![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী
মানবতা, তরুণ প্রজন্ম ও ধর্মবিশ্বাসঃ নতুন করে ভাবতে হবে
মানবতা, তরুণ প্রজন্ম ও ধর্মবিশ্বাস (১ম পর্ব)
দুরারোগ্যে অাক্রান্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর চেয়ে একজন নারী, একটি শিশুকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচানো কি কম গুরুত্বপূর্ণ?
ভাবুন তো একবার, একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা করাটা কি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়? ধরুন, একজন হতদরিদ্র মানুষ সুচিকিৎসার অভাবে মারা গেলো । শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কেনো, যেকোন রাষ্ট্রব্যবস্থায় এর দায়ভার কি রাষ্ট্রের উপর বর্তায় না? রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের মূল উদ্দেশ্যই হলো রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্ত সকল নাগরিকের সুরক্ষা, শান্তি ও মৌলিক অধিকারগুলো সুশৃঙ্খলভাবে নিশ্চয়তা ও বাস্তবায়ন করা । নাহলে কী দরকার ছিলো জনগণের রক্ত পানি করা কোটি কোটি টাকা দিয়ে সরকার গঠনের, মন্ত্রনালয় গঠনের? কী দরকার ছিলো সংবিধানের? কী দরকার ছিলো সামরিক-অাধাসামরিক বাহিনী গঠনের? কী দরকার ছিলো প্রশাসনের? কী দরকার ছিলো সরকারি বিভিন্ন অফিস-অাদালত, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির? এককথায় কোনোকিছুরই দরকার ছিলো না । কিন্তু রাষ্ট্রগঠনের পেছনে মহৎ ও অত্যাবশ্যকীয় উদ্দেশ্য অাছে বলেই জনগণ রাষ্ট্রগঠন করেছে । শুধু রাষ্ট্র গঠন করেই ক্ষান্ত নয় জনগণ । রাষ্ট্র এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার অাওতাধীন অারো অসংখ্য ছোটবড় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন রয়েছে এবং সবগুলোই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চলে জনগণের টাকায় । কারণ রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তিগত বা দলগত প্রতিষ্ঠান নয় ।
জনগণের রক্ত পানি করা টাকায় সরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসাপাতালগুলো চলে । তাহলে কেনো ভালো চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারে যেতে হয়???
এখন দৃষ্টিপাত করা যাক, জনগণের টাকায় পরিচালিত জনগণের সেবার জন্য যেসকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে (যেমনঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল-মেডিকেল কলেজ, অাইন-অাদালত, পুলিশ প্রশাসন ইত্যাদি) সেগুলো অাজকের প্রেক্ষাপটে কতটুকুন জনগণের সেবার নিমিত্তে দায়িত্ব পালন করছে । শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, চিকিৎসার বাণিজ্যিকীরণ, নিরাপত্তার বাণিজ্যিকীকরণ অর্থ্যাৎ সব ধরণের সেবা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে । মনে করুন, অাপনি অাপনার গাড়ির ড্রাইভার নিয়োগ করেছেন এবং ড্রাইভারকে ঠিকঠাক মাইনেও দেন । কিন্তু অাপনি যখন ড্রাইভারকে বললেন যে, অাপনি গাড়িতে চড়ে অফিসে যেতে চান তখন ড্রাইভার অাপনাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বললো, “অাপনি অামার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করুন । সাথে অতিরিক্ত কিছু টাকা নিয়ে অাসেন । তাহলে অাপনাকে অামি গাড়িতে করে অফিসে পৌঁছে দিবো । অার যদি না নিয়ে অাসেন সার্ভিসিং তেমন একটা ভালো পাবেন না । অাধাঘন্টার পথ পাঁচঘন্টা লাগাবো ।" শুধু এতটুকুনই নয়, অাপনার নিয়োগ করা ড্রাইভার অাপনার সেবা না করে যেখানে বেশি টাকা পাচ্ছে সেখানে ভালো সার্ভিসিং দিচ্ছে । অাপনি অফিস ফাইল গুলো হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন অার অাপনার নিয়োগ করা ড্রাইভার অাপনারই গাড়ি নিয়ে চলে গেলো অন্য কারো কাছে যেখানে সার্ভিসিং-এর বিনিময়ে ভালো টাকা পাবে । অাপনি শেষ পর্যন্ত ভাড়া করে অফিসে গেলেন । এমতাবস্থায় অাপনার কেমন লাগবে? এ ধরনেরই কিন্তু এর চাইতে অনেকগুণ বেশি যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে জনগণ । এমনটাই হয়ে অাসছে অামাদের সাথে ।
'সবার জন্য শিক্ষা', ' সবার জন্য সুচিকিৎসা', 'সবার জন্য খাদ্য' এসব বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থায় স্রেফ মুখরোচক কথা যদি নাই হবে তবে শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের একটা অংশ কেনো স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে পথশিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চয়তাকরণ, শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, দুস্থদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে? এগুলো কি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিলোনা? এসব নিশ্চয়তার জন্য কি জনগণ তাদের রক্ত পানি করা শ্রমের টাকা ব্যয় করে রাষ্ট্রীয় সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেনি?
তবে কেনো প্রয়োজন হচ্ছে ঐ গাড়ির মালিকের ন্যায় (যে নিজের গাড়ি ও নিয়োগকৃত ড্রাইভার থাকতে নিজের টাকায় ভাড়া করে অফিস গিয়েছিলো) নিজের টাকা খরচ করা? যেগুলোতে এককভাবে সামর্থ্য নেই সেগুলো নিশ্চয়তাকরণের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে কেনো ঘুরতে হচ্ছে, ভিখারীর ন্যায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে? অথচ একজন ভিখারীর স্বচ্ছল জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়েই রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠন করা হয়েছিলো । সেখানে ভিখারী তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তদেরই সুরক্ষা শান্তির জীবন নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা । তাই বলে ভাববেন না যে, অামি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দোষারোপ করছি । অামি না দোষ দিচ্ছি সরকারকে, না মন্ত্রীকে, না উপমন্ত্রীকে, না প্রশাসনকে, না পুলিশকে, না কাউকে । উপরোক্ত সবাই ব্যক্তিবিশেষে একজন মানুষ । অার একজন মানুষের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়, সমস্ত রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপক্ষে গিয়ে নিজের মতো করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা । হোক রাষ্ট্রপতি, হোক প্রধানমন্ত্রী । খরস্রোতা ঢেউয়ের বিপক্ষে যেমন একা বেশিক্ষণ টিকে থাকা সম্ভব না, তেমনি অামাদের দেশে অনেক সৎ, নিঃস্বার্থ মানুষ থাকা সত্বেও কলুষিত সিস্টেমের বিপক্ষে থেকে কিছু করতে গিয়েও কিছু করতে পারছেনা ।
হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন মূল সমস্যাটা অামাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় । কিন্তু সমস্যা কোন ধরণের এটা বোধগম্য হচ্ছে না । বোধগম্য না হওয়ায় তাই এতদূর এসে অামাদের বুদ্ধিজীবিমহল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলেন, এদেশে গণতন্ত্রের চর্চা ঠিকঠাক মতো হচ্ছে না । গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় নি । কিন্তু এসব বলে ছেঁড়া কাঁথায় অার কতদিন চলবে পট্টি-তালি দেয়া? কবে হবে কাঙ্খিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা? মানবতা ও শান্তি যখন চূড়ান্তরূপে বিদায় নিবে পৃথিবী থেকে? না, অামি বলছিনা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা, বলছিনা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা । হঠাৎ করে নতুন কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হবে বোকামির নামান্তর মাত্র । সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র যেটাই থাকুক না কেনো, অাপাতত অামাদের মূল সমস্যাটা তাত্তিকে নয়, সেই তত্ত্ব মানায় অর্থ্যাৎ নীতি-নৈতিকতায় । অামাদের নীতি-নৈতিকতার কতটুকুন পদস্খলন হয়েছে তা ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন অাছে কি? একটা জাতি কতটুকুন নীতি - নৈতিকতায় অাছে তার প্রমাণ সেই জাতির দুর্নীতির পরিসংখ্যান । এর চাইতে বিশেষ কিছু প্রমাণের প্রয়োজন অাছে বলে অামার মনে হয় না । চন্দ্র-সূর্যের ন্যায় সত্য হলো মানুষ কোন যন্ত্র নয়, নয় কোনো প্রোগ্রাম করা রোবট, তাকে যাই বলা হবে তাই করবে । তাই অাইন-সংবিধানের ভয়ে মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা । একের পর এক কঠিন থেকে কঠিনতর অাইন পাস করা হচ্ছে । কিন্তু সেই অাইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করা হলেও মানুষ খারাপ কাজ থেকে নিবৃত্ত তো হচ্ছেই না বরং দিনেদিনে বিভিন্নধরণের অপরাধ বেড়েই চলেছে । অাগেই বলেছি সমস্যাটা তাত্ত্বিকে নয়, নীতি-নৈতিকতায় । এখন প্রশ্ন হলোঃ এই নীতি-নৈতিকতা পাবো কোথায়? অবশ্যই ধর্মে । ইতিহাস সাক্ষী, যুগ যুগ ধরে কেবলমাত্র ধর্মই মানুষকে শিখিয়ে এসেছে সত্য মিথ্যা, ন্যায় অন্যায় ইত্যাদির মানদন্ড । ধর্মই শিখিয়েছে কিভাবে রাজ্য শাসন করতে হয়, কিভাবে মানবসেবা করতে হয় । কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, ধর্মব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সত্য, সুবিমল, প্রশান্তিময় ধর্ম হারিয়ে ফেলেছে তার প্রকৃত সত্তা,রূপ,কার্যকারিতা । ফলে যে ধর্ম একসময় শান্তির সমার্থক শব্দ ছিলো সে ধর্মই কালক্রমে ধর্মব্যবসায়ীটির হাতে পড়ে কুসংস্কারে জর্জরিত হয়ে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । ফলে ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে উৎখাত করে ব্যক্তিগত পরিসরে নিক্ষিপ্ত করে জন্ম দেয়া হয় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার । রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্বহীন ধর্ম গুরুত্ব হারাতে হারাতে এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, সেটা অাজ উৎসব-অাড়ম্বরতা ব্যতীত এলিট শ্রেণিটির কাছে তেমন কোনো গুরুত্বই পাচ্ছেনা বা পায় না । ধর্ম অাজ দরিদ্র, নিপীড়িত, অসহায় মানুষদের সান্ত্বনার শেষ অবলম্বন । কুসংস্কারে জর্জরিত ধর্মকে সংস্কার না করে রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করে ধর্ম হারিয়ে অামরা অাজ কী পেয়েছি? নিশ্চয় যতটুকুন পেয়েছি তা পূর্বের তুলনায় যথেষ্ট কম । হ্যা, অামাদেরকে অাবারও ধর্ম নিয়ে ভাবতে হচ্ছে । তবে এবার ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে নির্বাসন দেয়ার জন্য নয়, বরং কুসংস্কারে জর্জরিত ধর্মকে সংস্কার করে তার প্রকৃত রূপ, জ্যোতি, সত্ত্বা রাষ্ট্র থেকে ব্যক্তি সবার সামনে উপস্থাপন করে ধর্মবিশ্বাসকে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগাতে । এছাড়া অামাদের দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই । অামাদের বিবেক-বুদ্ধি, নীতি-নৈতিকতার অধঃপতন তাই বলে । রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধর্মকে টেনে অানা, তার মানে এইনা যে, নিদিষ্ট কোন ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম করা করতে হবে, কোরঅানের অাইন করা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি । বরং ধর্মকে ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ, উগ্রতা, সাম্প্রদায়িকতার মতো কুসংস্কার থেকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রকৃত ধর্ম ও ধর্মের শিক্ষাটা সবার সামনে উন্মােচন করতে হবে, প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।
ধর্মবিশ্বাসকে প্রকৃত ধর্মের অালোকে রাষ্ট্রীয় কল্যাণে ব্যবহার করে তাহলে একসাথে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে-
১. রাষ্ট্রব্যবস্থায় সংস্কারকৃত প্রকৃত ধর্মের প্রভাবে মানুষের মধ্যে অাবারো নীতি-নৈতিকতার বোধোদয় হবে এবং ধর্মের সান্নিধ্যে এসে সকল অন্যায়-অপরাধ থেকে মানুষ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবে এবং এ অবস্থা চলতে থাকলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে যে, মানুষ অাজকে যেমন ভালো কাজ করাই ভুলে গেছে, সেদিন পাপ – অন্যায় করাই ভুলে যাবে । প্রকৃত ধর্মের অাশ্রয়ে মানুষের মধ্য হতে খুন, গুম, ধর্ষণ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সহিংস রাজনীতি, দুর্নীতি, সেবার নামে ব্যবসা ইত্যাদি অন্যায়-অবিচার দূর হয়ে যাবে ।
২. ধর্ম বিশ্বাসকে পুঁজি করে অস্ত্রব্যবসায়ী ও ধর্মব্যবসায়ীরা অার জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির ন্যায় ভুল পথে প্রবাহিত করতে পারবেনা ।
৩. প্রকৃত ধর্মের সন্নিকটে এসে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হবে পরস্পরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ, মমতা, ভালোবাসা, স্নেহ, সম্মান । অর্থ্যাৎ জড়বাদী সভ্যতা থেকে মানুষ বেরিয়ে মানবসেবাপরায়ণ জাতিতে পরিণত হবে । রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিঃস্বার্থ সর্বাত্মক ভালো সেবা দেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছে ধর্মীয় দায়িত্বে পরিণত হবে । অার রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান রেখে স্বেচ্ছায় অানুগত্য প্রকাশ করবে রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত নাগরিকগণ । এসবই প্রকৃত ধর্মের শিক্ষা ।
সেদিন একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর দুরারোগ্য চিকিৎসার ব্যয়ভার মিটাতে কিছু সংখ্যক তরুণ ছাত্রদের অার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবেনা । জনগণের জন্য নিবেদিত রাষ্ট্রব্যবস্থা অার রাষ্ট্রের শান্তির জন্য নিবেদিত জনগণ - এ দুই মিলে অাামাদের দেশকে স্বর্গরাজ্যে পরিণত করবে । এটা কোনো তাত্ত্বিক কথা নয়, এটাই বাস্তব ইতিহাস । সনাতন ধর্ম ভারতবর্ষকে রামরাজত্বে পরিণত করেছিলো, ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যেকে এনে দিয়েছিলো স্বর্নযুগে । এমন করে স্রষ্টার দেয়া প্রতিটি ধর্মই শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলো । তাই অাবারও অামাদেরকে প্রকৃত ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় এসেছে । যত তাড়াতাড়ি অামরা প্রকৃত ধর্মের গুরুত্বটা বুঝতে পারবো, অামাদের জন্য ততই মঙ্গল ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনার সুচিন্তিত মন্তব্য প্রদানের জন্য । নির্দিষ্ট কাউকে দোষ দেয়া যাবেনা । এই কথাটা অামার এই লেখাতেই অাছে । রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার দরুণ ভেঙ্গে পড়েছে সর্বত্র ।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
নিরব শান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ এটি লেখার জন্য কিন্তু যারা সরকারি মেডিকেল কলেজ এ পড়াশুনা করছে এবং ডাক্তার হচ্ছে তারা আগে চেম্বার পড়ে হাসপাতালে আসে, কিছু ব্যতিক্রম তো আছেই।তাদের বক্তব্য হয়ত বা এত কষ্ট করে পড়ছি আর চেম্বার এ রুগী দেখব ফ্রি? বহির্বিশ্বের ডাক্তারবাবুরা তো আরও বেশি নেয়।
তাছাড়া শিক্ষকরা অনেক শ্রদ্ধেও তাদের ও একই অবস্থা, কিছু ব্যতিক্রম তো আছেই।আর আমরা সবাই যদি নিজ অবস্থান থেকে এসব বিষয় ত্যাগ না করি তবে এই জনসচেতনতা কোন কাজে আসবে কি?
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০
মুক্তমনা মানব বলেছেন: ১ম, ২য় সবগুলো যুদ্ধই হয়েছে ধার্মিকদের কারণে। তাই দেশের উন্নয়নে কলুষিত কিছু আইডল না বানানোই ভাল। ধন্যবাদ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১০
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: "সোশ্যাল ডারউইনিজম", "Eugenics" বৈজ্ঞানিক মতবাদ দাঁড় করালেই যেমন বিজ্ঞানী হওয়া যায় না, তেমনি ধর্মকে পুঁজি করে ধর্মব্যবসা, সন্ত্রাসবাদ, অপরাজনীতি করলেই তাদেরকে ধার্মিক বলা যায় না । অাজ সময় এসেছে ধর্মগুলোকে ধর্মব্যবসায়ী, ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বের করে সংস্কার করার । ধর্মের প্রকৃত রূপ, সত্ত্বা উন্মোচন করার ।
=================================================================
বিজ্ঞানী ডারউইন তার ডারউইনিজমে সোশ্যাল ডারউইনিজম সম্পর্কে কিছুই বলেন নি । কিন্তু বিজ্ঞানী হার্বাট স্পেন্সার ডারউইনের মৃত্যুর পর কী করলেন ! সোশ্যাল ডারউইনিজম নামে নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দাঁড় করালেন । survival-of-the-fittest অর্থ্যাৎ যোগ্যরাই পৃথিবীতে টিকে থাকার অধিকার রাখে । অারেকজন বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস গ্যাল্টন । তিনি দাঁড় করালেন Eugenics মতবাদ । দুটোরই সারাংশ প্রায় একই । এই তত্ত্বগুলো কেবলমাত্র বইয়েই সীমাবদ্ধ থাকলোনা । (1910-1930) সালে জার্মানী ও অামেরিকাতে এই তত্ত্বগুলো বিপ্লবের সৃষ্টি করলো । রাজনৈতিক প্রভাব ফেললো । নাৎসী বাহিনী তো অপেক্ষাকৃত দুর্বল নাগরিকদের ধরে ধরে মারা শুরু করলো । জার্মানীর অনেক অাগেই অামেরিকাতে ইউজেনিকস প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিলো । বিস্তারিত এখানে পড়ে নিয়েন । Click This Link যাইহোক, এই বৈজ্ঞানিক মতবাদের ফলে সেদিন মানবতা ধুলোয় মিশে গিয়েছিলো । বেশিদিন টিকেনি । অাজ এই মতবাদকে কয়জন মানে । এই মতবাদগুলো বিজ্ঞানের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে । তাই বলে কি অামরা সেই বিজ্ঞানকে মিথ্যে সাব্যস্ত করেছি? করিনি । কারণ, দোষ তো বিজ্ঞানের না । বিজ্ঞানকে একেকজন একেকভাবে দাঁড় করাতে পারে । তদ্রুপ, ধর্মের নামে যা বর্বরতা চলছে তার দোষ ধর্মকে দেয়াটাও অযৌক্তিক । কিন্তু অামরা হরহামেশায় দিয়ে যাচ্ছি ।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লিখা
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৫
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনার মন্তব্য প্রকাশের জন্য ।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর ভাবে রাষট্রীয় সম্যার বিষয়গুলো তুলে ধরায় ধন্যবাদ ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৪
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: অাপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে পোষ্ট পড়ার জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
নিরব শান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ এটি লেখার জন্য কিন্তু যারা সরকারি মেডিকেল কলেজ এ পড়াশুনা করছে এবং ডাক্তার হচ্ছে তারা আগে চেম্বার পড়ে হাসপাতালে আসে, কিছু ব্যতিক্রম তো আছেই।তাদের বক্তব্য হয়ত বা এত কষ্ট করে পড়ছি আর চেম্বার এ রুগী দেখব ফ্রি? বহির্বিশ্বের ডাক্তারবাবুরা তো আরও বেশি নেয়।
তাছাড়া শিক্ষকরা অনেক শ্রদ্ধেও তাদের ও একই অবস্থা, কিছু ব্যতিক্রম তো আছেই।আর আমরা সবাই যদি নিজ অবস্থান থেকে এসব বিষয় ত্যাগ না করি তবে এই জনসচেতনতা কোন কাজে আসবে কি?