![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী
গণতন্ত্রে ‘জনগণের স্বাধীনতা’, ‘জনগণের সার্বভৌমত্ব’, ‘জনগণের তন্ত্র’ ইত্যাদি শব্দগুলো যতোটা মুখরোচক ও লোভনীয়ভাবে প্রকাশ করা হয় আদতে গণতন্ত্রে সরকার-প্রশাসন-আইন সবই পরিচালিত হয় পুঁজিপতি ও বুর্জোয়া শ্রেণিটির দ্বারা । তাদের খায়েশ পূরণের জন্য তৈরি করা হয় নতুন নতুন আইন-খসরা । সেই আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে জনগণের শ্রম বিক্রি হয় পানির দামে । অর্থ্যাৎ পুঁজিপতি ও বুর্জোয়া শ্রেণিটি খুব স্বল্পদামে শ্রম পেয়ে নীট মুনাফার পরিমাণটা দিনেদিনে বাড়িয়েই চলে । ভ্যাটের মাধ্যমে জনগণের পকেট খালি করে বাজেটের স্তুপ করা হয়, যা গণতন্ত্রের বাহকদের খরচ মেটাতেই সিংহভাগ ফুরিয়ে যায় । বাকি যা থাকে তা টেন্ডারবাজদের হয়ে শ্রমিক পর্যায়ে আসতে আসতেই মোট বাজেটের অবশিষ্ট মাইনাস হয়ে যায় । গণতন্ত্র এখানে আরেকটা দাবার গুটি বসায় । বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে প্রস্তাবিত প্রজেক্ট সম্পন্ন করা । প্রজেক্ট কতটা সম্পূর্ণ হয় তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থাকলেও বৈদেশিক ঋণের ভারটা কিন্তু জনগণের উপরই বর্তায় । গণতন্ত্রের সরকার তো আর জমিদার না, থাকলেও নিজের পকেট থেকে কে সে ঋণ শোধ করতে যাবে ! সমাধান তো করতেই হবে । যেহেতু গণতন্ত্র জনগণের তাই ঋণশোধটা জনগণকেই করতে হবে । হু হু করে বাড়িয়ে দেয়া হয় ভ্যাট । নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে পদে পদে হোঁচট খেতে হয় জনগণকে ।
জনগণ এমন এক তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলো যে তন্ত্র জিইয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত রক্ত পানি করতে হচ্ছে । জনগণের নিমিত্তে যে সরকার-আইন-প্রশাসন তৈরি হলো সেটাই এককালে পুঁজিপতি-বুর্জোয়াদের খাদেম হিসেবে নিযুক্ত হলো । একজন পুঁজিপতি তার নিরাপত্তার জন্য বন্দুক-দেহরক্ষী রাখতে পারে, একজন মন্ত্রী তার নিরাপত্তার জন্য সামরিক বাহিনী রাখতে পারে কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ রাতের বেলা চোর-বাটপার-সন্ত্রাস-ছিনতাইকারী-খুনীর হাত থেকে রক্ষার তাগিদে নিরাপত্তাস্বরূপ হালকা গড়নের কোনো অস্ত্র রাখতে পারেনা । অথচ রাজনৈতিক ছাত্র সন্ত্রাস, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিদের হাতে দা-চাপাতি-চাইনিজ কুড়াল-হকিস্টিক-পাইপ গান রাখা আপাত চোখে অপরাধ হলেও তার অনুমতি মেলে রাজনৈতিক দাদাদের চোখের ইশারায় । যদিও ভুলক্রমে কখনো সেই হায়েনা-কুকুরদের হাত থেকে নিরাপত্তার কারণে একটা চাকু হাতে নেয়া হয়, তখন জনগণকে মুখোমুখি হতে হয় প্রশাসনের, যে প্রশাসন চলে তারই রক্ত করা পানি দিয়ে । ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’ - প্রশাসনীয় এ বাক্যের সৃষ্টিই হয়েছে জনগণকে আজীবন বেসামরিক বানিয়ে নিষ্পেশনের জন্য । অথচ দুর্নীতি-ঘুষের মাধ্যমে সন্ত্রাসী-খুনী-ধর্ষক-চোরবাটপারদের ছেড়ে দেয়ার বৃত্তান্ত সবার জ্ঞাত ।
অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণ প্রতিষ্ঠা করেছে আইন মন্ত্রণালয় । খোদ একটা ঠুনকো মামলার জন্য আইনব্যবসায়ীদের হাতে পড়ে জনগণকে আবারো মাসুল দিতে হয় । এমনটি হরহামেশায় ঘটেছে যে, একবিঘা জমির সুরাহার জন্য দুইবিঘা সমমূল্যের টাকা-কড়ি খুইয়েছে জমির উপযুক্ত ভাগীদার । শেষ পর্যন্ত জমি চলে গেলো টাকাওয়ালা ব্যক্তির হাতে ।
সরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালগুলো চলে জনগণের টাকায় । এখানকার জাঁদরেল ডাক্তারগুলোকে তৈরি করা হয়েছে জনগণের খরচায় । ডাক্তারগুলোর বেতনও দেয়া হয় জনগণের টাকায় । অথচ যে লোকটি প্রতিনিয়ত গোপনে-প্রকাশ্যে ভ্যাটের শিকার হচ্ছে সেই কিনা উপযুক্ত চিকিৎসা পায় না তাদের কাছে । ভালো চিকিৎসা চাও? পয়সা খরচ করতে হবে । যেতে হবে প্রাইভেট চেম্বারে । ওষুধ কিনতে হবে দামি দামি । বেশ খরচা আছে । অর্থ্যাৎএখানেও পুঁজিপতি-বুর্জোয়াদের খাদেমগিরি । অথচ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতেই জনগণের রক্ত পানি করে গণতন্ত্রের প্লাটফর্মে দাঁড় করানো হয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা ।
চোখ-কান খুলে বিবেকটাকে নাড়া দিয়ে দেখুন না একবার, গণতন্ত্র কতটা প্রতারণাময় ! ব্যক্তিবিশেষে দোষারোপ করে লাভ নেই । কারণ তারা প্রত্যেকেই গণতন্ত্রের ষড়যন্ত্রের শিকার । আর কত পুঁজিপতি-বুর্জোয়া শ্রেণিটির গলা ভিজাবেন নিজের রক্ত দিয়ে, নিজের ঘাম দিয়ে ! আর কত প্রতারিত হবেন !
আসুন সিস্টেমটাকে পাল্টাই ।
২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: এই হ্যান্ডকাপ একজনের চিৎকারে খুলবেনা । বিপ্লবটা কাউকে না কাউকে দিয়ে শুরু করতেই হবে । চাই বজ্রঘোষ ! বিপ্লব শুরু হবে । বিপ্লব হতেই হবে । বিপ্লব সেদিনই হবে যেদিন আমরা খুব ভালো করে বুঝতে সক্ষম হবো আমরা মোটেই শান্তিতে নেই । একটা শিশু তখনই প্রদীপের শিখা থেকে নিজের হাত গুটিয়ে নেয়, যখন শিখাতে আঙ্গুল পুড়ে যাবার উপক্রম হয় । আমরা তো এখনও অসুস্থ । কারণ অন্যায়টাকে খুব সহজেই মেনে নিতে শিখে গিয়েছি । আর আমার মতো খুদে লেখক যেভাবে পারছে, যতোটুকুন পারছে সেই অন্যায়টা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ।
২| ২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেছেন: লেখায় বাস্তবতা আর যুক্তি আছে । তবে সমাজে সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি থাকতে হবে , না হয় সমাজে শ্ঋংখলা থাকবেনা।
২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১১
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: লেখক কিন্তু শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কিছু বলেন নি । প্রচলিত সিস্টেম ভেঙ্গে নতুন সিস্টেম গড়ার অর্থ এই নয় যে সেখানে কোনো নিয়মনীতি থাকবেনা, যে যার মতো চলবে । মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চোখ-কান খুলে বিবেকটাকে নাড়া দিয়ে দেখুন না একবার, গণতন্ত্র কতটা প্রতারণাময় ! ব্যক্তিবিশেষে দোষারোপ করে লাভ নেই । কারণ তারা প্রত্যেকেই গণতন্ত্রের ষড়যন্ত্রের শিকার । আর কত পুঁজিপতি-বুর্জোয়া শ্রেণিটির গলা ভিজাবেন নিজের রক্ত দিয়ে, নিজের ঘাম দিয়ে ! আর কত প্রতারিত হবেন !
দেখল। বুঝল। মানল!
এখন করবেটা কি?
প্রধান বিরোধীদল দমনে তৎপর বিজিরি যেমন বর্ডারে সামান্য মিয়ানমার বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়ে হ্যন্ড কাপ পড়ে বসে থাকে!
তেমনি আমজনতা অসহায়ত্বের হ্যান্ডকাপ পড়ে বসে আছে!
বিপ্লব করবেটা কে?