষা দেয় ?? উত্তর হইলো শুধুমাত্র সামর্থবানদের পোলাপান এবং বড বড শহরের লোকজনের পোলাপান...গ্রাম থেকে অনেক গরীব মেধাবী ছাত্র যেভাবে বের হয়ে আসে, সেটা ইংরেজী মাধ্যমে কোন দিন বার হবে না কারন সবাই এইখানে সামর্থবান...এখন প্রশ্ন করবেন আমি কেন এই কথা কইলাম ?? এই কথা আমি এই জন্য কইলাম কারন আমি প্রথমেই বুঝাইতে চাইতেছি শিক্ষার্থীদের ব্যাক গ্রাউন্ড...
৩. আমারে কেও যখন এইসব কথা কয় যে আমি বেশি জানি, কম জানি তখন আমার হাসি আসে...কেন হাসি আসে শুনবেন ? আমি জীবনে ভালো-খারাপ-শহর-গ্রাম সব জায়গায় পডাশুনা করছি...আমি জানি এবং দেখছি কেমন চিপা থেকে কেমন ভালো ছাত্র বের হয়ে আসতে পারে...আমার এক অজপাডা গ্রামের স্কুলে পডাশুনা করা বন্ধু (আমি নিজেও অই স্কুলে ২ বছর পডছি) এইচ.এস.সি আগে ঢাকা শহরও দেখে নাই, সে এখন সিলেট মেডিকাল থেকে এম.বি.বি.এস (প্রথমবারেই পাশ) পাশ করে লন্ডন গেছে উচ্চশিক্ষার্থে...এখন কেও যদি বলে অই গ্রামের-অই স্কুলের সবাই এমন, তাইলে ভুল কারন সেই স্কুলের ৭০% ছেলে-মেয়ে অইবার এস.এস.সি পাশ করতে পারে না যেবার সে দিছে...এই কথা এই জন্য বললাম কারন একজন অথবা কয়েকজনের জন্য আপনি সবাইকে ভালো বা খারাপ বলতে পারেন না...
ইংরেজী মাধ্যমের ছেলে-মেয়ে কেমন গাধা/বোকা হয় অইটা যেমন দেখছি, তেমনি দেখছি ও/এ লেভেলে ফাটাফাটি ভালো রেজাল্ট করে মনবুশো স্কলারশিপ/ আমেরিকার টপ ভার্সিটি গুলাতে পডতে যাইতে অথচ তাদের সাথে অনেকে হয়তো বেসরকারী কিছু ভার্সিটিতেও চান্স পায় নাই...তাই বলে সবাইরে আপনি / আপনারা এইভাবে খারাপ বলতে পারেন না...
৪. বাইরের দেশ, সেটা যেই দেশ হোক, রুশ হোক, জাপানিজ হোক, চায়নিজ হোক... তুলনা করতে পারেন না আমাদের দেশের সাথে...আমাদের দেশের অবস্থা অইসব দেশ থেকে অনেক খারাপ, আমাদের দেশে একটা গরীব ভালো ছাত্রের উপরে উঠে আসতে অমানুষিক কষ্ট করতে হয়...আমাদের দেশে ক্লাস ১ থেকে কি করে মুখস্ত করতে হয় অইটা শিখানো হয়...আমাদের দেশে কনসেপচুয়াল প্রশ্ন না করে শুধু করা হয় গৎবাধা প্রশ্ন... আমাদের দেশে আমরা নিজেরাই নিজের ভাষার দাম দেই না... আমাদের দেশে আমরা প্রতি ২ কথায় একটা ইংরেজী না বলতে পারলে বাঙ্গাল হয়ে যাই...আমরা মুখে বলি বাঙ্গালী কিন্তক কাজ করি বাইরের দেশের মতো... তাই আল্লাহ এর ওয়াস্তে বাইরের কোন দেশের সাথে আমাদের তুলনা করবেন না... কুমার বিসসজিতের অই গান টার কথা মনে পডে ?? "একদিন এর বাঙ্গালী ছিলাম রে রে রে রে..."
৫. আমরা নিজের ভাষা নিয়ে এতো গর্ব করি কিন্ত এমন একটা ভালো কোম্পানী খুজে বার করেন যেখানে বাংলায় ইন্টারভিউ হয়...অনেক জায়গায় হয়, কিন্তু সব জায়গায় হয় না...কোথাও বাংলায় সি.ভি দেন... দেখেন আপনারে ডাকে কিনা...এই আজাইরা কথা কেন বললাম জানেন ?? কারন আমরা পডাশুনা করি হয়তো বাংলা মিডিয়ামে কিন্তু আমাদের টার্গেট থাকে ইংরেজী সব কিছুতে...আমাদের ভার্সিটির কোন শিক্ষক নিজের বই প্রকাশ করলে সেটাও করে ইংরেজীতে...
৬. স্টেটাসের কথা বলছেন অনেকে যে ইংরেজী মাধ্যমে পডলে নাকি স্টেটাস বাডে, আমারা প্রশ্ন হইতেছে আমরা কিসে নিজেদের স্টেটাস দেখাই না ?? নিজের ভাই বুয়েটে পডলে বাপ-মা ১০০ জনরে বইলা বেডায়, নিজের পোলা ভালো ব্যাংকে জব করলে ১০০ জনকে বাপ-মা বইলা বেডায়, নিজের পোলা ৫ এ স্কলারশিপ পাইলে পত্রিকায় টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেয়, নিজের পোলা-মাইয়া একটু ভালো স্কুলে ভর্তি হইলে গর্বে এক এক জনের মাটিতে পা পডে না... লাখ লাখ টাকা খরচ করতে রাজি ক্লাস ১ এর ছাত্রের জন্য শুধু একটা ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য, কেন ?? শুধু মাত্র স্টেটাস... তাই শুধু ইংরেজী মাধ্যমে পডলেই স্টেটাসের কথা আসে, এইটা বড ভুল... চান্স পাইলে অইটা সবাই দেখাইতে যায়...
৭. বাংলাদেশের সাথে অন্ন দেশের তুলনা করেতেছেন ?? আমাদের দেশে ভালো কয়টা স্কুল আছে ?? ক্লাস ১ এর একটা ছেলে-মেয়ে জীবনে কিছু বুঝার আগে এইভাবে যে ভর্তি যুদ্ধে নামে, আমি জানি না দুনিয়াতে অন্ন কোথাও এমন হয় কিনা, কেন ?? আমাদের দেশের ভালো যে কয়েকটা স্কুল আছে এমন যদি ভুরি ভুরি থাকতো, তাইলে আমার মনে হয় না এতো বেশি ইংরেজী স্কুল গডে উঠতো...ঢাকা শহরে সবাই অই ৮/১০ টা স্কুলের পিছনে ঘুরে, কেন এমন ১০০ টা স্কুল নাই ঢাকায় ?? কেন এমন ১০,০০০ স্কুল নাই সারা দেশে ?? কেন দেশে শিক্ষকদের এমন অভাব ??? এমন কি উন্নত কোন দেশে আছে ?? থাকলে এই মূর্খকে জানাবেন...
৮. অনেকে ইংরেজী মাধ্যম তুলে দিতে বলছেন, তাইলে তো দেশের খারাপ সব বাংলা মিডিয়াম স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত...এই জিপিএ ৫.০০ এর যুগেও অনেক স্কুলের একজন পরীক্ষার্থীও পাশ করতে পারে নাই...তাইলে কি আমরা অইসব ও উঠায় দিবো ?? বলেন প্লিজ... মাথা ব্যাথা হইলে আমরা শুধু মাথা কাটার কথা কেন বলি ??
৯. আমাদের দেশে ইংরেজী মাধ্যম এতো স্কুল যখন ছিলো না, তখন অনেকেই তাদের ছেলে-মেয়ে কে ভারতের অনেক জায়গায় যেমনঃ দার্জিলিং, কলকাতায়, দিল্লীতে পাঠায় দিতো পডাশুনা করার জন্য, এখন বলেন অইখানের স্কুল গুলাও খারাপ কারন অইসবও তো ইংরেজী মাধ্যম...
১০. প্রাইভেট-পাবলিক ভার্সিটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই কেচাল চলতেছে...এখন শুরু হইছে বাংলা-ইংরেজী মিডিয়াম নিয়ে...আসলেই আমাদের মন-মানসিকতা কত যে সংকীর্ণ এইসব দেখলে বুঝা যায়, কারন ৫০ বছর আগে এইসব ছিলো না, তার মানে এই না যে এখন এইসব থাকতে পারবে না... দুনিয়াতে অনেক পরিবর্তন আসছে এবং আসবে, আমরা কেন এইসব পরিবর্তন মেনে নিতে পারি না ?? কেন আমাদের এতো ইগো ?? কই আমরা নিজেরা নিজের দেশের জন্য কি করতে পারছি ??? লিন্ডাও সম্মেলনে যাওয়ার জন্য আমাদের এক এক জন ছাত্রের মানুষের পিছে পিছে ঘুরতে হয়...অথচ তারা দেশ সেরা প্রতিভা... দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার যখন কিছুই করতে পারে না তখন এইসব বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুল, ভার্সিটি চালু হইছে... খারাপ কি হইছে ?? সরকারীতে সুযোগ না পাইলে যেখানে সব পডাশুনা না করে থাকতো, এখন অন্তত পডতে তো পারতেছে, নাই মামা এর চেয়ে কি কানা মামা ভালো না ?? নাকি বলবেন দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো ??
জীবনে চলার পথে আমি-আপনি যত মানুষের সাথে মেলামেশা করবো সবাই ভালো হবে এমন কোন কথা নাই, তেমনি সব মিডিয়ামের ছাত্র-ছাত্রী ভালো হবে এমন কোন কথা নাই, সবাই ভালো করবে এমন কোন কথা নাই, এই জন্য ধর-মার-কাট থিওরী অবলম্বন করা কতটা উচিত ???
মাদ্রাসা' শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকে তুলে দিবার কথা বলেন, কিন্তু কয়জন এতিমকে নিজেরা পডাশুনা করাবেন এই কথা কেও বলেন না... শুধু যে মোল্লাদের ছেলেরাই মাদ্রাসায় পডে এমন না, অনেক এতিমও পডাশুনা করে...তেমনি বাংলায় সব করতে হবে বলে ইংরেজী মাধ্যম বন্ধ করতে হবে এইটা কেমন কথা ?? আমাদের দেশে এস.এস.সি লেভেল এ সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়ে ছেলে-মেয়েরা ফেল করে মনে হয় অনেকেই জানেন...কেন তাদের অই বিদেশী ভাষায় ফেল করার পরে পাশ করায়ে দেওয়া হয় না ?? বলেন কেন ??
-------------------------------------------------------
জানি না কি লিখলাম, মনে হয় পুরাই আজাইরা কথা লিখে ভরায়ে ফেলছি...তাই দুঃখিত...কেও চাইলে আমারে এখন পচাইতে পারেন, কেও চাইলে আমার বানান ভুল ধরতে পারেন, কেও চাইলে আমারে প্রাইভেটের কইয়া গালি মারতে পারেন...কিন্তু আমি জানি পডাশুনা নিজের কাছে, নিজে পডাশুনা করলে, নিজে ভালো থাকলে দুনিয়াতে কোন প্রব্লেম কিছুই করতে পারবে না...আমরা হইতেছি কথার জাতি, আমরা শুধু নিজেদের পচাইতে জানি, নিজেদের নিজেরা মারি, নিজেদের ভাইদের ভুল সংশোধন না করে উলটা তারে নিচে নামাইতে পছন্দ করি...অন্ন দেশের সাথে তুলনা করে মজা পাই, কিন্তু এইটা দেখি না আমাদের সার্বিক অবস্থা কি, আমরা কি অবস্থায় আছি এবং আমাদের পক্ষে কি কি করা সম্ভব এবং কি কি করা অসম্ভব...
সব মিডিয়ামেই যোগ্য ছাত্রছাত্রী পডাশুনা করে... মাদ্রাসার বেশ কিছু ছেলে এইবার ঢাকা ভার্সিটির অর্থনীতি-ইংরেজীতে চান্স পাইছে...অথচ আমরা মনে করে এরা আরবী ছাডা কিছুই পারে না...ইংরেজী মাধ্যমে অনেক বোকা-গাধা মার্কা পোলাপান পডাশুনা করতে পারে কিন্তু অনেক অনেক ভালো ছাত্র-ছাত্রী আছে, সেটা নিজে দেখেছি-জানি দেখেই বল্লাম...এস.এস.সি / এইচ.এস.সি তেও অনেকে খারাপ করে, ফেল করে ; তাই বলে ফেল করেও তারা কি খুব ভালো ছাত্র ??
সবশেষে একটা কথা বলে লিখা শেষ করি, ভালো খারাপ সবখানেই আছে, কিন্তু তাই বলে কোন মাধ্যমকে নিচু করা যেমন খারাপ মানসিকতার পরিচয়, তেমনি কথায় কথায় অন্ন দেশের সাথে নিজের দেশের তুলনা করাও খুব খারাপ কাজ বলেই আমি মনে করি... নিজেরা কত গভীর জলে আছি সেইটা আগে আমাদের দেখা উচিত...এবং কিছু কিছু পরিবর্তনকেও মেনে নিবার মানসিকতা থাকা উচিত...
বিঃদ্রঃ মাফ করবেন, অনেক লিখলাম, এই পোস্টে আর কিছু লিখছি না...
২৩| ১৬ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৭:০৩
বাঙ্গাল বলেছেন: হুম...সাদা শুয়োরের পালের এখন আলাদা খোয়ার চাই।
২৪| ১৬ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: @লুথা
আপনার কিছু পয়েন্টের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। আপনি সেখানে আমার যুক্তিগুলো ভাঙ্গতে চাইছেন।
৪. বাইরের দেশ, সেটা যেই দেশ হোক, রুশ হোক, জাপানিজ হোক, চায়নিজ হোক... তুলনা করতে পারেন না আমাদের দেশের সাথে...আমাদের দেশের অবস্থা অইসব দেশ থেকে অনেক খারাপ, আমাদের দেশে একটা গরীব ভালো ছাত্রের উপরে উঠে আসতে অমানুষিক কষ্ট করতে হয়...আমাদের দেশে ক্লাস ১ থেকে কি করে মুখস্ত করতে হয় অইটা শিখানো হয়...আমাদের দেশে কনসেপচুয়াল প্রশ্ন না করে শুধু করা হয় গৎবাধা প্রশ্ন... আমাদের দেশে আমরা নিজেরাই নিজের ভাষার দাম দেই না... আমাদের দেশে আমরা প্রতি ২ কথায় একটা ইংরেজী না বলতে পারলে বাঙ্গাল হয়ে যাই...আমরা মুখে বলি বাঙ্গালী কিন্তক কাজ করি বাইরের দেশের মতো... তাই আল্লাহ এর ওয়াস্তে বাইরের কোন দেশের সাথে আমাদের তুলনা করবেন না... কুমার বিসসজিতের অই গান টার কথা মনে পডে ?? "একদিন এর বাঙ্গালী ছিলাম রে রে রে রে..."
আমি কোন দেশের সাথে তুলনা করি নাই। আমি একটা সত্য তুলে ধরছি। সেই সত্যের পক্ষে আমি প্রমান হিসাবে এই উদাহরণগুলো আনছি। আপনি উন্নত দেশের কথা বলে আমার যুক্তিকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আরেকবার ভাল করে পড়ে দেখুন ঐখানে ভিয়েতনামের কথাও লেখা আছে। তারা আমাদের মতই গরীব একটা দেশ। অথচ নিজেদের ভাষায় চলছে।এবং তুলনামূলকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের দিক দিয়ে তারা আমাদের থেকে কিছুটা এগিয়ে। কি লাভ হল এই ইংরেজীর পিছনে সময় নষ্ট করে???? এর থেকে এই সময়টা বিজ্ঞান চর্চার জন্য দিলে কি আমাদের জন্য বেশী ভাল না।এককালের কোরিয়ানরা যারা আমাদের এইখানে বুয়েটে, ঢাবিতে পড়তে আসত তারা আজ কোথায়? আজ বুয়েটের, ঢাবির পোলাপান কোরিয়া যায়। কই তারা তো ইংরজী ব্যাবহার করে নাই। তারা নিজের মাতৃভাষা ব্যাবহার করেছে। এবং এই জন্যই আজ তারা এই অবস্থানে আর আমরা শত শত বছরের পুরানো প্রভুদের পা এখনো চাটি।
নতুন ঘর তৈরী করতে গেলে পুরানো ঘর ভাংতে হবে। ভাঙ্গার সময় কিছুদিন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। কিছুদিন খোলা আকাশের নিচে থাকার ভয়ে পুরানো ঘর না ভাংলে কিছুদিন পর তা নিজেই একদিন আমাদের মাথা উপর ভাইঙ্গা পড়বে এবং আমরা মারা যাব। এখন বাচবেন না মরবেন তার উত্তরে যদি বলেন মরব তাহলে আর কি করার আছে। ভাষার দাম আমরা পাব কোথা থেকে। আপনিই তো আমাকে এইখানে প্রতিহত করছেন আমি ভাষার পক্ষে কথা বলার জন্য। আপনার প্রতিরোধ আগে বন্ধ করেন। তাহলেই এক এক করে সবার প্রতিরোধ বন্ধ হবে। আপনার জন্যই তো আমি আমার ভাষাকে তার আসল স্থানে বসাতে পারছি না। আপনি আমাকে বাধা দিচ্ছেন। দয়া করে ব্যাক্তিগত ভাবে কথাটা নেবেন না। আমি প্রতীকি অর্থে বলছি। আমরা সবাই যখন নিজেদের সৃষ্ট বাধা তুলে নেব তখনই আমাদের ভাষা তার আসল স্থান ফিরে পাবে। এর জন্য সর্বপ্রথমে আপনাকেই এগিয়ে আসতে হবে। কারন দারিদ্রের দুষ্ট চক্রের মত আমরা নিজেরাই সমস্যা তৈরী করছি এবং নিজেরাই হা পিত্যেশ করছি আর বলছি সমস্যা থেকে মুক্তি নেই।
৬. স্টেটাসের কথা বলছেন অনেকে যে ইংরেজী মাধ্যমে পডলে নাকি স্টেটাস বাডে, আমারা প্রশ্ন হইতেছে আমরা কিসে নিজেদের স্টেটাস দেখাই না ?? নিজের ভাই বুয়েটে পডলে বাপ-মা ১০০ জনরে বইলা বেডায়, নিজের পোলা ভালো ব্যাংকে জব করলে ১০০ জনকে বাপ-মা বইলা বেডায়, নিজের পোলা ৫ এ স্কলারশিপ পাইলে পত্রিকায় টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেয়, নিজের পোলা-মাইয়া একটু ভালো স্কুলে ভর্তি হইলে গর্বে এক এক জনের মাটিতে পা পডে না... লাখ লাখ টাকা খরচ করতে রাজি ক্লাস ১ এর ছাত্রের জন্য শুধু একটা ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য, কেন ?? শুধু মাত্র স্টেটাস... তাই শুধু ইংরেজী মাধ্যমে পডলেই স্টেটাসের কথা আসে, এইটা বড ভুল... চান্স পাইলে অইটা সবাই দেখাইতে যায়...
হ্যা এবার এই পয়েন্টে আসি। ইংরেজী মাধ্যম এখন কাদের জন্য? সহজ উত্তর হল আমাদের অভিজাত বাংরেজ সমাজের জন্য। কিছু কিছু পুলাপান হয়ত বাংরেজ সমাজের বাইরে থিকা আসে ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে। কিন্তু তারা নিতান্তই নগন্য। এই বাংরেজ সমাজ বাস করে অভিজাত এলাকায়, অভিজাত ফ্লাট বাড়ীতে। এরা হইল সেই ব্রিটিশ আমলের প্রভুভক্ত লোকদের ধারা বহনকারী। ইংরেজী হল তাদের কাজের ভাষা। তারা কথা বলেন বাংরেজীতে। তারা তাদের এক পা আক্ষরিক বা কাল্পনিক ভাবে সবসময় বাকিংহামের নর্দমায় দিয়া রাখে। নয়ত তারা শান্তি পান না।
ফলবান বৃক্ষ সবসময় নত থাকে। সত্যিকার জ্ঞানী সবসময় বিনয়ী হন। অহংকার পতনের মূল। যারা তাদের সন্তানের সাফল্যে উচ্ছাস প্রকাশ করে তাদের উচ্ছাসের সাথে আমিও একাত্ম হই। শুভকামনা রাখি তাদের জন্য।আমিও তাদের সাফল্যে আনন্দ লাভ করি। কিন্তু যারা অহংকার করে তাদের প্রতি আমার ঘৃণা,যা এই বাংরেজদের প্রতি ঘৃণা থেকে কম নয়।
পয়েন্ট ৭
এককেন্দ্রিক কোন কিছুই ভাল না। আমি এককেন্দ্রিকতার বিরোধী। কারন তা প্রতিভা নষ্ট করতে সাহায্য করে।
৮. অনেকে ইংরেজী মাধ্যম তুলে দিতে বলছেন, তাইলে তো দেশের খারাপ সব বাংলা মিডিয়াম স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত...এই জিপিএ ৫.০০ এর যুগেও অনেক স্কুলের একজন পরীক্ষার্থীও পাশ করতে পারে নাই...তাইলে কি আমরা অইসব ও উঠায় দিবো ?? বলেন প্লিজ... মাথা ব্যাথা হইলে আমরা শুধু মাথা কাটার কথা কেন বলি ??
আপনি এখানে কি বলতেও চাইলেন বুঝলাম না। কিসের সাথে কি গুলাইলেন রে ভাই। আপনি হয়তো আবেগপ্রবণ হয়ে লেখছেন তাই কি লেখছেন তা আপনার বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে না। আমি আপনাকে আঘাত করতে আসি নাই ভাই। আপনার সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। আমি জানি আপনি এখানে অনেকের কাছে অযাচিত খারাপ ব্যবহার পেয়েছেন। আমি আপনার মনে কোন অযাচিত কষ্ট দিয়ে থাকলে দুঃখিত।
৯. আমাদের দেশে ইংরেজী মাধ্যম এতো স্কুল যখন ছিলো না, তখন অনেকেই তাদের ছেলে-মেয়ে কে ভারতের অনেক জায়গায় যেমনঃ দার্জিলিং, কলকাতায়, দিল্লীতে পাঠায় দিতো পডাশুনা করার জন্য, এখন বলেন অইখানের স্কুল গুলাও খারাপ কারন অইসবও তো ইংরেজী মাধ্যম...
আমি কিন্তু বলি নাই ইংরেজী মাধ্যমের মান খারাপ। আমি বলছি আমাদের জন্য জাতীগত ভাবে ইংরেজী মাধ্যমইটাই খারাপ। এটা একটা বিষফোড়ার মত। আর আমার উপরের বক্তব্যে আমি ঐ বাংরেজদের কথা আগেই বলেছি।
পাবলিক প্রাইভেট নিয়া আমার অবস্থান আপনি জানেন। তাই আর বললাম না।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৩১
একলা একজন বলেছেন: ধন্যবাদ বড় মন্ত্যবের জন্য
২৫| ১৭ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২
রাতেরপথিক বলেছেন: @রাজ ভাই আপনার লেখা থেকে একটা লাইন কোট করে আমি এর সমাপ্তি টানতে চাই "পৃথিবীর সব পরাশক্তি বা অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলো কি ভাষায় পড়ে? সবাই নিজ মাতৃভাষায় পড়ে।"
আপনার এই লাইনটারে খন্ডানোর মত কোন যুক্তি নাই । থাকলেও খোজা উচিত না।
২৬| ১৭ ই জুন, ২০০৯ রাত ৮:৩৭
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: @রাতেরপথিক ভাইঃ যারা চোখ থাকিতেও অন্ধ বা বুঝেও না বোঝার ভান করে তাদের শত যুক্তি, শত সত্য দেখালেও তাদের মনের পরিবর্তন হবে না।
২৭| ২০ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩
ছু-মন্তর বলেছেন: বাঙ্গাল বলেছেন: হুম...সাদা শুয়োরের পালের এখন আলাদা খোয়ার চাই।
শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে আর কত ভাগে বিভক্ত করা হবে?????
২৮| ২০ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১
জটিল বলেছেন: কে কৈ কি নিয়া পড়ে তাতে কার কি যায় আসে !
২২ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৩৪
একলা একজন বলেছেন: তাই তো!
২৯| ২০ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০১
ধূসর মানচিত্র বলেছেন: @রাজ ভাই এর সাথে সহমত পোষন করছি। আমাদের
ঐতিহ্য এবং আমজনতা লেভেল থেকে শিক্ষার ধারা থিক
করা উচিত।
রাজ ভাই আবারো ধন্যবাদ জটিল যুক্তির জন্য।
৩০| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:০৮
মারূফ মনিরুজ্জামান বলেছেন: ইংরেজী মিডিয়াম নিয়ে চিন্তা করার কিছু নাই- যারা যাচ্ছে স্বেচ্ছায় যাচ্ছে- ভাল হবে ভেবে যাচ্ছে ।
এমনিতেই বাংলাদেশে শিক্ষার অবস্থা ভাল না- তার উপর মিডিয়াম নিয়া চিন্তা করলে বিপদ বাড়বে- সেই রিসোর্স বরং শিক্ষার উন্নয়নে লাগালে ভাল হবে ।
ইংরেজী শেখার জন্য ইংরেজী মিডিয়ামে পড়া লাগে না।
৩১| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:২৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: রাজ মোঃ আশরাফুল হক যা বলছেন, এরপরে আর বলার কিছু নাই। একটু যোগ করি, ইংরেজি মিডিয়ামের সিলেবাসটা সংশোধন করা উচিত। আমি স্কলাস্টিকার পোলাপান পড়াইসি, তাদের জিওগ্রাফিতে পড়ায় ব্রিটেনের ক্লাইমেট, আর হিস্ট্রিতে পড়ায় আমেরিকান সিভিল ওয়ার। ভাষা আন্দোলন বা স্বাধীনতা যুদ্ধ তো দিল্লী দূর অস্ত, বাংলাদেশ শব্দটাই কোথাও নাই। কারো বিশ্বাস না হইলে, ওদের সেভেন্থ গ্রেডের বইগুলা যোগার করে নিয়েন। এইসব দেশে ইতিহাস বা নামনিশানা না জানা পোলাপান দিয়া আলটিমেটলি বাংলাদেশের কি লাভ এইটা নিয়া আমি কোন মন্তব্য করমু না, নানাজনের গায়ে লাগবো, আপনেরাই বুইঝা নেন।
৩২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৯
একলা একজন বলেছেন: চমৎকার আলোচনার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে
৩৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৩
তারেকমামু বলেছেন: ওনেক কিছু জানলাম.. 
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:২৬
একলা একজন বলেছেন: Click This Link