নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর এখন জেগে জেগেই দেখি

স্বপ্নাতুর পুরব

চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী

স্বপ্নাতুর পুরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষিত শ্রেণিটি সাবধান !

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

বর্তমান সভ্যতার পথভোলা যে উচ্চশিক্ষিত, ডিগ্রিধারী জাতিটা রয়েছে সেই জাতিটাকে শিক্ষা দিবে সাক্ষরজ্ঞানহীন, আধাশিক্ষিত বা তাদের চেয়ে কম শিক্ষিত একটা জাতি, যারা গবেষণা, পিএইচডি, কোর্স, লিটারেচার, ফিলোসফি, হিস্ট্রোরি, সিভিকস, সোশ্যলজি ইত্যাদি শব্দগুলোর সাথেই পরিচিত নয় কিংবা যাদের মাঝে নেই সূক্ষাতিসূক্ষ্ম মাসলামাসায়েল, ঠোঁটস্থ-মুখস্থ কোরআন-হাদিসের ফুলঝুড়ি ।

ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যে প্রমাণিত হবে । কারণ, আজ একটা অশিক্ষিত কৃষক বুকে দেশপ্রেম নিয়ে যতোটা ভাবে, প্রত্যাশা করে, স্বপ্ন দেখে তার অনেকগুণ বিপরীত চিন্তাধারা ও বাস্তবায়ন করে একজন ডক্টরেট ডিগ্রীধারী স্কলার । কৃষক কখনো দুর্নীতি করেনা, বরং তিনি যে চাষাবাদ করে সোনার ফসল ফলান সেই ফসলেরই প্রাপ্যমূল্য পান না । তবু তিনি ফসল ফলিয়ে যান । কিন্তু সার্টিফিকেটধারী শিক্ষায় তাঁর চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে থাকা শিক্ষিত শ্রেণিটিই কৃষকের সোনার ফসলের টাকা দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে মেরে খান । দেশের সবচেয়ে বড় পুকুর চোর হচ্ছে শিক্ষিত শ্রেণিটি । সেবাকে ব্যবসায় পরিণত করেছে শিক্ষিত শ্রেণিটি । সেটা চিকিৎসা থেকে শুরু করে ধর্ম পর্যন্ত । পৃথিবীটাকে দিনে দিনে কর্পোরেটময় করে তুলছে শিক্ষিত শ্রেণিটি । মানুষের জীবন নিয়ে অস্ত্রব্যবসা খেলছে শিক্ষিত শ্রেণিটি । আর অশিক্ষিত শ্রেণিটি সেই শোষণের শিকার হচ্ছে । শিক্ষিত শ্রেণিটি বিবেক খুইয়ে আজ মাটির ঢিবিতে পরিণত হয়েছে । অথচ একজন চাষা-মজুরের বিবেক আজও রক্স হিলের (পাথুরে পাহার) ন্যায় দৃঢ় ও মজবুত ।

এই সে সভ্যতা, যা প্রমাণ করেছে কেবলমাত্র শিক্ষা দিয়ে মানবতা, শান্তি, সাম্য প্রতিষ্ঠা করা যায় না । এখানে যে যতো শিক্ষিত সে ততো ধূর্ত । আজ যে শোষণের শিকার হচ্ছে আগামীকাল সে শিক্ষিত হয়ে অশিক্ষিতদের দুর্বলতাকে পুঁজি করে তাঁদেরকে শোষণ করছে ।

তাই যুগ ও সভ্যতা পরিবর্তনের বিপ্লব যদি আসে তবে সেটা আসবে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সাধারণ অশিক্ষিত, আধাশিক্ষিত, কমশিক্ষিত মানুষদের দ্বারা; যাদের বেশিরভাগ পেশায় হবে শ্রমজীবি এবং খেটে খাওয়া মানুষ, চেয়ারের উপর পা তুলে ত্রিশ দিন পর মাইনে পাওয়া ব্যক্তি নয় । তো, শিক্ষিতদের প্রতি অনুরোধ একটাই -
খেটে খাওয়া মানুষদের ঘর্মাক্ত চেহারা আর রুক্ষ-শুষ্ক মুখ দেখে অবহেলা করবেন না । তাঁরা যদি আপনার সামনে কোনো বিপ্লবের লিফলেট, পত্রিকা, হ্যান্ডবিল, সিডি নিয়ে আসে সময় থাকতে সাদরে গ্রহণ করুন এবং সত্যটাকে বুঝা ও গ্রহণ করার চেষ্টা করুন । নতুবা শেষে দেখবেন, শিক্ষিত হয়েও দেশ ও পৃথিবী নিয়ে না ভাবার দরুণ আপনার বিবেক আপনাকে দংশন করতে করতে ধ্বংস করে দিবে । কারণ, ইতোমধ্যে সেই অর্ধশিক্ষিত জাতিটি বিবেকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে হয়তো আপনাকে শেক্সপিয়ারের লিটারেচার, নিউটনের ফিজিক্স, অর্মত্যসেনের ইকোনমিক্স পড়াতে পারবেনা এবং সে জন্য তাঁরা মোটেই চেষ্টাও করবেনা কিন্তু আপনার মতো বিবেকহীন জাতির উদ্দেশ্যে বর্জঘোষে বক্তব্য রাখবে, যার সারবস্তু শুনে আপনিও চমকে উঠবেন এবং অপমানিত হবেন ।

- ইলিয়াস আহমেদ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

বিপরীত বাক বলেছেন: সমস্যা আরও বহুমুখীভাবে বাড়বে।।
বর্তমান এ যুগে যেখানে বই খাতা ফ্রি, চারিদিকে বৃত্তি, পাড়ায় পাড়ায় স্কুল সেখানে অশিক্ষিত থাকা বা খালি মেট্রিক/ ইন্টার পাস থাকা একটা ক্রাইম।।।

এইসব অশিক্ষিত দের মানুষের মর্যাদা দেয়া উচিৎ নয়।।। এরা মানুুষ ও নয়।।। জীব।।।

আর আপনি যে চাষাভুষা কৃষকের সাফাই গাইছেন না তারা ২/৩ হাজার বছর ধরে একই পদ্ধতিতে অনুৎপাদন লস চাষ করে আসছে।।। তাদের জমিতে ৩/৪ গুণ ফলন বৃদ্ধিকরণ, রোগ বালাই নাশক ওষুধ, মাটি চাষের আধুনিক পদ্ধতি সব ওই পা এর উপর পা তুলে মাস শেষে মাইনে নেয়া গবেষক বিজ্ঞানী আর প্রকৌশলী রা উদ্ভাবন করে দিয়েছে।।।

চাষাভুষা হওয়ার ইচ্ছে থাকলে গ্রাম গঞ্জের পলের গাদা, মাটির ঢিবি বা নালা নর্দমায় যেয়ে বসবাস করেন গিয়া।। শহরে বসে ব্লগিং করে দুর্গন্ধ ছুটায়েন না।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৪

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: আপনার প্রথম অংশের সাথে আমার মতবিরোধ নেই ।

আমার মূল বক্তব্য হলো মানবতা ও বিবেকবোধকে কেন্দ্র করে, কারো পান্ডিত্যের মানদন্ডে নয় ।

আপনি নিচের অংশটি আবার পড়ে নিন - “সেই অর্ধশিক্ষিত জাতিটি বিবেকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে হয়তো আপনাকে শেক্সপিয়ারের লিটারেচার, নিউটনের ফিজিক্স, অর্মত্যসেনের ইকোনমিক্স পড়াতে পারবেনা এবং সে জন্য তাঁরা মোটেই চেষ্টাও করবেনা কিন্তু আপনার মতো বিবেকহীন জাতির উদ্দেশ্যে বর্জঘোষে বক্তব্য রাখবে, যার সারবস্তু শুনে আপনিও চমকে উঠবেন এবং অপমানিত হবেন ।”

বিজ্ঞানের অবদান অস্বীকার করার দুঃসাহস আমার কেনো কারোরই নেই । বিজ্ঞান আমাদের কী দিলো আর কী নিয়ে গেলো সে বিষয়ে যেতে চাই না । কারণ, মূল প্রসঙ্গ অন্যদিকে মোড় নিবে । এই কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না যে, আজ যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌধে নির্মিত সভ্যতার বড়াই করছি আমরা সেই সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়েছিলো প্রাগৈতিহাস থেকে এবং পৃথিবীতে মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই কৃষক শ্রেণিটিই । সাধারণভাবে চিন্তা করেন, দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করছে কোন শ্রেণিটি? অশিক্ষিত - অর্ধশিক্ষিত শ্রেণিটি না শিক্ষিত শ্রেণিটি?

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

বিপরীত বাক বলেছেন: দেশের ক্ষতি সবাই করছে।।। শিক্ষিত শ্রেণীর সুযোগ বেশি থাকায় ক্ষতি বেশি করছে।।। অশিক্ষিতদের সুযোগ কম তাই ক্ষতি কম করছে।।। সুযোগ পেলে এগুলোও যে কি পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ প্রচুর দেখেছি।।।

আর গ্রামের ব্যাপারটা সেন্টিমেন্টালি নিয়েন না। বলবেন হয়তো যে গ্রামের মানুুষ সহজ সরল।।

কিন্তু বাস্তব হচ্ছে জসিমউদ্দিনের সেই ডালিম গাছের গ্রাম এখন আর নেই।। এখন গ্রামগুলোকে এসব চাৃষাভুষা রা নিকৃষ্ট ভিলেজ পলিটিক্সের জায়গা বানিয়েছে।।। যেহেতু এদের শিক্ষাদীক্ষা কম তাই পলিটিক্স রেষারেষি এখানে আরও কদর্য রুপ লাভ করেছে।।।

আর আপনি যে স্বপ্ন দেখছেন ওটা আমেরিকা রাশিয়া ইউরোপের জন্য প্রযোজ্য।।। বাঙালদের ক্ষেত্রে নয়।।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: অামি দ্বন্দ্বটা কেবলমাত্র শিক্ষিত বনাম গেঁয়ো অশিক্ষিতদের মধ্যে তুলে ধরিনি । হতে পারে সেটা শহর কিংবা গ্রামে । অামার মূল বক্তব্য অাপনি বুঝতে পারেন নি । পার্থক্যটা বিবেকেবাধ ও মানবতাবোধে । সাধারণ অশিক্ষিত, আধাশিক্ষিত, কমশিক্ষিত শ্রমজীবি এবং খেটে খাওয়া মানুষ যদি প্রশ্ন করে, ‍" হে উচ্চশিক্ষিত, ডিগ্রিধারী জাতি ! অাপনাদের জ্ঞানের ঝুড়িতে তো অনেক জ্ঞান রয়েছে । তাহলে কেনো অন্যায় - অনিয়ম - দুর্নীতি - ঘুষ - স্বার্থবাজের ব্যবসা করে পৃথিবীটাকে বিষিয়ে তুলছেন? কেন মানবতাবোধ ও বিবেকবোধ অাপনাদের মাঝে নেই?" তখন কী জবাব দেবে তারা?

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

বিপরীত বাক বলেছেন: অন্যায় - অনিয়ম - দুর্নীতি - ঘুষ - স্বার্থবাজের ব্যবসা করে
পৃথিবীটাকে বিষিয়ে তুলছে দেশের মন্ত্রী এম পি রা।। আর নেতারা।।। আর শিক্ষিতরাও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যে দুর্ণীতি করছে তার প্লাটফরম তৈরী করছে এইসব রাজনৈতিক নেতা এম পি মন্ত্রীরা।।। যাদের হাতে রয়েছে শাসন ক্ষমতা ও নীতি-নির্ধারনের ক্ষমতা।। আর এইসব নেতা ও এম পির ৯০% অাধা শিক্ষিত গুন্ডা মাস্তান ব্যবসায়ী।। আর প্রতিবার এগুলোকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে ওই অশিক্ষিত গেঁয়ো চাষাভুসা দিনমজুর শ্রমিক গুলা।।। সুতরাং ওগুলোকে পাল্টা প্রশ্ন করা দরকার যে, এ হম্মুনির পুতেরা! কি দেখে কারে কি কারণে ভোট দিস তোরা? হ্যা?

বাংলাদেশে ভোটার হওয়ার ন্যুনতম যোগ্যতা অনার্স পাস বা ডিগ্রী পাস দ্যান তাহলে দেখবেন পরিবর্তন কিভাবে আসে।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.