নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর এখন জেগে জেগেই দেখি

স্বপ্নাতুর পুরব

চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী

স্বপ্নাতুর পুরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মানবতাবোধ কতটুকুন মানবতাময়?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

মিডিয়া বা অন্য কোন ভাবে জনসমক্ষে যখন কোনো অসহায় শিশু, নারী বা পুরুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরা হয়, তখন আমাদের মাঝে মানবতার বাঁধ ভাঙ্গা ঢেউ জেগে উঠে! এ ঢেউ হঠাৎ করে কোত্থেকে ভেসে আসে তা বড়ই গবেষণার বিষয় ! এই মানবতাবাদীদের চোখে শুধু তখন ভাসে আর্তমানবতার ইলেক্ট্রনিক চিত্র ।

অথচ বাস্তবচিত্র অহরহ, যত্রতত্রে রয়েছে । এ চিত্র ঘরের আশপাশ থেকে শুরু করে ব্যস্তনগরী, রাস্তারফুটপাত, পার্ক, পতিতালয়, চিড়িয়াখানা, মসজিদ-মন্দির নামক প্রভৃতি ক্যানভাসে আঁকা ।

ক্যানভাসের এ বাস্তবচিত্র আমাদের চোখে পড়েনা, কিন্তু মিডিয়ার ক্যানভাসে আঁকা চিত্র ঠিকই চোখে পড়ে । জানেন কেনো এমন হয়? এটা আমার-আপনার লোকদেখানো মানবতা ! এ মানবতায় লোকের বাহবা পাওয়া যায় । বাহবার বেশ কদর আছে আমাদের সমাজে । বলাতো যায় না, আপনি আমিই হয়তো বাহবার উছিলায় অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারি ।

আরো একধরণের মানবতাবোধ আছে ।

যারা ফ্লাটের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পাশের নোংরা বস্তির দিকে তাকিয়ে ভাবেন, "আহারে কী কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে!"

যারা নিজের ছেলেমেয়েকে নিয়ে রেডিসনে সুস্বাদু খাবার খাইয়ে বাড়ি ফেরার পথে জীর্ণ-শীর্ণকায় শিশুভিক্ষুকের হাতে পাঁচ-দশটাকার নোট দিয়ে আফসোস করে বলেন, " আহারে এরা কী গরীব!"

যারা ঈদ-আনন্দপূজার আগমনে শপিং মলে হাজার হাজার টাকার কেনাকাটা করে ঘরে ফেরার পথে একটা পথশিশুকে জামা কিনে দিয়ে বলেন, "ইস্ ! দেখেছো গো রুম্পার মা, বাচ্চাটাকে এবার জামাটা না দিলে ঈদই করতে পারতো না । আহারে কী কষ্ট তাদের!"

তাদেরকে আমার আর কী বলার থাকতে পারে ! জানিতো, আপনারা ঐ অসহায়দের সাহায্য করেছেন । তাদের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে আপনাদের । নিশ্চয়ই আপনাদের মাঝে আজো মানবতাবোধ রয়েছ। অথচ অনেকেতো ঐ অসহায়দের দেখলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় । কারণে-অকারণে চড় থাপ্পর মারে । তাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখে । এদেরমাঝে মানবতাবোধ তো নয়ই, পশুবোধও নেই!
এ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আপনাদের বলছি, আপনারা ঠিকই মানবতাবোধ প্রদর্শণ করেছেন বটে । তবে কি কখনো ভেবে দেখেছেন, সেই অসহায় আর্তমানুষেরা মন থেকে কখনোই অন্যের দয়া চায় না, কারো ভিক্ষা নিয়ে বাঁচতে চায় না, তারাতো বাধ্য হয়ে আপনার আমার সামনে হাত পাতে । এভাবে একসময় তার অভ্যেসও হয়ে গেছে ।
তবে কিনা তাদের চোখের দিকে তাকিয়েছেন কখনো গভীরভাবে? অনেক গভীরতা রয়েছে তার চাহনিতে । সে যে স্থিরদেহে হাত পেতে রয়েছে, এটা অন্য এক মূর্তির কথা মনে করিয়ে দেয়-
তার প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে ধনতান্ত্রিক পুজিবাদীদের কাছে আহ্বানের প্রতীক এই হাত পেতে রাখা জলজ্যান্ত মানবমূর্তিটি !

ভোগবিলাসিতার পুঁজিবাদ আর ধনতান্ত্রিকতা আমাদের উপহার দিয়েছে "ফ্ল্যাট বনাম বস্তি বনাম খোলাছাদ" স্কেচ, "রেডিসন বনাম খালিপ্লেট বনাম ডাস্টবিন" তৈলচিত্র, "শপিংমল বনাম ফুটপাত বনাম খালি গা" জলছাপসহ আরো অনেক ক্যানভাসে আঁকা হরেক রকম চিত্র ।

মুহাম্মদ - যীশু - গৌতম - কৃষ্ণ কেউ তো বলেনি আকাশ ছুঁতে! তবে কেনো আকাশ ছুঁতে সবাই প্রতিযোগিতায় নেমেছি আমরা? এ প্রতিযোগিতায় আমার আপনার পদতলে শুধু পিষ্টই হচ্ছে ঐ অসহায় নিপীড়িতরা, যারা প্রতিযোগিতার দর্শক হতেতো চায়নি, চায়নি বৈষম্যময় হোক পৃথিবী । তবে আমরা কেনো বারবার পুঁজিবাদ আর ধনতান্ত্রিকতায় এসে স্থির হচ্ছি? বৈষম্যের কারণ হচ্ছি? সাম্যতার পরিবর্তে তাদের অধিকারকে কুক্ষিগত করে রেখেছি? কে আমাদের পুঁজিবাদে স্থির করছে?
সেটা কি প্রচলিত সিস্টেম নয়?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: এই প্রশ্নটা আমারও, কেন আমরা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বিভোর?

যার অর্থ-সম্পদ নাই, তার কিছু নাই। সে বৈষম্যের শিকার।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: এমন স্বপ্ন দেখাও পাপ, যে স্বপ্নের সিঁড়িতে লেপ্টে আছে আর্থিক দরিদ্র শ্রেণিটির দলাদলা রক্ত । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

এস.এম.ইরফান বিন ইকবাল বলেছেন: এর সমাধান কি হবে? টাকা বিলি করলে কমে যাবে। আমি কি এতই বোকা এদের দিকে তাকাবো। এর যার যাই হোক, আমার কি আসে যায়। আমি তো মোটা, টাকা আমার চাই, তাই এই ব্লগটি লেখার কি দরকার ছিল? সাধুবাদ লেখককে জ্ঞানটুকু দেয়ার জন্য, চেষ্টা করলে কি লাভ কেউ তো আসে না, Sandwip Foundation Bangladesh

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: একা একা কিছু করা সম্ভব না । একা একা কিছু করার পদক্ষেপ গ্রহণ মূলত প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম । তাই আমাদেরকে প্রথমত সচেতনতা বাড়াতে হবে । মানুষকে সত্যটা বুঝাতে হবে, তুলে ধরতে হবে মহাসত্যগুলো । তারপর বিপ্লব দেখবেন এমনিতে চলে এসেছে । এভাবে আর চলতে পারেনা । বৈষম্যময় পৃথিবীতে এতো অশান্তি আর সহ্য করা যায় না ।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলোর সমান হচ্ছে, সবার জন্য শিক্ষা ও সম্পদের সঠিক বন্টন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: একদম মূল পয়েন্ট ধরেছেন । সুশিক্ষা ও সম্পদের সুষম বন্টন । কিন্তু প্রচলিত সিস্টেমে মানে গণতন্ত্রে এটা কি আদৌ সম্ভব? আমি তো দেখতে পাচ্ছি দিনে দিনে অনিয়ম-দুর্নীতি-পুঁজিবাদ বেড়েই চলেছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.