![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী
আজ বাংলাদেশ আবহাওয়ার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “KOMEN” ( WITH ECP 988 HPA)
সামান্য উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে গত মধ্যরাতের পরে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকুলে আঘাত হেনে ক্রমান্বয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে । আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিটি নিচে হুবহু কপি করে দেয়া হলো-
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ক্রমিক নম্বর ১২ (বার), তারিখ: ৩০.০৭.২০১৫ ইং
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “KOMEN” ( WITH ECP 988 HPA) সামান্য উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে গত মধ্যরাতের পরে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকুলে আঘাত হেনে ক্রমান্বয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে । এটি আজ সকাল০৬টায় (৩০ জুলাই, ২০১৫ ইং তারিখ) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০কিঃ মিঃ উত্তর পশ্চিম, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০কিঃ মিঃ পূর্ব-দক্ষিণপূর্বএবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল (২১.৮ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১৩ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)।এটি আরও পূব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (৩০ জুলাই, ২০১৫ইং তারিখ) দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া
অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়েরকেন্দ্রের ৫৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে ।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর সমূহকে ০৭ (সাত) নম্বরপুনঃ ০৭ (সাত) বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর পুনঃ ০৫ (পাঁচ) বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল,পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৫ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর,খুলনা,বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল ̄স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা,
খুলনা,বাগেরহাট, সাতক্ষীরাজেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ সহ ঘন্টায় ৭০-৯০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্রগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে । উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
(মোঃ আবদুর রহমান খান)
আবহাওয়াবিদ পরিচালকের পক্ষে
৩০, ০৭০০বিএ
সোর্সঃ (http://bmd.gov.bd/?/p/=Marine-Warning-156)
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ঠিক বলেছেন । মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: ঐ এলাকার লোকজনকে সচেতন করা দরকার। ধন্যবাদ