নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর এখন জেগে জেগেই দেখি

স্বপ্নাতুর পুরব

চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী

স্বপ্নাতুর পুরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আর ধর্মব্যবসার ব্যবসায়িক অনুভূতিতে আঘাত এক জিনিস নয়

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আর ধর্মব্যবসার ব্যবসায়িক অনুভূতিতে আঘাত এক জিনিস নয় । ধর্ম ও প্রথাবিরোধিতার নামে আল্লাহর প্রেরিত ধর্মের মহামানবদের নিয়ে অশ্লীল রচনা - সাহিত্য - কাব্য - কার্টুন ইত্যাদি প্রকাশ করাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বুঝায় । আর আল্লাহর দেয়া প্রকৃত ধর্মে যা নেই, কিন্তু নিজেদের স্বার্থ কায়েমের লক্ষ্যে কালক্রমে আলেম রূপধারী ধর্মব্যবসায়ীটি ধর্মে যা সংযুক্ত করেছে, ধর্মের বলে যা চালিয়ে দিয়েছে, যে কূপমন্ডুকতা - জড়তা - গোঁড়ামি - অমানবিকতা - পুঁথিগত বিদ্যা শিখিয়েছে সে সবের বিরুদ্ধে প্রকৃত ধর্মের আলোকে সত্য কথা বললে যদি কারো অনুভূতিতে আঘাত হানে তবে সেটা নিঃসন্দেহে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয় । কারণ, প্রকৃত ধর্ম তো বলেনা, টাকার বিনিময়ে ধর্ম শেখাও, মানবিকতার পরিবর্তে অমানিবকতা শেখাও । তারপরেও যদি রব উঠে যে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে তবে বুঝতে হবে আঘাতটা হেনেছে ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক অনুভূতিতে । আর এই কাজটা কেবলমাত্র কাজী নজরুল ইসলামই করেন নি । কেবল আজকের এই হেযবুত তওহীদই করেনি । প্রায় প্রতিটা নবী-রাসূলই করেছেন । ঈসা আঃ ধর্মব্যবসায়ী রাব্বাই - সাদ্দুসাই - ফরিশিদের ধর্মব্যবসার ব্যবসায়িক অনুভূতিতে আঘাত হেনেছিলেন । মুহাম্মদ সাঃ মক্কার পৌত্তালিক ধর্মের ধর্মব্যবসায়ীদের ধর্মব্যবসার বিরোধিতা এতো বেশি করেছিলেন যে তৎকালীন প্রথম কাতারের অন্যতম প্রধান ধর্মব্যবসায়ী আবু জাহেলের বিরুদ্ধে অস্ত্র তাক করিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন । অথচ এই নরকের কীট সম্পর্কে রাসূল সাঃ এর চাচা লাগতো ।

তাই ধর্মব্যবসার ব্যবসায়িক অনুভূতিতে আঘাতটা অবশ্যই যৌক্তিক এবং মানবিকতার খাতিরে, সত্য প্রকাশের খাতিরে করতেই হবে । কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কখনই কাম্য নয় এবং এর প্রতিক্রিয়াও যথেষ্ট কদর্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.