নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর এখন জেগে জেগেই দেখি

স্বপ্নাতুর পুরব

চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী

স্বপ্নাতুর পুরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবিকতার খাতিরে, মানবিক কল্যাণের জন্য মুক্তচিন্তা ও নাস্তিক্য দর্শন অবশ্যই পরিত্যাজ্য

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

‘ধর্মকারী’, ‘দাঁড়িপাল্লা ধমাধম’ নামের নাস্তিকগ্রুপের কয়েকটা পেজ আছে, যেখানে তারা এমন অসভ্য-অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে তা দেখে একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের বমি আসবে । মানুষের বিকৃত রুচি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? এদের কাছে পারিবারিক-সামাজিক শৃঙ্খলার চাইতে অবাধ ব্যক্তিস্বাধীনতা অধিক যৌক্তিক ও একমাত্র কাম্য । অবাধ ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে নাস্তিক্যদর্শনের বেশিরভাগই মুক্ত যৌনাচারে বিশ্বাসী । এটা এতোদূরই গিয়ে পৌঁছেছে যে তা মা-বাবা-ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্কের সীমা অতিক্রম করেছে । যারা যার তার সাথে মুক্ত যৌনাচারে যৌক্তিকতা খুঁজে পায়, তাদের পক্ষে নবী-রাসূল-অবতার-মহামানবদের চরিত্র নিয়ে অশ্লীল সাহিত্য, অশ্লীল ছবি তৈরি করা খুবই স্বাভাবিক এবং তারা এটা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে । মুক্তমনা ও নাস্তিক্যদর্শন দিয়ে সমাজ-রাষ্ট্র কখনোই চলতে পারেনা । কারণ, মুক্তমনা ও নাস্তিক্যদর্শনের কাছে পারিবারিক-সামাজিক শৃঙ্খলার গুরুত্ব নেই । তারা পরিবার প্রথাকে-বিয়ের প্রথাকে বর্বর-অমানবিক-স্রেফ যৌনতার চুক্তি হিসেবে বলছে । পরিবারহীন, বিয়ে হীন পারিবারিক শৃঙ্খলা কল্পনাও করা যায় না । আর পরিবার যেখানে নেই সেখানে সামাজিক শৃঙ্খলার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবেনা । আবার যেখানে পারিবারিক-সামাজিক শৃঙ্খলা নেই সেখানে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা যে থাকবেনা সেটা নিঃসন্দেহে বলে দেয়া যাবে । ফলে মুক্তচিন্তা ও নাস্তিক্যবাদী দর্শন প্রতিষ্ঠিত হলে সমগ্র রাষ্ট্র চরম এক বিশৃঙ্খলায় থাকবে । অন্যায়-অবিচার-ধর্ষণ-অমানবিকতায় পরিপূর্ণ হয়ে যাবে সর্বত্র । মুক্তমনা ও নাস্তিক্যদর্শনে নেই সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণের মানদন্ড নেই, এসবের সীমার ঊর্ধ্বেই মুক্তমনা দর্শন । নিঃসন্দেহে প্রমানিত, সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণের মানদন্ড কেবলমাত্র স্রষ্টা দ্বারা নির্ধারিত, যা তিনি নবী-রাসূল-অবতারদের দিয়ে কখনো গ্রন্থের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন কখনো মুখনিঃসৃত বাণী দিয়ে । তবে এটা সত্য যে, নবী-রাসূল-অবতারদের দ্বার প্রতিষ্ঠিত প্রকৃত ধর্ম আজ ধর্মব্যবসায়ী আলেম-পুরোহিত-সাদ্দুসাই-ফরিশি-পোপদের দ্বারা বিকৃত । কোনো ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ এতোটাই বিকৃত হয়েছে যা রূপকথার গল্পকেও হার মানায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম সন্ত্রাসবাদে পরিণত হয়, কুসংস্কারে জর্জরিত হয়ে তা অমানবিকতায় রূপ নিয়েছে । তাই বলে তো বলা যাবেনা ধর্মের কোনো অস্তিত্ব নেই । জলহীন নদী দেখে যেমন বলা উচিত না যে, এটা নদী ছিলোনা, তেমনি বিকৃত ধর্ম দেখে বলা যাবেনা যে ধর্ম নামের কিছুই ছিলোনা । মাথা ব্যাথা করলে তো আমরা মাথা কেটে দিতে পারিনা । তাই ধর্ম যখন কাঙ্খিত শান্তি দিতে পারছেনা, তখন ধর্মের অস্তিত্ব অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই । বরং আমাদের উচিত প্রকৃত ধর্মকে অসত্যের আড়াল থেকে উন্মোচন করা । মানবতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটা নাস্তিক ও আস্তিক উভয়কে করা উচিত ছিলো । তারা আজ পরস্পর দ্বন্দ্বে-তর্কে যতোটা সময় ব্যয় করছে ততটুকুন প্রকৃত ধর্মকে অসত্যের আড়াল থেকে উন্মোচন করতে সময় দিলে আমরা আজ হয়তো প্রকৃত ধর্মকে খুঁজে পেতাম । যাইহোক, আল্লাহর অশেষ মেহেরবান, সেই কঠিন কাজটি মহান আল্লাহ হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম এমাম মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী’র দ্বারা করিয়েছেন । ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই সারাপৃথিবীতে আবারও সত্য ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে রামরাজত্ব, কিংডম অব হ্যাভেন । কতদিনে হবে? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে যতো তাড়াতাড়ি মানুষ প্রকৃত সত্যটা বুঝতে পারবে এবং মেনে নিবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.