কয়েকজন ব্লগার,নাস্তিক এবং কতিপয় বাস্টার্ড

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

শাহবাগে একবার ইমরান এইচ সরকার ইসলামের এক কথিত হেফাজতকারীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন , ‘ ভাই ,আপনি ব্লগার কি জানেন”? প্রত্যাশিত উত্তর পেয়েছিলেন তিনি-‘কেনো, এটা দিয়ে ইন্টারনেটে ঢুকা যায়’।এর চেয়ে বেশী কিই বা বলতে পারে ছেলেটা!সে তো তার শিক্ষাগুরুর কাছে এই জেনেছিল যে ব্লগার মানেই নাস্তিক। ব্লগার তো দূরের কথা নাস্তিক কথাটির সঠিক ব্যাখ্যাও ওদের শিক্ষাগুরুরা দিতে পারবে বলে মনে হয়না।ইহা সত্তেও আমাদের দেশের অনেক অধিকতর সচেতন মানুষ ব্লগারদের নাস্তিক বলে অভিহিত করতেই স্বস্তি বোধ করে।দু একজন ব্লগারের জন্য শত শত ব্লগারদের নাস্তিক বলাটা কতটা ইসলাম সম্মত তা নিশ্চয়ই সবার বোধগম্য।তারপরেও ব্লগারদের ঝুলিতে ২০১৩ সালের এক অভিনব অর্জন তাহারা নাস্তিক এবং বাংলাদেশ বলেই ইহা সম্ভব হইয়াছে।

সব মানুষ সব ধরনের কাজের জন্য পারফেক্ট নয়।কেউ অস্ত্র হাতে প্রতিবাদ করে কেউ বা কলম হাতে।কেউ মাঠে,ময়দানে কেউবা কাগজের পাতায়।কলম হাতে কাগজের পাতায় যারা যুগ যুগ ধরে প্রতিবাদ বাণী লিখে আসছে তারা কেউ স্বার্থবাদী ছিলনা।আর এই কাগজের পাতা ও কলমের আধুনিক ভার্সন হচ্ছে ব্লগ।বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ সাল ব্লগারদের জন্য একটি অনন্য বছর।দীর্ঘ ৪২ বছর পর বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তার জন্মের ইতিহাস থেকে দায়মুক্তি পেল তার পেছনে এক অসাধারন অবদান এদেশের ব্লগারদের,এদেশের তরুন প্রজন্মের।তাদের অভিবাদন। তারপরও তাদের নিরলস নিঃসার্থ প্রচেষ্টাকে অনেক বাস্টার্ড কলুষিত করার চেষ্টায় মত্ত।তাতে কি আসে যায় ?!!!!

এবার তাদের কথায় আসি যারা নিজের জন্মপরিচয় দিতে কুন্ঠা বোধ করে সেই সব বাস্টার্ডদের।তারা তাদের মায়ের খুনিকে মুক্ত করতে ইসলামের অপব্যবহার করে আন্দোলন করে।তারা নিজের বোনকে গণধর্ষণকারী কুত্তাদের সাথে আতাত করে,তাদের পক্ষ নিয়ে যে কোন মানুষকে নাস্তিক বলে।তারা স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও মনে প্রাণে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারে না,বিজয় দিবস উদযাপন আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম মনে করে, আর আমাদের প্রিয় জাতীয় পতাকা বেধে মাথা উচু করে হাটতে পারেনা।সর্বোপরি তারা সবসময় আমাদের প্রিয় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করে এবং যুক্তিহীন সমালোচনা করে।

যাই হোক না কেন-আমরা একদিন মাথা উচু করে দাড়াব।কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা।আমরা আমাদের জন্মের ভুল সংশোধন করেছি।আর ভুল হতে দিবনা।প্রার্থনা করি সেইসব দুর্ভাগা মানুষদের জন্য যারা এই দেশকে ভালবাসতে পারছেনা বিধাতা যেন তাদের রহমত দান করে।তাদের বিবেকের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়।হয়তো ব্লগারদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য।৫ম বাংলা ব্লগ দিবসে নির্ভীক ব্লগারদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।তারা এগিয়ে যাক সকল বাধা অতিক্রম করে সত্য ও শিকড়ের সন্ধানে...

০ টি +০/-০