![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী
ওদের প্রতি সমবেদনা, ওদের নিয়ে উপহাস !
শিশুশ্রমকে না বলুন ! সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলুন ! রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক এই বুলি অার কতদিন? বললাম, না । তো লাভটা কি? শিশুশ্রম কি কোনো অপরাধ, যে অামাদেরকে না বলতে হবে? শিশুশ্রম হলো সমাজের করুণ পরিণতির অারেকটা প্রতিচ্ছবি । অার এই প্রতিচ্ছবিই বলে দিচ্ছে, অামরা এমন এক ব্যবস্থায় (সিস্টেমে) বসবাস করছি, যেখানে পুঁজিবাদী অার কর্পোরেট জীবনব্যবস্থা নিঃস্বদের অারো নিঃস্ব করছে অার ধনিক শ্রেণিটিকে করছে অারো পুঁজিপতি । ভারসাম্যহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা একদিকে সমাজ-রাষ্ট্রকে অার্থিক বৈষম্যে বিভাজিত করেছে, অপরদিকে দরিদ্র শ্রেণিটিকে বাধ্য করাচ্ছে জোরপূর্বক শ্রম অর্থ্যাৎ দাসত্ব মেনে নিতে, উপায়হীন বলে মেনেও নিচ্ছে । ফলে রক্ষা পাচ্ছেনা শিশু - নারী - বৃদ্ধ কেউই । সচেতনতা প্রচারে এ পর্যন্ত শিশুশ্রম কমেনি অার কমার কথাও না । কারণ, যার পেটে দুবেলা অন্ন থাকেনা, যার মা অসুস্থ শরীর নিয়ে পরের বাড়িতে কাজ করতে করতে বিছানায় পড়ে থাকে, সেই সন্তানরা তো অার সাধে শিশুশ্রম করতে যায় না ।
ভাবছেন তাদেরকে অার্থিক সাহায্যের জন্য দুহাত বাড়ানোর অনুরোধ করবো? মোটেও না । তাদেরকে কত টাকার সাহায্য করতে পারবেন? কতটি শিশু ও শিশুর পরিবারের দায়ভার নিতে পারবেন? অামরা অাসলে মোটেও তা পারবো না । অর্থ ও মনোবল - এদুটো সম্পূর্ণ রূপে অামাদের সবার কাছে নেই । তাছাড়া কাউকে কয়েকটাকা দিয়ে সাহায্যের চেয়ে এটা কি উত্তম নয় যে, সমস্যা সমাধানের অপচেষ্টার চেয়ে সমস্যা প্রতিরোধের সামান্য চেষ্টা? অামরা যদি পুঁজিবাদের প্রতিযোগিতায় না মেতে উঠি, অর্থ ও সম্পদের সুষম বন্টন করি, পারিবারিক-সামাজিক-রাষ্ট্রীয় দায়-দায়িত্ব পূরণ করি তাহলেই ওদেরকে প্রকৃত অর্থে সাহায্য করা হবে, তাদের দুঃখে অামাদের মর্মাহত, দয়ার্দ্র দৃষ্টিপাত সার্থক হবে ।
পারবেন অাজ থেকে এমন স্বপ্ন দেখতে যে, অাপনার কোটি কোটি টাকা চাই না, বহুতল ফ্ল্যাট চাই না? পারবেন অাপনার অার্থিক স্বপ্নগুলো সীমাবদ্ধ করে ফেলতে? পারবেন কর্পোরেট দুনিয়াটাকে হৃদয় থেকে ঘৃণা করতে? পারবেন ভোগ-বিলাসিতা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে?
অামরা যদি এতোটুকুন না পারি, নিদেনপক্ষে শিশুশ্রম, নারীশ্রম, বৃদ্ধ-শ্রমের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ না করি । কারণ, এতে একরকম ওদের প্রতি উপহাস হয়, দারিদ্রকে অভিশাপ ঘোষণা দেয়া হয় ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: অামাদের ভোগবিলাসিতা, অসীম চাহিদার দিকে বোয়াল মাছের মতো হা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কারণেই কিন্তু ছোট-পুনো মাছগুলো খাবারে পরিণত হয়েছে । এই সামান্য বিষয়টা অামাদের সবার মাথায় ঢুকেনা ।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৪
পিচ্চি হুজুর বলেছেন: হা হা হা পে গে। শিশু শ্রম কে না বললে সামুর বিবাহিত লোকজনের অর্ধেক এর বাড়ি থেকে বউ চলে যাবে কাজের মেয়ে নেই বলে। আমরা জাতি হিসেবে হইলাম ভন্ড, নিজের বাড়িতে কাজের মাইয়া রাখি আবার শিশু শ্রম রে না বলুন এই জিকিরে মশগুল থাকি।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন:
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পিচ্চি হুজুর বলেছেন: হা হা হা পে গে। শিশু শ্রম কে না বললে সামুর বিবাহিত লোকজনের অর্ধেক এর বাড়ি থেকে বউ চলে যাবে কাজের মেয়ে নেই বলে। আমরা জাতি হিসেবে হইলাম ভন্ড, নিজের বাড়িতে কাজের মাইয়া রাখি আবার শিশু শ্রম রে না বলুন এই জিকিরে মশগুল থাকি।
মজা পাইলাম মন্তব্যে।
তবে পোষ্টের মন্তব্যের অনেকটার সাথেই একমত আমিও। টাকা দিয়ে অল্প সাহায্য করলেই তো আর সমাধান হয় না। প্রতিকার দরকার।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ঠিক বলেছেন । " টাকা দিয়ে অল্প সাহায্য করলেই তো আর সমাধান হয় না।" অাসলে করুণা করা হয় ।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই মানসিকতা থাকলেতো কাজই হইতো।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: সবাই একই মানসিকতার হবে তা কাম্য করা বোকামি । তবে অামাদেরকে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে নির্দিষ্ট কতকগুলো মানুষের জেগে উঠাতে জেগে উঠবে সমাজ - দেশ । অার সে পথ অামাদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
মানবী বলেছেন: শিশুশ্রম কে "না বলা" কোন সমাধান নয়! তারচেয়ে তারা কেনো শ্রমে বাধ্য হচ্ছে সেই কারনটি নির্মুল বা সামাধান জরুরী সেই সাথে প্রতিটি শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা।
সমাজতন্ত্র কখনও এদেশে প্রতিষ্ঠীত হবে বলে মনে হয়না আর সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোও যে খুব ভালো আছে এমন নয়! অন্তঃত ৮০% বাংলাদেশী যদি সত্যিকারের মানুষের মতো মানবিকবোধ জাগ্রত রাখে তাহলে হয়তো এই হতভাগ্য শিশুদের দুর্দশা কিছুটা হলেও কমবে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ স্বপ্নাতুর পুরব।
ভোরের সূর্য- ঐ কিশোরী আপনার বাসা্য় ঠাঁই না পেলে তার দুর্ভোগ আরো বহূগুনে বেড়ে যেতো!
আজ আমাদের দেশে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েদেরই নিরাপত্তা নেই, পথে ঘাটে হেনস্থা অপমানিত আর যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় সেখানে এই হত দরিদ্র শিশু শুধু অনাহার অর্ধাহারে দিন কাটাতো নয়, তার জীবন হতো নিরাপত্তআহীন অনিশ্চিত। ছবির মেয়েটিকে ইট ভাঙ্গার সুযোগ না দেয়া হলে হয়তো মা, ছোট ভাইবোনদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হতো! শিশুশ্রম কে না বলা সমাধান নয়, হত দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা ও শ্রমের পথে আসার কারনটির সমাধান জরুরী।
ভালো থাকুন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: সমাজতন্ত্রের কষাঘাতে পিষ্ট হতে মানুষ অার দ্বিতীয়বার ভুল করেও যাবেনা । তাই সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা অানা অনাবশ্যক । কিন্তু, এটাও তো ঠিক যে, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের অাজ জয়জয়কার অবস্থা । সর্বত্রই পুঁজিবাদী গণতন্ত্র চোখ বন্ধ করে গ্রহণ করছে । অথচ পুঁজিবাদ ও ভোগবাদ জীবনব্যবস্থাই সৃষ্টি করেছে ধনী-গরীব বৈষম্য, দুর্নীতি-শোষন-অপশাসনে অরাজনৈতিক সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে পরোক্ষভাবে বানিয়েছে দাস । এও কি মানবতার বুকে লাথি নয়?
@মানবী , অাপনার সুন্দর ও যৌক্তিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ভোরের সূর্য বলেছেন: একদম সহমত আপনার সাথে।
আপনার এই লেখাটির মাধ্যমে সবাইকে বলতে চাই যে আমাদের অনেকের বাসায় ১০/১১ বছরের ছোট ছোট কাজের মেয়ে আছে। এখানে যেই ছবিটি দেয়া আছে ছোট মেয়টি ইট ভাংছে সেটি যেমন অন্যায় তেমনি সেই বাসায় থাকা সম বয়সি মেয়েটির কাছ থেকে পানি নিয়ে খাওয়া কিংবা কাপড় কাঁচানো, রান্না করা কিংবা টুকিটাকি বাজার করানোও অন্যায়। আসুন চেষ্টা করি নিজের কাজ নিজে করার জন্য এবং পরিবারে এরকম বাচ্চা মেয়ে কাজের লোক হিসেবে না রাখার জন্য।