![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী
যান্ত্রিক প্রগতিতে মানুষগুলো কেমন জানি আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপরে নিমজ্জিত হয়ে গেছে । তন্মেধ্যে দু একজন হয়তো ব্যতিক্রম । আবার যারা ব্যতিক্রম তারাই আবার সবার কাছে হাসির পাত্র হিসেবে বিবেচিত । সময়ের কি নিষ্ঠুর পরিহাস !
আজকাল “আত্মা” শব্দটা শুনলেই সবাই এমনভাবে আঁৎকে উঠে, যাতে এই শব্দটা এর আগে কখনো শুনেইনি বা ব্যবহার করাই হয় নি । যান্ত্রিকতার যাতাকলে আমাদের আত্মিক ভাগটা আমরা একেবারে বেমালুম ভুলে গিয়েছি । যার ফলে নিজের প্রতি অবিশ্বাস জন্মাতে বেশিক্ষণ লাগেনি ।
এখনতো প্রায় সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন, সাথে মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা । ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ তো আছেই । একটা মজার বিষয় । বর্তমান ভার্চুয়াল জগতটার সাথে আধ্যাত্মিক জগতের বিশাল একটা মিল আছে । আগেকার দিনে ভারাসাম্যহীন আধ্যাত্মিক সুফী - সাধক - সাধিকারা যেমন নিজেদেরকে পার্থিব জগত সংসার থেকে বিমুক্ত করে আধ্যাত্মিক জগতে যুক্ত রাখতো ঠিক তেমনি আজকের প্রজন্মটাও নিজেকে পার্থিব জগত সংসার, প্রাকৃতিক রূপ - সৌন্দর্য্য - আনন্দ থেকে বিমুক্ত করে ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে । অর্থ্যাৎ আধ্যাত্মিক জগতটাকে দখল করে নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তির লাগামহীন প্রগতির জোয়ারে হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন আমরা সবাই ভার্চুয়াল সাইকো রোগের শিকার এমনভাবে হবো যে, ঘর থেকে বেরোনোর সময় থাকবেনা; নিজের অজান্তেই নিজেকে নিক্ষেপ করবো নিঃসঙ্গতার কারাগারে ।
মান্নাদে’র কফি হাউজের আড্ডাটা সে সময় স্রেফ গান হিসেবেই থাকবে, স্মৃতি হিসেবে নয় । কারণ, সেলফি - নেট ব্রাউজিং - হোয়াটসঅ্যাপ - মেসেঞ্জারিং এর ফাঁকে সবাই মিলে যে গল্প-গুজব হয় সেটার নাম আড্ডা হতে পারে না । ‘জমিয়ে আড্ডা’ তো আজ সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
এতোটা স্মার্টনেস আর পারসোনালিটি মেইনটেইন কি যৌক্তিক যা বন্ধুত্বকে অবমূল্যায়ন করে বন্ধুকে দূরে ঠেলে দেয়, বৈষম্যের সৃষ্টি করে, অহংকার - দাম্ভিকতার প্রশ্রয় দেয়? বন্ধুত্ব এমন জিনিস যার সময় চলে গেলেই তার অভাব বুঝা যায় । আর যার বন্ধু নেই, তার আসলে কেউ নেই, সে-ও কিছুই না, না মানুষ, না অন্য কোনো প্রাণী ।
প্রযু্ক্তি ব্যবহার করা যাবেনা এমনটিওনা। আমরা হাতে অনেকেই ঘড়ি ব্যবহার করি । প্রথম প্রথম কৌতূহল বশত হয়তো একটু পর পর ঘড়ির দিকে তাকাতাম । কিন্তু কয়েকদিন পর কী হলো? যখন ঘড়ির সময় দেখার প্রয়োজন মনে করি, কেবলমাত্র তখনই আমরা ঘড়ির দিকে তাকাই । তাই নয় কি? ঠিক তেমনি আমাদের যখন প্রয়োজন হবে কেবলমাত্র তখনই প্রযুক্তির ব্যবহার করবো । উল্লেখ্য প্রয়োজন মানে এ নয় যে, যখন তখন মনের খেয়াল খুশিতে অভ্যাস বশত ব্যবহার করবো । মনের খেয়াল খুশিতে অভ্যাস বশত যা হয় তা অলসতা ও বদ অভ্যাস ছাড়া কিছুই নয় ।
তাই আমাদের উচিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারটা যেন সীমা লঙ্ঘন না করি, আমরা যেনো এটাতে বুদ হয়ে না পড়ি । মানবকল্যাণে যতটুকুন ব্যবহার করা দরকার আমরা যেনো ততটুকুনই ব্যবহার করি । তার সাথে আমাদের আত্মিক দিকটাও বিবেচনা করতে হবে । নিজের পঞ্চইন্দ্রিয়কে কেবল ইমেজ - অডিও - ভিডিও - ইন্টারনেটে আটকে না রেখে প্রাকৃতিক রূপ - সৌন্দর্য্য - ঘ্রাণ - সুরেলা সুমধুর শব্দ, ধ্বনিতে অবমুক্ত করি । তাহলে আত্মা হবে সুস্থ ও সবল, আমরা পাবো শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন:
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
জাহাজী পোলা বলেছেন: আপনার লেখাটার শিরোনাম দেখেই ঢুঁ মারলাম, তারপর অনেক দিন পর মন্তব্য করার জন্য লগইন করলাম। একটা সময় বাস্তবতা কে ভুলে ভার্চুয়াল নিয়েই মেতে ছিলাম। সামুতে কত সময় দিসি হিসাব ছাড়া, সামুর নেশা ছুটাতে কষ্ট হয়নি, ব্লগিংয়ের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়ে সামুই এই কঠিন কাজটা আমার জন্য (আরও অনেকেই আছেন আমার মতো) সহজ করে দিসে, তারপর ফেসবুক। সেখানেও বেশ লাইক টাইক "কামিয়ে" অনেক সময় নষ্ট করলাম!
যখন আমার ভার্চুয়াল মুড অন হচ্ছে তখন একচুয়ালি আমি কি করতেসি? বসে আছি ল্যাপটপ সামনে নিয়ে বা শুয়ে শুয়ে মোবাইল গুতাচ্ছি (এখনও আমি খেয়ে শুয়ে শুয়ে মন্তব্যটি লিখতেসি) , অর্থাৎ বাস্তবত আমি কিছুই করতেসিনা ..... এরকম থাকতে থাকতে মানুষ অলস ড্যাম্ব এস হয়ে যায়! পরিপূর্ণ বিদায় কখনোই বলবো না ভার্চুয়াল জগতকে, শুধু এটাই চাওয়া যেন ভার্চুয়াল সাইকো আর কখনোই না হয়ে উঠি!
ধন্যবাদ আপনার গুরত্তপূর্ণ লেখাটির জন্য। প্রিয়তে!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে আমরা এটাকে অস্বীকার করে বাঁচতে পারবোনা । এটাও জীবনের অন্যতম একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিসের একটা সীমা থাকে, একটা নির্দিষ্ট পরিমাপ থাকে । অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না । স্রষ্টা এজন্যই ধর্মীয়গ্রন্থে একটা কথা প্রায়ই বলেছেন, “তোমরা সীমালঙ্ঘন করোনা, সীমালঙ্ঘনকারীরা জাহান্নামী” । বাস্তবেও তাই । আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
কলমেৱ লাল কালি বলেছেন: Nc