নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর এখন জেগে জেগেই দেখি

স্বপ্নাতুর পুরব

চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী

স্বপ্নাতুর পুরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিউম্যান টু মেশিন এন্ড হিউম্যানিজম টু মেকানিজম

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৮

সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । জীবন আর অর্থনীতি একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ । কোন সমাজব্যবস্থার মানুষগুলো কতটুকুন শান্তিতে আছে তা বুঝার আরেকটা উপায় হলো অর্থনৈতিক ভারসাম্যতা । সেদিক থেকে বর্তমান পৃথিবী কালশ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতায় আছে । পুঁজিবাদী আর ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সর্বত্রই আজ বৈষম্যের ছড়াছড়ি । একই পৃথিবীর মানুষ হয়ে আমরা আজ ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রে থাকার কারণে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা ভোগ করছি । বিশ্বায়নের যুগেও সমস্ত পৃথিবীকে কাঁটাতার আর প্রাচীরে খন্ড-বিখন্ডিত করে জাতীয়তাবাদকে সংস্কৃতি থেকে হিঁচড়ে টেনে এনে অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ এক আসনে বসিয়েছি । ভিন্ন মুদ্রানীতি ও সারাবিশ্বকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করে বিশ্বমানবতার উপর এক চরম অবিচার-জুলুম-অন্যায় করেছি । অর্থনৈতিক বৈষম্য শুধুই ভৌগলিকে সীমাবদ্ধ না, এ বৈষম্য সীমান্তের প্রাচীর ছাড়িয়ে সার্বজনীনে পরিণত হয়েছে । সুদভিত্তিক অর্থনীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সম্পদের স্থিতিশীলতায় একদিকে পুঁজিবাদ যেভাবে বাড়ছে আর অন্যদিকে ঠিক তারচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য । আর এদিকে ধনতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থায় জীবনযাত্রার ব্যয়ভার দিনেদিনেতো বেড়েই চলেছে, আর বেড়ে চলেছে মানুষের অসীম চাহিদা । সে চাহিদাপূরণের লক্ষ্যে মানুষ সুদ-ঘুষ-দুর্নীতি-যৌতুক-চুরি-রাহাজানি-ছিনতাই-চাঁদাবাজি-ডাকাতি হরহামেশায় করে যাচ্ছে, আর বেড়ে চলেছে অন্যায় । আত্মা যখন তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলে, অর্থকেন্দ্রিক হয়ে যায়, তখন সে আত্মার কাছে না গুরুত্ব আছে নীতি বাণীর, না গুরুত্ব আছে আইনভঙ্গের দরুণ গুরুতর শাস্তির, বরং অপরাধ সে করেই চলে । একারণেই সারা পৃথিবীতে এতো নিত্যনতুন আইন, এতো উপদেশবাণী কোনোটাই অন্যায়কে রোধতো করতেই পারছেনা, না পারছে নিয়ন্ত্রণ করতে । সারাবিশ্বের দিকে লক্ষ্য না করে শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশে দৃষ্টিপাত করলেই দেখা মেলবে অর্থনীতির ভারসাম্যহীনতা ও বৈষম্যের চালচিত্র । একদিকে বিলাসবহুল বাড়িগাড়ি নিয়ে ব্যস্ত একশ্রেনীর মানুষ আর অন্যদিকে আরেকশ্রেণীর মানুষ ব্যস্ত ফুটপাতে দিনগুজরানোয় । আজ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই আত্মকেন্দ্রিকতার দিকে এতোটাই ঝুঁকে গিয়েছে যে, একই ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীর খোজখবর রাখতেও সংকোচ বোধ করে । সারাদুনিয়ার খবর রাখার প্রসঙ্গতো ঢের দূর ।
অর্থনীতির এইযে বৈষম্য তা কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি । তার সাথে যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিক প্রগতি । লাগামহীন প্রযুক্তিগত প্রগতি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে আরামপ্রদ ও স্বাচ্ছন্দ্য করার পরিবর্তে অশান্তিই ডেকে আনছে । যতোটুকুন প্রযুক্তির প্রয়োজন তার অতিরিক্ত ব্যবহারই অতিষ্ঠের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । আত্মিক দিকটা ভুলে গিয়ে বর্তমান প্রজন্ম যান্ত্রিকে আত্মনিয়োগের মাধ্যমে সেমি-হিউ্ম্যানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । লাগামহীন এ প্রগতি থামাতে না পারলে আগামী প্রজন্ম হয়তো আর হিউম্যান থাকবে না । পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভরতাই আমাদেরকে একদিক থেকে যন্ত্রে পরিণত করছে, আরেকদিকে সৃষ্টি করছে জীবনযাত্রার অতিরিক্ত ব্যয়ভার । আমরা আজ অনেক কিছু জানি । গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে আমাদের । শুধু নেই আমাদের পূর্বপুরুষের মতো সাধারণ, জীবনযাত্রায় কম ব্যয়ভারের শান্তিময় জীবন । দিনে দিনে যতই আমরা অগ্রসর হচ্ছি ততোই যেনো যান্ত্রিক এক জাহান্নামের দিকে এগুচ্ছি । অথচ আমাদের বোধশক্তি লোপ পাওয়ার দরুণ আমাদের আজকের এই নীরবতা । এখনও কি সময় হয়নি নীরবতা ভেঙ্গে জাগ্রত হওয়ার? নাকি অপেক্ষায় আছি হিউম্যান থেকে রোবট-মেশিনে পরিণত হওয়ার আশায়?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভালো লিখেছেন :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ধন্যবাদ তামান্না তাবাসসুম ।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

শুভেচ্ছা রইল :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য । @অপূর্ণ রায়হান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.