![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী
কোলকাতা আর বাংলাদেশের আর্ট ফিল্মের মধ্যে অনেক তফাৎ ।
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, কোলকাতার আর্ট ফিল্ম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে । তার কারণও অনেক । প্রতিটা আর্ট ফিল্মগুলো যেনো কথার ফুলঝুড়ি আর সাহিত্যরসে নিংড়ানো । তারচেয়ে বড় হলো গভীর থেকে গভীর ভাবনার বিষয় থাকে, বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন থাকে, কিছু স্বপ্ন থাকে, সবশেষে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ থাকে । ফিল্মগুলোর ইস্যু গুলোও চমৎকার । পরিচালক, স্ক্রিপ্ট রাইটার, কুশীলবদের সূক্ষ্ম কৌশল ও দক্ষ শৈল্পিকতা একেকটা ফিল্মকে জীবন্ত করে তুলে ।
বাংলাদেশ আজ অনেক পিছিয়ে পড়েছে । হাতে গোনা কয়েকটা আর্ট ফিল্ম । ইদানীংকার আর্ট ফিল্মগুলোর কোয়ালিটি খারাপ বললেও হবেনা । তবে কেনো জানি মনে হচ্ছে ফিল্মগুলো আরো সমসাময়িক হওয়ার দরকার, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটা একেবারে রাখায় হয় না । গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ থাকার দরকার । আরো প্রাণবন্ত হওয়ার দরকার । আবেগবোধের চেয়ে জীবনবোধের প্রাধাণ্য দেয়া দরকার । এদিক থেকেও কোলকাতা অনেক এগিয়ে ।
আমাদের অন্যতম একটা সমস্যা হলো, কোলকাতায় যেভাবে আর্ট ফিল্মের চর্চা লাইট - ক্যামেরা - অ্যাকশন থেকে ঘরের টেলিভিশনে হয় সেটা আমাদের খুব কম । সেজন্য দায়ী কে সেটা ঠাওর করতে পারছিনা । তবে মনে হয় কোলকাতার অনেক পাড়ায় সাহিত্য চর্চা হয়, বিপ্লবের গন্ধ অলিগলিতে সেঁটে আছে, জীবনবোধ ও সংগ্রামটা তারা ভুলে যায় নি ; যেটা আমরা অনেকেই বেমালুম ভুলে গিয়েছি । অথচ এরকমটি হওয়ার কথাই ছিলোনা । কারণ, এদেশেই তো বায়ান্নের আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো । এগুলো প্রত্যেকটাই বিপ্লবের চূড়ান্ত মূর্তমান প্রতীক । শিল্প - সাহিত্য চর্চা কি এদেশে কম হয়েছিলো?
তবু আমরা আজ পিছিয়ে । ইতিহাস - ঐতিহ্য ভুলে গেলে আর কি করার থাকে !
কোলকাতার আর্ট ফিল্মগুলো একটার পর একটা দেখছি । নিত্যনতুন । অনেক শেখার, অনেক জানার । মাঝে মধ্যে মনে হয়, এদেশ কেনো এতোটা পিছিয়ে? দর্শক হিসেবে আমার এই প্রতিক্রিয়া । হয়তো সামনে পরিবর্তন আসবে । কিন্তু আর্ট ফিল্মের পরিবর্তনটা যে দেশ ও সমাজ পরিবর্তনের আগে দরকার । তবু আশাবাদী ।
এই লিখাটি লিখেছিলাম আমার ফেসবুক পোষ্টে । সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য এসেছিলো । সেগুলোও এখানে সংযুক্ত করাটা প্রাসঙ্গিক মনে করছি ।
Riyadul Hassan
অশ্লীলতা আর্ট ফিল্মের অবধারিত বিষয়। অশ্লীলতাকে শৈল্পিকরূপে তুলে ধরার যতই চেষ্টা করা হোক তা আদিরসের ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না আমার কাছে। গল্পের গরুকে গাছে তুলে দিয়ে হলেও একটি দুষ্টু সীন যেন লাগবেই। সেটা ঋতুপর্ণ থেকে সৃজিত কেউ এই টেকনিকটা মিস করেন না।
শ্রী চণ্ডীদাশ
আমরা শুধু নিন্দা করতেই শিখেছি। অর্জন করতে শিখিনি। আমরা সারাদিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ধুঁয়া তুলি কিন্তু বিকল্প সৃষ্টি করতে পারিনি যার কারণে ভারতীয় চ্যানেল গুলো আমাদের দেশের সাধারণ দর্শক শ্রোতার কাছে খুব জনপ্রিয়।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: আমাদের ফিল্ম ইন্ড্রাষ্টিজের দিকে লক্ষ্য করুন । কাট - কপি - পেষ্ট ছাড়াই কিছুই বুঝতেছেনা । আর পাশ্চাত্য ও ভারতীয় ফিল্মগুলোই যেনো একমাত্র স্ট্যান্ডার্ড ! আচ্ছা, এদেশের সংস্কৃতি ও জীবনধারা কি এতোটাই কম দামী যে এগেুলো ফিল্ম মার্কেটে উঠতেই পারবেনা? বিদেশী খাবারের প্রতি মানুষের কৌতুহল থাকবে, এটা প্রাকৃতিক ও স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য । কিন্তু যখন দেশীয় হোটেলগুলো দেশীয় খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ না করে উল্টো বিদেশী খাবারের ব্যবস্থা করতে যাবে, তখন ভোজনরসিকদের কী দোষ থাকে বলুন তো !
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
এক্সিস বলেছেন: যথার্থই বলেছেন।void(0);
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: কলকাতার সিনেমার শুরুটা ঢাকার চলচ্চিত্রের শুরুর অনেক আগে। আর পাকিস্তান আমলেও ঢাকার চলচ্চিত্রের অবস্থা বেহাল ছিল। যেখানে কলকাতায় সত্যজিৎ রায়, বিমল রায়, মৃণাল সেন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরি করত সেখানে পূর্ব পাকিস্তানে চলচ্চিত্র ব্যাপারটাই একরকম ট্যাবু ছিল। অনেকেই চেষ্টা করেছেন তেমন সফল হয়নি তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে। আবার বর্তমানে ভারতে চলচ্চিত্রের যে প্রভাব তার সিকি ভাগও বাংলাদেশে নেই। তাই তুলনাটাও অসামঞ্জস্য।
কিন্তু ১৯৭২-২০১৫ এই ৪৪ বছরে বাংলাদেশে ভাল চলচ্চিত্র হয়নি ব্যাপারটা তাও না। প্রচুর ভাল চলচ্চিত্র হয়েছে। কিন্তু আমরা সেই চলচ্চিত্র দেখছি তো নাই বরং আঁতেল টাইটেল দিচ্ছি। আমরা যদি সেই চলচ্চিত্রগুলো দেখতাম তাহলে চলচ্চিত্র নির্মাতারা আজ ভরসা পেতেন। তাই আগে আমাদের অর্থাৎ দর্শকদের চলচ্চিত্রগুলো দেখতে হবে পরে না হয়...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: আর্ট ফিল্ম আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগার জিনিস । সেটা বাংলাদেশেরই হোক আর কোলকাতারই হোক । বাংলাদেশের আর্ট ফিল্মগুলো সেই কৈশোর থেকেই দেখে আসছি । যখন বিটিভির যুগ ছিলো তখন আমাদের বাসায় এই ছবিগুলো হলে কেউ দেখতো না । কিন্তু আমি কেনো জানি অন্যরকম আকর্ষণবোধ করতাম ।
হ্যা, আপনার কথায় যথেষ্ঠ যুক্তি আর বাস্তবতা আছে । একটা কথা কি জানেন, বাংলাদেশে এরকম অনেক দর্শকই আছে যারা একটা আর্ট ফিল্মের জন্য অপেক্ষায় থাকে । আমি এ প্রজন্মের, অতীত বাঙ্গালি প্রজন্মের দ্বারা বাংলাদেশের আর্ট ফিল্মের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরি জানিনা । আপনি যতটুকুন জানালেন, তাতে কৃতার্থ না হয়ে পারিনা । দর্শকের কিছুটা দোষ তো আছেই । সর্বোপরি, আমার কথা ঐ একটাই । কোলকাতার থেকেও আমাদের আর্ট ফিল্মগুলো আরো প্রাণবন্ত হোক, জীবনবোধ হোক, ফিল্মের চর্চা হোক, বেশি বেশি ফিল্ম হোক ।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৪৮
প্রলয়শিখা বলেছেন: আরেকটু তথ্যবহুল হলেই ভাল হত এই পোস্ট। যাই হোক, আগে নিজের দেশের আর্ট ফিল্ম যা আছে সব দেখুন। তার পর বিচার করুন। দুই দেশের চলচিত্র ইতিহাসটাও একটু পড়বেন।
যদি বলেন বাংলাদেশের আর্ট ফিল্ম এর সংখ্যা খুব কম তাহলে নিজেকে একবার প্রশ্ন করুন তো অল্প সংখ্যক আর্ট ফিল্ম যা আছে তার দেশীয় সংখ্যা বৃদ্ধিতে আপনার সহযোগীতা ছিল কিনা? হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছেন কিনা? সিনেমা সংশ্লিষ্ট কাউকে হলেও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন কিনা? যদি আপনার উত্তর "হ্যা" হয় তো ভাল। আর আপনার উত্তর যদি "না" হয় তবে কি করবেন?
আরে ভাই, আপনার ব্যাংক একাউন্ট তো আর লাখ টাকা দিয়ে শুরু করেন নাই। ৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করে তবেই তো লক্ষাধিক জমিয়েছেন! আমার দেশের আর্ট ফিল্ম আরও ভাল হবে এবং এর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। দেশীয় জিনিসের প্রাধান্য আগে। আপনার ঘরের কেউ প্রতিবন্ধী থাকলে তাকে তো আর অবহেলা করেন না! ঘরের জিনিসের প্রতি আরও যত্নশীল হোন প্লিজ।
পরিবর্তন আসবেই একদিন। শুধু আপনাদের নিজ নিজ যায়গা থেকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিন।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: আমি কিন্তু মোটেই অবহেলা করছিনা । আপনার অনেক কথার সাথেই আমি একমত । আমিও আশাবাদী, নৈরাশ্যবাদী নই । তুলনা করে বলে দিতে চেয়েছি, আমাদের যা আছে তা যথেষ্ট নয় । আরো চাই, এতেই সন্তুষ্ট নই । আরো ভালো হোক । তুলনা না করলে মনোভাব পরিবর্তন আসবে কী করে? আমাদের লেকিংসও আছে অনেক । সেগুলোও বলেছি ।
আর হ্যা, আমি বর্তমান প্রজন্মের একজন সদ্য যুবক । জানামতে বাংলাদেশের যতগুলো আর্ট ফিল্ম আছে প্রায় অনেকগুলোই দেখেছি । কয়েকটা সিনেমাতে গিয়েও । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।
আপনার মতো আমিও আশাবাদী “পরিবর্তন আসবেই একদিন। শুধু আপনাদের নিজ নিজ যায়গা থেকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিন। ”
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
কানিজ রিনা বলেছেন: আমরা বাংলাদেশীরা এখন দেশি খাবার রেখে
বিদেশী খাবার বেশী পছনদ করি। তেমনটি থিয়েটারের বেলায়ও। যাদের অতথ বিও আছে তাদের ছেলে মেয়েরাতো চাইনীচ দোসা পিদজা এরকম অনেক রকম খাবার ছারা চলে না। তাই
আরট ফিলম নাটক যতই ভাল হোকনা।,,,,,,,